Tag: ইলিশ

  • ভরা মৌসুমেও মিলছে না ইলিশ

    ভরা মৌসুমেও মিলছে না ইলিশ

    ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সাগরে নেমেছিল চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। কিন্তু উত্তাল সাগরে ঝুঁকি নিয়ে নেমে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা না পেয়ে হতাশ জেলেরা। তবে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রত্যাশা, সামনে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়বে। সাগর উত্তাল থাকায় এ মুহূর্তে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছে না।

    বর্ষা মৌসুমে সাগরে ইলিশের আনাগোনা বেশি থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে আষাঢ় মাসে মাছ শিকার করতে পারেনি জেলেরা। শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা শেষে গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে সাগরে নেমেছিল চট্টগ্রাম উপক‚লীয় এলাকার জেলেরা। লঘুচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে সাগর উত্তাল। এর মাঝে ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতে নেমেও হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের। অথচ রূপালি ইলিশের আশায় দেনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সাগরে নেমেছিল জেলেরা। কিন্তু শুরুতে ব্যর্থ তারা। কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরতে না পারলে পথে বসতে হবে উপকূলের ঋণগ্রস্ত এসব জেলেরা।

    গতকাল নগরীর হালিশহর থেকে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর পর্যন্ত উপকূলীয় মৎস্যঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ভরা মৌসুমে এসেও ঘাটগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের কোন হাঁকডাক নেই। গত দুতিন দিন মাছ না পাওয়ায় অনেক ফিশিং বোট সাগরেই নামেনি। মাঝে মাঝে দু’একটি বোট উপক‚লে ভিড়ছে। প্রতিটি বোটে গড়ে ১০ কেজি মাছও মিলছে না। সলিমপুর এলাকার জেলে সাধন জলদাস বলেন, ‘প্রতিটি বোটে ৮ থেকে ১০ জন কর্মচারী থাকে। কিন্তু ৮-১০ কেজি মাছও পাওয়া যাচ্ছে না।’ লতিফপুর ঘাটে মাছ কিনতে এসে হতভম্ভ স্থানীয় বাসিন্দা আজমগীর বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে আমি ইলিশ মাছ কিনেছিলাম। কিন্তু এখন দাম প্রতি কেজিতে দুই থেকে তিনশ টাকা বেশি।’

    অভিযোগ আছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে উপকূলজুড়ে অবাধে মাছ শিকার করেছেন অনেক জেলে। আইনের কোন প্রয়োগ না থাকায় নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ শিকার করায় সাগরে মাছের পরিমাণ প্রতিবছর কমে যাচ্ছে। দক্ষিণ কাট্টলী জেলে সর্দার খেলন জলদাস বলেন, ‘সাগরে ইলিশের দেখায় মিলছে না। নিষেধাজ্ঞার সময় নগর উপকূলে মাছ শিকার মোটামুটি বন্ধ থাকলেও অন্যান্য জায়াগায় এবার অবাধে মাছ শিকার করেছেন জেলেরা। যার কারণে নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছেন না এখানকার জেলেরা।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বারুণী ঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় একহাজার বোট সাগরে নামে। জাল ও আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রতিটি বোট মেরামত করে সাগরে নামতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়। অনেক জেলেই ঋণ করে এই টাকা খরচ করে। কিন্তু মাছ না পেলে ঋণগ্রস্ত এসব জেলেদের পথে বসতে হবে।’

    স্থানীয় জেলেরা এখন আগামী ৩ আগস্ট অমাবস্যা তিথির অপেক্ষায় আছেন। কারণ এ সময় সাগরে মাছের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাদের প্রত্যাশা এসময় সপ্তাহখানেক তাদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। জেলা মৎস্য কর্মকাতারাও আশাবাদী।

    চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, সাগর ইলিশের আনাগোনা রয়েছে। তবে উত্তাল থাকার কারণে জেলেদের জালে মাছ আটকা পড়ছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে এলে জেলেদের জালে ইলিশ প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।

  • নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে, ইলিশ ধরার অপেক্ষায় জেলেরা

    নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে, ইলিশ ধরার অপেক্ষায় জেলেরা

    ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)। ফলে মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারবেন জেলেরা। এরই মধ্যে সাগরে নামতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন বরগুনার জেলেরা।

    জেলেদের অভিযোগ, দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের উৎপাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকার করতে পারেন না। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলেদের স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে তারা।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। টানা ২২ দিন পর আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পারবেন বলে খুশি জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ধারদেনা করে চালিয়েছেন অনেক জেলে। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়লে সেই ধারদেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

    তবে জেলেদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জেলেদের উৎপাত ও অত্যাচার। বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করে নিয়ে যায় তারা। তাই এ অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে নৌবাহিনীর টহল বাড়ানোর জানিয়েছেন জেলেরা।

    বিভিন্ন জেলে পাড়া ঘুরে দেখা যায়, জেলেরা সাগরে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জাল ঠিক করছেন আবার কেউ নৌকা মেরামত করছেন। মধ্যরাত হলেই সাগরে নেমে পড়বেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে।

    জেলে রফিক হাওলাদার, মাঝি শহিদুল ফরাজী ও বারেক মাতুব্বর বলেন, ‘আজ নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। রাতেই ইলিশ ধরতে নামতে পারবো। আবারও আমাদের সংসারের চাক ঘুরবে। সাগরে নামতে সবকিছুর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।’

    তারা আরও বলেন, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে আমাদের ঠিকমতো জাল ফেলতে দেয় না। তাদের কথা না শুনলে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে অন্য ট্রলার জড়ো করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ট্রলার বেশি শক্তিশালী হওয়ায় আমরা পেরে উঠি না। যখন নৌবাহিনী টহল দেয় তখন তারা পালিয়ে যায়। নৌবাহিনী চলে গেলে তারা আবারো এসে মাছ ধরে।’

    বাংলাদেশ মৎস্যজীবী টলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, র‍্যাব যেভাবে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলদস্যু নির্মূল করেছে ঠিক সেভাবে ভারতীয় জেলেদের দমন করতে না পারলে জেলেরা না খেয়ে মরবে। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করলে দেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ঢুকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে যাতে পশ্চিমের বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জোর দাবি জানাই।

    বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, দেশে ইলিশের পরিমাণ বাড়াতে অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফলতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছি। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলায় ৩৭ হাজার ৭০ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সাগরে যাতে জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করতে পারে এ জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন।

  • কাল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

    কাল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

    আগামীকাল সোমবার থেকে আগামী ৩০ পর্যন্ত এপ্রিল (২ মাস) দেশের ৬টি জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

    ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্যই সরকারীভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

    পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকা হচ্ছে চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা, ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা, ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যস্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।

    উল্লেখ্য, প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস উল্লিখিত অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এসময় ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,আইন অম্যান্যকারী কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

    তবে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট ৬টি জেলার জাটকা আহরণে বিরত থাকা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ মেট্টিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে।

  • ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ

    ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ

    চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ওই সময়ে সারা দেশে ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যশোরে পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না ইলিশের

    যশোরে পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না ইলিশের

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : যশোরে কোরবানির ঈদের পর বাজারে বেড়েছে ইলিশ মাছের চাহিদা। সরবরাহও পর্যাপ্ত, কিন্তু দাম তেমন না কমায় অসন্তোষ ক্রেতাদের মধ্যে।

    রবিবার (৯ আগষ্ট) টাউনহল ময়দানের মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় যে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ পর্যাপ্ত। বাজারে মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ায় বেড়েছে ইলিশের চাহিদা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে ইলিশের দাম কমানো হচ্ছে না বলে দাবি ক্রেতাদের।

    বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জেনে যায়, ৪/৫ শত’ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি সাড়ে ৪ শত’ থেকে ৫ শত’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬/৭শত, গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি সাড়ে ৫শত’ থেকে ৬শত’ টাকায় বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই সবের বাইরে জাটকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শত’ টাকায়। অথচ সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে।

    দেশের বিভিন্ন বাজার সয়লাব ইলিশে। অন্যান্য জেলায় দাম এক থেকে দুইশত টাকা কমে বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ যশোরের বাজারে গত দুই সপ্তাহ আগে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকার মতো কমে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও এখনো ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে।

    বাজারে মাছ কিনতে আসা ইমরান হোসেন নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেছেন‘টেলিভিশনে খবর দেখলাম জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরছে। দামও কমেছে অনেক। কিন্তু এসে দেখলাম ভিন্নচিত্র। দাম না কমায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    এক ক্রেতা বলেছেন, বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের বাসায় মাংস রয়েছে। বাসায় আত্মীয় আসায় ইলিশ কিনতে আসেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছে বলে দাবি তার।

    মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেছেন, সাগরে অনেক ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে, দাম প্রায় আগের মতোই। সামনে ইলিশের দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইলিশ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে

    ইলিশ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে

    ইলিশ আহরণকারী বিশ্বের ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে।

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

    সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮০ শতাংশ আহরণ করে। ইলিশের বিচরণ এখন শুধু চাঁদপুর, বরিশাল এবং ভোলাতেই সীমাবদ্ধ নয়। রাজশাহী, রংপুর এবং বৃহত্তর সিলেটে বিভিন্ন নদ নদী ও হাওড়ে পাওয়া যাচ্ছে । বর্তমান সরকারের অন্যতম এই সাফল্য ধরে রাখতে ও এগিয়ে নিতে “সামুদ্রিক মৎস্য বিল, ২০২০” পরবর্তী বৈঠকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    কমিটির সদস্য নাজমা আকতার, শামীমা আক্তার খানম এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

    সভায় মৎস্য অধিদপ্তরে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ, প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ব্যয়ের পরিমাণ এবং অধিদপ্তরের কাজের সফলতা ও অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

    এছাড়া কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার-এর জনবল নিয়োগ এবং হালনাগাদ অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

    সভার শুরুতে গবেষণা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএফআরআই) একুশে পদকে ভূষিত হওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
    এছাড়া কমিটির ২নং সাব-কমিটির পরিদর্শন কার্যক্রমের প্রতিবেদন সভায় উপস্থাপন করা হয়।

    সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালায়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলিং কোচ কবির আলি

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলিং কোচ কবির আলি

    ঢাকায় এসেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইংলিশ বোলিং কোচ কবির আলি। ১৭ নভেম্বর, রোববার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিবিপিএল এর ড্রাফটে দলের ক্রিকেটার বাছাই করবেন তিনি।

    ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১ টেস্ট আর ১৪ ওয়ানডে খেলা পাকিস্তান বংশোদ্ভুত সাবেক এই ইংলিশ ফাস্ট বোলার ২০১৫’তে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরই কোচিং’কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ৩৮ বছর বয়সী কবির আলি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২’তে বিপিএলের দল বরিশাল বার্নার্সের হয়ে খেলেও গেছেন এই পেসার।

    ইংল্যান্ডের জার্সিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা একমাত্র টেস্টে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া ১৪ ওয়ানডেতে তাঁর শিকার ২০ উইকেট।

    শনিবার সকালে, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলিং কোচ কবির আলিকে অভ্যর্থনা জানান দলটির সিইও সৈয়দ ইয়াসির আলি।

  • ইলিশ ধরার প্রস্তুতি জেলেদের,নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

    ইলিশ ধরার প্রস্তুতি জেলেদের,নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ

    ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে নদী ও সাগরে নামবেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জেলেরা।

    এরই মধ্যে মাছ ধরার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন তারা। অপেক্ষা শুধু অবরোধ শেষ হওয়ার।

    অন্যদিকে, বিভিন্ন জায়গায় জেলেদের অভিযোগ, অবরোধ চলার সময়ও বেশ কিছু জায়গায় ইলিশের মজুদ ও বিকিকিনি চলেছে। এ বিষয়ে, প্রশাসনের কোনো নজরদারিও ছিলোনা।

    ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাছ ধরতে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলেরা। ট্রলারে রং করা, ভাঙা অংশগুলো মেরামত এবং ইঞ্জিনগুলো ঠিক করাসহ সবধরনের খুঁটিনাটি কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন তারা।

    এদিকে, অবরোধের সময় নদীতে ইলিশ শিকারে কঠোর অবস্থানে থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় ইলিশের মজুদ ও বিকিকিনি চলছে। বাজারে দেখা না পেলেও খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে অবাধেই বিক্রি হয় ইলিশ। শিকারে যেমন কড়াকড়ি, বিক্রেতা ও মজুতদারদের ক্ষেত্রে তেমন কড়া অবস্থানে নেই প্রশাসন, অভিযোগ জেলেদের।

    মজুদ ও বিক্রির ব্যপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকায় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানায় মৎস্য বিভাগ।

    উল্লেখ্য, সরকার ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময়নিষিদ্ধ করেছিল।

  • বস্তিভর্তি ইলিশ মাছসহ ৩ পুলিশ জনতার হাতে আটক

    বস্তিভর্তি ইলিশ মাছসহ ৩ পুলিশ জনতার হাতে আটক

    নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিকার করা বস্তাভর্তি মা ইলিশসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে শরীয়তপুরের স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

    বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনের সামন থেকে তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন- এএসআই মন্টু হোসেন, কনস্টেবল সঞ্জিত সমাদ্দার ও হৃদয়।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শহরের সদর হাসপাতালের সামনে দিয়ে ৪টি মোটরসাইকেলে আরোহীদের ইলিশ মাছ নিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা। এরপর স্থানীয় জনতা তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাইনের সামনে গেলে ২টি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দুই বস্তা ভর্তি ইলিশসহ পুলিশের ৩ সদস্যকে আটক করে স্থানীয় জনগণ। সে সময় অন্য দুই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। আটক পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইনে নিয়ে যান তারা।

    পরে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, আটক ৩ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

  • আজ রাত থেকে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ

    আজ রাত থেকে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ

    আজ মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ৩০ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ২২ দিন মেঘনা নদীর বিভিন্ন অববাহিকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    জাতীয় মাছ ইলিশের ভরা প্রজনন মওসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

    ওই ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ ও পরিবহনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এ ঘোষণা দেন।

    মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় মাছ ইলিশের প্রধান প্রজনন মওসুম হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলাসহ দেশের উপকূলীয় বেশ কয়েকটি উপজেলার নদী অঞ্চলের প্রধান প্রজনন পয়েন্টগুলোতে ওই ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    একই সাথে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় ও মজুদও নিষিদ্ধ করা হয়। সরকারি এ আইন বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।

    ২০০৩ সাল থেকে ইলিশের প্রধান প্রজনন এলাকা হিসেবে নিষিদ্ধÑ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি পয়েন্ট, উত্তর-পূর্বে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার শাহের আলী-হাইতকান্দি পয়েন্ট, দক্ষিণ-পূর্বে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া-গন্ডামারা পয়েন্ট, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মোহনা, উত্তর-পশ্চিমে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমদ্দিন-পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্টের অন্তর্গত প্রায় সাত হাজার বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা।

    কিন্তু গত বছর থেকে বঙ্গোপসাগরের দেশীয় জলসীমাসহ উপকূলীয় সব মোহনা এবং নদনদীসহ সারা দেশে ইলিশ শিকারে সম্পূর্ণ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।। শুধু শিকারই নয়, এ সময় ইলিশ পরিবহন, আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় এমনকি জমা করে রাখার ওপরও সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম তানবিরুল হক জানান, দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১২ ভাগ। আর বার্ষিক উৎপাদন প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। দেশের সামগ্রিক ইলিশ উৎপাদনের ৬৭ ভাগই সমুদ্র থেকে বাকি ৩৩ ভাগ বিভিন্ন নদনদী থেকে। জিডিপিতে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় এক ভাগ।

    তিনি বলেন, ইলিশ প্রজনন মওসুমে বাংলাদেশে ইলিশ ধরতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারের সমুদ্র এলাকায় এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকে না। তবে আঞ্চলিক এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আলোচনা চলছে।

    কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল কুদ্দুস জানান, আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমায় মা ইলিশ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ডিম ছাড়ে। এ সময়টাকে ইলিশের ভরা প্রজনন মওসুম হিসেবে ধরা হয়। এ সময় মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য মেঘনা উপকূলে চলে আসে; যে কারণে ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর অর্থাৎ চন্দ্র মাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মওসুম ধরে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার দিন, এর আগের চার দিন ও পূর্ণিমার পর ১৭ দিনসহ ২২ দিন পর্যন্ত মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই ২২ দিন যাতে ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরা না হয় সে জন্য অন্যান্য এলাকার মতো মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

    তিনি বলেন, ‘সরকারি এ আদেশ অমান্য করলে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে অভিযুক্তদের কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। তা ছাড়া এ সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে ২০ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেয়ার কথা রয়েছে।’

    মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও সংরক্ষণবিষয়ক কমলনগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন জানান, সরকারের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপজেলার মতিরহাট থেকে রামগতির চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত তদসংলগ্ন মেঘনা নদী, মাছবাজার ও আড়তগুলোতে ২৪ ঘণ্টা অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং, ব্যানার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

  • সীতাকুণ্ডে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ : খুশি ক্রেতা, খুশি জেলেরাও

    সীতাকুণ্ডে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ : খুশি ক্রেতা, খুশি জেলেরাও

    সীতাকুণ্ডের সদ্বীপ চ্যানেলের বিভিন্ন ঘাট দিয়ে জোঁতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। তবে মহাজন বা দাদনদের হাতে জিম্মি উপজেলার প্রায় ৩৮ হাজার জেলে।

    সরকার ঘোষিত চিহ্নিত উপকূলীয় এলাকার ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রসহ সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে এসময় উপজেলার মৎস্যজীবীরা ইলিশ ধরার জন্য সাগরে নামতে পারেনি।

    বেধে দেওয়া সময়ের পর সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর, বাঁশবাড়ীয়া, বোয়ালীয়াকুল, কুমিরা,সোনাইছড়ি, সলিমপুর, শেখেরহাট, মুরাদপুর, বাড়বকুন্ড, ভাটিয়ারী, ফৌজদারহাটসহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে পরিবারের সদস্যরা এখন ইলিশ শিকারে ব্যস্ত।

    জানা যায়, ইলিশ মৌসুম বলতে শ্রাবন, ভাদ্র, আশ্বিন এই তিন মাসকে বোঝায়। তবে মৌসুমের শুরুতে তারা ইলিশ শিকারে গহীন সাগরে অবস্থান করলেও মাছ না পেয়ে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ে। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার টানা ৬৫ দিন পর এবার উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে।

    নদীতে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। মহাজন ও বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে জেলেরা মাছ ধরেন। এ অবস্থায় মাছের দাম ভালো থাকলে ঋণ পরিশোধে এ বছর জেলেদের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তারা। গত দুুই/তিনদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়ছে।

    বেশি মাছ ধরা পড়াতে জেলেরা যেমন খুশি তেমনী দামও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় ক্রেতারাও খুশি। সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘাটে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ৪/৫ টা ধরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কেজি এবং কেজিতে ১টি এমন ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শত থেকে ৫শ টাকা কেজি দরে সীতাকুন্ড উপজেলা জুড়ে ৩৩টি জেলে পল্লীর প্রায় ৩৮ হাজার জেলে পরিবারের সদস্য রয়েছে।

    তবে সাগরে আগের মত জলদস্যুর উৎপাত দেখা না গেলেও ইলিশ মৌসুম ছাড়া অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা সাগরে। ফলে তারা সংসার চালাতে দাদনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। তাই দাদন সমস্যা রোধ করা না গেলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রুস্ত হবে সরকার, অন্যদিকে মাছ তথা আমিষ থেকে বঞ্চিত হবে সাধারন মানুষ।

    এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শামীম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা দাদনদের কাছে জিম্মি বিষয়টি শুনেছি। জেলে সম্প্রদায়ের মানুষগুলো অর্থের ভাবেই দাদনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জাল,নৌকা কিনে এবং সংসার চালায়। তাই তারা দাদনদের কাছে ইলিশ মাছ দিতে বাধ্য হচ্ছে।

    তবে এ বিষয়ে কোন জেলে সহযোগিতা চাইতে উপজেলায় আসেনি। বর্তমানে মৎস্য জীবীদের প্রয়োজন তারা অন্যত্র থেকে ঋণ নিয়ে জাল ও নৌকা কিনতে পারলে দাদনদের সাথে তাদের যে সমস্যা সেটা আর থাকবেনা। ফলে তারা মাছেরও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

    এদিকে গত কয়েক বছর ইলিশ মাছের অনেকটা আকাল ছিল সমুদ্রে। কিন্তুু এবার দেশের সবগুলো উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের মুখে হাসি। প্রতি ১৪ থেকে ১৫ বছর অন্তর এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলেও জানিয়েছেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা।

    দেশের অন্যান্য জেলার মত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেও সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। লবণ ও বরফের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব মাছ সংরক্ষণ করতে না পারায় ইলিশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। অনেকেই তরতাজা মাছগুলো রেখে বাসি-পঁচা মাছ ফেলে দিচ্ছেন।

    উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরাঘাট, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকুল, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফকিরহাট সাগরপাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে-সেখানে পঁচে যাওয়া ইলিশ পড়ে আছে। এতে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। খালের পানিতেও প্রচুর পঁচা ইলিশ ভাসতে দেখা গেছে।

    জেলেরা তরতাজা ইলিশগুলো রেখে বাকি মাছ ফেলে দিচ্ছেন। কুমিরার জেলে নিতাই দাশ বলেন, গত তিন দিন এত বেশি মাছ পড়েছে যে অনেকে জালের কিছু অংশ কেটে সাগরে ফেলে দিয়ে এসেছেন। অনেকে জাল থেকে মাছ খুলতে না পারায় জাল-মাছ একসঙ্গে তীরে নিয়ে এসেছেন। এ সময় পঁচে যাওয়ায় অনেক মাছ ফেলে দিতে হচ্ছে।

  • কলকাতার পথে ইলিশের প্রথম চালান

    কলকাতার পথে ইলিশের প্রথম চালান

    দুর্গাপূজা উপলক্ষে শনিবার যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান যাচ্ছে ভারতে।

    পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাকে শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার ইলিশ পাঠানোর এ অনুমোদন দেয়।

    বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।

    তবে এটি রপ্তানির কোনো বিষয় নয়। শুধু একবারই পাঠানো হবে। পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

    বাণিজ্য সচিব তখন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাবেন। পরে সেখানকার বাজারে তা শুভেচ্ছা মূল্যে বিক্রি করবেন। মূলত কলকাতার বাজারেই এই ইলিশ বিক্রি হবে। ২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশের ইলিশ আর কলকাতায় যায় না।

    কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

    এবার বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবে।
    প্রথম চালান শনিবার আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দেয় ২২ সেপ্টেম্বর। এই ইলিশ কয়েক ধাপে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে।

    বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ যাবে কলকাতায়। এরপর এই ইলিশ চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। গত বছর ইলিশ ২০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গেছে।