Tag: উপসর্গ

  • হাটহাজারীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই সহোদরসহ ৩ জনের মৃত্যু

    হাটহাজারীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই সহোদরসহ ৩ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মো: পারভেজ, হাটহাজারী : করোনার প্রকোপ কোনভাবেই থামছে না হাটহাজারীতে। একের পর এক করোনা শনাক্তের খবরে কম্পিত হচ্ছে হাটহাজারীবাসীর হৃদয়।

    এরি মধ্যে শুক্রবার (৫ জুন) করোনা উপসর্গ নিয়ে হাটহাজারীতে দুই সহোদরসহ ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ প্রচন্ড শ্বাস কষ্টে মৃত্যু হয় মো: শাহ আলম (৩৩) নামে এক প্রবাসীর।

    ঠিক এর ১০ ঘন্টা পর রাত ১০টার দিকে একই উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুত্য হয় তার ছোট ভাই হাটহাজারী এন জহুর শপিং সেন্টারের আপন ফ্যাশন এর স্বত্বাধিকারী মো: শাহজাহান (৩০)র ।

    মঙ্গলবার (২ জুন) করোনা উপসর্গ নিয়ে তারা দুজনেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে তাদের করোনার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তাদের নিকট আত্মীয় মো: খোরশেদ।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী দুই সহোদর হাটহাজারী পৌরসভার কালাচাঁদ দিঘীর পাড়ের জোহরা বাপের বাড়ির মৃত গোলাম রসূলের পুত্র বলে জানা গেছে।

    এদিকে করোনা উপসর্গে নিয়ে চমেক হাসপাতালে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সুমন বড়ুয়া নামে এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুর খরর পাওয়া গেছে।

    তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনায় মৃত্যুবরণকারী সুমন বড়ুয়া মনছুরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনা হলনা মারুফের,নবজাতক শিশু হারালো পিতা/করোনা উপসর্গে মৃত্যু

    সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনা হলনা মারুফের,নবজাতক শিশু হারালো পিতা/করোনা উপসর্গে মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : মাত্র বছর দেড়েক আগে সামাজিক ভাবে ঝাকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন মারুফ চৌধুরী। চট্টগ্রাম আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করতেন তিনি।

    গেল ঈদের আগের দিন তাদের সংসারে ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে এক বেবি। তবে বাবা হওয়ার আনন্দটা সে খুব একটা বেশি সময় উদযাপন করতে পারেনি। এরমাঝেই তার শরীরে দানা বাধে করোনার সব উপসর্গ।

    নবজাতক কণ্যা সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার লোভ ছিলো তার। আর তাই করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে চেয়েছে মারুফ। এজন্য করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য নমুনা দিতে বেশ কয়েকটি ল্যাবে ছুটোছুটিও করেছেন নিজেই। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হন।

    এর মাঝেই তার শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গত ১ জুন সে বাজার থেকে অক্সিজেন সিলিণ্ডার কিনে নিয়ে শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে।

    এরপরও মারুফের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত ২ জুন স্বজনরা তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কোন সিট খালি না পেয়ে নিয়ে যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় পর সেখানে ভর্তি করা হলেও সিট পাননি।

    ৩ জুন দিবাগত রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পারি জমান তরুণ এ শিক্ষানবিশ আইনজীবী। নবজাতক কণ্যা সন্তানের বাবা ডাকটা তার আর শোনা হলনা, নবজাতক শিশুটি হারালো পিতা।

    ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু আবু তাহের ৩ জুন রাত সাড়ে ৯টার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সেখানে উল্লেখ করেন, মারুফ চৌধুরী। ইউনিভার্সিটি সহপাঠীর বড় ভাই। বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেছিলেন। ওনার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে শেষবার দেখা হয়েছিল। ঈদের আগের দিন ফুটফুটে বেবিটার বাবা হয়েছেন।

    কিন্তু বাবা ডাক না শোনার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। বুধবার (৩ জুন) করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি অভিযোগও করেন ফেসবুক পোস্টে।

    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চোখের সামনে এভাবে অনেকে আপনজন হারাচ্ছেন। পর্যাপ্ত টেষ্টের অভাব, পর্যাপ্ত হাসপাতালের অভাব, পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে এভাবে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

    ওদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। আল্লাহ যেন মারুফ ভাইকে জান্নাত নসিব করে। আমাদেরকে এই মাহামারি থেকে হেফাজত করুন।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষানবিশ আইনজীবীর চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সহকর্মী আইনজীবী বরকত উল্লাহ খান বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তির পর মারুফের মৃত্যু হয়। সে শেষবারের মতো আদালতে গিয়েছিলেন গত ২৫ মার্চ। তখন তার সাথে দেখা হয়েছিলো।

    কখনো ভাবিনি সহপাঠিটি এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। আল্লাহ যে তার পরিবারকে এ শোক সইবার শক্তি দিন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

    তার কলেজ জীবনের বন্ধু সরওয়ার সিহাব ফেসবুকে আবু তাহেরের পোস্টে কমেন্ট করে লিখেছেন, ২০১০ সালে আমি যখন মহসিন কলেজে পড়তাম তখন উনি আমার রুমমেট ছিলেন। চাকরি করতেন গোল পাহাড় মোড়ের মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

    আজকে হঠাৎ উনার মৃত্যুর খবর শুনে অনেকক্ষণ স্তব্ধ ছিলাম। আল্লাহ বেহেশত নসীব করুক। আমিন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা আক্রান্ত রোগীর ভয় করোনাতে নই, ভয় প্রতিবেশীর অবহেলায়

    করোনা আক্রান্ত রোগীর ভয় করোনাতে নই, ভয় প্রতিবেশীর অবহেলায়

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মু. সেলিম হক : গায়ে জ্বর নেই, গলা ব্যথাও নেই আবার সর্দির মত করোনার কোন উপসর্গও নেই। তবুও করোনার পজিটিভ। তবে পুরাপুরি শতভাগ সুস্হ।

    যার কথা বলছি সে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়ের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের একজন কর্মী। নাম মো. নুরুন্নবী।

    তার পরিচিত একজন কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তাকে নিয়ে আনোয়ারা স্বাস্হ্য কেন্দ্র গেলো করোনা পরীক্ষা করাতে। সে সুবাদে স্বেচ্ছায় নিজেও করোনা পরীক্ষা করালো। তার পজিটিভ আসলো, জ্বর আক্রান্ত ব্যক্তির নেগেটিভ!

    নমুনা দেয়ার সাতদিন পর জানলো সে পজিটিভ। মাঝখানে সব স্বাভাবিক ছিলো। ভালই কাটছিলো দিন। কেউ থাকে বড় বড় চোখে দেখেনি। দূরেও সরিয়ে দেইনি।

    গতকাল রাতে যথকন তার বাড়িতে পুলিশ আসলো। সবাই চমকে গেলো। তাকে কোয়ারেন্টিনের থাকতে হবে। সাথে তার পরিবারকেও। এটা কোন সমস্যা না। আশপাশে আমরা যারা আছি, আমরা তাদের সাথে কী রকম ব্যবহার করি এটাই বড়ই প্রশ্ন?

    গত কয়েকদিনে দুয়েকটা ঘটনা মনে কালো দাগ তৈরি করলো। দরজার ছিটকিনি আটকিয়ে বউ-বাচ্চারা মৃত্যু নিশ্চিত করলো এক হতভাগা স্বামীর।

    করোনা তখনই ভয়ংকর মনে হয় যখন মানুষের আচরণ হিংস্র হয়। করোনা দূর্বল হয় তখনই যখন মানুষ মানবিক হয়।

    নুরুনবী সাথে আমার কথা হলো। সে খুবই আত্নাবিশ্বাসী। তার ভয় করোনা নই, ভয় হলো আশপাশে মানুষ যেন তাকে অবহেলা না করে। বাঁকা চোখে না দিকে। করোনার বড় ঔষধ সে রপ্ত করেছে। সেটা হলো ‘”মানসিক শক্তি”।

    আশা করি আল্লাহ রহমতে সে সুস্হ হবে। প্রতিবেশী সবাই মানবিক হয়ে পাশে দাঁড়াবে। মানবিক তরুণরা সেবায় এগিয়ে আসবেন এটুকুই প্রত্যাশা।

    এরমধ্যেই উপজেলা চেয়ারম্যান আর ইউপি চেয়ারম্যান তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছে। এটাতেই সে খুশি। যেন সে টগবগিয়ে সরস কন্ঠে বললো ত্রাণ নয়, তোমরা আমাদের পাশে থাকো ঠিক আগের মতো মানবিক হয়ে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে না ফেরার দেশে সিএমপির আরো এক পুলিশ সদস্য

    করোনা উপসর্গ নিয়ে না ফেরার দেশে সিএমপির আরো এক পুলিশ সদস্য

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির একদিন পরেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আরো এক সদস্য।

    আজ ২ জুন মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম মর্তুজা আবদুল কাইয়ুম (৩৮)।

    তিনি সিএমপির সদরঘাট থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম এলাকায়।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক আরো এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, এর আগেও গত ১৯ মে থেকে জ্বর-সর্দি নিয়ে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন এএসআই মর্তুজা।

    গত ২৭ মে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ৩১ মে সে নিজ কর্মস্থল সদরঘাট থানায় আসেন। তখন তার একবার নমুনা পরীক্ষা করা হলে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফল আসে। আরো পড়ুন : করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেল সিএমপির পুলিশ কনেস্টেবল

    তবে সোমবার (১ জুন) সকাল ১১ টার দিকে তার শরীরে ফের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে আবারো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কমকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন,মৃত্যুর আগে এএসআই মর্তুজার শরীরে“কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তার ফের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে।

    সদরঘাট থানা সূত্রে জানা গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে তাদের থানার এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে সদরঘাট থানায় তার নামাযে জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

    এর আগের দিন সোমবার সকাল ১১টার সময় প্রাণঘাতী করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো এক পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি}‘র পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কন্সটেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    সিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১ জুন সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মোট ১৬৬ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ৪৪ জন সুস্থ হয়ে পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দিলেও দুঃখজনক হলেও সত্যি যে দুজন সদস্য আর বেঁচে নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু

    করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন করিম উল্লাহ (৫৩) নামে এক পুরুষ। আজ ২ জুন মঙ্গলবার ভোর ৬টার সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    করোনা উপসর্গ ছাড়াও মৃত্যুর আগে করিম উল্লাহ হৃদরোগেও ভুগছিলেন এমন তথ্য দিয়েছেন জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টে ডা. আব্দুর রব।

    তিনি বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন করিম উল্লাহ। আজ সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে জেলা সিভিল সার্জন গতকাল রাতের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে আক্রান্ত ২০৮ জনসহ চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৩ হাজার ১৯৩ জনে দাড়িয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৭৬ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২২৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনার কাছে হার মানল সাতকানিয়ার তরুণ ব্যবসায়ি

    চট্টগ্রামে করোনার কাছে হার মানল সাতকানিয়ার তরুণ ব্যবসায়ি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাতকানিয়ার তরুণ ব্যবসায়ি নেজাম উদ্দিন (৩৫)।

    আজ ১ জুন সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    মারা যাওয়া তরুণ ব্যবসায়ি নেজাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা চর পাড়ার মন্টু মিয়ার ছেলে এবং পাশ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে ডাটা বাজার নামের একটি জুতার শোরুমের স্বত্তাধীকারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

    অপর এক ব্যবসায়ির কাছ থেকে জানা যায়, গত ২৩ মে জ্বর-শ্বাসকষ্ট (করোনা উপসর্গ) নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ব্যবসায়ি নেজাম।

    ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ২৬ মে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। আজ সোমবার বিকেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে একদিনে পৃথকভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১জুন) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃৃথকভাবে এসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬জন।

    মৃত্যু হওয়া রোগীরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলী ইছুলুর ঘোনা এলাকার মো: এছারুল করিম (৩৫), শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার মোহাম্মদ করিম (৩০) ও টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫)।

    কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (১জুন) ভোর ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান মো: এছারুল করিম (৩৫), সে কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলি ইছুলুরঘোনার বাসিন্দা। সেখানে ব্যবসা করতেন।

    তাদের পরিবারে ৩ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যে এক সদস্য সুস্থ হয়ে গেছেন। মো. এছারুল করিমের করোনা লক্ষণ দেখা দিলে তিনি স্যাম্পল জমা দেন। রবিবার (৩১ মে) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয় এবং সেখানেই তিনি আজ সোমবার আনুমানিক ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যুবরণ করেন।

    কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মধ্যম নুনিয়ারছড়ার তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম (৩০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তবে এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। মোহাম্মদ করিম মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মাঝির ছেলে।

    একইভাবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছে। সে টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী। একই দিন বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এর তিনদিন আগে তার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে রবিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

    কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘কক্সবাজার জেলায় গত ৬১টি দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৩জন মারা গেছে। আজকের তিনজন সহ মোট ১৬জন নারী পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৭জন। মারা যাওয়া ১৬জনই করোনায় আক্রান্ত।

    মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১জন, রামু ১জন, টেকনাফে ২জন, উখিয়া ১জন ও চকরিয়া ১জন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু

    করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে। তিনি ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক আয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।

    আজ ১ জুন সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম।

    তিনি বলেন, গতকাল করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই নারী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।

    আজ (সোমবার) সকাল ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাছাড়া মৃত্যুর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এজমায় ভুগছিলেন বলে তিনি জানান।

    জানা গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ওই নারী হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ক্লিনার হিসেবে চাকরি করতেন।

    অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ইউনিটে রোগীদের কিছু প্রয়োজন হলে গেইটের বাইরে থেকে তা সংগ্রহ করে দিতেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে বন্দর কর্মীর মৃত্যু

    চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে বন্দর কর্মীর মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মী। আজ ৩০ মে শনিবার ভোরে করোনা উপসর্গ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে তার মৃত্যু হয়।

    বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী বন্দর কর্মীর নাম আব্দুর রশিদ মিয়াজি। তিনি নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা হলেও চাকুরির সুবাধে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের বন্দর কলোনিতে বসবাস করতেন। তিনি বন্দরের যান্ত্রিক বিভাগের হাইস্টার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    বন্দর সচিব বলেন, করোনা উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর আগে গত ২৯ মে শুক্রবার চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় রশিদ মিয়াজির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। তার মৃত্যুতে বন্দর কতৃপক্ষ শোকাহত।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • সীতাকুণ্ডে করোনায় নারীর মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে চমেকে মারা গেছে তরুণ চিকিৎসক

    সীতাকুণ্ডে করোনায় নারীর মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে চমেকে মারা গেছে তরুণ চিকিৎসক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : দিন যতই যাচ্ছে করোনার থাবায় দিশেহারা হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক নগর চট্টগ্রাম। আক্রান্তের তালিকায় ইতিমধ্যে দেশের রাজধানী ঢাকার পরেই এখন চট্টগ্রামের অবস্থান। রীতিমতো করোনা মহামারির হটস্পটে পরিণত হয়েছে।

    সোমবার (২৫ মে) সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭১০ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৩০৬ ও উপজেলায় ৩০৪ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে মৃত্যুবরণকারীর তালিকায় যোগ হলো আরো একজনের নাম। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯ এ) আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায়।

    গতকাল ২৪ মে রবিবার সকালে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। সীতাকুণ্ডে করোনা সংক্রমণ শুরুর দেড় মাস পর প্রথমবারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ওই নারীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় গত শনিবার দুপুরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোববার সকালে তিনি মারা যান। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

    ২৪ মে রবিবার রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এছাড়া একই দিনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এ মৃত্যুটিসহ চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত সরকারি তালিকায় ৫৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু : আজ সোমবার (২৫ মে) ভোর ৬টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৩৪ বছর বয়সী তরুণ চিকিৎসক ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    মৃত্যুবরণকারী তরুণ চিকিৎসক ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের ৩য় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।

    আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৬ মে শনিবার তরুণ এ চিকিৎসকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি আমাদের হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নেন। শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে গেলে ওইদিন দুপুরেই তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে নেওয়া হয়।

    গত ১৯ মে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের উদ্দ্যেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা হলেও করোনা উপসর্গ জানতে পেরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি তাকে না নিয়ে ফিরে যায়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোর ৬ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এর আগেও চিকিৎসক জাফর হোসাইনের করোনা পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম বার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছিল। পরে পরীক্ষার জন্য আবারও নমুনা নেওয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে মারা গেলেন ফটোসাংবাদিক মিজানুর

    করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে মারা গেলেন ফটোসাংবাদিক মিজানুর

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। গণমাধ্যম সংবাদ : বাংলাদেশের খবর পত্রিকার প্রধান ফটোসাংবাদিক মিজানুর রহমান খান (৫৪) বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর এবং সর্দির মতো করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন।

    বুধবার (২০ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য টেস্টিং বুথে নমুনা জমা দিতে গেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ফটোসাংবাদিক মিজানুরের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার স্ত্রী শিমলা রহমান। তিনি জানান, জ্বর এবং সর্দির মতো করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) স্থাপিত করোনাভাইরাস টেস্টিং বুথে নমুনা জমা দিতে যান।

    সেখানে অপেক্ষারত অবস্থায় অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যান। দীর্ঘক্ষণ তিনি সেখানেই পড়েছিলেন। অবশেষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

    সেখানে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মিজানুর আগে থেকেই কিডনি রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

    মিজানুর রহমান খান বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় ১২ বছর কাজ করার পর বাংলাদেশের খবর পত্রিকায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • সিলেটে নারায়ণগঞ্জ ফেরত পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ

    সিলেটে নারায়ণগঞ্জ ফেরত পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সারাদেশ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের দিক থেকে দেশের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক পুলিশ সদস্য সিলেটে মারা গেছে।

    করোনা উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার (১ মে) রাত ৮.১৫ মিনিটের সময় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)

    মৃত পুলিশ সদস্যের নাম মো. ইমন মিয়া (২১)। তিনি নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ইমন মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে।

    জানা যায়, ইমন ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি কনস্টেবল পদে শিল্প পুলিশে যোগ দেন। তার কনস্টেবল নম্বর ৫৮৪। সম্প্রতি তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে কিডনিতে সমস্যা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ থাকায় ছুটি নিয়ে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন।

    বাড়িতে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ইমন মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ এপ্রিল তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    শুক্রবার গভীররাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। তবে নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। এরপরও সতর্কতার জন্য করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি