২৪ ঘন্টা ডেস্ক : চট্টগ্রামের হালিশহর ছোটপুল ব্রীক ফীল্ড রোড এলাকার ইয়াকুবের ছেলে ইয়ামিন (১২)। সে ছোটপুল সিটি স্কুলের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র।
আগামী ১৭ নভেম্বর পিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো। পরীক্ষা দেয়া তো দুরে থাক বর্তমানে ঢাকার অ্যপোলো হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ইয়ামিন।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হওয়ার পর ইয়ামিনের পরিবার বুঝতে পেরেছে তাদের সন্তান ভুল চিকিৎসায় কষ্ট পাচ্ছে। ফলে স্থানীয় ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইনের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে হালিশহর থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ামিনের পরিবার।
এসব তথ্য ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ভুক্তোভোগী ইয়ামিনের চাচা বাবুল। তিনি বলেন, গত ৩১ অক্টোবর স্কুলে ছিলো ইয়ামিন। হঠাৎ চোখে যন্ত্রনা শুরু করলে সে বাসায় চলে আসে।
সেদিন ইয়ামিনকে স্থানীয় ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইনকে দেখানো হয়। বাবুলের অভিযোগ কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই এন্টিবায়েটিক ঔষধ প্রয়োগ করে ওই চিকিৎসক। তার দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষুদ সেবনের পর ইয়ামিনের পুরো শরীর লাল বিচি দেখা দেয়। অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকে ইয়ামিন।
পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় ইসলামিক ব্যাংক হাসপাতাল এরপর ২ নভেম্বর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হই।
সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়ামিনের অবস্থা গুরুতর বললে ৪ নভেম্বর ঢাকা এ্যাপোলে হাসপাতালে নেওয়া হয় ইয়ামিনকে। চট্টগ্রাম এবং ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় ইয়ামিনের এই অবস্থা।
তিনি ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইন এর বিরুদ্ধে ইয়ামিনের পরিবারের পক্ষ থেকে হালিশহর থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান।
এই বিষয়ে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। আমরা এই ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছি।
এ্যাপোলোর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় ইয়ামিনের এই অবস্থা। প্রসাবের সাথেও রক্ত বের হচ্ছে। আল্লার উপর ভরসা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এমন খবরে ইয়ামিনের পরিবার স্বজন এবং এলাবাসীর মাঝে হতাশা এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইন এর মোবাইল ০১৮৬০….৮৫ ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।