Tag: এনজিও

  • বোয়ালখালীতে এনজিও’র নামে প্রতারণা, নারীসহ ২জন গ্রেফতার

    বোয়ালখালীতে এনজিও’র নামে প্রতারণা, নারীসহ ২জন গ্রেফতার

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এনজিও’র নামে প্রতারণা করার সময় দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জনতা।

    বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় প্রতারণা মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম।

    ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সজল দাশগুপ্ত (৪৫) এবং মুক্তা চৌধুরী (৩০) নিজেদের এলিন নামের একটি এনজিওর কর্মী পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।

    গ্রেফতার হওয়া সজল দাশগুপ্ত উপজেলার সরোয়াতলীর ইউনিয়নের মৃত সমর দাশগুপ্তের ছেলে ও মুক্তা চৌধুরী একই ইউনিয়নের লিটন চৌধুরীর স্ত্রী।

    জানতে চাইলে (ওসি) মো. আবদুল করিম জানান, এনজিও কর্মী পরিচয়ে টাকা তোলার সময় স্থানীয় জনগণ এক পুরুষ ও এক মহিলাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এনজিওর কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি।

    স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, সজল ও মুক্তা দুজন অনেক মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/পূজন

  • বোয়ালখালীতে এনজিওর চাপে দিশেহারা নিন্ম আয়ের মানুষ

    বোয়ালখালীতে এনজিওর চাপে দিশেহারা নিন্ম আয়ের মানুষ

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
    বোয়ালখালীতে এনজিও সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণ আদায়ের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। এই মানুষগুলো বেশিরভাগই কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। এছাড়া রয়েছেন পোশাক কারখানা, শিল্প কারখানার শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

    বেশ কয়েকজন ঋণ গ্রহীতা জানান, গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিলো। আয় রোজগারের পথ ছিলো বন্ধ। এরই মাঝে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে। সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ সহায়তা এবং নিজেদের হাতেপাতে থাকা অর্থ দিয়ে কোনো রকমে দিনাতিপাত করছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে।

    ঋণ গ্রহীতা পোশাক শ্রমিক আরতি, ফেরদৌসী বেগম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায়ের লোকজন বাড়িতে এসে বসে থাকছে, কিস্তি দিতে না পারলে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। তাদের বলেছি হাতে টাকা পয়সা একদম নেই জুন মাসের বেতন পেলে দেবো। তারা তা মানছেন না।

    একই অভিযোগ করে কৃষক সুমন দে বলেন, এই দুঃসময়ে তারা একপ্রকার চাপ সৃষ্টি করছে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে মানুষের বাড়ি বাড়ি পাড়ার মহিলাদের একত্রিত করে কিস্তি দাবী করছেন। অনেকে ধান বিক্রি করতে পারেনি, টাকা যোগাড় না হওয়া পর্যন্ত কিস্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

    বিউটি পার্লারের মালিক প্রিয়া চৌধুরী বলেন, গত দুই মাস পার্লার বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন খোলার চেষ্টা করছি। দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়ে গেছে। জমানো টাকা শেষ। পার্লার খুলেও লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় কাজ শিখে এ ব্যবসায় এসেছিলাম। বিয়েসহ সামাজিক আনন্দ আয়োজনে যা কাজ ছিলো তা বন্ধ হয়ে গেছে করোনার প্রাদুর্ভাবে। কাজ না থাকলে খাবো কি সেই চিন্তায় রয়েছি। এর মধ্যে কিস্তি ওয়ালার চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে জানি না।

    এপ্রিল মাসে এনজিও সংস্থাগুলো কিস্তি আদায় বন্ধ রাখলেও মে মাস থেকে মুঠো ফোনে চাপ দিতে থাকে। চলতি জুন মাসের শুরু থেকে পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ি কিস্তি আদায়ের লোকজন ঘুরছেন।

    তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি সুনির্দিষ্ট নিদের্শনায় বলা হয়েছে ‘ জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত কিস্তি আদায়ে চাপ সৃষ্টি বা বাধ্য করা যাবে না। উল্লেখিত সময়ে কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিস্তি প্রদান করেন তা গ্রহণ করা যাবে।’ এছাড়া কিস্তি না দিলে তা বকেয়া অথবা খেলাপী হিসেবে গণ্য করা যাবে না।

    নিদের্শনা থাকা স্বত্বেও এনজিওর লোকজন পুলিশে দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন ও সরকারী কমিশনার (ভূমি) ফেসবুক আইডিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির নিদের্শনা তুলে ধরেছেন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনজিও কর্মকর্তা জানান, মালিক পক্ষের চাপে পড়ে চাকুরী বাঁচাতে এক প্রকার বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে কিস্তি আদায়ে গ্রামে গ্রামে যেতে হচ্ছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন বলেন, জুন মাস পর্যন্ত কিস্তি আদায়ে ঋণ গ্রহীতাদের বাধ্য করা যাবে না। স্বেচ্ছায় কেউ ঋণ পরিশোধে কিস্তি প্রদান করলে নিতে পারবে এনজিও সংস্থাগুলো। না দিলেও তা বকেয়া বা খেলাপী হিসেবে গণ্য করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত নিদের্শনা সংশ্লিষ্ট দপ্তর দিয়েছে। সংস্থাগুলোকে সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ছয় মাসের এনজিও ঋণের কিস্তি শিথিল

    ছয় মাসের এনজিও ঋণের কিস্তি শিথিল

    মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি ছয় মাসের জন্য এনজিও ঋণের কিস্তি শিথিল করেছে।  জুন পর্যন্ত ঋণগ্রহিতা কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সেটিকে খেলাপি বা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

    গতকাল রোববার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে।

    সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসজনিত কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহিতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    এ অবস্থায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

    এর আগে গত কয়েকদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় এনজিও ও সমিতির কিস্থি শিথিল করার জন্য অনেকেই আলোচনা করে বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন গনমাধ্যমেও এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।

    এ বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জ্জি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আপাতত আগামী জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি রিল্যাক্স করে সার্কুলার দিয়েছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে প্রয়োজনে এ সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।

    এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি এনজিও সারা দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ৩ কোটির বেশি গ্রাহক এই ঋণ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।