Tag: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

  • ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম পশ্চিম’র সম্মেলন সম্পন্ন

    ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম পশ্চিম’র সম্মেলন সম্পন্ন

    মিরসরাই প্রতিনিধি::::রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার ও বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম পশ্চিম এর দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন করা হয়েছে।

    শুক্রবার ( ২৭ জানুয়ারি) বিকালে মিরসরাই উপজেলার মিরসরাই সরকারি পাইলট স্কুল মাঠে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির আলোচনায় কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেন স্বাধীনতার ৫১ বছর পরের বাংলাদেশও একাত্তর পূর্বের মতোই আছে। ২০২৩ এসেও দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যায়। দেশের সম্পদ বানের ঢলের মত বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যের বীভৎস দৃশ্যে মানবতা লজ্জা পায়। কেউ কেউ কোটি টাকার গাড়ি কেনে আর কোটি মানুষ একমুঠো ভাতের জন্য টিসিবির ট্রাকের পিছনে দৌড়ায়। মানুষের ভোটাধিকার শুধু কেড়ে নেয়া হয়েছে তাই নয়, বরং ভোটের অধিকার চাওয়াকেই অপরাধ মনে হচ্ছে। একের পর এক কালাকানুন করে গোটা দেশকেই জেলখানা বানানো হয়েছে। বিরোধী মতকে দমন করা, গুম করা, রাজনৈতিক সমাবেশে গুলি করে মানুষ মারা ক্ষমতাসীনদের নিত্য দিনের কাজে পরিণত হয়েছে।

    বিশেষ অতিথির আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা একরামুল হক। সভাপতির শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেখ মনজুর এলাহী শওকত বলেন, স্বাধীনতার মৌলিক প্রতিপাদ্য বিষয় সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার স্বাধীনতার ৫০বছরেও আমরা সেটি ফিরে পাইনি।

    এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আন্দোলনের সিনিয়র সহ- সভাপতি মাও. সুলতানুল ইসলাম ভুঁইয়া, সহ-সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, জেলা সেক্রেটারি মাও. জসিম উদ্দিন, সহ-সেক্রেটারি মাও. রিদওয়ানুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান মুন্না, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাও. ফয়জুল কবির পারভেজ, সহ- প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ আসিফুল ইসলাম, জেলা সদস্য মাও. ইব্রাহীম খলিল, মাও. ইলিয়াস,ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন, জেলা ওলামা-মাশায়েখ আ’ইম্মা পরিষদের সভাপতি মাও. ইব্রাহীম আল-হাসান, জেলা শ্রমিক আন্দোলন সভাপতি, মাও. রেজাউল করিম, জেলা শুরা সদস্য মাও. নজরুল ইসলাম, জেলা যুবনেতা মহিউদ্দিন নিজামী, ছাত্রনেতা আহমাদ আল-জাবের , নজরুল ইসলাম তারেক, মাও. আশরাফ বিন ফারুকী, কুরআন তিলাওয়াত করেন ক্বারী আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

    জেলা সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা কমিটির ৭সদস্যের নাম ঘোষনা করেন। এরা হলেন সভাপতি মুফতি মহিউদ্দিন আকবর আলী, সহ-সভাপতি শেখ মনজুর এলাহী শওকত, সেক্রেটারি মাও. জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান মুন্না, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালিদ হোসাইন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শাহীন আহমেদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ক্বারী আব্দুর রহমান।

  • সরকার ক্ষমতার নেশায় ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনছে না: চরমোনাই

    সরকার ক্ষমতার নেশায় ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনছে না: চরমোনাই

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতার পাগল। ক্ষমতার নেশায় ভারতের বিরুদ্ধে আপনারা নিন্দা প্রস্তাব আনছেন না। আপনারা যতোই ভাবেন মোদি আপনাদের ক্ষমতা-গদি রক্ষা করবে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমতায় রাখবে না।

    ভারতে বিজেপি মুখপাত্র কর্তৃক রাসূল(সা.) এবং উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার (১০ জুন) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ জুমা আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ মিছিলের। সেখানে মিছিল উত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ উত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, চলতি জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে যদি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব পাস করা না হয়, ভারতীয় হাই কমিশনারকে যদি ডেকে নিন্দা জানানো ও জবাব চাওয়া না হয়, কটূক্তিকারীদের যদি বিচার করা না হয়, তাহলে আগামী ১৬ জুন ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

    মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম কটূক্তিকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের নবী শুধু আরব নয়, গোটা বিশ্বের জন্য রহমত। তার সম্পর্কে কটুক্তি করতে সাহস তুমি কোথায় পেলে! যেখানে আবু লাহাব, আবু জেহেলও সে সাহস করেনি।

    নবীর প্রতি অন্যায় নির্যাতনের পরও বিশ্বনবী কোনো প্রতিবাদ করেননি উল্লেখ করে এ ইসলামী নেতা বলেন, নবীর পথে কাঁটা বিছানো হয়েছিল। রক্তাক্ত হয়েছেন, কিন্তু তিনি তাদের জন্য বদদোয়া করেননি, বরং হেদায়েতের জন্য দোয়া করেছেন। আমার নবীর সম্মান, ইজ্জত রক্ষায় জীবন দিতে পারি। নবীর ইজ্জত রক্ষায় আমরা স্ত্রী, সন্তান ত্যাগ করতে পারি, ঘর ত্যাগ করতে পারি।

    তিনি বলেন, বেঈমানরা তোমরা যদি আমার নবীকে আঙ্গুল উচিয়ে চরিত্র হনন করো, তাহলে সেই আঙ্গুল কেটে ফেলা হবে, যে চক্ষু রাঙ্গিয়ে কথা বলেছো সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে, যে জিব্বাহ দিয়ে কটূক্তি করেছো সেই জিব্বাহ ছিঁড়ে ফেলা হবে।

    মুফতি চরমোনাই আরও বলেন, ভারতে কোনো আদালত নাই, ওইটা মোদির অফিস। মসজিদে নাকি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। সেটা আবার কোর্ট কীভাবে নির্দেশ দেয়, মসজিদের ভেতরে শিবলিঙ্গ খোঁজার জন্য। ভারতে যারা মুসলমান তার সেখানেই জন্মগ্রহণ করেছে। অন্য ধর্মের যারা, যাদের ভাসিয়ে বা পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু মুসলমানদের ভারতেই সমাধি হয়। মুসলমান শাসক ভারতে ছিল কিন্তু কোনো মন্দির ভাঙা হয়নি। সাড়ে সাতশ বছর মুসলমানরা শাসন করেছে, কিন্তু কোনো অমুসলিমদের ওপর নির্যাতন-উৎখাত করেনি।

    পানিপথের যুদ্ধের পর সাড়ে ৭২ মণ পৈতা উদ্ধার করা হয়েছিল উল্লেখ করে পীর চরমোনাই বলেন, কী পরিমাণ হিন্দু সেসময় মৃত্যু হয়েছিল সেটা বিবেচনা করে বলা হয়। রাসূলের শরীরে যতো আঘাত ছিল সব ছিল সামনে। কারণ রাসুল (সা.) সামনে থেকে যুদ্ধ করেছেন, পেছন থেকে নয়। বেঈমানরাই পেছন থেকে যুদ্ধ করে। মুসলমানরা কখনো পেছন থেকে ‍লড়াই করে না। কিন্তু যুদ্ধ করতে এলে মুসলমান ছেড়ে কথা বলে না। কাপুরুষের মতো ঘরে বসে মৃত্যুবরণ করে না।

    বর্তমান সরকারকে মোদি সরকার রক্ষা করতে পারবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আশায়-নেশায় আপনারা নিন্দা প্রস্তাব সংসদে আনলেন না। মনে রাখবেন মোদি সরকার আপনাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না, রক্ষা করতে পারবে না। মোদি আপনাদের কামান, বুলেট, যুদ্ধ বিমান দিয়েও রক্ষা করতে পারবে না, কারণ জনগণ ক্ষেপলে কোনো কিছু দিয়েই ক্ষমতা টেকানো যাবে না। জনগণ জাগ্রত হলে কোনো পরাশক্তির শক্তি কাজে আসে না। আজ বাংলাদেশের জনগণ জাগ্রত হয়েছে।

    তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সংসদ চলছে, আপনি রাষ্ট্রদূতকে ডাকেন, নিন্দা প্রস্তাব পাস করেন। জবাব চান। যদি আপনি ব্যর্থ হন তাহলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাকে সংসদ থেকে টেনে নামানোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। কারণ আপনি ক্ষমতার পাগল, আর আমরা নবী, সুন্নত, ইসলামের পাগল।

    মুসলমানদের উৎখাত করার যে ষড়যন্ত্র মোদি সরকার করছেন, সেখান থেকে পিছু হটেন, যদি সেটা না করেন, পুরো বিশ্বের মুসলমান একত্রিত হয়ে আপনার পা ভেঙে ফেলবে।

    সমাবেশে দলটির মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমও বক্তব্য রাখেন।

    সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে বের হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয় পুলিশ। তবে সমাবেশ ও বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। মিছিলকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া এ দলটির বাইরেও সমমনা বেশকটি ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীদের অংশ নিতেও দেখা যায়।

  • ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

    ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

    ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর একটি বিশাল মিছিল নিয়ে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে গুলশানের দিকে রওনা হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।

    মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। এবং এখানেই তাদের কর্মসূচির ইতি ঘটে।

    মিছিলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা- ‘বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘ম্যাঁকোর চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, মুসলমান জেগেছে’, ‘বয়কট বয়কট, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, ফ্রান্সের দূতাবাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপন করা, বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের দূতাবাস সরিয়ে দেয়াসহ কয়েক দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এসব দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।

    গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ ওই কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেন।

    পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত এবং বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুনের প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।

    ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই অবস্থানের প্রতিবাদে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের হিড়িক পড়ে গেছে। অনেক খ্যাতনামা চেইন শপসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফরাসি পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। করোনাকালে এই বর্জনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আঁচ করতে পেরে আরব দেশগুলোর প্রতি পণ্য বর্জন বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ফ্রান্স।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ভারতে মুসলিম হত্যা ও মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ

    ভারতে মুসলিম হত্যা ও মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলিম হত্যা এবং সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশে সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার জুমআর নামাজের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা ও ইসলামী আন্দোলনের অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

    মুসল্লিরা শহরের পৌর মিলনাতায় চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের চৌরাস্তায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ।

    এসময় সংগঠনটির জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মাহফুজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সারাফাত হোসেন, ইমাম ও উলামা পরিষদ জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ খলিলুর রহমানসহ বক্তারা বলেন, মুজিববর্ষে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদীকে কোনভাবে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে দেয়া হবে না। আমরা সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বজায় রাখতে চাই। ভারতে যেভাবে মুসলিমদের উপড় নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে তা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এভাবে মুসলিমদের উপড় নির্যাতন চলমান থাকলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তারা। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান নেতারা।

  • ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তি নরেদ্র মোদির বিরোধিতা করছি:চরমোনাই পীর

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তি নরেদ্র মোদির বিরোধিতা করছি:চরমোনাই পীর

    ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজধানী দিল্লিতে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দাওয়াত ফিরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ নিয়ে আগামী ৬ মার্চ সব জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করারও ঘোষণা দিয়েছে দলটি নেতারা।

    বুধবার (০৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

    মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগরে পৌঁছালে পুলিশের বাধায় পড়ে। এ সময়ে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিক্ষোভ মিছিল শেষ করেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে মোদির কুশপুতুল পোড়ানো হয়।

    এর আগে বায়তুল মোকাররমে সমাবেশ করে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর) সহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

    বক্তৃতায় চরমোনাই পীর বলেন, বিতর্কিত ভারতের নাগরিকত্ব আইন সে দেশের সচেতন নাগরিকরা সমর্থন করেনি। সারা মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোদিকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দাওয়াত ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা মুজিব বর্ষের বিরোধিতা করছি না। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তি নরেদ্র মোদির বিরোধিতা করছি।’

    এছাড়া সংগঠন থেকে দেয়া এক লিখিত বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি মুজিব বর্ষকে কলঙ্কিত করবে। স্বাধীনতা মাসে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। মোদির হাতে বারবার মুসলমানদের রক্তের দাগ লেগেছে। তার প্রশ্রয় দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী সম্প্রদায়িক উন্মাদনা মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়েছে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পীর বলেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাবে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে। সিএ‌এ ও এন‌আরসি এসবের মূল উদ্দেশ্য ভারতকে মুসলিম শূন্য করা।