Tag: এড. রানা দাশগুপ্ত

  • রানা দাশগুপ্তের সাথে ব্যারিস্টার নওফেলের সাক্ষাৎ

    রানা দাশগুপ্তের সাথে ব্যারিস্টার নওফেলের সাক্ষাৎ

    বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রাম-৯ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    সোমবার(১২ই ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর দেওয়াঞ্জিপুকুর পাড় বাসভবনে এই দুইজন দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন।

    সাক্ষাৎ কালে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। চট্টগ্রাম-৯ আসনের জনগণ কে ভাগ্যবান বলতে হবে যে তারা একজন অসাম্প্রদায়িক, মেধাবী, তরুণ সাংসদ পেয়েছেন।

    তিনি আরো বলেন, আগামীতেও যোগ্য প্রার্থী কে মনোনীত করতে জণগণ ভুল করবে না। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও ব্যারিস্টার নওফেল কে সোচ্চার থাকতে অনুরোধ জানান।

    এই সময় ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-৯ আসনের উন্নয়নে রানা দাশগুপ্ত এর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে।
    আগামীতেও তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  • বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখি সুজনের মধ্যে: রানা দাশগুপ্ত

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ফেব্রুয়ারী মাস বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ের মাস। এই একুশের চেতনাকে ধারন করে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা। এই মাঘ মাস তীব্র শীতের মাস। এই মাসে বাঙালি ঘরে ঘরে পিঠে পুলির আয়োজন থাকে, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। আজকের এই দিনে পিঠা উৎসবের মত একটি আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই উৎসব বাঙালির ঐতিহ্য। আমাদের এই দেশের সংস্কৃতিতে মিশে আছে নবান্নের ধান, পিঠেপুলির আয়োজন। মাঘের হীম শীতল পরিবেশে কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন যান্ত্রিক জীবনের একটু হলেও প্রাণের আনন্দের সঞ্চার করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

    তিনি আজ সোমবার সন্ধ্যায় চসিকের লালদিঘী পার্কে চসিক আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সংস্কৃতি বিবর্জিত। ৬০-৭০ এর দশকের রাজনীতিতে যুক্ত কর্মীরা সংস্কৃতির চর্চাও করেছেন। যে কারনে তাদের মনন জগতে গুনগত পরিবর্তন হয়েছিল। বাংলা ও বাঙালির যে মনন ও বাংলার যে সংস্কৃতি তাঁর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি বলেন, প্রশাসক জ্যোৎস্না উৎসবের আয়োজন করেছেন। আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংস্কৃতি চেতনাকে ধারন করে এগুতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়া সম্ভব।

    পিঠা উৎসবের কবিতা পাঠের পাশাপাশি আড্ডারও আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমনা প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের চট্টগ্রামের কবিতা প্রেমী মানুষ ও কবি- সাহিত্যিকদের জন্য নানা রকম পিঠাপুলির আয়োজন করেন।

    আয়োজনের মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, খেজুরের রস, ছাঁচ পিঠা , পাঠি সাপটা, সঁই ফাকুন,তালের পিঠা, ছ্যাইনা পিঠা, চিতল পিঠা আরো কত কি।

    এসময় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম, কবি খুরশিদ আনোয়ার, রাশেদ রউফ, খালিদ আহসান, শুক্লা ইফতেখার, সাথি দাশ, আনন্দমোহন রক্ষিত, হোসাইন কবির, আকতার হোসেন, ইউসুফ মাহমুদ, বিজন মজুমদার, আবু মুসা চৌধুরী, হাসিনা শিরিন, আবুল কালাম বেলাল, মুনিরুল মুনির, তালুকদার আব্দুল হালিম, বিপুল বড়ুয়া, মোদাচ্ছের আলী, সাইফুদ্দিন সাকিব, লিটন কুমার চৌধুরী।

  • ওসি প্রদীপকে আইনি সহায়তা দেয়ায় রানা দাশগুপ্তের পদত্যাগ দাবি

    ওসি প্রদীপকে আইনি সহায়তা দেয়ায় রানা দাশগুপ্তের পদত্যাগ দাবি

    মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে আইনি সহায়তা দেয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্তকে ট্রাইব্যুনাল থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সারওয়ার কাবেরী।

    বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজনীন সারওয়ার কাবেরী বলেন, ‘যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ মর্যাদার সমান এবং রানা দাশগুপ্তের নিয়োগ গেজেটেড নোটিফিকেশনে সেহেতু তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে সাংবিধানিক পদে থেকে ঘৃণিত আসামির পক্ষে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারেন না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘লিগ্যাল রিমেম্বার অ্যাক্ট অনুযায়ী এখন রানা দাশগুপ্ত রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা। যা প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদার সমান। এদিক থেকে রানা দাশগুপ্ত এ পদে থেকে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা দিতে পারেন না। যদি তিনি আইনি সহায়তা দিতে চান, তবে স্বেচ্ছায় সাংবিধানিক পদ থেকে পদত্যাগ করে অভিযুক্ত আসামিকে আইনি সহায়তা দিতে পারেন।’

    কাবেরী বলেন, ‘এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির রেফারেন্স ব্যতীত তিনি সরাসরি আসামির পক্ষে ওকালতি করতে পারেন না।’

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন ওসি প্রদীপ সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, ইয়াবা ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই বিতর্কিত ওসির পক্ষে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। রাষ্টের গুরুত্বপুর্ণ পদে থেকে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে তিনি এমনটা করতে পারেন না। তার মত একজন ব্যক্তি এমন ঘৃণ্য মানুষের পক্ষে আইনি সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশের মুক্তবুদ্ধির সব মানুষ আহত ও বিস্মৃত হয়েছে।’

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে রানা দাশগুপ্তের পদত্যাগের দাবি করে কাবেরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে যেকোনো অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন সেখানে ওসি প্রদীপের মত একজন চিহ্নিত অপরাধীকে একজন সরকারী আইনজীবী আইনি সহায়তা দেয়ায় রাষ্ট্রের আইনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও কলঙ্কিত করেছে। এ অবস্থায় দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এ্যডভোকেট রানা দাশগুপ্তের পদত্যাগ দাবি করছি।’

    সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পূর্ণ চন্দ্র দে, যুবলীগ নেতা এম. শাহাদাৎ নবী খােকা, জাওইদ আলী চৌধুরী প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত

    সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রীও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি একটি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার।

    আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের আরেক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মোখলেছুর রহমান বাদল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি (রানা দাশগুপ্ত) শারীরিকভাবে দুর্বলতা বোধ করছেন। তাকে এখন চট্টগ্রামের জিইসি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সরকারি প্রশাসনে আইএস’র টুপি বিলি করার লোকও আছে-রানা দাশগুপ্ত

    সরকারি প্রশাসনে আইএস’র টুপি বিলি করার লোকও আছে-রানা দাশগুপ্ত

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, সরকারের ভেতরে সরকার আছে, প্রশাসনের ভেতরে প্রশাসন আছে। সরকারে যেমন মুক্তিযুদ্ধের সরকার আছে তেমনি আবার সরকারে প্রশাসনে আইএস’র টুপি বিলি করার লোকও আছে।’

    শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বোয়ালখালী শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী নির্বাচনের আগেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করবে, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করবে, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করবে, পার্বত্য ভূমি বিরোধে বৈঠক হবে। আপনারা জানেন যে গত পরশু দিন (২৭ নভেম্বর) রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ১ম সফল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

    এসময় তিনি আরো বলেন, ‘অর্পিত প্রত্যাপর্ণ আইন ‘ক’ তফশীল ধীর গতিতে চলছিল। আমরা গত ৮মাসে লক্ষ্য করেছি এখানে যে স্থবিরতাটা আগে কাজ করছিলো তা কেটে নিষ্পত্তি হচ্ছে, আপিল ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক যে হারে দেওয়া দরকার, ফিরিয়ে দেওয়া সেটা না দিয়ে তারা হয়রানি করছে।’

    তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছরে গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘু পল্লীগুলোতে যে হারে হামলা হয়েছে এ ঘটনাগুলো আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। সেখানে আমরা লক্ষ্য করেছি ৭১’র পরাজিত শক্তি যেমন হামলাকারীদের মধ্যে আছে, আবার মুজিব কোট গায়ে দিয়ে ছদ্মবেশি অনুপ্রবেশকারীরা ওই হামলাকারীদের ছাতিদার। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।’

    ‘পরিস্কার করে বলতে চাই ঐক্য পরিষদ কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়, ধর্ম প্রচার প্রসারে এখানে ঐক্য পরিষদের কোনো ভূমিকা নাই। ঐক্য পরিষদ রাজনৈতিক দলও নয়, কিন্ত ঐক্য পরিষদ রাজনীতি বিবর্জিত নয়। তার কারণ আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার, মানবিক অধিকার, হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্যই গণতান্ত্রিক-নিময়তান্ত্রিক ধারায় মানবাধিকারের এই সংগ্রাম থেকে পরিচালনা করছে।’

    সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি সজল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে উদ্ধোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন এড. প্রদীপ কুমার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন তাপস হোড়, এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, অসীম কুমার দেব, তাপস কান্তি দত্ত, সাগর মিত্র, অধ্যাপক কুণাল বিকাশ চৌধুরী, এড. শেখর দত্ত।