Tag: এম.আর সিদ্দিকী

  • স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এমআর সিদ্দিকীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এমআর সিদ্দিকীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    কামরুল ইসলাম দুলু: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশে লায়নিজমের জনক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, এম আর সিদ্দিকীর ৩২তম মৃত্যুবাষির্কী আজ ৬ ফেব্রুযারী। পুরো নাম মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী যিনি সারা দেশব্যাপী এম আর সিদ্দিকী নামে সর্বত্র পরিচিত।

    ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতনগর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন। এম.আর সিদ্দিকী জাতীয় রাজনীতিতে ছিলেন সফল ব্যক্তিত্ব। ১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। সীতাকুণ্ড থানা থেকে এমআর সিদ্দিকীর পূর্বে কেউ পাকিস্তানের জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হননি। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী রূপে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

    তাঁকে বাংলাদেশের লায়নিজম চর্চার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। জীবনে তিনি বহু শিল্প কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে পড়ে তোলেন। সীতাকুণ্ডের মধ্যাংশে কোন কলেজ না থাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ১৯৯২ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    তাঁর মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষ্যে নেয়া হয়েছে দিনভর নানা কর্মসূচি।

  • স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী লায়ন এম আর সিদ্দিকী’র ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী লায়ন এম আর সিদ্দিকী’র ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও শিল্পপতি লায়ন মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর (এম আর সিদ্দিকী) ২৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারী)। এ উপলক্ষে মরহুমের পারিবারিক আয়োজনে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিলসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    এ ছাড়া সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তক অর্পণ দোয়া কামনা করা হবে। মরহুম এম আর সিদ্দিকী ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ-রহমতনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন। এম.আর সিদ্দিকী ১৯৫৫ সালে জেমস ফিনলে পি.এল.সি-এর মুখ্য হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির (বর্তমানে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের শাখা) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি এ.কে খান জুট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

    তিনি ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল মটরস লিমিটেড, ক্রিসেন্ট মটরস লিমিটেড, ১৯৬৮ সালে থেরাপিউটিক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং ১৯৬৯ সালে এস.কে.এম জুট মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে তিনি সিডকো লিমিটেড এবং ১৯৮৫ সালে সিডকো (গার্মেন্টস বিভাগ) লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের (বর্তমানে পূবালী ব্যাংক) স্পন্সর পরিচালক এবং আল বারাকা ব্যাংক বাংলাদেশের (অধুনা বিলুপ্ত, বর্তমানে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড) ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

    এম.আর সিদ্দিকী ১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ১৯৬৪-১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। চট্টগ্রামের প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তাঁকে পূর্বাঞ্চলীয় জোনাল কম্যান্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। বিদেশে প্রবাসী সরকারের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি জুলাই মাসে আমেরিকা সফর করেন। ১৯৭২ সালে এম.আর সিদ্দিকী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য ও বৈদেশিক ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে ১৯৭৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স এবং পশ্চিম জার্মানি সফর করেন। এ সময় তিনি কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে পাকিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এ সকল দেশের সমর্থন ও সহায়তা অর্জনে সফল হন। ১৯৭৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৮০ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এম.আর সিদ্দিকীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এম.আর সিদ্দিকীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    কামরুল ইসলাম দুলু : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, এম আর সিদ্দিকীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৬ ফেব্রুয়ারী।

    তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লায়ন্স ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার উদ্দোগে নগরীর খুলশীস্থ লায়ন্স ফাউন্ডেশনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    তাঁর পুরো নাম মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী যিনি সারা দেশব্যাপী এম আর সিদ্দিকী নামে সর্বত্র পরিচিত। ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতনগর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন। এম.আর সিদ্দিকী জাতীয় রাজনীতিতে ছিলেন সফল ব্যক্তিত্ব। ১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।

    সীতাকুণ্ড থানা থেকে এম.আর সিদ্দিকীর পূর্বে কেউ পাকিস্তানের জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হননি। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

    বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী রূপে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

    তাঁকে বাংলাদেশের লায়নিজম চর্চার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। জীবনে তিনি বহু শিল্প কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে পড়ে তোলেন।

    সীতাকুণ্ডের মধ্যাংশে কোন কলেজ না থাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ১৯৯২ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।