Tag: উন্নয়ন প্রকল্প

  • ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    কক্সবাজার জেলায় শেষ হওয়া ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ তিনি এগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

    এরপর তিনি যোগ দেবেন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়। সেখানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।

    এর আগে সকালে সমুদ্রের শহরে গিয়ে চট্টগ্রাম (দোহাজারী)-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন করেন সেখানে স্থাপিত আইকনিক রেল স্টেশনও।

    দুপুর ১টায় উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে ১টা ২৭ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় একটি ট্রেন।

    এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য গর্বের দিন।

  • গোপালগঞ্জে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    গোপালগঞ্জে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    গোপালগঞ্জে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দশম বারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম নিজ জন্মভিটায় অবস্থান করছেন তিনি।

    পরে শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তিনি দলের পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও জাতীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং একটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

    প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত দু’টি ঘাটলা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, টুঙ্গিপাড়া বাস টার্মিনাল, পাটগাতি ভূমি অফিস, টুঙ্গিপাড়া পৌর মার্কেট, টুঙ্গিপাড়া বাস টার্মিনাল, জেলা প্রসাশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন, সোনাখালির জোড়াসেতু, রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, দারুছুন্নাহ সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, মাঝবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাটগাতী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাঁশবাড়িয়া ঝনঝনিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এ ছাড়া, গোপালগঞ্জ সদরের স্বাধীনতা নামে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গার্ডার ব্রিজও রয়েছে। এ ছাড়াও শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

    প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি প্রকল্প ও ১টি ভিত্তিপ্রস্তরের মধ্যে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। বাকি ৯টি প্রকল্প, শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগ এবং টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা বাস্তবায়ন করছে।

    শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে খুলনায় তার পারিবারিক সম্পত্তি দেখতে যান। এরপর তিনি আবার গোপালগঞ্জে ফিরে আসেন। এদিন সকাল দিকে শুক্রবার গণভবন থেকে সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপড়ায় পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি। টু্ঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতার সমাধিতে ছোটবোন শেখ রেহানাকে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দুপুরে টুঙ্গিপাড়া থেকে খুলনায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নবনির্বাচিত কমিটি দুপুর ২টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

  • পায়রা বন্দরে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    পায়রা বন্দরে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি ও সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রায় ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল এবং ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ।

    সমুদ্রবন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে একটি ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার-চওড়া এবং ১০ দশমিক ৫ মিটার-গভীর চ্যানেল তৈরি হবে, যা বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা ৩ হাজারটি কনটেইনার বোঝাই জাহাজ ডক করার সক্ষমতা তৈরি করবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং চ্যানেলে আনুমানিক ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা খরচ হবে এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল ড্রেজিংয়ের কাজ করবে।

    পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য ২০৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাহাজ ও নৌযানগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিদেশি জাহাজের আগমন ও প্রস্থান পর্যবেক্ষণ এবং চ্যানেল রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করবে। আজ দুটি পাইলট ভেসেল, দুটি হেভি ডিউটি স্পিডবোট, একটি বয় লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দুটি টাগবোটসহ আটটি জাহাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেনের মহাসড়ক এবং সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিনটি বিদেশি জাহাজ একযোগে কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গো ডক করতে পারবে। ৪ হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি চালু করা হবে। ৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সংযোগ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্মাণ করছে।

    ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    পায়রা সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু। সেতুটি ৩০ মাসে (আড়াই বছর) নির্মিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বন্দরটিকে তার পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করতে সক্ষম করবে এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
    পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে পায়রা বন্দরের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ১৩ আগষ্ট সমুদ্র বন্দরটিতে প্রথমবারের মতো কন্টেইনার জাহাজ খালাসের মাধ্যমে শুরু হয় অপারেশনাল কার্যক্রম।

    পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. সোহায়েল আহম্মেদ জানান, ইতোমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৩৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ খালাসের মাধ্যমে ৫৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। পায়রা বন্দর পরিপূর্ন সক্ষমতায় আসলে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে যোগ করবে নতুন মাত্রা।