Tag: একনেক

  • একনেকে ১০৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১০৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    ১০ হাজার ৭০২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ২৭ লাখ এবং বিদেশি ঋণ ৪ হাজার ২৪২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

    আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

    প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/সচিবরা একনেক সভায় অংশ নেন।

    একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা।

    তাদের তথ্যমতে, আজ অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ প্রকল্প রয়েছে। এতে খরচ হবে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ’ প্রকল্পে খরচ হবে এক হাজার ৩৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ÔWestern Economic Corridor & Regional Enhancement Program (WeCARE) Phase-I: Rural Connectivity, Market and Logistic Infrastructure Improvement Project (RCMLIIP)Õ প্রকল্পে খরচ হবে দুই হাজার ১৮০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। তার মধ্যে ৬৪৩ কোটি ৬৮ লাখ দেবে সরকার এবং বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে এক হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘উইকেয়ার ফেজ-১: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক (এন-৭) উন্নয়ন’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে চার হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৪৮২ কোটি পাঁচ লাখ এবং বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে দুই হাজার ৭০৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল এক হাজার ১২৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

    প্রথম সংশোধনে তা বাড়িয়ে করা হয় তিন হাজার ৩৫০ কোটি ৫১ লাখ এবং আজ দ্বিতীয় সংশোধনীতে তা আরও বাড়িয়ে করা হলো চার হাজার ৩৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হলো।

    বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন-১ম পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এতে খরচ বেড়েছে ৫৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ২৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনে তা বাড়িয়ে করা হলো ৩০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে করা হলো ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

    সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৮০৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    একনেক সভায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

  • সড়ক অবকাঠামো পুনবার্সনে ৫৯০৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    সড়ক অবকাঠামো পুনবার্সনে ৫৯০৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবকাঠামো পুনবার্সন ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন করেছে।

    মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিক একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণবভন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

    সভাশেষে পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করেন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের ১৫তম একনেক সভায় আজ ৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৭ হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

    ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রকল্প ব্যয়ের ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার পুরো অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে। ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

    তিনি জানান, দেশের ৫৫ জেলার ৩৫৫টি উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

    জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্পের আওতায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্ট পুনর্বাসনের মাধ্যমে পল্লী সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সংরক্ষণ করা হবে। এর মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের বাজারজাতকরণ সহজ হবে।

    এছাড়া, সড়ক অবকাঠামো মেরামত ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান তৈরি ও গ্রামীণ অর্থনীতি আরও সচল করা প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।

    প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ২ হাজার ২৭৪ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক, ১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক ও ৭৮ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক পুনবার্সন এবং ৪ হাজার ৬৩১ দশমিক ৮৫ মিটার ব্রীজ ও ৬৯২ মিটার কালভার্ট পুননির্মাণের পাশাপাশি ৩২৮ কিলোমিটার এলাকায় বৃক্ষ রোপন করা হবে।

    পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুততম সময়ে সড়ক পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একইসাথে তিনি সংশ্লিষ্টদের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেন, যাতে কোনভাবে ওভারল্যাপিং না হয়।

    একনেক সভায় ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙ্গন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

    পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নদী ভাঙ্গণ রোধের প্রধান কৌশল হতে হবে পানির স্রোত বা প্রবাহ ধরে রাখা। এর জন্য নদী খননের মাধ্যমে নাব্যতা বজায় রাখতে হবে। কোন কারণে যেন পানির স্রোত কোথাও বন্ধ না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • একনেকে মৌজা ও প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে মৌজা ও প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মৌজা ও প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পসহ মোট ৪ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৬২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে ১৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

    প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

    সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি ও সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে ১টি। মৌজা ও প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের আওতায় সমগ্র দেশে ডিজিটাল ভূমি জোনিং এবং মৌজা ও প্লট ভিত্তিক ডাটা বেইজ প্রণয়নের মাধ্যমে ভূমির প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি সম্পদ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে ভূমি সম্পর্কিত জটিলতা যেমন দূর হবে তেমনি মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব কমে যাবে।

    প্রধানমন্ত্রী ভূমি সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি কমাতে সারাদেশে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে ডিজিটালাইজড করারও ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ জানান, ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে জানুয়ারি ২০২০ হতে জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। এর আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯৩টি উপজেলা এবং ৪ হাজার ৫৬২টি ইউনিয়নের ৫৬ হাজার ৩৪৮ মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডাটা বেইজ প্রণয়ন করা হবে।

    এছাড়া, জোন ভিত্তিক ভূমি ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ এবং সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্ত প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।

    একনেকে অনুমোদিত অন্য ৩ টি প্রকল্প হচ্ছে- বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ নির্মাণ প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ভৈরব নদ পুনঃখনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে খাল পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

    ২৪ ঘণ্টা

  • একনেকে ১২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ২৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা খরচে পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প। প্রকল্পগুলোর পুরো টাকাই দেবে সরকার।

    আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এবং অন্যান্য মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে একনেক সভায় অংশ নেন।
    একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরীকল্পনামন্ত্রী।

    অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘জামালপুর জেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ি-তারাকান্দি সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৭৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৭৩টি কম্পোজিট/আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

    সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘৮টি সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট শান্তিনিবাস স্থাপন’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

    প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প। এতে খরচ হচ্ছে ৩৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • একনেকে ১১৩৬ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১১৩৬ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চলতি অর্থবছরের তৃতীয় সভায় ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১ হাজার ২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং বিদেশি ঋণ ও অনুদান ১০৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানান।

    অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘লাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ থেকে মিনার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ (জেড-১০৬১) (ভূমি অধিগ্রহণ) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কুমিল্লা জেলার তিতাস ও হোমনা উপজেলায় তিতাস নদী (লোয়ার তিতাস) পুনঃখনন’ প্রকল্প, ‘গাইবান্ধা জেলার সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গোঘাট ও খানাবাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা’ প্রকল্প ও ‘চর ভেডেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন) (বাপাউবো অংশ)’ প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প।

    রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একনেক সভায় যুক্ত হন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার করোনা ভাইরাসের মধ্যেও উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তার পরও অন্ততপক্ষে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যে, ধারবাহিকতটা বজায় রেখে উন্নয়নের মূল গতিটা ধরে রাখার। যে কারণে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

    আজ রবিবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত সভার প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সভার সঙ্গে সংযুক্ত হন।

    প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত ভাষণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর ও পুনরায় গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি বলেন, দেশবাসীকে আমি এই অনুরোধ করবো যে, সবাই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। কারণ, জীবন চলতে থাকবে, এটি স্থবির থাকতে পারে না। তার পরও স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সবাইকে আমি আহ্বান জানাব।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই আজ এই সমস্যাটা চলছে। কাজেই এর হাত থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষ যাতে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেটাই আমরা চাই।’

    তার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সাংসদসহ দেশে এবং প্রবাসে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি এবং এর কবল থেকে সকলের মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।

    তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যসহ দেশে ও প্রবাসে অনেককে হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়া করি, তিনি যেন আমাদেরকে এই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দেন।’

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আজকেন সভায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। করোনার মধ্যেও সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

    সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা আজ একনেক সভা ভার্চুয়ালি করেছি। প্রধানমন্ত্রী ও আমি ছিলাম গণভবনে। আমাদের এনইসি ভবনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবরা ছিলেন। আমরা মোট ১০টি প্রকল্প একনেক সভায় পেশ করেছিলাম। সবই পাস হয়েছে। আজকে পাস হয়েছে ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা। এটি আনন্দের ব্যাপার আপনাদের জন্য, আমাদের জন্যও। সব টাকাই আমাদের নিজস্ব টাকা। কোনো ধারদেনা, তথাকথিত সহায়তা- এগুলো কিছুই নেই।
    একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ প্রকল্প; ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘হাওড় অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম জোন) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ (হরিদাসপুর)-মোল্লাহাট (ঘোনাপাড়া) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘বিএএফও বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ, যশোর (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ভার্চুয়াল একনেকে ১৬২৭৬ কোটির ১০ প্রকল্প অনুমোদন

    ভার্চুয়াল একনেকে ১৬২৭৬ কোটির ১০ প্রকল্প অনুমোদন

    করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হলো। এতে ১৬ হাজার ২৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১৪ হাজার ৪০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ এক হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাধারণ ছুটির পর প্রথম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    চলতি অর্থবছরের ২৩ তম ও বর্তমান সরকারের ৩২তম এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

    অনুমোদিন প্রকল্পের মধ্যে ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া সহজ শর্তের ঋণ ৮৫০ কোটি টাকা, বাকি টাকা ব্যয় করা হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের আওতায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে নির্বাচিত হাসপাতালে টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো, করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া ‘কোভিড-১৯ ইর্মাজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক রেসপন্স’ নামে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্প। এই প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৮৫০ কোটি টাকা ৯৭ লাখ টাকা আসছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ থেকে, বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

    প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিট দিয়ে সজ্জিত করা, কমপক্ষে ১৯টি পরীক্ষাগারের সক্ষমতা ও গুণগত মানকে কোভিড-১৯ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ডায়াগনস্টিক সুবিধা দিয়ে উন্নত করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ জন কর্মীকে আধুনিক দক্ষতা এবং জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পিসিআর মেশিন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ, পিপিই ও মাস্ক কেনার কাজে এই প্রকল্পের টাকা খরচ করা হচ্ছে।

    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ‘প্রাথমিক উপবৃত্তি (তৃতীয় পর্যায়)’ দ্বীতিয় সংশোধিত প্রকল্পটির বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা।

    এছাড়া তিন হাজার ১২৮ কোটি টাকার ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (সপ্তম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প, যা পুরোটাই সরকারি ব্যয়ে হবে।

    করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনলাইন মাধ্যমে তথা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্প, এটি প্রথম সংশোধিত প্রকল্প। ; শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা , ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) প্রকল্প, এটি প্রথমও সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা’ প্রকল্প। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে। মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজতকরণ ও বিতরণ প্রকল্প, এর কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে। সাতক্ষীরা জেলার পোন্ডার ১, ২, ৬, ৮, এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালে। দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প। এটি প্রথম সংশোধিত প্রকল্প যার মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় ধরা হয়েছে ২০২২ সাল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

    ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

    আসছে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি অনুমোদন করেছে সরকার।

    মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে ১ হাজার ৫৮৪টি প্রকল্পের এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়।

    এ সময় অর্থমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বলেন, গুণগত মান ঠিক রেখে প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    করোনা মহামারিতে স্থবির মানুষের জীবনযাত্রা, ধুঁকছে দেশের অর্থনীতিও।

    এমন পরিস্থিতিতেই শুরু হলো নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়।

    গণভবন থেকে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এই সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৈঠক থেকে নতুন অর্থবছরের জন্য মোট ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপিতে অনুমোদন দেয়া হয়। মোট ১ হাজার ৫৮৪টি প্রকল্পে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রয়েছে পরিবহন খাতে ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া ভৌত অবকাঠামো ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি, বিদ্যুতে ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি, শিক্ষা ও ধর্মে ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন খাত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

    করোনাকালীন ক্ষতিতে এ বছর বাজেট বাস্তবায়নের হার কম হতে পারে এমন শঙ্কা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের সঞ্চালন ক্ষতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে ভাবছে সরকার।
    নতুন অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজস্ব অর্থায়ন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা আর দাতা সংস্থার কাছে নেয়া ঋণের পরিমাণ ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বলেও জানান মন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • একনেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের অনুমোদন

    একনেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ১১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পসহ মোট ৯ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৬ হাজার ১৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে ১৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, বড় আকারের জাহাজ ভেড়ার উপযোগী করে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাট এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের লক্ষ্যে ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    এই সমুদ্র বন্দর নির্মিত হলে দেশের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চাহিদা মিটানো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ত্বরিত বন্দরসেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    মন্ত্রী এই প্রকল্পটিকে স্বপ্নের প্রকল্প আখ্যা দিয়ে বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের মধ্যে দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্যে আমাদের অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে।

    প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) বৈদেশিক ঋণ সহায়তা প্রদান করবে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

    জানুয়ারি ২০২০ হতে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

    প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ৩০০ ও ৪৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে দু’টি টার্মিনাল থাকবে। এর একটি হবে বহুমুখী টার্মিনাল ও অপরটি কন্টেইনার টার্মিনাল।

    এছাড়া, বন্দরের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। একসঙ্গে ৮ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৭৯ হাজার ৭৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে, যা মোট এডিপির ৩৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে, সেই প্রভাবটি ঠিক কি ধরণের হবে, সেটা এখনই আমরা বলতে পারছি না।

    একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-লেবুখালী-রামপুর-মির্জাগঞ্জ সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে পায়রা নদীর সেতু নির্মাণ প্রকল্প, যার বাস্তবায়ন খরচ হবে ১ হাজার ৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস ফায়ারিং রেঞ্জের আধুনিকায়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

    এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলাধীন পাকেরদহ ও বালিজুরি এবং বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথল যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প, এর খরচ ধরা হয়েছে ৫৮৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা কার্যালয়ের ২০ তলা ভিত বিশিষ্ট দু’টি বেইজডসহ ১০ তলা প্রধান কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ও ঢাকা স্যানিটেশন ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

  • একনেকে দশ হাজার কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে দশ হাজার কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ হাজার ৪৬৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৯৬৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার ৪২৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে পাওয়া যাবে ৭৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

    একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- ৭৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘জরুরি পানি সরবরাহ প্রকল্প’; এবং ৭৮৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ‘আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প’।

    ২৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের শেখপাড়া (ঝিনাইদহ)-শৈলকুপা-লাঙ্গলবাঁধ (শ্রীপুর)-ওয়াপদা মোড় (মাগুরা) জেলা মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতকরণ প্রকল্প’; ৪০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’; ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে খানপুরা এবং কাজিরহাট থেকে রাজধরদিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; ৫৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একই মন্ত্রণালয়ের ‘কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলাধীন ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বাম ও ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; ৫৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্প এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’।

  • একনেকে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণসহ ৯ প্রকল্পের অনুমোদন

    একনেকে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণসহ ৯ প্রকল্পের অনুমোদন

    মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণসহ ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৬৩৯ কোটি ১ লাখ টাকা।

    আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    মন্ত্রী জানান, এই নয়টি (নতুন) প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ৮ হাজার ৮৮৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ২৯৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪ হাজার ৪৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

  • একনেকে চার হাজার কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে চার হাজার কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

    ভাণ্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পসহ ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই নয়টি (নতুন ও সংশোধীত) প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ৪ হাজার ২৪৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।