Tag: ইয়াবা কারবারি

  • চট্টগ্রামে ৮৫০ ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে ৮৫০ ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার সিনেমা প্যালেস এলাকা থেকে ৮৫০ পিস ইয়াবাসহ জালাল হোসেন (৪৩) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জালাল হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার সদর ইউনিয়নের গোদারবিল গ্রামের মৃত জলিলুর রহমানের ছেলে।

    তাকে আজ (মঙ্গলবার) সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, সোমবার রাত সাড়ে আটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিনেমা প্যালেস এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালাল হোসেন নামের ওই কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৮৫০ পিস ইয়াবা জব্ধ করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

  • পড়ালেখার আড়ালে বাসা ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর ইয়াবা কারবার

    পড়ালেখার আড়ালে বাসা ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর ইয়াবা কারবার

    রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেক এলাকা থেকে ২ হাজার ৯০০ ইয়াবাসহ আয়েশা ছিদ্দিকা রুমা ওরফে জারা (২৩) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইলফোন ও দুটি পাসপোর্টও জব্দ করা হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

    রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানান র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম।

    তিনি বলেন, কক্সবাজার টেকনাফ থেকে মাদকের একটি বড় চালান ঢাকায় এনে বাসায় রেখে খুচরা ও পাইকারি কারবারের সংবাদ পাই। রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে এ মাদকের কারবার করা হচ্ছে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-২ এর একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে আয়েশা ছিদ্দিকা রুমা ওরফে জারাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কক্ষ থেকে ২ হাজার ৯০০ ইয়াবা জব্দ করা হয়। এছাড়া তার কাছ থেকে মাদক কারবারের কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইলফোন ও দুটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতার ওই তরুণী সম্পর্কে তিনি বলেন, আয়েশা ছিদ্দিকা রুমা ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান প্রথম বর্ষের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রী। তিনি এবং তার পরিবার মিলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পথে ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে এসে পড়ালেখার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করতো। তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় হওয়ায় স্বল্প মূল্যে ইয়াবা ক্রয় করে রাজধানীতে বিক্রি করেন। দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে মাদক এনে তা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রয় করতেন তিনি। তরুণী সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের ডিলার হিসেবেও কাজ করে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • চট্টগ্রামে ১ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৪

    চট্টগ্রামে ১ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৪

    নগরের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

    শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন মো. ইলিয়াস (৪৫), ইমরান হোসেন রাসেল (২৪), মীর এরফানুল হক মারুফ (২৩) ও সিএনজি অটোরিকশা চালক গিয়াস উদ্দিন (২৮)।

    র‍্যাবব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, বাঁশখালী থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসার তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তল্লাশি করে চারজনকে আটক করা হয়। এসময় কাঁধে থাকা একটি ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় স্কচটেপ ও কাগজ দ্বারা মোড়ানো ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরও জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে। পরে চট্টগ্রাম মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির করে।

    উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। আটককৃতদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • কৃত্রিম পা লাগিয়ে অভিনব কৌশলে ইয়াবা কারবার

    কৃত্রিম পা লাগিয়ে অভিনব কৌশলে ইয়াবা কারবার

    পঙ্গুত্বের সুযোগ নিয়ে ইয়াবার কারবার করে আসছিলেন মো. আবদুর নুর সোহেল (৪৭) নামে এক যুবক। কৃত্রিম পা লাগিয়ে অভিনব এক কৌশলে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

    সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে নগরের শাহ আমানত সংযোগ সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এ সময় কৃত্রিম পায়ের ভেতর লুকিয়ে রাখা ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    এসব তথ্য জানান বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম। গ্রেফতার মো.আবদুর নুর সোহেল কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির মৃত কবির আহমদের ছেলে।

    আব্দুর রহিম বলেন, ইয়াবা পাচারে এটি একটি নতুন কৌশল। পঙ্গু লোকজন মানুষের কাছে সিমপ্যাথি পায়।

    মো. আবদুর নুর সোহেল সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে নগরের শাহ আমানত সংযোগ সেতুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছি।

    এ সময় কৃত্রিম পায়ের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে। আগে কোন তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনএম

  • মিরসরাইতে ইয়াবা কারবারি গ্রেফতার

    মিরসরাইতে ইয়াবা কারবারি গ্রেফতার

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলার এসপি রশিদুল হক পিপিএম’র নির্দেশে মিরসরাই থানাকে মাদক মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে মিরসরাই থানা পুলিশের নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে, এ সময় আটককৃতের কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে ।

    রবিবার (২আগষ্ট) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হকের নির্দেশ মোতাবেক মিরসরাই থানাকে মাদক মুক্ত রাখতে নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান অভ্যাহত রয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশস্থ আলম মেম্বারের বাড়ি থেকে ৩০ পিস ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক কৃতের নাম তারেকুল ইসলাম (৩৫)। সে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আটককৃতের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আশরাফ

  • উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত, তিন লাখ ইয়াবা উদ্ধার

    উখিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত, তিন লাখ ইয়াবা উদ্ধার

    কক্সবাজারের উখিয়ায় ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারী নিহত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ভোররাতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

    এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিন লাখ ইয়াবা, দেশীয় তৈরি দুইটি পাইপগান ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    নিহতরা হলেন, তুমব্রু রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত জুলুর মলুকের ছেলে নুর আলম (৪৫), বালুখালী ক্যাম্পের মো. হামিদ (২৫) ও কুতুপালংয়ের নাজির হোসেন (২৫)।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে তুলাতলী সীমান্তে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক কারবারিরা। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এসব অস্ত্র ও ইয়াবাসহ তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লোহাগাড়ায় দু’হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার চকরিয়ার শাকের কারাগারে

    লোহাগাড়ায় দু’হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার চকরিয়ার শাকের কারাগারে

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী বাসে করে যাত্রীবেশে ইয়াবা পাচারকালে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার চকরিয়ার মাদক বিক্রেতা মো : আরমান হোসাইন শাকের (২৮) কে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত।

    গ্রেফতারের পর আজ ৭ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের এ আদেশ দেন।

    এর আগের দিন সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত মো : আরমান হোসাইন শাকের কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হরিদাঘোনা গ্রামের সোলতান আহমদের ছেলে।

    লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এসআই গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রীবাহী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চকরিয়ার মাদক বিক্রেতা শাকেরকে আটক করে।

    আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পেশাদার ইয়াবা বিক্রেতা বলে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর পর আজ ৭ জুলাই দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আজাদ

  • ইয়াবাসহ লোহাগাড়া থানা পুলিশের জালে ধরা ঢাকার রাসেল

    ইয়াবাসহ লোহাগাড়া থানা পুলিশের জালে ধরা ঢাকার রাসেল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। লোহাগাড়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে ঢাকার মাদক কারবারি মোহাম্মদ রাসেল হোসেন (২৫)। এসময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত রাসেলের লাঞ্চার প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ-১৯-৫২২৭) জব্দ করে পুলিশ।

    গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া চুনতি ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও প্রাইভেটকারসহ রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রাসেল ঢাকা হাজারীবাগ থানার (ডিএমপি) ৫৬ নং ওয়ার্ডের জামাল উদ্দিনের ছেলে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম। তিনি জানান, তাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া নামক স্থান দিয়ে একটি প্রাইভেট কারে করে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে।

    এমন খবরে লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদের নির্দেশনায় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মুহাম্মদ আবদুল হক ও এসআই গোলাম কিবরিয়াকে সাথে নিয়ে ওই এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়।

    রাত ৮টার সময় একটা লাঞ্চার প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশী চালানো হয়। এতে ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসব ইয়াবা বহনের দায়ে রাসেল নামে ঢাকার এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতার রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়েছেন লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ।

  • টেকনাফে ২১ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

    টেকনাফে ২১ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

    ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজারঃ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাস্তুচ্যুত করে বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার।

    সেই মিয়ানমার থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইয়াবা আনছে এ দেশীয় ইয়াবা কারবারিরা। দেশের টাকা বিদেশে পাচার মানে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার মতো। মাদক-দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স রয়েছে। তার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। আজকের আত্মসমর্পণ তারই একটি অংশ।

    সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আয়োজিত দ্বিতীয় দফায় ইয়াবাকারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এসব কথা বলেন।

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্ত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ডিআইজি আরও বলেন, ৯০ দশকের শেষের দিকে জঙ্গিবাদ চরমভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। জিরো টলারেন্স নীতির কারণে জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা পেয়েছি আমরা। ইয়াবাও বন্ধ হবে ইনশাল্লাহ। দোষ স্বীকার করে যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই। যারা এখনও বাইরে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

    ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক পুুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সম্পর্কে বলেন, পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে তার ঠিকানা হবে কারাগার। একইভাবে নিরীহ কাউকে মাদককারবারি সাজানোর চেষ্টা করলে সেই কর্মকর্তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোরভাবে হাঁটছি।

    বক্তব্যের আগে ডিআইজির হাতে ফুল নিয়ে একের পর এক ২১ জন ইয়াবাকারবারি আত্মসমর্পণ করেন। এসময় ইয়াবাকারবারিরা পুলিশের কাছে ১০টি অস্ত্র, ২১ হাজার ইয়াবা ও ৩০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ হস্তান্তর করে। এরা সকলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি ও হুণ্ডি ব্যবসায়ী।

    দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণকারিরা হলেন-

    টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল গ্রামের ফকির আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ, নুর কবিরের ছেলে ইমাম হোসেন, হোয়াইক্যং উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুর শুক্কুরের ছেলে ফরিদ আলম, মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহাদাত হোছাইন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা হাজী ফজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রিদওয়ান ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক, সুলতান আহমদের ছেলে বশির আহমদ, মৃত আমির হোসেনের ছেলে ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল আমিন আবুল, মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম, মৌলভীপাড়ার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ওরফে হাজি রাসেল, রুহল আমিনের ছেলে ফজল করিম, সাবরাং ইউনিয়নের লেজিরপাড়ার মৃত হাজী মকতুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরীপাড়ার জহির আহমদের ছেলে আবু তৈয়ূব ওরফে মধু, মাঠপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ জাহেদ, খয়রাতি পাড়ার আবুল কালাম সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ সাদ্দাম, টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়ার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল নূর, লামার বাজারের আব্দুল জলিলের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাঈল, সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত ছৈয়দুর হোসেনের ছেলে আব্দুল গফুর, সাবরাং সিকদারপাড়া আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন কালু, হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামোরি কোনারপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমান।

    আত্মসমর্পণকারিদের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহাম্মদ তৈয়ব বলেন, ইয়াবা কারবার অঢেল টাকা দেয়, কিন্তু শান্তি দেয় না। অভিযান শুরুর পর থেকে একটি রাতও ঘরে থাকতে পারিনি। স্বজনদের সঙ্গে করতে পারিনি একটি ঈদও। ভোগান্তিতে থেকে পরিবার-পরিজনরাও। তাই অপরাধ বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছি। যারা বাইরে রয়েছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ শান্তি চাইলে আপনারাও ঘৃণিত এ পেশা ছেড়ে আইনের আওতায় আসুন।

    আত্মসমর্পণকারি ইয়াবাকারবারিদের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা ও মৌলানা মুফতি কিফায়েত উল্লাহ। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৯ মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এদের মাঝে ৬ জন রোহিঙ্গা। এর আগে ২০১৮ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় বিশেষ অভিযানে ৫৬ রোহিঙ্গাসহ ২০৯ জন ইয়াবা কারবারি ও ডাকাত-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ সময় এক কোটি ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৭০ পিস ইয়াবাও জব্দ হয়। আটক হন ২ হাজার ৩৩৮ জন। এসব ঘটনা মাদককারবারিদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ফলে অনেক চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি গা-ঢাকা দিয়েছেন আর অনেকে আত্মসমর্পণ করতে মরিয়া হয়ে ছুটেছেন। এর আগে গত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন। এদের মাঝে একজন কারাগারে মারা গেছেন। বাকি ১০১ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে চার্জশিট দাখিল করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

  • ইয়াবা কারবারিদের দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণ ২৯ জানুয়ারি

    ইয়াবা কারবারিদের দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণ ২৯ জানুয়ারি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ইসলামা মাহমুদ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ১৮টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা। ঠেকাতে অব্যাহত আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান।

    ধরাও পড়ছে ছোট–বড় ইয়াবার চালান। কিন্তু ইয়াবার বেচা–বিক্রি থামছে না কিছুতেই। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় টেকনাফের আরও অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন।

    কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি জানুয়ারির ২০ দিনে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি ইয়াবা বড়ি। এ সময় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন রোহিঙ্গা।

    গত ডিসেম্বরে উদ্ধার করা হয় ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ইয়াবা বড়ি। এ সময় ৯৮ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৪৫ জনই রোহিঙ্গা। এর আগে নভেম্বর মাসে জব্দ করা হয় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৪টি ইয়াবা। টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ১৮টি পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবা।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকে জড়িত। সেখানকার ৩৭টি কারখানায় ইয়াবা তৈরি হচ্ছে। এখন ব্যবসা ধরে রাখতে তারা বাকিতে ইয়াবা দিচ্ছে। সেই ইয়াবার ঢল থামানো মোটেই সহজ কাজ নয়।

    কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপে পড়ে অথবা প্রাণ বাঁচাতে ১১ মাস আগে (২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের শীর্ষ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তখন ধারণা করা হয়েছিল, এবার ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হবে। কিন্তু তা হয়নি, বরং বেড়েছে। এখন বাকিতে পাওয়া ইয়াবা নিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা।

    দ্বিতীয় দফায় টেকনাফের আরও অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের অনেকে পুলিশের হেফাজতে চলে গেছেন। ২৯ জানুয়ারি টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁরা সবাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী।

    পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।

    দ্বিতীয় দফায় আরও অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ চাইছেন। এ সুযোগ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩০ জনের বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের হেফাজতে চলে এসেছেন।

    তবে এ তালিকায় প্রভাবশালী কারও নাম নেই। তালিকায় আছেন টেকনাফের ডেইলপাড়ার রেজাউল করিম, মো. শরিফ ও মো. শফিক, সদর উপজেলার হাবিরছড়ার ফরিদ আলম, নুর কামাল, সাবরাং ইউনিয়নের বাজারপাড়ার আবদুর রহিম।

    রেজাউল করিমের বাবা আবদুল করিম বলেন, ‘তাঁর ছেলে জীবনেও ইয়াবা ব্যবসা করেনি। কিন্তু মাদকের তালিকায় তার নাম উঠে গেছে। বিপদ থেকে রক্ষা করতে তাকে আত্মসমর্পণ করাচ্ছি।’

    আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক এক তরুণ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেই দুই বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। তাই প্রাণরক্ষার স্বার্থে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছি।’

    জেলা পুলিশের তথ্যমতে, জেলার আটটি উপজেলায় ইয়াবা ব্যবসায়ী আছেন ১ হাজার ২৫০ জন। এর মধ্যে টেকনাফে ৯১২ জন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা তালিকায় কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি আছেন ৭৩ জন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করেন। এই ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফের বিতর্কিত সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির চার ভাই আবদুল শুক্কুর, আবদুল আমিন, মো. শফিক ও মো. ফয়সাল। আছেন বদির ফুফাতো ভাই কামরুল ইসলাম রাসেল, ভাগনে সাহেদুর রহমান নিপুসহ ১৬ জন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সব তালিকায় ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে আবদুর রহমান বদি ও তাঁর পাঁচ ভাই, এক বোনসহ ২৬ জন নিকটাত্মীয়ের নাম আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বদি আত্মসমর্পণ করেননি।

    ২০১৮ সালের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৮২ জন।

    টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা অনেক কমে এসেছে। কিন্তু নৌপথে ইয়াবা চোরাচালান থামানো যাচ্ছে না। এখন দ্বিতীয় দফায় অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ শেষ হলে মাদক ব্যবসা আরও কমে আসবে।

    পুলিশ জানায়, প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে ১০১ জনের বিরুদ্ধে ১১ মাস পর গত সোমবার কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

    প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবাকারবারি আত্মসমর্পণ করে।

    এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির আপন চার ভাইসহ ঘনিষ্ঠ আট আত্মীয় ছিল। অনুষ্ঠান শেষে ওই দিনই দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই টেকনাফের বাসিন্দা।

    তারা হলো- টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সামশু মেম্বার, সাহেদ রহমান নিপু, সাহেদ কামাল, নুরুল আমিন, আলী আহমদ, মৌলভী বশির, হোসেন আহমদ, শওকত আলম, রাসেল, ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুন্ডার ডেইলয়ের মনজুর, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, আবদুল হামিদ, শামীম, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, আলমগীর ফয়সাল, ডেইল পাড়ার মো. সাকের মিয়া, নয়াপাড়ার মো. তৈয়ব, টেকনাফ পৌর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, দিদার মিয়া, আবদুল আমিন, নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সফিক, ফয়সাল রহমান

  • ১০১ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে চার্জশিট

    ১০১ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে চার্জশিট

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে টেকনাফে আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

    আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এর আদালতে পুলিশ এ চার্জশিট জমা দেয় বলে জানান কক্সবাজার আদালত পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। কারাগারে অসুস্থ হয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ হয়েছে।

    ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গত বছর ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে। তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা ১০১ জনের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। কারা হাজতে থাকাকালীন সময়ে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার ফজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রাসেলের মৃত্যু হওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

    ওসি জানান, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬/১ এর (১০) ধারায় এবং অস্ত্র আইনে পরস্পর যোগসাজশ করে নিজ নিজ দায়িত্বে অবৈধভাবে ইয়াবা ও অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

    যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন-টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সামশু মেম্বার, সাহেদ রহমান নিপু, সাহেদ কামাল, নুরুল আমিন, আলী আহমদ, মৌলভী বশির, হোসেন আহমদ, শওকত আলম, রাসেল, ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুন্ডার ডেইলয়ের মনজুর, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, আবদুল হামিদ, শামীম, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, আলমগীর ফয়সাল, ডেইল পাড়ার মো. সাকের মিয়া, নয়াপাড়ার মো. তৈয়ব, টেকনাফ পৌর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, দিদার মিয়া, আবদুল আমিন, নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সফিক, ফয়সাল রহমান, আবদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ, দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার ইমাম হোসেন, বড় হাবিব পাড়ার ছিদ্দিক, পুরনো পল্লানপাড়ার শাহ আলম, অলিয়াবাদের মারুফ বিন খলিল বাবু, মৌলভী পাড়ার একরাম হোসেন, মধ্যম ডেইল পাড়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মংমং ছেং ওরফে মমচি ও দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার জুবাইর হোসেন, মধ্যম জালিয়া পাড়ার মোজাম্মেল হক, ডেইল পাড়ার আবদুল আমিন, নাজির পাড়ার এনামুল হক মেম্বার, ভুট্টোর ভাগিনা আফসার, আবদুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, মো. রফিক, মো. হেলাল, জামাল হোসেন, মৌলভী পাড়ার মো. আলী, নাইটং পাড়ার মো. ইউনুস, উত্তর লম্বরীর আবদুল করিম ওরফে করিম মাঝি, সদর কচুবনিয়ার বদিউর রহমান, রাজার ছড়ার আবদুল কুদ্দুস, জাহালিয়া পাড়ার মো. সিরাজ, নতুন পল্লানপাড়ার মো. সেলিম, নাইট্যং পাড়ার মো. রহিম উল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মোহাম্মদ আলম, তুলাতলীর নুরুল বশর, হাতিয়ার ঘোনার দিল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হাছন, রাজার ছড়ার হোসেন আলী, উত্তর জালিয়াপাড়ার নুরুল বশর মিজি, আবদুল গনি, জালিয়া পাড়ার মো. হাশেম, পুরান পল্লান পাড়ার ইসমাইল, নাইট্যংপাড়ার আইয়ুব, নুর হাবিব, মাঠপাড়ার কামাল, শিলবনিয়াপাড়ার আয়ুব, জালিয়াপাড়ার আলম, নুরুল আলম, বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজ পুরার নুরুল আলম, শামলাপুর জুমপাড়ার শফি উল্লাহ, ছৈয়দ আলম, উত্তর শীলখালীর মো. আবু ছৈয়দ, হ্নীলা ইউনিয়নের হ্নীলা পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা মেম্বার, আলী খালীর জামাল মেম্বার, শাহ আজম, পশ্চিম সিকদারপাড়ার ছৈয়দ আহমদ, রশিদ আহমদ, পশ্চিম লেদার নুরুল কবীর, পূর্ব লেদার জাহাঙ্গীর আলম, জাদিমোরার মোহাম্মদ হাসান আবদুল্লাহ, লেদার ফরিদ আলম, মো. হোছন, জহুর আলম, আবু তাহের, বোরহান, হামিদ, রবিউল আলম, আলীখালীর হারুন, হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মাহাবুব, বাজারপাড়ার মো. শাহ, পূর্ব পানখালীর নজরুল ইসলাম, পশ্চিম পানখালীর নুরুল আবছার, ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী, আলী নেওয়াজ, আবু তৈয়ব ও রমজান ও কক্সবাজারের শাহজাহান আনসারী।

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির আপন চার ভাইসহ ঘনিষ্ঠ আট আত্মীয় ছিল। অনুষ্ঠান শেষে ওই দিনই দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই টেকনাফের বাসিন্দা।

  • দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : দেশের দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় কক্সবাজারের মাদক কারবারি মো. রুবেল (২২) ও পাবনার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আমিন শেখ (৪০) এর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় এ সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত এবং বিপুল দেশীয় অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

    আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. রুবেল (২২) নামে এক মাদক ও অস্ত্র কারবারি নিহত হয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ভোররাত ৩টার দিকে র‌্যাব-১৫, (সিপিসি-১) টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফ সদর ইউপির বড় হাবিবছড়া সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ইয়াবার চালান খালাসের সংবাদ পেয়ে অবস্থান নেয়।

    কিছুক্ষণ পর র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেলে মাদক কারবারিরা তাদের উপর গুলি চালায়। এতে র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হলে র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরী একটি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও গুলির ২টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

    এসময় গুলিবিদ্ধ এক মাদক কারবারিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    নিহত রুবেল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া জুম্মা পাড়া এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। সে মাদক ও অস্ত্র কারবারি এবং ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব। তিনি এই ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।

    এদিকে আমাদের পাবনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন বুধবার ভোর ৪টার দিকে পাবনার সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকায় র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আমিন শেখ (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    র‌্যাবের দাবি, নিহত আমিন শেখ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি করে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। নিহত আমিন উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের পয়দা গ্রামের এসকেন শেখের ছেলে।

    র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আমিনুল কবির তরফদার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার রাজাপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ভোররাত ৪টার দিকে অভিযানে যায় র‌্যাবের একটি অভিযানিক টিম।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩টি তাজা গুলি, একটি রাম দা, একটি চাপাতি ও ৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতদলের সদস্যরা। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।

    এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।