Tag: উপসচিব

  • সৌদি দূতাবাসে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে উপসচিব বরখাস্ত

    সৌদি দূতাবাসে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে উপসচিব বরখাস্ত

    সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের সেইফহোমে থাকা গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের দায়ে উপসচিব মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বরখাস্তকালীন সময় এ কর্মকর্তা চাকরি সংক্রান্ত কোনো সুযোগ–সুবিধা পাবেন না।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, ২১তম বিসিএস এর প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান (পরিচিতি নাম্বার-১৫০৫২) রিয়াদ দূতাবাসে কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকার সময় সেখানে আশ্রিত গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন।

    বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    জানা গেছে, উপসচিব মেহেদী হাসানকে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রিয়াদ দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত কতিপয় গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় মেহেদী হাসানকে ওই পদ থেকে ২০২১ সালের ২৪শে জানুয়ারি অবমুক্ত করা হয়। এরপর এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অসদাচণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দিয়ে ওই বছরের ১০ই মার্চ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

    ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন মেহেদী হাসান। ব্যক্তিগত শুনানিতে দাখিলকৃত জবাব ও বক্তব্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ওই বছরের ২০ জুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

    প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, তদন্তে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত কতিপয় গৃহকর্মীকে অপ্রয়োজনীয় একান্ত সাক্ষাৎকারের নামে অশ্লীল প্রশ্ন ও আচরণসহ বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা এবং যৌন নির্যাতন (ধর্ষণ) করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অসদাচণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

    তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী মেহেদীকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদণ্ড দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাবে মেহেদী তার বিরুদ্ধে আনীত এবং তদন্তে প্রমাণিত অভিযোগের বিপরীতে কোনো সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে সক্ষম হননি বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • বাধ্যতামূলক অবসরে উপ-সচিব রেজাউল রতন

    বাধ্যতামূলক অবসরে উপ-সচিব রেজাউল রতন

    উপ-সচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ধর্ষণ মামলার অভিযোগে তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। এরপর বিভাগীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারালেন তিনি।

    তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় মামলায় ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে এ উপ-সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণ দেখানো হয়েছে। উপ-সচিব রেজাউল রতন শিক্ষা ক্যাডারের ১৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেছিলেন।

    মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

    জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম গ্রন্থকেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে সাময়িক বরখাস্ত হন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছিল। সাময়িক বরখাস্ত থাকার সময়টিকে বিশেষ ছুটি হিসেবে বিবেচনা করেছে সরকার। এরপর ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রেজাউল করিম রতন ২০১৭ সালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে উপ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ছাত্রী।

    উল্লেখ্য, ঘটনার সময় রেজাউল করিম রতন মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর তিনি উপ সচিব হয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেজাউল করিমের নামে আনা অভিযোগের বিষয়ে তাকে ব্যক্তিগত শুনানি এবং লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরে অভিযুক্তের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে সরকারি চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের সুপারিশ করেন। এরপর এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত চাওয়া হলে তারাও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে। চূড়ান্তভাবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে গেলে রাষ্ট্রপতি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দেওয়া শাস্তি অনুমোদন করেন।

    এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বুধবার সকালে বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দীর্ঘদিন পর কড়া একটি পদক্ষেপ আসল। এটা নিঃসন্দেহে ভালো সিদ্ধান্ত। প্রশাসন চালাতে গেলে এভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে প্রশাসন ঠিক থাকবে না।

    তবে জনপ্রশাসনের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু যে ‘অসদাচরণের’ কারণে রেজাউল করিম রতনের চাকরি গেলে তার চেয়েও বেশি অপরাধ করেও কেউ কেউ কম শাস্তি পেয়ে পার পেয়ে গেছেন। এমন শাস্তির নজির যেন সবার জন্য সমান হয় তা নিশ্চিত করা উচিত।

    তিনি বলেন, মুখ দেখে বা ক্ষমতা দেখে শাস্তি কাম্য নয়। এমন ঘটনায় সবারই যাতে রেজাউলের মতো শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এটাই জনপ্রশাসনের কাজ।

  • বাসা থেকে উপসচিবের লাশ উদ্ধার

    বাসা থেকে উপসচিবের লাশ উদ্ধার

    রাজধানীর রমনা এলাকায় বেইলি রোডের একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক উপ-সচিবের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. আব্দুল কাদের চৌধুরী।

    বুধবার গভীর রাতে বেইলি রোডের ‘বেলি স্কয়ার’ ভবনের এক নম্বর ভবনের তিনতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বেইলি রোডে অবস্থিত ‘বেলি স্কয়ার’ এক নম্বর ভবনের তিনতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল কাদের চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিল। পরে দরজা ভেঙে আব্দুল কাদেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত আব্দুল কাদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ছিলেন। তিনি ওই সরকারি কোয়ার্টারে একাই থাকতেন। পারিবারিক জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। অসুস্থতাজনিত কারণে গত সাত থেকে আটদিন ধরে তিনি অফিসে যাননি। অফিসের লোকজন যোগাযোগ করলে তাকে না পেয়ে পুলিশকে অবহিত করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিটকে সঙ্গে নিয়ে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

    ওসি মনিরুল আরও জানান, অসুস্থতাজনিত কারণে কয়েকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহ পচে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।