Tag: এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী

  • হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হলেন পঞ্চম বারের মতো এমপি নির্বাচিত ফজলে করিম

    হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হলেন পঞ্চম বারের মতো এমপি নির্বাচিত ফজলে করিম

    নেজাম উদ্দিন রানা , রাউজান (চট্টগ্রাম) : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পঞ্চম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছেন রাউজানের সর্বস্থরের মানুষ।

    শপথ গ্রহণ শেষে ১৪ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৮ ঘটিকায় রাউজানে এসে প্রথমে নিজ গ্রাম গহিরায় বাবা-মার কবর জিয়ারত করেন সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী। এরপর সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌঁছলে সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান রাউজান উপজেলা প্রশাসন, রাউজান উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, রাউজান পৌরসভা, রাউজান ১৪টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, রাউজান দলিল লেখক সমিতি, রাউজান গার্ল গাইডস স্কাউটস, রাউজান প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল ও বৃক্ষের চারা দিয়ে এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে সংবর্ধিত করেন।

    হাজারো মানুষের ভালোবাসায় আপ্লূত হয়ে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় রাউজানের ভোটারসহ অকুন্ঠ সমর্থনের জন্য সর্বস্থরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, আমি রাউজানবাসীর কাছে ঋণী। আমার রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে মানুষের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করা। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আরো বেগবান করে রাউজানের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

    এ সময় রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দীন পারভেজসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    পঞ্চম বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আম গাছের চারা উপহার দিয়ে সংর্বধিত করেন । পঞ্চম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে চারা উপহার দেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিউল আলম, ক্লাবের সাবেক সভাপতি মীর আসলাম, প্রদীপ শীল, সিনিয়র সহ সভাপতি নেজাম উদ্দিন রানা, সহ সভাপতি জিয়াউর রহমান, কার্য নির্বাহী সদস্য কামাল হাবিবি, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক লোকমান আনচারী, অর্থ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সাজ্জাদ, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আবিদ মাহমুদ, সদস্য রতন বড়ুয়া।

  • মানবিক ছেলের বদৌলতে ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ফজলে করিম

    মানবিক ছেলের বদৌলতে ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ফজলে করিম

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে চারবারের এমপি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি। তাঁর সঙ্গে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন অ্যাডভোকেট শফিউল আজম। প্রার্থী আছে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামিক ফ্রন্টেরও। তবে ভোটারদের সব হিসাব-নিকাশ ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ফজলে করিম চৌধুরীকে ঘিরেই।

    ভোটাররা বলছেন, নৌকার প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক শালীনতা ভোটের মাঠে তাঁকে এগিয়ে রেখেছে। ‘মানবিক ছেলে’ ফারাজ করিম চৌধুরীর বদৌলতে তরুণ ভোটাররাও ফজলে করিমের পক্ষে। স্বতন্ত্রসহ আরও চার প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধানে থাকবে বিস্তর ফারাক। যদিও ভোটারদের কাছে সুযোগ চান অন্য প্রার্থীরাও।

    সরেজমিন দেখা যায়, রাউজানে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন নৌকার প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি নিজে এবং তার বড়ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিদিন দুটি তিনটি পথসভা করছেন তারা। গেল ২০ ডিসেম্বর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ফজলে করিম। গত শনিবার রাউজান উপজেলা ডাবুয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নে একাধিক পথসভা করেন। গণসংযোগে ও পথসভায় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নৌকা প্রতীকে ভোট ও সমর্থন কামনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘রাউজানে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে আশা করি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিবে জনগণ।’

    রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব বলেন, ‘রাউজানে সুপরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ভোটারদের আস্থার প্রতীক ফজলে করিম চৌধুরী। ১৯৯৬ সাল থেকে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানে ব্যাপক উন্নয়নকাজ করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন তিনি।’

    অন্যদিকে খুব একটা অবস্থান গড়তে না পারলেও প্রচার-প্রচারণায় সরগরম রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিউল আজম। গণসংযোগ, পথসভায় সমর্থকদের নিয়ে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তিনি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারেও যাচ্ছেন। জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট শফিউর আজম বলেন, ‘আমি নতুন প্রার্থী। জনগণ আমাকে একবার সুযোগ দিলে আমি জয়লাভ করতে পারব। তবে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক আমি মেনে নিবো।’

    এ ছাড়া ভোটের মাঠে আছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী (লাঙল) সফিউল আলম চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী (চেয়ার) শ.ম জাফর উল্লাহ।

  • নান্দনিক রাউজানের নন্দিত জননেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী

    নান্দনিক রাউজানের নন্দিত জননেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী

    মহিউদ্দিন ইমনঃ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানের মানুষের আস্থা বিশ্বাস ভালোবাসার ঠিকানা। যিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন।

    শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ড সহ
    ফুলে ফলে সুসজ্জিত বাগান তৈরী করে একটি উন্নত, আধুনিক, শান্তিময় উপজেলা হিসেবে সমাদৃত করেছেন নান্দনিক রাউজানের নন্দিত জননেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। যার তুলনা তিনি নিজেই।

    জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করে যিনি আরামের ঘুমকে হারাম করে দিনরাত পরিশ্রম করে সুন্দর, সমৃদ্ধ রাউজান তৈরি করেছেন। মেধা ও মননে, শয়নে স্বপনে, একাকি নির্জনে ধ্যানে জ্ঞানে, চিন্তায় চেতনে যিনি প্রতিনিয়ত রাউজান কে ধারণ করেন তিনিই ফজলে করিম চৌধুরী।

    যিনি স্বপ্ন দেখেন আবার সে স্বপ্নের বাস্তবায়নও করেন। যিনি হাসলে হাসে রাউজান, যিনি এগিয়ে গেলে রাউজান এগিয়ে যায়, যিনি জাগ্রত থাকলে রাউজানের মানুষ নিরাপদে থাকে। একজন ফজলে করিম চৌধুরি শুধু একজন এমপি নই, পুরো একটি অন্ধকার জনপদকে আলোয় আলোয় সাজিয়ে দেওয়ার সপ্নদ্রষ্টা…

    যারঁ ছোঁয়ায় আজ রাউজান সুভাসিত, শৃঙ্খলিত।
    সাতাশ বছর ধরে যে মানুষটি রোদ-বৃষ্টি, ঝড় -ঝঞ্চা উপেক্ষা করে, আপন সংসার-সন্তানদের মায়া ত্যাগ করে, সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে, আনন্দে-বিষাদে,দৈব-দুর্বিপাকে ছাঁয়ার মত রাউজানের মানুষের পাশে ছিলেন।

    সন্ত্রাস কবলিত, অনুন্নত, অনগ্রসর একটি জনপদকে যিনি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সবুজে, সুন্দরে, শান্তিতে নিরাপত্তায় একটি অনন্য জনপদে পরিণত করেছেন। নিজ এলাকার বাইরে গিয়েও যিনি মানব কল্যাণে পিছপা হননি কোনোদিন। হাজার হাজার কর্মহীন যুবকের বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন যিনি, রাউজানের মানুষের কল্যাণই যাঁর ভাবনার কেন্দ্র বিন্দু, তিনিই রাউজানের গণমানুষের প্রিয় নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

    ১৯৯৬ সাল থেকে যাঁর হাত ধরে পরিবর্তিত হয়েছে অজস্র পরিবারের ভাগ্য, যে মানুষটা জীবনের অধিক সময় রাউজানের প্রতিটা মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন, যিনি নিজেকে কাজের মাধ্যমে রাউজানের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, যার দক্ষ নেতৃত্বে রাউজানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠন সমূহ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত সকল সভা, সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করেছেন, ঝড়, বৃষ্টি, রৌদ্র উপেক্ষা করে যে মানুষটা সবার আগে রাউজানে উপস্থিত হয়ে থাকেন।

    যিনি রাউজানে উপজেলায় প্রতিটা ইউনিয়ন, পৌরসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয়স্থল, আওয়ামী লীগের নিজস্ব স্থায়ী কার্যালয় গড়ে তুলেছেন, যিনি রাউজানকে হরতালমুক্ত ঘোষণা করছেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন করেছেন। সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতার বিপক্ষের ঘাঁটি খ্যাত রাউজানকে তিনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করেছেন, রক্তাক্ত রাউজানকে যিনি শান্তির রাউজানে পরিণত করেছেন।

    বঙ্গবন্ধুরর আদর্শ বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় ৯৬ সাল হতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যিনি ২০০১, ২০০৭ সালে রাজনীতিতে চরম দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন, নেতাকর্মীরা বিপদে আপদে পাশে পেয়েছেন তাঁকে,তৃনমুলের কর্মীদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রয়েছে তাঁর।

    তিনি বিগত সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের যুদ্ধাপরাধের বিচার ও জাতীয় নির্বাচন ২০০৯ বানচাল করার ষড়যন্ত্র, ত্বরিকতের নামে নৈরাজ্য , হেফাজতের তান্ডব, জালাও পোড়াও পেট্রোল সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা রাজনীতির বিপরীতে তিনি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রতিরোধ করেছেন । এই অবস্থানে আসার পথ মসৃণ ছিল না। অনেক ত্যাগ ও মাসূল দিয়ে এরকমভাবে উঠে আসা রাজনীতির মাঠে বিরল।

    তিনি গ্রীন, ক্লিন, পিংক রাউজানে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি রাউজানের মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে চার লেইন উপহার, রাউজানে পিংক সিটি-১, পিংক সিটি-২ গড়ে তুলেছেন, রাউজানের মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম সেন্টার, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলছেন রাউজানের মানুষের কর্মসংস্থান এর কথা বিবেচনা করে শিল্পনগর গড়ে তুলেছেন।

    যিনি নিজে পায়ে হেঁটে হেঁটে পুরা রাউজানের মানুষের কথা শুনেছেন, দেখেছেন এবং সেটা তাৎক্ষণিক সমাধান করেছেন। রাউজানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ, এমপিওভুক্তকরণ ও নতুন নতুন ভবন উপহার দিয়েছেন। রাউজানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন গোলাপি রাউজান হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন।

    করোনাকালীন সময়ে রাউজানের মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে নিজে উপস্থিত থেকে প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য,স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গুলো সুষ্টভাবে বিতরন করেছেন। তাঁরই সার্বক্ষণিক তদারকিতে হেল্পডেক্স টিমের মাধ্যমে করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের দাফন কাফন,সৎকার এর ব্যবস্থা করছেন।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাউজান উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ভূমি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মধ্যে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহহীন মানুষের জন্য জায়গাসহ ঘর উপহার দিয়েছেন। রাউজানের কৃষকদের জন্য প্রতিনিয়ত বিনামূল্যে বীজ, সার উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল ভাতা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

    রাউজানকে অসাম্প্রদায়িক রাউজান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। রাউজানের মানুষ আজ নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে যাচ্ছেন। তরুণদের খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে খেলা মাঠ তৈরি ও উন্নতমানের দর্শক গ্যালারী উপহার দিয়েছেন। রাউজানে যুবকদের জন্য ডিজিটাল কম্পিউটার সেন্টার ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উপহার দিয়েছেন। রাউজানের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স, শেখ কামাল কমপ্লেক্স, মার্স্টার দা সূর্যসেন কমপ্লেক্স গড়ে তুলছেন। রাউজানে অসংখ্য অসংখ্য নতুন নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ গড়ে তুলছেন এবং সংস্কার করেছেন।

    এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বুদ্ধিমত্তা, ধের্য্যর সাথে এগিয়ে চলা, সিদ্ধান্তে অবিচলতা, প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার অতুলনীয় শক্তি ও সাহস,কর্মীর সঠিক মূল্যায়নের ক্ষমতা, অসীম সাহসীকতা, মানবিকতা, ও আত্মপ্রত্যয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব৬ পালন। যিনি কর্মে, শ্রমে,অবস্থানে, দক্ষতায়, নৈপুণ্যে সব দিক থেকে এগিয়ে অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন তিনি।

    স্মার্ট রাউজানের রূপকার এ বি এম
    ফজলে করিম চৌধুরীর রাজনীতিতে একজন পরিক্ষিত, ত্যাগী, কর্মপরায়ণ, ব্যাক্তিগত জীবনের একজন সাহসী মানুষ হিসেবে পরিচিত ও সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছেন।

    মানুষের প্রাপ্য সম্মান থেকে তাঁকে কোন ভাবেই উচিত নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা, সফল রাষ্টনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ড কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র, শোষণ মুক্ত স্বনির্ভর সোনার বাংলা বিনার্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ সারথি হিসেবে একজন কর্মোদ্যম, সৎ,যোগ্য,করিৎকর্মা জননেতা জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা বান্ধব শান্তি সমৃদ্ধি আধুনিক রাউজানের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এটাই কামনা করছি।

  • প্রত্যেক জায়গায় খেলার মাঠ রাখতে হবে : ফজলে করিম

    প্রত্যেক জায়গায় খেলার মাঠ রাখতে হবে : ফজলে করিম

    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রত্যেক জায়গায় খেলার মাঠ রাখতে হবে। হাউজিং কিংবা অন্য কোনো আবাসিক স্থান হোক, খেলার মাঠ রাখতেই হবে। শিশু কিশোরদের সঠিকভাবে চিত্ত বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। খেলার জায়গায় খেলা হবে,পড়ার জায়গায় পড়া হবে, ব্যবসার জায়গায় ব্যবসা হবে।

    সোমবার (২৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্ত:কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পলোগ্রাউন্ড মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল ও হকির জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

    অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১৯১ টি ইউনিয়নে খেলার মাঠ নির্মাণ করা হচ্ছে, সমাজ থেকে নানা রকম অসংগতি থেকে দূরে থাকার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই, তাই আরও বেশি খেলার সুযোগ করে দিতে ভবিষ্যতে আরও টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।

    সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: আবদুল মালেক, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহাদাত হোসেন, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইসতিয়াক ইমন,রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিজেকেএস ভাইস চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, চসিক কাউন্সিলর ও ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি নেছার উদ্দিন মঞ্জু, সিজেকেএস ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন দিদারুল আলম, সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক মো: আমিনুল ইসলাম, মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, সিডিএফএ সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম, সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম, আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, জি এম হাসান, প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্নামেন্ট সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ, সিডিএফএ নির্বাহী সদস্য কাজী জসিম উদ্দিন, সিজেকেএস কাউন্সিলর প্রবীন কুমার ঘোষ, আলী হাসান রাজু, মাকসুদুর রহমান বুলবুল, সাইফুল্লাহ খান, সুমন দে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার, সিডিএফএ যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন জাহেদ, মাদারবাড়ী শোভনীয়া ক্লাবের সম্পাদক মোশাররফ হোসেন লিটন, মুক্তকণ্ঠের সম্পাদক মো আশরাফুজ্জামান,ফিজিও মো:আবু হানিফ।

    ফাইনাল খেলায় সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ ১-০ গোলে আনোয়ারা মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার লাভ করেন সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজের আমজাদ হোসেন, সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার লাভ করেন সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজের সাজ্জাদুল ইসলাম। এই দুই কলেজ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

  • আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার আহবান- আমিরাতে ফজলে করিম

    আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার আহবান- আমিরাতে ফজলে করিম

    চট্টগ্রাম-৬ আসনের (রাউজান) এমপি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, দেশের ৬৩ জন সিআইপির মধ্যে ৮ জন সিআইপি হলেন রাউজানের এবং তারা অধিকাংশই আবার আমিরাত প্রবাসী। তিনি বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে এবং তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করতে আহবান জানান।

    তিনি রবিবার (১২ মার্চ) আবুধাবির বঙ্গবন্ধুর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা এবং তাঁর’ আমিরাত আগমন উপলক্ষে দেয়া সম্ববর্ধনা সভায়প্রধান অতিথির ভাষণে এ আহবান জানান।

    রবিবার (১২ মার্চ) বাদে এশা আবুধাবির রয়েল রোজ হোটেল বলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার।

    এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর হাজেরা সাব্বির, দূতাবাসের ১ম সচীব সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

    বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি শওকত আকবর, মোহাম্মদ জামশেদ, গোলাম কাদের ইফতি, মোহাম্মদ মোজাম্মেল চৌধুরী, সজল চৌধুরী, ইলিয়াস করিম, মোহাম্মদ ইউনুস সিআইপিসহ আরো অনেকে।

  • বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সাংসদ ফজলে করিমের শ্রদ্ধা

    বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সাংসদ ফজলে করিমের শ্রদ্ধা

    রাউজান প্রতিনিধি : ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

    শনিবার (৭ মার্চ) সকালে তিনি রাউজান সদর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান।

    এছাড়াও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব,সি.সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম,স্বপন দাশ গুপ্ত, শাহ্ আলম চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কফিল উদ্দীন চৌধুরী,রাউজান পৌর প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খাঁন, আওয়ামীলীগ নেতা জানে আলম জনি, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আলমগীর আলী,রাউজান পৌর ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ,আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরী,জসিম উদ্দিন,নুরুল ইসলাম চৌধুরী শাহ্জাহান,যুবলীগ নেতা সারজু মোঃ নাছের, সুমন দে,মফজল আহম্মদ,আহসান হাবিব চৌধুরী,স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শওকত হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাখাওয়াত হোসেন পিবলু,মোহাম্মদ আসিফসহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ।

  • উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী:প্রশ্ন ফারাজ করিমের

    উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী:প্রশ্ন ফারাজ করিমের

    সম্প্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পিতা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম অন্তর্ভূক্ত সম্পর্কে নিজের ফেইসবুক ফেইজে মরহুম ফজলুল কবির চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এক তথ্যবহুল স্ট্যাটাস তুলে ধরেছেন ফজলুল কবির চৌধুরীর নাতি ও রাউজানের সাংসদপুত্র তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। ফারাজের স্ট্যাটাসটি ফেসবুকে এরইমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।

    ফারাজ করিম চৌধুরীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
    তবে কি একজন রাজাকারের বাড়িতে জাতির পিতার সরকার ৮ জন পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন এবং ৭২ এ তার মৃত্যুর পর লাশ স্পেশাল সেনা বিমান করে চট্টগ্রাম এনেছিল ? উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী ?

    রাজা আর তার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সেই গল্প শুনেছিলেন না? ঐ যে রাজা তার আবহাওয়া অধিদপ্তরের কথা শুনে মাছ ধরতে আসে আর তখন এক মূর্খ জেলে তাকে প্রশ্ন করে যে ‘জ’মহারাজা আপনি আজ কেন মাছ ধরতে এলেন? আজ তো বৃষ্টি হবে। রাজা তাকে গালি দিয়ে উত্তর দিয়েছিলো ‘মূর্খ, তুই কি জানোস, আমার আধুনিক আবহাওয়া অফিস আমাকে বলেছে আজ কোনো বৃষ্টি হবেনা’। তার কিছুক্ষন পর বৃষ্টি শুরু হয় আর রাজা ভিজে যায়। প্রচন্ড ক্ষেপা রাজা তখন আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় আর সেই মূর্খকে আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান বানিয়ে দেয়। আর সেই থেকেই নাকি দায়িত্ব শীল পদ গুলোতে মূর্খদের বসানোর সূত্রপাত হয়েছিল। যাইহোক অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলি। আজ যার সূত্র ধরে আমি এবং আমার পরিবারকে রাজাকার পরিবার আখ্যায়িত করেছেন তার সম্পর্কে তো আমাকে কথা বলতেই হয়।

    এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। যদি এক কথায় শুনতে চান তাহলে তাকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতেই আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্ব করি। তবে পেশায় ছিল একজন রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন শাস্ত্রে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তাকে নিয়ে আমি গর্ব করি তার পদ পদবীর জন্য অথবা তার ভিআইপি স্ট্যাটাসের জন্য নয়। বরং তার ভিআইপি স্ট্যাটাস যাদের দ্বারা অর্জিত সেই ভিআইপির (পি) অর্থাৎ (পারসন) বা যদি বলি পিপল, যে জনগণের পক্ষে তার সীমাহীন ভালোবাসার জন্য। পার্লামেন্টের পুরনো বইগুলো যদি আপনারা দেখেন, তবে আপনারা অনেককিছুই জানতে পারবেন। ১৯৬২’র দিকে যখন বাংলাদেশ ছিল না, সেসময় পূর্ব-পাকিস্তানের স্বার্থ ও বাঙালীদের পক্ষে দাবী আদায়ে সংসদে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানকে প্রায় সময় চাপ প্রয়োগ করতেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় তিনি যে আওয়াজ তুলেছিলেন তাও এখানে প্রতীয়মান। আজ আপনারা দেখতে পান চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম নাইট কলেজ, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এবং চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যেগুলোর প্রতিটার প্রতিষ্ঠার মধ্যে তার এবং চট্টগ্রামের আরো কয়েকজন গুণী ব্যক্তিত্বের অবদান রয়েছে। যদি প্রমান চান আমি তা তুলে ধরতে পারবো। জনাব চৌধুরী একক প্রচেষ্টায় ১৯৬৩ সালে রাউজান কলেজ এবং ১৯৬২ সালে রাউজানের গহিরায় শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী বেলজিয়ামের ডমিনিক পীয়ের অনুদানে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তির দ্বীপ।

    ফজলুল কবির চৌধুরী, আলহাজ্ব খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরীর ও মাতৃকুল মধ্যযুগীয় মুসলিম মহিলা কবি রহিমুন্নেসার পৌত্রী বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরীর ঔরশে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা (আজকের দিনে যেই পদের অধিকারী আমাদের দেশের বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রৌশান এরশাদ)। প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছিলেন এবং দু দু বার সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রথমে রাউজান রাঙ্গুনিয়া বোয়ালখালীর (১৯৬২) আর পরবর্তীতে রাউজান হাটহাজারীর (১৯৬৫)। কোন রাজনৈতিক দলও করতেন না, বরং স্বতন্ত্রভাবে অন্যান্য স্বতন্ত্র সদস্যদের একত্রিত করে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনি মুসলিম লীগের কেউ ছিলেন না। যেহুতু রাজনীতির সূত্রেই আজ আমার মরহুম দাদা কে তার মৃত্যুর প্রায় অর্ধ শতাধিক বছর পর অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক পরিচয় আমাকে তুলে ধরতেই হলো।

    বিজয়ের মাসে বিজয় দিবসের আগ মুহুর্তে, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে রাউজান কলেজে আমি যাই যা অভিযুক্ত মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেছিল। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাউজান কলেজের শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে বসে আমরা আওয়ামী পরিবার ও ছাত্রলীগের ভাইয়েরা সহ একত্রে রাউজানের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ গল্পগাঁথা শুনছিলাম। রাউজানে তাদের সেই যুদ্ধের পুরনো স্মৃতিগুলি বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর সাহেব বলেন, আজকে আমাদের মাঝে যে বসে আছেন তার দাদা ফজলুল কবির চৌধুরী

    ব্যাক্তিগতভাবে আমাকে ও আমার সহকর্মীদেরকে ১৯৬৫ সালে ফাতেমা জিন্নাহ’র পক্ষে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করায় জেল থেকে মুক্ত করে আনেন। সেসময় থেকে জনাব ফজলুল কবির চৌধুরী আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে থাকেন। এবং বিভিন্নভাবে আমাদের সুযোগ-সুবিধা করে দিতেন। যখন বাড়ী ফিরছিলাম, তখন খবর এলো আমার দাদা ফজলুল কবির চৌধুরী নাকি রাজাকার ছিলেন। এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আমার দাদার নাম তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে।

    যে মন্ত্রণালয় এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে শিখে নি, যে মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার সময় অভিযুক্ত ছিল, সেই মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করলে নিশ্চয় আমার কবিরা গুনাহ হয়ে যাবে না। অভিযোগ যেহেতু করেছেন, এখন তার প্রতিক্রিয়া শোনার সময় এসেছে।
    কল্পনা করা বা স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে অবাস্তব কল্পনা, অবাস্তব চিন্তাভাবনা, বানোয়াট গল্প বলা ভালো নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বাড়ী ছিল চট্টগ্রামের পাথরঘাটায়। বাড়ির নাম ইকবাল ভিল্লা যা কিনা এই অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ী হিসেবে পরিচিত। কথা বলতে গেলে অনেক কিছু চলে আসবে আর লিখতে গেলে এই বাড়ীর অনেক ইতিহাস যা লিখে শেষ করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমার দাদা এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী পাথরঘাটার বাড়ীতে অবস্থান করতেন।

    তার ২য় পুত্রের নাম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, আমার বাবার বড় ভাই, আমার মেঝো চাচা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ২১। তাকে অনেকেই একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর বাঙ্গালীদের পক্ষে অবস্থান করে নিরীহ বাঙ্গালীদের রক্ষা ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। নালাপাড়ার হাজী আবদুর রহিমকে চিনেন কেউ ? চিনে থাকলে নিশ্চই জানবেন যে মেঝো চাচা ১৯৭১ সালের মার্চের শেষ দিকে গান পাউডার নিয়ে টেরীবাজার মিঠা গলিতে গিয়েছিলেন। এবং পরে সেই গান পাউডার ফিরিঙ্গি বাজারের মনাকে দিয়েছিলেন। সেই মনা কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফার ৬ তারা বিশিষ্ট পতাকা ও টুপি ব্যবহার করতেন বলে বর্তমান কাজির দেওরির পাশে অবস্থিত নেভাল একাডেমীর ছাদ হতে আমার দাদার সেই ল্যান্ডক্রুসার গাড়ীটিকে (গাড়ী নং ৮১৪৭) লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পাকিস্তানী আর্মি। সেসময় আমার চাচার সাথে গাড়ীতে ছিলেন এ.কে. খানের জামাতা এম.আর. সিদ্দিকী।

    সেই ল্যান্ড ক্রুসার গাড়ী ছিল যার গাড়ী নং ৮১৪৭ ব্যবহার করে আমার চাচা ফজলে রাব্বি চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষক সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের তাদের নিজ বাসায় নিরাপদে নামিয়ে দিয়ে আসতেন। এই সকল ঘটনার সাক্ষী দিবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ জাহান খান রুশনীর ভাই জার্মান প্রবাসী রুমু। শুনেছি যুদ্ধের সময় চাচা একদিন চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় রিকসা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ৪ জন নিরীহ বাঙালীকে ধরে পাকিস্তানী ৩ জন আর্মি ব্যাপক মারধর করছিল। সে সময় তিনি রিকসা থেকে নেমে পাকিস্তানী আর্মির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং নিরীহ সেই বাঙালীদের উদ্ধার করেন। এর কিছুদিন পর চট্টগ্রাম শহর থেকে রাউজান যাওয়ার পথে কয়েকজন হিন্দুকে পাকিস্তানী আর্মিরা ধরে নিয়ে যেতে দেখলে জনাব ফজলে রাব্বি চৌধুরী গাড়ী থেকে নেমে সেসব হিন্দুদের রক্ষা করে নিরাপদে বাড়ীতে পৌঁছে দেন। বলি শামসুর নাম অনেকেই শুনেছেন, বিশেষ করে যারা তৎকালীন ইতিহাস সম্পর্কে অবগত আছেন। বলি শামসুও আমার চাচার সাথে গাড়ীতে থাকতেন। তার ভাই মাহবুবও গাড়ীতে থাকতেন। তারা যুদ্ধ কালীন সময় আমার চাচার ভূমিকার সাক্ষী দিবেন যদি বেঁচে থেকে থাকে। চাচার কথা বলার পিছে কারণ আছে। চট্টগ্রামের মানুষ ভালো করে জানে যে আমাদের সেদিকে একটি সংস্কৃতি আছে। বাপ বিষ খেলে ছেলেও বিষ খেতে চাই। অর্থাৎ বাপ ছাড়া ছেলে এক পা দিতে অসঙ্গতি প্রকাশ করেন।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালীর মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার আমার দাদাকে ৮ জন রাষ্ট্রীয় পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা প্রদান করতো। যেহেতু আমার দাদার আপন ছোট ভাইয়ের নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী এর রেশ ধরে পরিবারের অন্য কারো যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্স সহ বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেন তখন কার সরকার। এই কথার প্রমান ও সাক্ষী দুটি আছে। রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরীর সন্তান সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করলে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় এবং এর আগে থেকেই পাকিস্তান সরকারের বাঙালীদের প্রতি নিপীড়ন ও শোষণমূলক আচরণের প্রতি ইংগিত করে জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী বলতেন, “শুধুমাত্র বন্দুকের নল দিয়ে দেশ শাসন করা যায় না, পাকিস্তানের নিষ্ঠুরতম আচরণের জন্য একদিন কঠিন মাশুল দিতে হবে।” তিনি পাকিস্তান সরকারের অন্যায়-শোষণকে কখনো মেনে নিতে পারেন নি।বাঙ্গালীদেরকে সবসময় তিনি সহযোগিতা করতেন। সেই সময় শ্রী শ্রী বর্মন নামে একজন হিন্দু ব্যক্তিকে তিনি পাথরঘাটার বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। যিনি ভারতের তৎকালীন একটি ব্যাংকে চাকরী করতেন।

    ফজলুল কবির চৌধুরী যদি রাজাকার হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, মন্ত্রী, মেয়র, দলের সাধারণ সম্পাদক, সরকারী-বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গুণী ব্যক্তিত্বরা, যারা কিনা অনেকে নিজেরাই মুক্তিযোদ্ধা, তারা কি রাজাকারের কবর জিয়ারত করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন এতদিন ? ফজলুল কবির চৌধুরী যদি রাজাকার হয়ে থাকে তবে কি একজন রাজাকারকে জাতির পিতার সরকার নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল ? তিনি যদি রাজাকার হয়ে থাকেন তবে কি একজন রাজাকারের লাশ জাতির পিতার নির্দেশে সেসময় সরকারের বিশেষ বিমান করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আনা হয়েছিল ?

    তবে কি মন্ত্রণালয়ের গেজেটেড ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার ছিল কারণ তার মেয়ে অন্য রাজনৈতিক দল করে বলে? তবে কি যেই ট্রাইবুনাল দ্বারা যুদ্ধ অপরাধের বিচার করলেন, সেই ট্রাইবুনালের কৌঁসুলি রাজাকার ছিল ? তবে কি বঙ্গবন্ধুর সাথে একই মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মুজিবুল হক ও রাজাকার ছিল ? তবে কি বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাই ও রাজাকার ছিল ? উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী ?