Tag: উচ্ছেদ অভিযান

  • চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ সরকারি জায়গা উদ্ধার

    চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ সরকারি জায়গা উদ্ধার

    চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানাধীন বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। এতে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উদ্ধার করা হয় ২.৮৮ একর সরকারি খাস জমি একর। দুই দিনের অভিযানে পাহাড় কাটার ১৫ টি হটস্পট চিহ্নিত। পাহাড় কর্তনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের হচ্ছে নিয়মিত মামলা।

    আজ রোববার (৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আকবর শাহ থানাধীন ফয়স লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মিত স্থাপনা ও ঘর উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের চারজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়সমূহ রক্ষার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) কর্তৃক মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং-৯১১৪/২০২২ এবং আপীল বিভাগের সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল নং-২৪৯২/২০২২ এর রায় বাস্তবায়নে এবং পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম তম সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক,চট্টগ্রামের নির্দেশক্রমে “পাহাড় ও প্রকৃতি রক্ষায়” উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), কাট্টলী সার্কেল মো: উমর ফারুক; সহকারী কমিশনার (ভূমি), চান্দগাঁও সার্কেল মো: মাসুদ রানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি),বাকলিয়া সার্কেল জনাব জামিউল হিকমাহ।

    উচ্ছেদ অভিযানে সিএমপি’র ৮০ জন ফোর্স; আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন; পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান; র‍্যাব-৭ এর দুটি টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম; মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পিডিবির টিম, কর্ণফুলী গ্যাস প্রতিনিধি, ওয়াসা প্রতিনিধি এবং ৪০ জন আনসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

    এখানে উল্লেখ্য যে, রীট পিটিশন নং-৯১১৪/২০২২ এবং লিভ টু আপিল নং-২৪৯২/২০২২ এ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যে: চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানা, আকবর শাহ থানা, খুলশী থানা, সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর-আলীনগর এলাকা এবং অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় আইন ভঙ্গ করে, স্বত্ত্ব ব্যতিরেকে, অযৌক্তিকভাবে পাহাড় কেটে যে সকল স্থাপনা/ঘর গড়ে উঠেছে সেসকল স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে।

    এ বিষয় বিবেচনায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামের পাহাড় সমূহ পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম আজকে দ্বিতীয় দিনের মতো সম্পন্ন হয়েছে। পাহাড়ের অবৈধ ও বিধি-বহির্ভূতভাবে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে স্থাপনা উচ্ছেদের প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম মহানগরীর সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা আকবর শাহ থানাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

    এখানে উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৮, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে আকবর শাহ এলাকাতেই শুধু পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটেছে। বিভিন্ন এনজিও এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের রমরমা কার্যক্রমে আকবর শাহ এলাকার পাহাড় সমূহে ঘর-বাড়ি স্থাপন সহ অন্যান্য বসবাসের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বস্তিগুলোতে বিভিন্ন দাতা ও দাতব্য সংস্থার ব্যাপক কার্যক্রম চলছে। এখানকার ড্রেন, টয়লেট, রাস্তা এমনকি স্কুলিং কার্যক্রম চলে এদের অর্থায়নে।

    দ্বিতীয় দিনের অভিযানে উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ২.৮৮ একর খাস জমি সহ মোট ৫ একর পাহাড়ি জায়গা থেকে আনুমানিক ৩৫০ টি (তিনশত পঞ্চাশ টি ) স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের পর জায়গা যাতে পুনরায় অপদখল না হয় এজন্য পিলার ও কাঁটা তারের বেষ্টনী স্থাপনা করা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের রায় বাস্তবায়নে এবার পাহাড় রক্ষায় চলমান অভিযানে পাহাড়ি ভূমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ/অপসারণের পাশাপাশি যেসকল ব্যক্তি জমিতে পাহাড় কর্তন করা হয়েছে এবং পরিবেশের বিনা অনুমোদনে স্থাপনে নির্মাণ করা হয়েছে সেসকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আলাদা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। গত ৬ জুলাই এবং আজ ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখের অভিযানে যেসকল ব্যক্তি আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কেটেছে কিংবা পাহাড় কাটায় ইন্ধন যোগান দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরেজমিন অবস্থা পরিদর্শন করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি কে চিহ্নিত করে দিয়েছেন।

    গত দুই দিনের অভিযানে লট-৯ পাহাড়তলী মৌজার ফয়স লেক এলাকা এবং উত্তর পাহাড়তলী এলাকার বেলতলীঘোনা এলাকায় মোট ১৫ টির মতো পাহাড় কাটার হটস্পট চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এসকল হটস্পটে পাহাড় কেটে যেসকল ব্যক্তি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    উদ্ধারকৃত পাহাড়ি এলাকার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।

    পাহাড় রক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় বেষ্টিত এলাকা আকবর শাহ, খুলশী, সীতাকুণ্ড, বায়েজিদ থানা সহ অন্যান্য সকল পাহাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • ফটিকছড়িতে বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে কোটি টাকা মুল্যের বনভুমি উদ্ধার

    ফটিকছড়িতে বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে কোটি টাকা মুল্যের বনভুমি উদ্ধার

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শোভনছড়ি বনবিট এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে কোটি টাকা মুল্যের বনভুমি উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর নির্দেশনায়, শোভনছড়ি বিট কর্মকর্তা ফরেস্টার রাফি-উদ দৌলা সরকারের নেতৃত্বে শনিবার দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    বিট কর্মকর্তা রাফি-উদ দৌলা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল হাটহাজারী রেঞ্জের আওতাধীন শোভনছড়ি বিট এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভুমি দখল করে অবৈধ বসতি নির্মান করে জোর দখলের চেষ্ঠা চালায়। শনিবার অবৈধ দখলে থাকা এই বনভুমি উদ্ধারে দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহাকারী বন সংরক্ষক এবং হাটহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তার সার্বিক সহায়তায় পরিচালিত এই অভিযানে একাধিক নির্মানাধীন বাড়ি ঘর ও বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় দুই একর বনভুমি উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মুল্য প্রায় কোটি টাকা।

    বন বিভাগের বনভুমির সর্বোচ্চ সুরক্ষায় এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিট কর্মকর্তা রাফি-উদ দৌলা জানান।

  • বায়েজিদে চসিক’র উচ্ছেদ অভিযান শেষে আবারও দখল পায়তারা

    বায়েজিদে চসিক’র উচ্ছেদ অভিযান শেষে আবারও দখল পায়তারা

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চসিকের চলমান অভিযানের মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী মেইন সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান রিক্সার গ্যারেজ সহ একাধিক অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বায়েজিদ চা বোর্ড সংলগ্ন থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

    এদিকে বায়েজিদ মাজার পুকুর পূর্ব পাড় গণপূর্তের জায়গার উপর অবৈধভাবে গড়ে তুলেছিলো দোকানপাট জনসাধারণের চলাচল রাস্তাও দখল করে নিয়ে কথিত হকারলীগের ব্যনারে বাবুল নামক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে আসছে।

    ফুটপাত দখল করে নেওয়াতে জনসাধারণের চলাচলের খুব অসুবিধা হতো বলে জানান স্থানীয় জনগণ।

    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নিজেই দারিয়ে থেকে অভিযান চালালে কথিত হকারলীগ নেতা বাবুল চুপসে যায়। উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে চসিক প্রশাসক ফিরে গেলে তার ঘন্টা ক্ষানিকের মধ্যে বাবুল ও তার ভগ্নিপতি রাজ্জাককে সাথে নিয়ে পুনরায় অবৈধ দোকান গড়ে তুলতে কাজ শুরু করে। জনসাধারণ বলছে বাবুল চসিক প্রশাসককে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তার ক্ষমতা আছে জানান দিলো।

    ২৪ ঘণ্টা/রানা

  • চট্টগ্রাম বন্দরের বেদখলে থাকা ৩ একর জমি উদ্ধার

    চট্টগ্রাম বন্দরের বেদখলে থাকা ৩ একর জমি উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বন্দরে পোর্ট কলোনি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ এ উচ্ছেদ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন।

    মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে বন্দরের প্রায় ৩ একর জমি পুনরুদ্ধার করা হয়। বন্দরের সহকারী ভূমি ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন ছাড়াও এ অভিযানে পুলিশ, আনসার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    তাছাড়া অভিযানে ২টি পে লোডার ব্যবহার করে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক এ উচ্ছেদ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগীতা করেন।

    এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের জমি দখলে রেখে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো একটি চক্র। এতে বন্দরের সম্পত্তি বেদখলের পাশাপাশি এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছিল।

    মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে বন্দরের উত্তর আবাসিক এলাকায় সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা ৩ শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব

  • হাটহাজারীতে যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান

    হাটহাজারীতে যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান

    মো: পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে যানজট নিরসনে সরকারি জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।

    সোমবার (১০ আগস্ট) হাটহাজারী পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডে অবৈধভাবে দখল হওয়া সরকারি জায়গা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন।

    সূত্র জানায়, হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড মালিক সমিতির মালিকানাধীন ১.২৭ একর জমি থাকলেও তারা এর বাইরে আশেপাশের সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে। যার ফলশ্রুতিতে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিনিয়ত মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়।

    এই যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাটহাজারী পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে দখল হওয়া প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা মূল্যের ১৩ শতক সরকারি জায়গা উদ্ধার করে।

    পরে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড মালিক সমিতি উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে উচ্ছেদ অভিযান কিছু দিন বন্ধ থাকে। মালিক সমিতির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ৬ তারিখ মহামান্য আদালত হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে রায় দেন। ফলশ্রুতিতে হাটহাজারী উপজেলার প্রশাসন পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন।

    অবৈধভাবে দখল হওয়া সরকারি জায়গা উদ্ধারে সবার সহযোগীতা কামনা করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, মহামান্য আদালতের রায় পেয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে আমরা পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। এই উচ্ছেদ অভিযান শেষে অবৈধভাবে দখল হওয়া আরও ৬ শতক সরকারি জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত হবে বলে জানান তিনি।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ভাটিয়ারীতে মহাসড়কের পাশে সওজ’র উচ্ছেদ অভিযান

    ভাটিয়ারীতে মহাসড়কের পাশে সওজ’র উচ্ছেদ অভিযান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারীতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। 

    বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ভাটিয়ারী হাজী টিএসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন থেকে মাদামবিবির হাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও উপ সচিব মনোয়ারা বেগমের উপস্থিতিতে এই অভিযান পরিচালনা হয়। অভিযানে অবৈধ ভাবে দোকান, মার্কেট ও শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবসায়ীদের দখলে থাকা জায়গা দখল মুক্ত করা হয়। 

    অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের সীতাকুন্ডের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম ফারুক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, উপ সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাসেম ও বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা এসআই সাইফুল ইসলাম।

    জানা যায়, ঢাকা চট্টগ্রামের উভয় পাশে সড়ক ও জনপদের জায়গায় অবৈধ ভাবে দোকান পাট মার্কেট ও শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা মালামাল রেখে দখলে নিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত তিন মাস আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে সড়ক ও জনপদের জায়গায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করে।ভাটিয়ারীতে উচ্ছেদ অভিযান

    সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে মাইকিং করা হয়। মাইকিং এ বলা হয় ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গাটি ছেড়ে না দিলে ১৬ জানুয়ারী থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। বৃহস্পতিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়। মহাসড়ক থেকে ৩০ ফুট সরকারী জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

    এই বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সীতাকুন্ডের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম ফারুক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশের্ব ব্যবসায়ীরা সড়ক ও জনপদের জায়গা দিন দিন দখলে নিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে অবৈধ ভাবে দখলদারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ ও মাইকিং করা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

  • আকবরশাহতে রেলের জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান চলছে

    আকবরশাহতে রেলের জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান চলছে

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি উদ্ধারে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগ। সোমবার সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে শুরু হয় এ উচ্ছেদ অভিযান।

    রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানটি বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।

    রেলওয়ে সুত্র জানিয়েছে আকবর শাহ বাজার কলোনি ও তার পিছনে রেলওয়ের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে রেখেছে একটি চক্র। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীন এসব অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলের জমি উদ্ধারে অভিযান ২

    নোটিশের কোন কর্ণপাত না করায় সোমবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগ। এসময় অবৈধ দখলদাররা জড়ো হয়ে কিছু কাগজপত্র সঙ্গে আনেন। তবে এসব কাগজপত্রে বৈধতার কোন সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। তবে অবৈধ কয়েকজন দখলদার অভিযোগ করে বলছে নোটিশ প্রদান না করেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।

    এসময় আকবর শাহ থানা পুলিশের পাশাপাশি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম ও সহকারী কমান্ডেন্ট সত্যজিৎ দাসের নেতৃত্বে বাহিনীর ১৫ সদস্য অংশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন।

    অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া রেলওয়ে ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম বলেন, রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ ঠেকাতে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকার বিনিময়ে কিছু কাগজপত্র দেন। যার কোন বৈধতা পাওয়া যায়নি। রেলের জমি উদ্ধারে অভিযান

    তিনি বলেন, অভিযান চলছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন ঘন্টার অভিযানে অবৈধ বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিলে ২৫ থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

    আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং রেলের অবৈধ সম্পদগুলো উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।