Tag: ইমরান খান

  • ভোটের দু’দিন পরই ১৪ মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান

    ভোটের দু’দিন পরই ১৪ মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান

    পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মোট ১৪টি মামলায় জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত (এটিসি)। শনিবার ইসলামাবাদ এটিসির বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন।

    ইমরান খানের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ১৩ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।

    যেসব মামলায় ইমরান ও কুরেশি জামিন পেয়েছেন— সবগুলোই গত ৯ মে দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গত ৯ মে আদালত চত্বরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইমারান খান। তারপর অভূতপূর্ব বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেবার সেনানিবাস ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়।

    যে ১৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন ইমরান, সেগুলোর মধ্যে ১২টি ৯ মে দাঙ্গায় উসকানি সংক্রান্ত; বাকি ২টির মধ্যে একটি পাকিস্তানের সারিক বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ) এবং অপরটি সামরিক বাহিনীর জাদুঘরে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

    আর যে ১৩ মামলায় শাহ মুহম্মদ কুরেশি জামিন পেয়েছেন, সেগুলোর সবই দাঙ্গায় উসকানি সংক্রান্ত।

    পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি। এসব আসনের মধ্যে একটি ব্যতীত বাকি সবগুলোতে নির্বাচনী ভোটগ্রহণ হয়েছে বৃহস্পতিবার।

    বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৪৫টি আসনের ফলাফল জানা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৯৮টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই), ৬৯টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫১টি আসন।

    গতকাল শুক্রবার রাতে লাহোরে নিজ বাসবভবনের সামনে জড়ো হওয়া কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পিএমএলএনকে বিজয়ী বলে দাবি করেন নওয়াজ শরিফ। তিনি আরও জানান, অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে জোট সরকার করতে চায় পিএমএলএন।

    পিএমএলএনের জ্যেষ্ঠ নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী ইসাক দার জানিয়েছেন, অনেক ‘পিটিআই-স্বতন্ত্র’ বিজয়ী প্রার্থী ইতোমধ্যে পিএমএলএনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে ফলাফল প্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হয়।

    তবে পিটিআই-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়টি ভিন্ন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে নিজেদের দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার করতে পারেননি পিটিআই প্রার্থীরা। বাধ্য হয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ প্রতীক ব্যবহার করতে হয়েছে তাদের।

  • ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

    ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

    পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। আর তার মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি গোপনীয়তা আইনের অধীনে একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন। কিন্তু কী এই সাইফার মামলা?

    পাকিস্তানে সাইফার মামলা বলতে বোঝায় রাষ্ট্রীয় গোপন বার্তা ফাঁসের মামলাকে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই, এর পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে- এমন অভিযোগ করে আসছিলেন খান। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়েই তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন এবং জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন। এটি নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

    গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তিন বছরের সাজা দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। এর পাশাপাশি ১ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছিল তাকে। বলা হয়েছিল, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাগারে থাকতে হবে তাকে ও পাঁচ বছর কোনো নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি।

    কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের সাজা স্থগিত করে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেয়। কিন্তু তোশাখানা মামলার পরপরই দায়ের করা সাইফার মামলায় কারাগারেই থাকতে হয় তাকে। এমনকি, এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলতে থাকে কারাগারে। শেষপর্যন্ত এই মামলায় ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

    এদিকে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে এটিই প্রথম সাজার রায়।

    পাকিস্তানের ‘সেনাবাহিনী সমর্থিত’ প্রশাসন অভিযোগ দায়ের করেছিল যে ইমরান খান রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য রক্ষায় দায়িত্বহীনতা দেখিয়েছেন। কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্যসচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, তা জিঞ্জেস করলে- ভুলে গেছেন বলে দাবি করে সেটি আর ফেরত দেননি।

    মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রায়ের আগে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইনও ইমরান খানের কাছে সেই তারবার্তা কোথায় আছে জানতে চান। জবাবে ইমরান বলেন, আমি স্বীকারোক্তিতে আগেও বলেছি, তারবার্তা কোথায় আছে আমি জানি না। সেটি আমার কার্যালয়েই ছিল। ইমরানের এই বক্তব্যের পরেই সাজার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

    এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায়কে জালিয়াতির বিচার বলে আখ্যায়িত করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, পুরো পাকিস্তান ইমরান ও কোরেশির সঙ্গে আছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের নেতা খব তাড়াতাড়িই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন ও আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।

  • ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

    ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

    পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিসহ দলটির ৮০ জনেরও বেশি নেতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইমরান ও বুশরা ছাড়া এ তালিকায় রয়েছেন- আসাদ উমর, মালেকা বোখারি, কাসিম সুরি, আসাদ কায়সার, মুরাদ সাঈদ, হাম্মাদ আজহার, ইয়াসমিন রশিদ ও আসলাম ইকবাল। খবর ডনের

    বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিশেষ সহকারী আতাউল্লাহ।

    তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া পিটিআই নেতাদের তালিকা দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার সব পয়েন্টে ও বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কেউই পাকিস্তান ছাড়তে পারবে না।

    এদিকে শুক্রবার পাকিস্তানের আরেক গণমাধ্যম ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইমরান খানের নাম রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।

    এক টুইটে ইমরান খান বলেন, বিদেশে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই, কারণ বিদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসা নেই, এমনকি দেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই।

    তিনি আরও বলেন, আমি যদি ছুটি কাটানোর সুযোগ পাই, তাহলে আমাদের উত্তরাঞ্চলের পর্বতমালায় যাব। আমার কাছে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।

    হঠাৎ করেই দলত্যাগ শুরু করেছেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। এতে কঠিন পরীক্ষায় পড়েছেন ইমরান খান। এরই মধ্যে ইমরানের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতাও সরে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন, তারা আর রাজনীতি করবেন না। সেনাবাহিনীর ধরপাকড় ও চাপে পড়ে নেতারা তার পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ইমরান।

    তিনি বলেন, এমন দমন-পীড়নের ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসে আমি আর দেখিনি। যদি বলেন, আপনারা পিটিআইয়ের সদস্য, তাহলে আপনাদের দমন-পীড়ন এবং সহিংসতার কবলে পড়তে হবে। বন্দি করা হবে। আর যদি জাদুকরি শব্দগুলো বলেন যে আমরা আর পিটিআইয়ের সঙ্গে নেই, তাহলে ছাড়া পাবেন।

    গত ৯ মে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ১০ জন নিহত হন। পরে গত ১২ মে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট ইমরান খানকে জামিন দেন। এই জামিনের মেয়াদ বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা মামলার বিস্তারিত প্রস্তুতির জন্য আরও সময় চেয়ে তার আইনজীবী আবেদন করার পর আদালত জামিনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে জামান পার্কের বাড়িতেই অবস্থান করছেন পিটিআইপ্রধান।

  • ৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

    ৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

    পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আট মামলায় জামিন দিয়েছে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের এক উগ্রবাদবিরোধী আদালত। মূলত, জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে সহিংসতা সংক্রান্ত মামলাগুলোতে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) প্রধান ইমরান খানের আবেদনের শুনানির সময় আদালত ৮ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

    আজ আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় দেশটির সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদের জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) সামনে উপস্থিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে সহিংসতা সংক্রান্ত মামলাগুলোতে গ্রেফতারের আশঙ্কা করেছিলেন ইমরান খান। গতকাল সোমবার টুইটারে তিনি বলেন, আমি জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ যদি আপনারা সহিংস হয়ে ওঠেন, তারা আবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আরও একটি সুযোগ পেয়ে যাবে। আমাদের সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।

    এদিকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো আদালত ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৩১ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছে। তিনি আগের দিন (সোমবার) গ্রেফতার ঠেকাতে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।

  • জামিন পেলেন ইমরান খান

    জামিন পেলেন ইমরান খান

    পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

    শুক্রবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টের (আইএইচসি) একটি ডিভিশন বেঞ্চ ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।

    একদিন আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোট আইএইচসি প্রাঙ্গণ থেকে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ বলে উল্লেখ করেছিল।

    বিচারক মিয়ানগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারক সামান রাফাত ইমতিয়াজের ডিভিশন বেঞ্চ আদালতের ২ নম্বর কক্ষে ইমরানের জামিনের আবেদনের শুনানি করেন।

    এ সময় ইমরানের আইনজীবীরা অতিরিক্ত আরও চারটি আবেদন দাখিল করেন। এসব আবেদনে ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা একত্রিত করার এবং সেসব মামলার বিস্তারিত জানানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে নিদের্শনা দিতে আইএইচসির কাছে আর্জি জানানো হয়।

    শুনানি চলাকালে ইমরান বলেছিলেন, তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হলে দেশজুড়ে অশান্তি দেখা দিতে পারে, তবে তিনি এমনটি চান না।

    হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এ দিন স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় শুনানি শুরুর কথা থাকলেও প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে তা শুরু হয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা আদালত কক্ষের বাইরে নিরাপত্তা তল্লাশি পরিচালনা করছিলেন, যার কারণে শুনানি শুরু হতে দেরি হয়।

    দুপুর ১টায় শুনানি শুরু হলেও জুমার নামাজের জন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই তা মুলতবী করা হয়। অপরদিকে জিও নিউজ জানিয়েছে, আদালত কক্ষে ইমরানের পক্ষে শ্লোগান দেওয়া হলে বিচারকদ্বয় তাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে কক্ষ ত্যাগ করেন।

    দুপুর আড়াইটার পর শুনানি আবার শুরু হয়। এ সময় নিজের আইনজীবী দলের সঙ্গে ইমরান আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন আর তার আইনজীবী খাজা হ্যারিস তার যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।

    হ্যারিস ‍যুক্তি তুলে দরে আদালতকে বলেন, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ইমরানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করে তা অবৈধ ছিল। তিনি জানান, অনুসন্ধান আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তে রূপ নিলে এনএবি শুধু একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে।

    হ্যারিস আরও জানান, পিটিআই জানতে পেরেছে এনএবি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিক তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছিল। তিনি বলেন, পিটিআই প্রধান এনএবির অনুসন্ধানের প্রতিবেদন চাইতে ৯ মে আইএইচসিতে এসেছিলেন, কিন্তু আদালত কক্ষে প্রবেশের আগেই তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো ওই সময় ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণ করেছে বলে হ্যারিস অভিযোগ করেন।

    আদালত তখন ইমরানের জামিন আবেদন গ্রহণ করেন এবং এনএবির প্রসিকিউটর জেনারেল ও ইমরানের আইনজীবীদের পরবর্তী শুনানির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। আদালত জানান, ইমরানের জামিন বাতিল করা হবে না এর সময় বাড়ানো হবে তা পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    আপাতত ইমরানকে ১৫ দিনের সুরক্ষামূলক জামিন দেওয়া হয়েছে এবং ৯ মে-র পরে দায়ের করা কোনো মামলায় বুধবার (১৭ মে) পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত, জানিয়েছে জিও নিউজ।

  • ইমরান খানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

    ইমরান খানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

    পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনসের রেস্ট হাউসে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে যান তিনি।

    এর আগে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। শুক্রবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বৃহস্পতিবার রাতে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে পুলিশ লাইনসের পুলিশ রেস্ট হাউসে দেখতে যান। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) হাজির হওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের আদেশে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পুলিশ লাইনসের রেস্ট হাউসে অবস্থান করছেন।

    এর আগে দুর্নীতির মামলায় গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। এর একদিন পর তাকে আটদিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করে।

    এমনকি সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করে। এরপর শুক্রবারের হাজিরার জন্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে পুলিশ লাইনসের রেস্ট হাউসে যান ইমরান।

    দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে মুক্তি পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইমরান খানকে অভিনন্দন জানান এবং দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

    গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থাকা বেশ কিছু সূত্র দ্য নিউজকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এসময় ইমরানকে তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে সামরিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন।

    সূত্র জানায়, ইমরান পরে গিলগিট বাল্টিস্তানের (জিবি) মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠান। পরে তিনিও সেখানে আলোচনায় যোগ দেন এবং তারা মধ্যরাতের পর পর্যন্ত দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা করেন।

    এদিকে, ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, একজন চাকরিরত সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ কেবল অভিযোগই নয়, বাস্তবতা। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে বিদেশি এক মিডিয়া প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। ওই সাংবাদিক ইমরানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, একজন চাকরিরত সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা।

    অপরদিকে মিডল ইস্টার্ন নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান বলেছেন- বিরোধীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা সম্ভব হবে না কারণ তারা সংবিধানে বিশ্বাস করে না।

    প্রধান বিচারপতির পরামর্শের বিষয়ে এক সংবাদকর্মী তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইমরান মনে করিয়ে দেন, সংবিধান নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু তারা (সরকার) তা এড়িয়ে যাচ্ছে। এখন সংবিধান মেনে চলা প্রয়োজন এবং এর পরে কীভাবে এগোনো যায় তা দেখা যাবে।

    একজন আইনজীবী তাকে বলেন, পিটিআই মহাসচিব আসাদ উমর, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এবং সাবেক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে ইমরান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, কেন তাকে আগে জানানো হয়নি, যাতে তিনি আদালতে এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরতে পারতেন।

    একজন সংবাদকর্মী ইমরানকে লাহোরের ঊর্ধ্বতন সেনা কমান্ডারের বাসভবনে হামলার নিন্দা করবেন কিনা জিজ্ঞাসা করেন। ইমরান তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, যেহেতু তিনি এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না, তাহলে কীভাবে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন।

    এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ইমরানের মুক্তির আদেশের পর একজন কর্মকর্তা ইমরানের কাছে এগিয়ে আসেন এবং তাকে তিনি বিদায় জানাতে এসেছেন বলে জানান। তখন ইমরান তার সাথে করমর্দন করেন এবং বলেন, ‘আমি প্রার্থনা করি আমাদের আর দেখা হবে না।’

  • ইমরান খান ৮ দিনের রিমান্ডে

    ইমরান খান ৮ দিনের রিমান্ডে

    আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান (পিটিআই) ইমরান খান। সেই মামলায় বুধবার ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে তোলা হয় তাকে। পরে, আদালত ইমরান খানের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর দ্য ডনের।

    প্রতিবেদনে জানানো হয়, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এই মামলার শুনানি হয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে। গত সোমবার এই স্থানকে আদালতের মর্যাদা দেওয়া হয়। ইমরান খানের মামলার শুনানিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ বশির।

    শুনানির শুরুতে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করে। তবে, এর বিরোধীতা করেন পিটিআই প্রধানের আইনজীবী খাজা হারিস। আইনজীবী বলেন, ‘আল-কাদির ট্রাস্ট মামলাটি ব্যুরোর পরিধির মধ্যে পড়েনি। এমনকি, এনএবি এখনও তদন্ত প্রতিবেদনও শেয়ার করেনি।’

    খাজা হারিস বলেন, ‘প্রত্যেকেরই সুষ্ঠু বিচারের অধিকার আছে। এই শুনানি একটি খোলা আদালতে হতে পারতো। আল-কাদির ট্রাস্টের আওতায় যে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেখানে বিনামূল্যে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’

    অন্যদিকে, এনএবির আইনজীবীর বলেন, ‘যখন ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয় তখন তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ দেখানো হয়েছিল।’ তদন্ত প্রতিবেদনের জবাবে এনএবির আইনজীবী বলেন, ‘যথাযথ কাগজপত্র প্রয়োজনে জমা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি দুর্নীতির মামলা, যার প্রমাণ দিয়েছে বিট্রিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।’

    শুনানির সময় ইমরান খান আদালতকে বলেন, ‘যখন আমাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন পরোয়ানা দেখানো হয়নি। ব্যুরোর অফিসে নেওয়ার পর সেটি দেখানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে আমি বাথরুমে যাইনি। আমার একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন।

  • পাকিস্তানে সর্বদলীয় বৈঠকে ডাক পেলেন ইমরান

    পাকিস্তানে সর্বদলীয় বৈঠকে ডাক পেলেন ইমরান

    পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সস্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানকে দাওয়াত দিয়েছেন।

    গত সোমবার জোহরের নামাজের সময় পাকিস্তানের পেশোয়ারে আঞ্চলিক পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতরে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে মসজিদ ভবনের একাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হন ৮০ জনের বেশি মুসল্লি।

    এ ঘটনার পর দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ের সব কটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সরকারি বিবৃতিতে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, রাজধানী ইসলামাবাদে আগামী মঙ্গলবার সর্বদলীয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    এ বিষয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব সংবাদমাধ্যমকে জানান, আইন ও বিচারমন্ত্রী সরদার আয়াজ সাদিক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পক্ষে বৈঠকে অংশ নিতে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছেন।

    পিটিআইয়ের প্রতিনিধির কাছে ইমরান খানের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পিটিআইয়ের নেতা ও পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক পিটিআইয়ের প্রধানের হয়ে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন।

  • উপনির্বাচনে একাই ৩৩ আসনে লড়বেন ইমরান খান

    উপনির্বাচনে একাই ৩৩ আসনে লড়বেন ইমরান খান

    আসন্ন মার্চে জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে একাই ৩৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান। পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

    রোববার (২৯ জনুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে মাহমুদ কোরেশি বলেছেন, “আমরা উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইমরান খান সব আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।”

    এর আগে শুক্রবার, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ৩৩টি আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করে। দেশটির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ পিটিআই আইন প্রণেতাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের পরে এই আসনগুলো শূন্য হয়।

    দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতেই পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী জাতীয় পরিষদের সমস্ত শূন্য আসনের উপনির্বাচনে দলের প্রধান ইমরান খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।

    গত ১৭ জানুয়ারি এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, “তেহরিক-ই-ইনসাফ সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং ইমরান খান এই ৩৩টি আসনে তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী হবেন।”

    এদিকে মাহমুদ কোরেশি বলেছেন, ১৭ জুলাইয়ের উপনির্বাচনের সময় জনগণ পিটিআইকে সমর্থন করেছিল; দলের আশা, আগামী ১৬ মার্চের উপনির্বাচনেও জনগণ ভোট দিয়ে ইমরান খানের প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করবে।

    আসন খালি হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে পাকিস্তানে। সময়মতো নির্বাচন না হলে তা সংবিধানের লঙ্ঘন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুযায়ী, মাসের শুরুতে স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ আরও ৩৫ জন পিটিআই আইনপ্রণেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

    ২০২২ সালের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদ থেকে দলীয় প্রধান ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পর সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে পিটিআই-এর সদস্যরা গণপদত্যাগ করেছিলেন।

    কিন্তু সে সময় স্পিকার মাত্র ১১ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বলেছিলেন, বাকি সংসদ সদস্যদের যাচাইয়ের জন্য পৃথকভাবে তলব করা হবে।

    এখন পর্যন্ত পিটিআইয়ের ৮০ জন সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ইমরান খান

    দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: ইমরান খান

    পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা সফল করতে নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী নেতা ইমরান খান।

    সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার পর তিনি নিজেও ফের আন্দোলনে নামবেন।

    শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের শওকত খানম হাসপাতাল থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি একটি জাতি কখনও কারো সম্মান পায় না, কোনো উন্নতিও করতে পারে না।’

    ‘পাকিস্তানকে একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি দিতে যে আন্দোলন জনগণ শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে এবং শারীরিকভাবে খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠেই আমি ফের তাতে যোগ দেব।’

    ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান ২০১৮ সালে ভোটে জিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। দেশটির রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী সেনাবাহিনীর সমর্থন তখন তার দিকে থাকলেও কিছু দিন পর তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

    সেনা সমর্থন হারানো ইমরানের বিরুদ্ধে এই বছরের শুরুতে জোট বেঁধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে দেশটির বড় দুই রাজনৈতিক দল। তাতে হেরে গত এপ্রিলে ইমরানের সরকারের পতন ঘটলে প্রধানমন্ত্রী হন মুসলিম লীগের শাহবাজ শরিফ, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।

    ক্ষমতা হারানো ইমরান নতুন নির্বাচনের দাবি তুলে পাকিস্তানে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ লংমার্চের ডাক দেন। গত ২৮ অক্টোবর লাহোর থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি।

    ৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল এই লংমার্চ; তার এক দিন আগে, ৩ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদ শহরে সমাবেশ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান। সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি চালায় এক হামলাকারী। আরেক হামলাকারী ইমরানের দিকে পিস্তল তাগ গুলি চালিয়েছিল।

    পিস্তল দিয়ে যে হামলাকারী হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাকে হামলার সময়েই পাকড়াও করেন বছর তিরিশের এক যুবক। তিনি ঠিক সময়ে তৎপর না হলে নিহতও হতে পারতেন পিটিআিই চেয়ারম্যান।

    একে ৪৭ অস্ত্রধারী হামলাকারীর বন্দুক থেকে বের হওয়া ৩ থেকে ৪টি গুলি ইমরান খানের পায়ে বিদ্ধ হয়েছে।

    হামলার পরই তাকে চিকিৎসার জন্য লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন ইমরান খান।

    বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পরই পিটিআইয়ের জেষ্ঠ্য নেতাদের ইমরান খান জানান, হামলার জন্য তিন জনকে দায়ী মনে করেন তিনি। তারা হলেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির। পিটিআইয়ের জেষ্ঠ্য নেতা আসাদ ওমরের মাধ্যমে এই তিন জনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তেলারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

    শুক্রবারের ভাষণে ফের তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ইমরান বলেন, সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) অনেক দিন থেকেই তাকে হত্যার চেষ্টা করছে।

    ‘বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে, তা প্রতিষ্ঠান (সেনাবাহিনী) ও পিএমএল-এনের যৌথ পরিকল্পনার ফলাফল। (কিছুদিন আগে) প্রথমে তারা আমার বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহিতা ছড়ানোর অভিযোগ তুলল এবং এ সংক্রান্ত কিছু ভুয়া অডিও টেপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিল। তারপর বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদে আমাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা ঘটল।’

    ‘ভুয়া অডিও টেপ ছড়ানোর কাজটি করেছে পিএমএল-এন। এবং দলটির কোন কোন নেতা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাও আমি জানি। বর্তমানে আমরা সবাই ডিজিটাল পৃথিবীতে বসবাস করি, তাই এসব তথ্য বের করা কঠিন কিছু নয়।’

    ‘অডিও টেপ ছড়িয়ে পিএমএল-এন একটা প্রেক্ষাপট আগেই তৈরি করে রেখেছিল, তারপর আমাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায় প্রতিষ্ঠানের কিছু কুলাঙ্গার কর্মকর্তা। আমার ওপর যে প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে, সেই খবরও আমি লংমার্চ শুরুর আগেই পেয়েছিলাম।’

    ‘আমাদের দাবি, যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে— অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। যতক্ষণ তারা পদত্যাগ না করবে— জনগণ সড়ক ছাড়বে না।’

    পাকিস্তানের অখণ্ডতা একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই নিশ্চিত করতে পারে বলে দাবি করেন পিটিআই চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

    ‘যদি সেনাবাহিনী দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতে পারত, তাহলে পূর্ব পাকিস্তান আজ বাংলাদেশ হতো না। একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করতে সক্ষম, এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী তাদের সহায়ক মাত্র।’

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ইমরান খানের ওপর হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা

    ইমরান খানের ওপর হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা

    পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের ওপর গুলি চালিয়েছে এমন এক সন্দেহভাজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার দিকে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে এই ঘটনা ঘটে। আরও এক সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে ইমরান খানের ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রওফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দ্বিতীয় আরেকজন হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।’ তবে, মূল হামলাকারী কে সে বিষয়ে রওফ কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারেননি।

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদ শহরে ‘হাকিকি আজাদ’ লংমার্চে অংশ নিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান। এ সময় পিটিআইয়ের আরেক নেতা ফয়সাল জাভেদসহ আরও একজন গুরুতর আহত হন। হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী ইমরান খান এবং ফয়সাল জাভেদের গুলিবদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইমরান খানের পায়ে গুলি লেগেছে।’ তবে তাঁর আঘাত কতটা গুরুতর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই ইমরান খানকে তাঁকে বহন করা কনটেইনার ট্রাক থেকে নামিয়ে একটি গাড়িতে তোলা হয়। ফাওয়াদ চৌধুরী আরও জানান, ইমরান খানকে হত্যার লক্ষ্যেই গুলি চালানো হয়েছিল।

    হামলার পরপরই পাকিস্তানি সম্প্রচারমাধ্যম আওয়াজ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘ইমরান খানসহ মোট তিনজন এই হামলায় আহত হয়েছেন। অন্য দুজন হলেন—সিনেটের ফয়সাল জাভেদ এবং আহমাদ ছাত্তা।’

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ইমরান খান গুলিবিদ্ধ

    ইমরান খান গুলিবিদ্ধ

    গুলিতে আহত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি লংমার্চে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তার গাড়িবহরে গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় ইমরানের পায়ে গুলি লাগে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

    পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ অভিমুখে পিটিআই’র লংমার্চের সপ্তম দিনে গুজরানওয়ালার আল্লাহওয়ালা চকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় তিনি ছাড়া আরও চার থেকে পাঁচজন পিটিআই নেতা আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ফয়সাল জাভেদ অন্যতম।

    পিটিআই নেতা আসাদ উমর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এক লোক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। ইমরান খানও আহত।

    ইমরান ইসমাইল নামে দলটির এক নেতা জানিয়েছেন, পিটিআই চেয়ারম্যানের পায়ে তিন থেকে চারবার গুলি করা হয়েছে।

    স্থানীয় বোল টিভির সঙ্গে আলাপকালে ইসমাইল জানান, হামলার সময় তিনি ইমরান খানের পাশেই ছিলেন। হামলাকারী একটি অস্ত্র হাতে সোজা কন্টেইনারের সামনে চলে আসে।

    পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার জানিয়েছেন, দলের সদস্য আহমদ চাত্থার শরীরে দুটি গুলি লেগেছে। তবে তিনি বিপদমুক্ত।

    পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    এক টুইটে ক্ষমতাসীনদের দিকে ইঙ্গিত করে আসাদ উমর বলেছেন, থামাতে না পারলে কাপুরুষরা হত্যার চেষ্টা করে। ইমরান খানের ওপর আল্লাহর ছায়া রয়েছে।

    হামলার পর পিটিআই নেতা শাহবাজ গিল বলেছেন, ইমরান খান আমাদের লাল রেখা (রেড লাইন) এবং সেই লাল রেখা অতিক্রমের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ইমরান খান শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়বেন।

    এদিকে, পিটিআই’র লংমার্চে গুলির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এ ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের কাছ থেকে অবিলম্বে রিপোর্ট চাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শাহবাজ বলেছেন, নিরাপত্তা ও তদন্তের বিষয়ে পাঞ্জাব সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

    পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিছ আলভি জানিয়েছেন, ইমরান খান আহত হলেও নিরাপদে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাহসী ইমরান খানের ওপর জঘন্য হত্যাচেষ্টা। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, তিনি নিরাপদে রয়েছেন। কিন্তু পায়ে কয়েকটি গুলি লেগে তিনি আহত হয়েছেন। আশা করি (জখম) গুরুতর নয়। এই হামলা মর্মান্তিক, উদ্বেগজনক, কলঙ্কজনক, প্রতারণামূলক ও কাপুরুষোচিত। আল্লাহ তাকে এবং আহত সবাইকে সুস্থতা দান করুন।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর