Tag: একনেক

  • একনেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি জানান, আজকের একনেক সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ (তৃতীয় সংশোধনী)’ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘এসআরডিআই-এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিসিবিএস)’ প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন, জামালপুর (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প ও ‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা মড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক (আর-১৪৫) ও লক্ষ্মীপুর-চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর-মাইজদী (জেড-১৪০৫) সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প এবং ‘ভোলা (পরান তালুকদারহাট)-চরফ্যাশন (জরমানিকা) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

  • একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে ১১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১ হাজার ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আজকের একনেক সভায় ৮টি প্রকল্প তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে ৭টি অনুমোদন দিয়ে একটি প্রকল্প বাদ দেয়া হয়।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘সিংড়া-গুরুদাসপুর-চাটমোহর সড়কের (জেড-৫২০৯) সিংড়া অংশের সড়ক বাঁধ উঁচুকরণসহ পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ ও প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প; ‘পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক (জেড-৬০০৪) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; ‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩ দশমিক ৭৬৫ কিলোমিটার নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্প এবং ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি সেতু এবং আরসিসি সেতু প্রতিস্থাপন (ঢাক জোন)’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্প; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্প এবং ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

  • একনেকে তিন হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে তিন হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আশ্রয়ন-৩ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পসহ মোট ৯ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩ হাজার ২২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে।

    মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, জেটি নির্মাণ, জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসন ভবন ও কালভার্ট নিমার্ণসহ বেশ কিছু বিষয় নতুন করে যুক্ত হওয়ায় আশ্রয়ন-৩ প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। প্রথম বার সংশোধনী করা এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গেছে ৭৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ একনেক সভায় এই অর্থের অনুমোদন দেয়া হয়।

    তিনি জানান, প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এখন মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন,এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরে এক লাখ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বনায়ন করা এবং দ্বীপটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা।

    মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিরও ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরবি, ফারসি, জাপানি, স্পানিশসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার বিষয়ে আরো জোর দেয়ার কথা বলেছেন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেল আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যুৎ বিল যাতে ঠিকমত পরিশোধন হয়, এজন্য ভবনগুলো প্রিপেইড মিটার লাগানোর প্রয়োজন।

    দেশের জনগণ যদি প্রি-পেইড মিটারে বিল দিতে সক্ষম হোন, তাহলে সংসদ ভবন এটা চালু হবে না কেন। সারাদেশে প্রি-পেইড মিটার দেয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

    একনেক সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-খাদ্যশস্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রিমিক্স কার্নেল মেশিন ও ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, এত খরচ হবে ৬৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন খরচ হবে ২৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। দিঘলিয়া-আড়–য়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর উপর ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর-ধুনট-শেরপুর এবং সিরাজগঞ্জ-ধুনট মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৮ কোটি কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

    এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এমপি হোস্টেল আনুষঙ্গিক স্থাপনার নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একনেকে ৩,৪৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একনেকে ৩,৪৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩ হাজার ৪৪৯.০৫ কোটি টাকার ফিজিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেম (পিপিএস) প্রকল্প আজ অনুমোদন করেছে।

    রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, আজ ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এতে অনুমিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭.৭৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪৩৯.৮৬ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এবং বাকী ৭.৯০ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। অনুমোদিত ৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৫টি নতুন এবং ১ টি সংশোধিত প্রকল্প।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নিউক্লিয়ার সিকিউরিটি এন্ড ফিজিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেম সেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মি হেডকোয়াটারস, জিএস সেকশন (কোঅর্ডিনেশন) ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
    এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধাপে ধাপে সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ডিজাইন বেসিস থ্রেট (ডিবিটি) অথবা ডিবিটি’র বাইরে থেকে আসা ঝুঁকি মোকাবেলা করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশনের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

    গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের অধীনে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুততার সাথে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাশপাশি প্রধানমন্ত্রী পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) এর সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘যাতে করে বড় ঠিকাদাররা বারবার সরকারি কাজ না পায়, বরং অন্যান্য ঠিকাদাররাও যাতে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিডিংএ অংশ নিতে পারে এবং সুস্থ প্রতিযোগিতা করতে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামীণ এলাকায় সেতু নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেন। কারণ, এই সেতুগুলো পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করে।

    প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সতর্কতার সাথে নতুন নতুন সড়কগুলো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ, বর্তমান সরকার সকল আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ককে চার-লেনে উন্নীত করতে আগ্রহী।

    অন্যান্য যে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো-৩৬৬ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর (রাজারহাট)-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ৭১ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯১ দশমিক ৩৪ মিটার মুহুরী সেতু ও ৫০ দশমিক ১২ মিটার ফজিলাঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৩৬১ দশমিক ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের একতাবাজার থেকে বিএনএস শেখ হাসিনা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, প্রথম সংশোধিত ৭৯ দশমিক ০১ কোটি টাকা ব্যয়ে আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবন নির্মাণ প্রকল্প এবং ১২০ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিলেট জেলার সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দশগ্রাম, মাহতাবপুর ও রাজাপুর পরগণা বাজার এলাকা সুরমা নদীর উভয় তীরের ভাঙ্গন হতে রক্ষা প্রকল্প।

  • একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

    তিনি বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পে সরকার অর্থায়ন করবে ৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ২৬৭ কোটি টাকা, আর ঋণ ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা।

    আজকের একনেক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অন্যতম জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা।

    বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশে চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপন প্রকল্প (৩য় সংসোধিত)। কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-টোক জেলা মহাসড়কে উন্নীতিকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৯ কোটি টাকা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

    রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে পরমাণু শক্তি কমিশনের রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে। পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প-৩। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় চরআত্রা এলাকা রক্ষা প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৫৫৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩২ কোটি টাকা।

  • নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্পসহ মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

    মেট্রোরেল দুটির বেশিরভাগ অংশই মাটির নিচ দিয়ে যাবে। ১০ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩০ হাজার ৪৬৬ কোটি, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫১৫ কোটি ৮৪ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৬৯ হাজার ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মোট টাকার মধ্যে দুই মেট্রোরেল প্রকল্পেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

    মেট্রোরেলের এই দুই প্রকল্পসহ মোট তিনটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পেল। প্রথমে অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেল প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি লাইন- ৬)’ প্রকল্প। আজ অনুমোদন পাওয়া নতুন দুই প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’ এবং ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট’ প্রকল্প।

    এছাড়াও অনুমোদন পাওয়া ৮ প্রকল্প হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড-৫৭০৬), ডোমার(বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা-(ভাদুরদরগাহ) (জেড-৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরদরগাহ-ডিমলা (জেড-৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘গৃহায়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প’, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ ও ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইনম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফর মুহুরী ইরিগেশন প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।

    নতুন মেট্রারেল প্রকল্প:
    লাইন-১ এর আওতায় মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল হবে।

    লাইন-৫ এর আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল হবে।

    আর এমআরটি লাইন-৬ রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সিটি সেন্টার পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। লাইন-৬ প্রকল্পে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ এবং জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    প্রথম বা লাইন-৬ প্রকল্পের চেয়ে আজকের একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্প বড় ও খরচও অনেক বেশি। তবে লাইন-৬-এ নির্মাণের জন্য ১২ বছর সময় ধরা হলেও এই নতুন দুই প্রকল্পে কম সময় ধরা হয়েছে। এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নের জন্য সময় ধরা হয়েছে ৭ বছরের কিছু বেশি, অর্থাৎ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের জন্য সময় ধরা হয়েছে সাড়ে ৯ বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার বৈদেশিক ঋণ।

    সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রকল্প দুটিতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ প্রদান করছে। প্রথমটিতেও জাইকা ঋণ প্রদান করেছে।

    ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট রেট ধরে প্রকল্পটি দুটির আর্থিক ও অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুটি প্রকল্পই আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। তবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

    এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় না নিয়ে অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় নেয়া হয়েছে প্রকল্প দুটির ক্ষেত্রে। আর্থিক ক্ষতি একটি থাকবে দুই হাজার ৪২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং অন্যটিতে ৭ হাজার ৩২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর অর্থনিতিক দিক থেকে একটি প্রকল্পে ৯৪৯ কোটি ৯৭ লাখ এবং অন্যটিতে ৫ হাজার ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা লাভ হবে।