Tag: উত্তেজনা

  • নেপাল পুলিশের গুলিতে নিহত ভারতীয় কৃষক,সীমান্তে উত্তেজনা

    নেপাল পুলিশের গুলিতে নিহত ভারতীয় কৃষক,সীমান্তে উত্তেজনা

    বিহার সীমান্তে নেপালী পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজনকে ধরে নিয়ে গেছে সীমান্তে থাকা নেপালী পুলিশ।

    শুক্রবার বিহারের সিতামারি জেলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ভারতীয়ের নাম বিকাশ কুমার রায় (২৫)। আহতরা হলেন, উমেশ রাম ও উদয় ঠাকুর। এছাড়া নেপালী পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তির নাম লগন রায়।

    স্থানীয়রা জানায়, নেপালের লালবান্দি-জানকি নগর সীমান্তের কাছে কৃষি ক্ষেতে কাজ করার সময় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের পর নেপালী পুলিশ বাহিনী গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই বিকাশ কুমার রায় নিহত হন।

    সিতামারি পুলিশ সুপার অনিল কুমার জানান, গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অপর দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিহার সেক্টরের পুলিশের মহাপরিদর্শক সীমা বাল সঞ্চয় কুমার বলেন, এই ঘটনা স্থানীয় ও নেপালী পুলিশের মধ্যে হয়েছে। এতে নেপালী পুলিশের হাতে একজন ভারতীয় নিহত হয়েছেন ও অপর দুইজন আহত হয়েছেন। তবে এসএসবি এই ঘটনায় জড়িত ছিল না।

    খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ও এসএসবির কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।

    নিহতের বাবা নাগেশ্বর রায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেন, নেপালের নারায়ণপুরে তার ছেলে কৃষি জমিতে কাজ করতেন। নেপালের সঙ্গে ভারতের এক হাজার ৮৫০ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। এসব সীমান্ত পথে ভারতীয় নাগরিকরা নেপালে জীবিকা ও তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যাতায়াত করে থাকে।

    বিহারের বেশিরভাগ সীমান্তবর্তী জেলার বসিন্দারা নেপালের সীমান্ত এলাকায় বিয়ে করে থাকেন। করোনা মহামারীর কারণে নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্ত ২২ মার্চ থেকে বন্ধ করে দিয়েছে।

    এদিকে এনডিটিভি জানিয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনার কারণেই নেপালী সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালিয়ে এক ভারতীয় তরুণকে হত্যা করেছে। এতে আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তাছাড়া ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে।

    খবরে বলা হচ্ছে, নেপাল নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে লিপুলেখ, কালাপনি ও লিমপিয়াদুরা অর্ন্তভুক্ত করার পরেই এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

    বিহারের পুলিশ পরিদর্শক সীমা বাল সঞ্চয় কুমারের বরাতে বলা হয়েছে, সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঘটনাটি নেপালের অভ্যন্তরে হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উভয় পাশে স্থানীয় কমান্ডাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    বলা হচ্ছে, এ ঘটানাটি উভয় দেশের সীমান্ত নো ম্যান ল্যান্ড থেকে ৭৫ মিটার দূরে নেপালী ভূখণ্ডে ঘটেছে।

    পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছে, এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে শনিবার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সংঘাতের আশঙ্কা : বোয়ালখালীতে বৌদ্ধবিহারে পাল্টাপাল্টি আয়োজনে উত্তেজনা

    সংঘাতের আশঙ্কা : বোয়ালখালীতে বৌদ্ধবিহারে পাল্টাপাল্টি আয়োজনে উত্তেজনা

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার হাজারীরচর জ্ঞানাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে আগামী ৩ নভেম্বর রবিবার পাল্টাপাল্টি আহুত আয়োজন নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

    জানা গেছে, হাজারীরচর জ্ঞানাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের গত ১৭ নভেম্বর মারাামারির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। এ বিরোধ নিরসনে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসা হয় চলতি বছরের গত ১২ সেপ্টেম্বর।

    আপোষকারী একাংশ একতরফাভাবে আগামী ৩ নভেম্বর জ্ঞানাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে দানোৎত্তম শুভ কঠিন চীবর দান উৎসবের আয়োজন করায় আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের মধ্যে। এ ব্যাপারে ৩০ অক্টোবর প্রতিকার ও আপোষ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ২শত গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন।

    অপর অংশও একই বিহারে একই সময়ে প্রয়াত ধর্মশ্রী মহাথের’র ১০ মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে কর্মসূচি পালনের আয়োজন করছে। ফলে আবারো সংঘাত সংঘর্ষে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

    এলাকাবাসী জানান, এ বৌদ্ধ পল্লীতে ১২০টির মতো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পরিবার রয়েছে। তাদের নিয়েই হাজারীরচর বৌদ্ধ বিহার পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে বিহার পরিচালনা কমিটি নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তির ইন্ধনে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে মারামারি সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে গ্রামবাসী।

    উপজেলা প্রশাসন ও প্রাজ্ঞ ভিক্ষুদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও একটি পক্ষ আগামী ৩ নভেম্বর একতরফা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিরোধকে উস্কে দিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিরসন করা হয়েছিলো। কিন্তু দু:খের বিষয়, তারা একে অপরে মিলে মিশে চলার অঙ্গীকার করেও তা বাস্তবায়ন করছেন না।

    এ নিয়ে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।