চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এর স্থগিত থাকা নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। মেয়র প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের নতুন করে মনোনয়ন নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। শুধু সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৭ এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (নতুন প্রার্থীদের) মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ইসি তাদের সময় দেবে। তবে যারা ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন তাদের আর দিতে হবে না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসাবে ইসির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৯ মার্চ এই সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে পরে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে জনগণ কিছুটা মানিয়ে ওঠায় নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্ধারিত সময়ে ভোট করতে না পারায় আগস্টের শুরুতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। এখন ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে। তবে প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে চট্টগ্রাম সিটির ৩০, ৩৭ ও ৪০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড এবং ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জন্য নতুন করে তফসিল দেওয়া হয়েছে।
এই চার ওয়ার্ডের আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩১ ডিসেম্বর বাছাই হবে এবং ৭ জানুয়ারি র্পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। সব প্রক্রিয়া শেষে অন্য সব ওয়ার্ডের সঙ্গেই ২৭ জানুয়ারি ভোট হবে এই চার ওয়ার্ডে।
এছাড়া আজ সোমবার তৃতীয় দফায় ৬৪টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সব কয়টিতেই ভোট হবে ব্যালটের মাধ্যমে। তৃতীয় ধাপের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর।