Tag: ইসি সচিব

  • সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষমতার শতভাগ প্রয়োগ করবে

    সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষমতার শতভাগ প্রয়োগ করবে

    সংবিধানে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সেটার শতভাগ প্রয়োগ করে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

    এর আগে তৃণমূল বিএনপির ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন।

    বৈঠকের বিষয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে বক্তব্য হচ্ছে যে, তৃণমূল বিএনপি বাংলাদেশের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল।

    তার চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এ বৈঠকে তারা খোলামেলা আলাপ করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন বরাবর ১২টি সুপারিশ তুলে ধরেছে।

    তিনি বলেন, এ সুপারিশগুলো তারা পরে লিখিত আকারে আমাদের জানাবেন।

    এ ১২টি প্রস্তাবের মধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের আইনগত যে সমস্ত দিকগুলো রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ, ভোটকেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ফলাফল, প্রার্থীর পুলিং এজেন্টের কাছে ফলাফল হস্তান্তর। এ সমস্ত বিষয়গুলো আলোচনায় এনেছেন তারা।
    ইসি সচিব বলেন, ভোটগ্রহণকালে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি স্থাপনের জন্য তারা জোরালো দাবি করেছেন। তাদের বক্তব্য, দাবি ও প্রস্তাবসমূহ কমিশন খুব মনোযোগের সঙ্গে শুনেছে। কমিশন আশ্বস্ত করেছে যে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সমস্ত দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত থেকে শুরু করে সুষ্ঠু এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে কমিশন বদ্ধ পরিকর।

    লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রধানতম বাধা আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসন, সেটা নিয়ন্ত্রণে কী ভূমিকা নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম হচ্ছে আইন এবং সংবিধানের আলোকে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কমিশন সেই ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করবে এবং বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে মর্মে কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে।

    বিএনপি না এলেও তৃণমূল বিএনপি নিয়ে ভোটে যাবেন এবং এতেই সন্তুষ্ট কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, না না না। যারাই নির্বাচনে আসবেন, তাদের আইনানুগভাবে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সংবিধানে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সেটার শতভাগ প্রয়োগ করে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আর তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদাসহ ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত ছিল।

  • সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালটে ভোট হবে : ইসি সচিব

    সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালটে ভোট হবে : ইসি সচিব

    আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালট পেপারে ও স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

    আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের ১৭তম সভা শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের একথা জানান।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসির কর্মপরিকল্পনায় সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইভিএম মেরামতের জন্য প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। যেহেতু সবগুলো ইভিএমই মেরামত করতে হবে সে পরিমাণ অর্থ নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। এ ছাড়া এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অপর ৪ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এসময় ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার, সাংবাদিক ও গণমাধ্যকর্মীদের জন্য নীতিমালা, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠকে তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’

    আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ১২তম কমিশন সভা শেষে সচিব সাংবাদিকদের একথা জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত দ্বিগুণ করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। জামানতের অর্থ বিদ্যমান ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৪ সালের জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইনে কিছু সংশোধনী আনতে চায় ইসি। আজকের বৈঠকে এসব সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন সেসব প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর জাতীয় সংসদে পাস হলে এগুলো আইনের অংশ হবে।’

    তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচন আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও ধারায় সংশোধনীর প্রয়োজন ছিল। কমিশনার রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি আইনের সুপারিশগুলো তৈরি করে ওই সংশোধনীর খসড়া কমিশন সভায় উপস্থাপন করেছে। কমিশন সেটা অনুমোদন দিয়েছে।’

    সচিব বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে মহিলা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের সময়সীমা রয়েছে ৪৫ দিন। এটাকে সাধারণ সংসদ সদস্যের নির্বাচনের মতো ৯০ দিন করা হয়েছে।’