Tag: ই-পাসপোর্ট

  • হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারের সম্পৃক্ততা নেই: খাগড়াছড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় সরকারের সম্পৃক্ততা নেই: খাগড়াছড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনের করা মামলায় সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি।

    তিনি বলেন, যেকেউ যদি সংক্ষুব্ধ বা মনে করেন অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে তাহলে মামলা করতে পারেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সরকার বিশ্বাস করে। বিচার বিভাগ নিজেদের মতো করে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পার্সপোট কার্যালয়ে তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ৬ জেলার ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে সারাদেশে এ কার্যক্রমের আওতা চলে এসেছে। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। দক্ষিণ এশিয়া সর্বপ্রথম ও বিশ্বের ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট সেবার মধ্যদিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অনন্য এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ১ লক্ষ গ্রাহক ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করেছেন এবং আরও ২ লক্ষ গ্রাহককে এ সেবা দেয়ার প্রস্তুতি চলছেও বলেও জানান মন্ত্রী।

    ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ই-পাসপোট কার্যক্রম চালু করেছেন। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারা বিশ্বের মধ্যে ১১৯ তম দেশ। ই-পাসপোট যেন বিশ্বমানের হয় সে লক্ষে সরকার কাজ করেছে। ই-পাসপোট সারা বিশ্বে বিশ্বাসযোগ্য, নিরাপদ। ই-পাসপোট ইস্যু করা হবে ১০ বছরের জন্য। ই-পাসপোট পেতে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকে নজর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
    তিনি বলেন, ই-পাসপোটের জন্য ঘরে বসে আবেদন করা যাবে। পরবর্তীতে ফিংগার প্রিন্ট, আই প্রিন্ট অফিসে গিয়ে আসতে হবে। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্টও ব্যবহৃত হবে।

    পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, চুক্তির কিছু কিছু বিষয় অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে। আমরা আর এই এলাকায় রক্তপাত চাই না। দেশ অনেক এগিয়েছে, নতুন নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের এই বাংলাদেশে কোন অংশ অন্ধকারে থাকবে প্রধানমন্ত্রী তা কখনো চিন্তা করেন না।
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাগড়াছড়ি ছাড়াও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

    শেষ বিকেলে মন্ত্রী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় যোগ দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীরা সঠিক তথ্য দিয়ে বিড়ম্বনা এড়াতে পারেন: সুজন

    ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীরা সঠিক তথ্য দিয়ে বিড়ম্বনা এড়াতে পারেন: সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের সঠিক তথ্য উপাত্ত প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ফরম পূরণের সময় ভুল তথ্য দিলে পাসপোর্টধারীকে অনাকাক্সিক্ষত বিড়ম্বনা পোহাতে হয়, তাই ধৈর্যের সাথে সঠিক তথ্য দিয়ে ই- পাসপোর্ট এর ফরম পূরণের জন্য তিনি আবেদনকারীদের প্রতি আহবান জানান।

    তিনি আজ সকালে মুনসুরাবাদে বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ে ই-পাসপোর্ট, এম আরপি, পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ ও ডেলিভারি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।

    প্রশাসকের আগমনে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

    তিনি বিভাগীয় পাসপোর্টের কার্যালয়ের অফিস ব্যবস্থাপনা সহ সামগ্রিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রবাসীদের পাসপোর্ট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যাতে কোন হয়রানি না হয় সে বিষয়ে অধিকতর মনোযোগী হওয়ার জন্য তিনি বিভাগীয় পাসপোর্ট পরিচালককে অনুরোধ করেন। কারণ পাসপোর্ট গ্রহীতা দেশের নাগরিকরা বিদেশ ভ্রমনের পাশাপাশি রেমিটেন্সও প্রেরণ করেন।

    তিনি আরো বলেন, ই-পাসপোর্ট পদ্ধতিতে অনিয়ম ও দালাল চক্রের উৎপাতের সুযোগ নেই। তাই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠারও অবকাশ নেই। তারপরও অনিয়ম ও দুর্নীতি বা আইনী কোন ফাঁক-ফোকর যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকেও সজাগ থাকতে হবে।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস চট্টগ্রামের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাইদ, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, সহকারী পরিচালক সাধন সাহা সহ পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্রা-কর্মচারীবৃন্দ।

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত খতমে কোরান, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় মুনাজাত করছেন চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন

    এবারের মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপনের বিশেষত্ব রয়েছে : সুজন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আগামীকাল ১২ রবিউল আওয়াল মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি ঈদ। একটি ঈদ হলো বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স.) এর জন্মদিন। এ বছর ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপিত হচ্ছে শুক্রবার জুম্মাবারে। জুম্মাবারও মুসলিমদের আরেকটি ঈদ আনন্দ। তাই এবারের মিলাদুন্নবী (স.) পালনের বিশেষত্ব রয়েছে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত খতমে কোরান, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আল্লামা সৈয়দ অছিয়র রহমান, হযরত খাজা গরিবুল্লাহ শাহ (র.) মসজিদের খতিব আল্লামা হাফেজ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান আলকাদেরী।এতে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আক্তার, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুন উর রশিদ চৌধুরীসহ কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

    আলোচনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন না হলে আমাদের সব অর্জন বৃথা। তিনি চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিলাদুন্নবীর উছিলায় যাতে বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে দেশের জনসাধারণ রক্ষা পান এবং মানুষের আয় রোজগারে যাতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বরকত দান করেন সেই প্রার্থনা করতে বলেন।

    কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমাদের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের সাথে পবিত্র মিলাদুন্নবী (স.) এর অনুষ্ঠানও এখন যুক্ত হয়েছে। এবারের মিলাদুন্নবী বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করে উদ্যাপনের সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা যারা মুসলিম তারা যেন ধর্মীয় আবেগ আড়ম্বরের সাথে মিলাদুন্নবী পালন করতে গিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের সাথে বিরোধ তৈরি না করি, সেই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নিজেকে সুরক্ষিত না রাখলে জনস্বাস্থ্যে ঝুঁকি ও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

    তিনি বলেন, ইসলাম আধুনিক ধর্ম। এই ধর্ম প্রযুক্তির সাথে সঙ্গতি রেখে পালন করা যায়। প্রধান নির্বাহী মুসলিমদের ধর্মীয় অনুশাসন মানার পাশাপাশি নিজ ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের অনুরোধ করেন।

    শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা ও বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে দেশের জনসাধারণের রক্ষা এবং সাবেক প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আল্লামা সৈয়দ অছিয়র রহমান।

    দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসা’র আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে খতমে কোরান, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন

    দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসা’র আয়োজিত পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষে খতমে কোরান ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) বিশ্বের ঈমানী প্রেরণার জয় বাণী নিয়ে আমাদের সামনে রবিউল আওয়াল মাসে হাজির হয়। আগামীকাল শুক্রবার মুসলিম উম্মাহ জন্য দুইটি ঈদ। একটি হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) আরেকটি জুম্মাবার হিসেবে ঈদ। এই জন্য এ বছরের ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। মানুষের মনে কালিমা দূর করার জন্য ঈদে মিলাদুন্নবীতে রাসুল (সা:) এর আকীদা ও নির্দেশনা মেনে চলাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র পাথেয়।

    তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) -এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।

    তিনি বলেন, মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত ও শান্তির দূত হসিেেব হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ জগতে প্রেরণ করেন। তিনি ছিলেন তাওহীদের প্রচারক, রিসালাতের ধারক ও বাহক এবং সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। প্রশাসক এই মহামারী করোনা থেকে মুক্তি পেতে হলে রাসুলের জীবনাদর্শকে ধারণ করে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মহান আল্লাহ’র নিকট প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।

    তিনি পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত আজ বৃহস্পতিবার সকালে চন্দনপুরা মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে খতমে কোরান ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি ছৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান আল কাদেরী বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে নবী! আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সর্তককারীরূপে, আল্লাহর নির্দেশ সাপেক্ষে তার দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।মহানবী (সা.)-এর জীবনার্দশ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, পবত্রি ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিবসে মহান আল্লাহর কাছে এ র্প্রাথনা জানান। প্রিয়নবী (সা.)-এর অনুপম শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে, পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাত র্জজরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। পবিত্র দিনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।

    মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এর সঞ্চালনায় মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হযরত মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, শায়খুল হাসিদ হযরত মাওলানা মকছুদ আহমদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি ছৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান আল কাদেরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দারুল উলুম কামিল (অনার্স-মাষ্টার্স) মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাহাবউদ্দিন আহমেদ, সদস্য মো. শহিদুল আলম, শিক্ষক প্রতিনিধি হাফেজ মাওলানা হারুনুর রশিদ, বিশেষ মুহাদ্দিস শাহজাদা শাহ হজরত মাওলানা মুনিরুল মন্নান আল মাদানী সহ অন্যরা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু

    যশোরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : অবশেষে যশোরে কাঙ্খিত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে সাত জন যশোর অফিস থেকে এই পাসপোর্ট গ্রহণ করেছে ও প্রক্রিয়াধীন আছে শতাধিক আবেদন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম চালু হয়।

    করোনা মহামারির কারণে এ কার্যক্রম দুই মাস পিছিয়ে ছিল। একইসাথে চালু রয়েছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কার্যক্রম।

    সূত্র জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের ঘোষণা দেন। ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেওয়া রয়েছে। ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো রয়েছে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।

    ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর ৩ ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ে। পৃথিবীর ১২০টি দেশে বর্তমানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে। চলতি বছরের ২৮ জুন থেকে দেশের বিভাগীয় অফিসগুলোতে এই কার্যক্রম চালু হবার কথা ছিল। এর ১৫ দিন পর জেলা অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্টের কাজ শুরু হবে বলে নিদের্শনা পাঠানো হয়। কিন্তু করোনায় গোটা দেশ বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। ফলে অন্যান্য অফিস আদালতের ন্যায় পাসপোর্ট অফিসও কিছুদিন বন্ধ ছিল। এই কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ধীরগতি আসে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশে পাসপোর্ট অফিস খোলা হলেও নতুন আবেদন ও সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শুধুমাত্র চালু ছিল কোন পরিবর্তন ছাড়াই নবায়ন কার্যক্রম। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যায় দেশের পাসপোর্ট অফিসগুলো।

    ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরে চালু হয় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। এরপর গত ১৫ দিনে যশোর অফিস থেকে ৭ জনের ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো শতাধিক বলে অফিস সূত্র জানানো হয়েছে।

    সূত্র জানায়, যশোর অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট ৫ ও ১০ বছর মেয়াদী প্রদান করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১৮ বছরের নীচে ও ৬০ বছর বয়সের অধিক ব্যক্তিরা ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। এই বয়সের বাইরের মানুষ ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। ৪৮ পাতার দশ বছর মেয়াদী সাধারণ (২১ দিন) ই-পাসপোর্টের ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, জরুরি (১০ দিন)মেয়াদের ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও অতি জরুরি (২ দিন)মেয়াদের ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। একই পাসপোর্টের পাঁচ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, জরুরি ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও অতি জরুরি ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।

    এছাড়া, ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্টের দশ বছর মেয়াদী ফি সাধারণ(২১ দিন)৮ হাজার ৫০ টাকা, জরুরি ফি (১০ দিন) ১০ হাজার ৩৫০ টাকা ও অতি জরুরি ফি (২ দিন) ১৩ হাজার ৮শত টাকা। একই পাসপোর্টের পাঁচ বছর মেয়াদী ফি সাধারণ ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, জরুরি ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ও অতি জরুরি ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা। একইসাথে চালু রয়েছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)কার্যক্রম। এই পাসপোর্ট আবেদনের সাধারণ ফি(২১ দিন) ৩ হাজার ৪৪৫ টাকা।

    এদিকে, ই-পাসপোর্টের আবেদন ও জমা সবকিছুই অনলাইনে করতে হবে। প্রথমেই অনলাইনে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন পূরণ করতে হবে। এরপর চাইলে আবেদনের সাথেই অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি জমা দেয়া যাবে। এসময় অনলাইনেই আবেদনকারীকে অফিসে ফরম জমা দেয়ার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। এরপর আবেদনকারী নির্দিষ্ট তারিখে যশোর পাসপোর্ট অফিসে ফরম জমা দিতে পারবেন। এর বাইরে অন্য দিনে গেলে তিনি আবেদন জমা দিতে পারবেন না। অনলাইন ছাড়াও পাসপোর্ট আবেদনের ফি সোনালী ব্যাংক, যশোর কর্পোরেট শাখাসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে জমা দেওয়া যায়।

    এসব ব্যাপারে যশোর পাসপোর্ট অফিসে সদ্য আসা সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেনের সাথে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তারস্থলে মোবাইল রিসিভ করেন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তিনি বলেছেন, স্যার রুমের বাইরে আছেন। আর পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। ওখান থেকে দেখে নিন, সব তথ্য পেয়ে যাবেন। এর ২ ঘন্টা পর দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে ফের ফোন করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে একই কথা বলা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রামবাসীরাও ই-পাসপোর্ট পাবেন

    চট্টগ্রামবাসীরাও ই-পাসপোর্ট পাবেন

    ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও আসছে ই-পাসপোর্ট। হবে, হচ্ছে এমন দীর্ঘ আলোচনার পর চট্টগ্রামবাসী ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের অংশিদার হতে যাচ্ছেন সোমবার থেকেই।

    সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের কারণে বড় ধরণের কোন আনুষ্ঠানিকতা না করে ছোট পরিসরে ঘরোয়া পরিবেশে চট্টগ্রামবাসীর জন্য ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন হচ্ছে। এ নিয়ে দাপ্তরিক নির্দেশনা পেয়েই ইতিমধ্যে নানাবিধ কার্যক্রম শুরু করে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

    পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় উদ্বোধন করেছিলেন।

    এরপর এখন ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগেও (চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লা) ২৩ মার্চ থেকে ২৯ মার্চে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে উদ্বোধন হচ্ছে। এ কার্যক্রম শুরু হলেই সাধারণ মানুষ নিজেদের পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

    ই-পাসপোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোহাম্মদ নুরুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ই-পাসপার্টের খবরটা আরো বড় পরিসরে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম চট্টগ্রামবাসীর জন্য। বিশ্বের মতো দেশের করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন চলমান পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা বেশী প্রয়োজন। তাই আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে ই-পাসপোর্ট পৌছে দেয়া এবং এ অবস্থায় সবাই সচেতন থাকা। এতে ঘরোয়া পরিবেশে মুনছুরাবাদে উদ্বোধন হবে আজ। পাচঁলাইশ অফিসে উদ্বোধন হবে ৩০ মার্চ।

    তবে এই অনুষ্ঠানে উর্ধতন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকছেন না। তবে নিজেরাই (আমরা) উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠান ঘরোয়াভাবেই শেষ করবেন বলে জানান তিনি।

    বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদ চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা মোতাবেক উদ্বোধনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। নতুন ই-পাসপোর্ট সিস্টেমে ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। তাছাড়া এই কার্যক্রম চালু হলে দ্রুত পাসপোর্ট পেতেও ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

    পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম বিভাগেও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের যেসব অফিসে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবারা থেকে। ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্টর নানাবিধ সরঞ্জামগুলো চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদে এসেছে।

    সোমবার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, চান্দঁগাও উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তন করে সেটি ৩০ মার্চ হবে। তাছাড়া এসব অনুষ্টান বিভিন্ন তারিখে উদ্বোধন করার কথা ছিল ২৩ মার্চ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ (এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি,পিএসসি)।

    করোনা ভাইরাসের কারণে ছোট পরিসরে করছেন সোমবারের মুনছুরাবাদের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এতে কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিভাগের ই-পাসপোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোহাম্মদ নুরুল আলমসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বাকি অনুষ্ঠান এখনও বহাল রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ২৫ মার্চ নোয়াখালী ও ফেনীর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন ই-পাসপোর্ট ও সয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান খান (এনডিসি, পিএসসি) এবং ২৯ মার্চ কুমিল্লা অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ (এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি)।

    পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। একইভাবে এ পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ। বর্তমানে ৬ মাসের বেশি মেয়াদ থাকা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট যাদের আছে তাদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা নতুন করে আবেদনকারীদের দেওয়া হবে ই-পাসপোর্ট।

  • ই-পাসপোর্ট জাতির জন্য ‘মুজিব বর্ষে’র উপহার : প্রধানমন্ত্রী

    ই-পাসপোর্ট জাতির জন্য ‘মুজিব বর্ষে’র উপহার : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কর্মসূচি এবং স্বয়ংকৃত বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করে বলেছেন, এটা (ই-পাসপোর্ট) জাতির জন্য ‘মুজিব বর্ষে’ একটি উপহার।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা মুজিব বর্ষে দেশের জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দিচ্ছি। এটি একটি বিশেষ বছর এবং ঘটনাক্রমে জাতি এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছে।’

    তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে যে কোন দেশে প্রবেশ এবং বহির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নাগরিকের ঝামেলামুক্ত চলাচল নিশ্চিত হবে এবং ই-গেটের সর্বাধিক সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘ই-পাসপোর্ট কর্মসূচি এবং স্বয়ংকৃত বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করেন।

    দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংকৃত বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সন্দেহাতীতভাবে ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা আরো সমুন্নত করবে এবং বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘ই-পাসপোর্টে এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ থাকবে। যেখানে পাসপোর্ট গ্রহিতার সকল তথ্য, স্বাক্ষর, ছবি, চোখের কর্ণিয়া এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট সিল্ড অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে।’

    তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘অতীতে একটা সমস্যা ছিল পাসপোর্ট নিয়ে। একসময় গলাকাটা পাসপোর্টও দেশে প্রচলিত ছিল, সেটা আর কখনো হবে না। মানুষ আর ধোকায় পড়বেনা। স্বচ্ছতার সাথে চলবে’,বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

    বহির্গমন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো.শহিদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তাঁর ই-পাসপোর্টটি হস্তান্তর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট ভবনের ফলক উন্মোচন করেন এবং এনরোলমেন্ট বুথ পরিদর্শন করেন।

    এই ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূ্র্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি আধুনিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং ইমিগ্রেশন পদ্ধতি সহজীকরণ করবে বলে গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট’কে (এমআরপি) আরও অধিকতর নিরাপত্তা সম্বলিত করার জন্য ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট এবং অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বাস্তবায়ন’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।’

    তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫শ ৬৯ কোটি টাকা। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ডিআইপি তাদের আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ি এবং উত্তরা কার্যালয় থেকে এই পাসপোর্ট ইস্যু করবে। পর্যায়ক্রমে এ বছর থেকেই দেশের সবখান থেকে এই পাসপোর্ট ইস্যু করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম এই পাসপোর্ট লাভ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রয়োজনে ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা সম্ভব হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্য মতে, ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের সাধারণ ফি ৩,৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫,৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭,৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের সাধারণ ফি ৫,০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭,০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯,০০০ টাকা।

    নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।

    আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই সংশ্লিষ্ট তথ্য হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।

    উল্লেখ্য, ই-পাসপোর্ট চালু হলে সমগ্র ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াটি অন-লাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরই তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

    তিনি বলেন,‘সেই নির্বাচনী ইসতেহারেই আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ কম্পিউটার শিক্ষা বা ডিজিটাল ডিভাইস যেন বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করতে পারে। ’৯৬ সালে কিছু উদ্যোগ নিলেও তা সম্পূর্ণ করে যেতে পারিনি তাই ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেই সেই উদ্যোগটা নেই।’

    ‘দেশের স্কুল,কলেজ, অফিস,বিশ্ববিদ্যালয়, আদালত-সকল ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি, কম্পিউটার-ল্যাপটপ জনগণের কাছে সহজলভ্য করার জন্য এসব যন্ত্রাংশ থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করি। যার সুফল আজকে আমরা পাচ্ছি। দেশে একটা ডিজিটাল বিপ্লব সাধিত হয়েছে, ’বলেন তিনি।

    ইন্টারনেটের জন্য সাড়ে ৩ হাজার ইউনিয়নে সাবমেরিন কেবল সুবিধা পৌঁছে দেয়া, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
    স্বল্পতম সময়ে ই-পাসপোর্ট চালুর উদ্যোগ গ্রহণে এবং এরআগে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু করায় ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একেকবার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছি এবং সেটা যে তারা কার্যকর করতে পারছেন এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

    ‘বাংলাদেশকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার লক্ষ্য’ নিয়ে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট প্রসংগে বলেন, ‘একটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন পদ্ধতি আমরা গ্রহণ করেছি। যার সুযোগটা দেশের মানুষ পাবে।’তিনি বলেন, বিশ্বে ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে আমরা সেটা চালু করতে পেরেছি এবং আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি।

    ফরেন রেমিট্যান্স দেশের উন্নয়নে কাজে লাগায় সেই প্রবাসীদের দেশ-বিদেশে যাতায়াত সহজিকরণের লক্ষ্যে তাঁর সরকারের এই উদ্যোগ একথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে ৬৪টি জেলায় ৬৯টি পাসপোর্ট অফিস, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশে অবস্থিত ৭৫টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে আমরা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি।’

    তিনি বলেন,উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সেবাকে যুগোপযোপী করতে ই-পাসপোর্ট প্রদান করতে যাচ্ছি। যাতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আর হয়রানির শিকার না হন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্টের সঙ্গে ই- গেটও সংযোজিত হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট সংযোজিত হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সেবা সহজ, স্বাচ্ছন্দময় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।’

    জনসেবাকে ত্বরান্বিত করতে তাঁর সরকার পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনবল বৃদ্ধিসহ যুগের সংগে তাল মেলাতে এর আধুনিকায়নে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন,জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পেরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাতেই তাঁর সরকার দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছে এবং ২০২০ সালে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছে। যার ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জণগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তাঁরা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন, ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাঁদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।’

    তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশকে পুনর্গঠনে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণকালে ১৯৭৩ সালে তিনি পূর্নাঙ্গ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন।

    কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জাতির ভাগ্যাকাশে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে গিয়ে হত্যা ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়, বলেন তিনি।

    তাঁর সরকার প্রতিশ্রুত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারায় বর্তমানে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে,’ উল্লেখ করে করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে।’
    দারিদ্রের হার ২০ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে এবং একে আরো কমিয়ে এনে দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তাঁর সরকারের সকল কর্মসূচি আবর্তিত হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, সকল উন্নয়ন কাজের সময় আমরা একটা বিষয় মাথায় রাখি, এর সুফল যেন একেবারে গ্রামের তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছায়।

    তিনি সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জন্য যা যা প্রযোজ্য সেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমরা বাস্তবায়নেও উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

    সেইসাথে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কিভাবে এগিয়ে যাবে সে পদক্ষেপও তাঁর সরকার নিয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এবং ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত গৃহীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ ও তুলে ধরেন তিনি।

    ‘যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এইসব পরিকল্পনা যুগোপযোগীকরণ করতে হবে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি লক্ষ্য স্থির করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্যই পরিকল্পনা মাফিক তাঁর সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।’

  • ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি

    ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি

    ২২ জানুয়ারি বুধবার ইলেকট্রনিকস পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধিকতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

    আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    তিনি বলেন, এই পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে এবং পাসপোর্টের নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিতকরণসহ ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

    নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

    এছাড়া, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেটি নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনও রোহিঙ্গাদের ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নাই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায় তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে।

    তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে তবে বিভিন্ন ধরনের নাজেহাল এড়াতে এটি অনলাইনে করার চেষ্টা করছি যেন অতীতের তুলনায় সহজ হয়।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট চালু হবে।

    বাংলাদেশে প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিন ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।’

    সংবাদ সম্মেলনে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।