Tag: এপিবিএন সদস্য

  • উখিয়ায় এপিবিএন সদস্যকে কোপালো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

    উখিয়ায় এপিবিএন সদস্যকে কোপালো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

    কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এক সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

    শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বালুখালীর ৭ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ডি-এ ঘটনা ঘটে।

    গুরুতর আহত এপিবিএন সদস্যকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    এপিবিএনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আহত সদস্যকে সন্ধ্যার পর প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়।পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ( অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুনুর রশিদ বলেন, কনস্টেবল শহিদুল ক্যাম্প-৭-এর দিকে আসছিলেন।

    এসময় পথে একজন রোহিঙ্গার পরিচয় জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাকে কোপায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    এ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • সিনহা হত্যা : এপিবিএনের ৩ সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড

    সিনহা হত্যা : এপিবিএনের ৩ সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড

    কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যের প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এপিবিএন সদস্যরা হলেন- এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। ৩১ জুলাই ঘটনার দিন এই তিনজনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সোমবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে আটকের পর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৫ (র‌্যাব) এর কক্সবাজার কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিঞ্জাসাবাদের পর এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাদের মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

    সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করা হয়।

    পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

    এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।

    এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব।

    যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বহিরাগতদের হামলায় আহত এপিবিএন সদস্য হাসপাতালে

    সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বহিরাগতদের হামলায় আহত এপিবিএন সদস্য হাসপাতালে

    নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে জোড় পূর্বক প্রবেশ করার সময় বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়ে এপিবিএন সদস্য গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

    এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় বহিরাগত তিন মোটর সাইকেল আরোহীকে আটক করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বিমানবন্দরের প্রবেশ পথে।

    সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ৩০ নং বেডে চিকিৎসাধিন এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল মোঃ সেলিম হোসেন জানান, বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করণের কাজ চলমান থাকায় মূল ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধ রয়েছে। শুধুমাত্র যাত্রী ও সহযোগী ১ জন ছাড়া কেউ এখন সেখানে যেতে পারেনা। কিন্তু আজ সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে দুইজন মোটর সাইকেল আরোহী বিমানবন্দরে প্রবেশকালে তাদের প্রবেশে নিষেধ করা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উটে এবং বলতে থাকে আমরাদেরকে চেনো।

    এসময় তাদের বিমানবন্দর ম্যানেজারের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করার জন্য বলা হলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এতে প্রতিবাদ করলে তারা মোটর সাইকেল থেকে নেমে আমাকে ধাক্কা দেয় এবং আমার পোশাক ছিড়ে ফেলে। এতে বাধা দিলে তারা দু’জনে মিলে পাশে থাকা গাছের সাথের লাঠি খুলে নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় এবং বেড়ক মারপিট করে। এতে আমি হাতে পায়ে এবং মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হই।

    পরে বিমাবন্দরে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যসহ আনসার ও পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মোটর সাইকেল আরোহী তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    এ ঘটনায় এপিবিএন’র ইন্সপেক্টর সালেকুজ্জামান বাদী হয়ে আটক ৩ জনের নামে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    আটক ব্যক্তিরা হলো সৈয়দপুর শহরের হাতীখানা মহল্লার শরিফের ২ ছেলে মোঃ ওমর আলী (২৪), হায়দার আলী (২২) এবং আলী আহসানের ছেলে এজাজ আহমেদ (২৫)।

    সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।