Tag: ইরাক

  • ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদের’ ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

    আইআরজিসি আজ (বুধবার) ভোররাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির উপর আগ্রাসী মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাব দিতে আইন আল-আসাদ ঘাঁটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।

    আইআরজিসি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার কাপুরুষোচিত পদক্ষেপের ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আজ (বুধবার) ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদ’র ওপর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে ঘাঁটিটিতে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

    অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলাইমানি’ এবং এই অভিযানের মাধ্যমে যে ‘মহান বিজয়’ অর্জিত হয়েছে সেজন্য বিবৃতিতে ইরানের মুসলিম জাতিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

    মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, তাদের ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ইরবিল শহরের মার্কিন ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে।

    আইআরজিসি’র বিবৃতিতে ‘বড় শয়তান’, ‘রক্তপিপাসু’ ও ‘দাম্ভিক’ আমেরিকাকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হয়েছে, যদি আবার কোনো ‘শয়তানি’ করা হয় কিংবা কোনো আগ্রাসন বা উসকানি চালানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে এর চেয়ে ‘বেদনাদায়ক’ ও ‘বিপর্যয়কর’ জবাব দেয়া হবে।

    একইসঙ্গে বিবৃতিতে আমেরিকার যেসব মিত্র দেশ তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যে দেশের ভূমি থেকেই ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে সেই দেশকে শত্রু দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ওপরও আক্রমণ চালানো হবে।

    ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার অপরাধে ইহুদিবাদী ইসরাইলকেও ইরান আমেরিকার মতো সমান অপরাধী বলে গণ্য করে। বিবৃতিতে এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আমেরিকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

    গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ইরাক সরকারের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দেশটি সফরকারী ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিস এবং দু’দেশের আরো ৮ সেনা শাহাদাতবরণ করেন।

    ইরাক ও ইরানের বহু শহরে অসংখ্যবার জানাযার নামাজ শেষে মঙ্গলবার রাতে জেনারেল সোলাইমানির লাশ তার জন্মভূমি ইরানের কেরমান শহরে দাফন করার কয়েক ঘণ্টা পার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হলো

  • সোলাইমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে

    সোলাইমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে

    যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার শহীদ লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইলমানির মরদেহ ইরানে পৌঁছেছে।

    আজ (রোববার) ভোররাতে ইরাক থেকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহওয়াজ বিমানবন্দরে তার লাশ পৌঁছায়।এ সময় আহওয়াজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় শত শত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে গতকাল (শনিবার) ইরাকের কাজেমাইন, বাগদাদ, কারবালা ও নাজাফ শহরে জেনারেল সোলাইমানি ও তার সহযোদ্ধাদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ইরাকের লাখ লাখ মানুষ এসব জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

    ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, আজ (রোববার) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় খুজিস্তান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর আহওয়াজে জেনারেল সোলাইমানির জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ নগরীতে। সেখানে দুপুরে ইমাম রেজা (আ.)’র মাজার প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

    এরপর যথাক্রমে তেহরান, কোম ও জেনারেল সোলায়মানির জন্মস্থান দক্ষিণ ইরানের কেরমান শহরে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেনারেলের ওসিয়ত অনুযায়ী কেরমানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

    শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি শাহাদাৎবরণ করেন। ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় সরকার-পন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ জওয়ান ও কমান্ডার শহীদ হন।

    শাহাদাতপ্রাপ্ত এসব যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়া থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) উৎখাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। ওই দুই দেশে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একজন সফল জেনারেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা মেনে নিতে পারেনি।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পেন্টাগন জানিয়েছে। আমেরিকার এ ঘৃণ্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।