Tag: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

  • ইপিজেডে গাড়ি নামবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে

    ইপিজেডে গাড়ি নামবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে

    নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইপিজেড এলাকায় র‌্যাম্প নির্মাণ অবশেষে শুরু হচ্ছে। গতকাল এক্সপ্রেসওয়ের এ্যালাইনমেন্টে থাকা ৬০টি দোকান উচ্ছেদ করে র‌্যাম্প নির্মাণের জায়গা করে নেয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র‌্যাম্প নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে বলে সিডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে।

    নগরীর যান চলাচলে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ফ্লাইওভারে কানেকটিভিটি বাড়ানোর জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে র‌্যাম্প নির্মাণের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে টাইগার পাসের আমবাগান রোড এবং লালখান বাজারে র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জিইসি মোড়ের র‌্যাম্পের নির্মাণ কাজ বাওয়া স্কুলের ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে একমাসের বেশি সময় বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ছাত্রীদের র‌্যাম্পটির গুরুত্ব বুঝানোর পর তারা আন্দোলন থেকে সরে আসলে র‌্যাম্প নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়। এর আগে গাছ কাটা পড়ার কারণে টাইগার পাসের কদমতলীমুখী র‌্যাম্প নির্মাণের কার্যক্রম আন্দোলনের মুখে বন্ধ করে সিডিএ। নগরীর ইপিজেড এলাকায় শহর থেকে নামার র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেয় সিডিএ। কিন্তু ইপিজেড মুখের তরকারি বাজারের পাশের দোকানগুলোর জন্য কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছিল না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এ্যালাইনমেন্টের ভিতরে থাকা দোকানগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য দফায় দফায় বলা হলেও ব্যবসায়ীরা দোকান সরাননি। এতে করে সিডিএ র‌্যাম্প নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েও কাজ শুরু করতে পারছিল না। অবশেষে গতকাল দিনভর অভিযান চালিয়ে সিডিএ ওখানকার ৬০টি দোকান উচ্ছেদ করে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিডিএ ইপিজেড এলাকায় র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। তিনি জানান, দোকানগুলো র‌্যাম্প নির্মাণের অন্তরায় ছিল। আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করেছি। এখন র‌্যাম্প নির্মাণে আর কোনো বাধা থাকলো না। এই র‌্যাম্প ব্যবহার করে শহরের দিক থেকে যাওয়া গাড়ি ইপিজেডে নামতে পারবে।

    গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প নির্মাণের অংশে অবৈধ ভাবে এসব দোকান গড়ে তুলেছিল স্থানীয়রা।

    উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমের নির্দেশে র‌্যাম্প নির্মাণের অংশে অবৈধ দোকানসহ অন্যান্য স্থাপনা সমূহ উচ্ছেদ করা হয়।

    এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে উপস্থিত ছিলেন মূল্যায়ন চউক কর্মকর্তা আলমগীর খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. মোর্শেদুল হক চৌধুরী, উপ সহকারী প্রকৌশলী সুমন চৌধুরী, উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক এ এস এম মিজান, মো. শাহাদাত হোসেন, সার্ভেয়ার চৌধুরী মো. কাইছার, তোফাজ্জল হোসেন, পেশকার ফয়েজ আহমেদ, লিটন চন্দ্র দাস, মিথু চৌধুরী।

    অপরদিকে ইপিজেডের ভিতর থেকে শহরের দিকে আসার জন্য একটি র‌্যাম্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যুক্ত হবে।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ হয়েছিল। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরু হয়েছে।

  • চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

    চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

    চট্টগ্রাম নগরের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট যান চলাচলের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই প্রথম প্রাণহানির ঘটনা।

    শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের ইপিজেড সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

    নিহত দুজন হলেন রুবেল (৩৬) ও মোক্তার (২৮)। দুজনের বাড়ি নগরীর সদরঘাট এলাকায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটির নম্বর চট্ট মেট্রো-ল ১৭-৪৩১৮।

    নগরীর ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আখতারুজ্জামান ঘটনার বিষয়ে বলেন, মোটরসাইকেলটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে লালখান বাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে, মোটরসাইকেলটি যখন ফ্লাইওভারের ফ্রী পোর্ট এলাকায় বাঁক নেয় তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    এতে মোটরসাইকেলে থাকা ২ জনের মধ্যে ১ জন ফ্লাইওভারটির বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলে যায়। অপরজন ফ্লাইওভারে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই ২ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে নিহত ২ জনকে উদ্ধার করে।

    মরদেহগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতে এক্সপ্রেসওয়েতে অসংখ্য মোটরসাইকেল রেসিং শুরু করে। তাদের বেপরোয়া রেসিং এক্সপ্রেসওয়েকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। গত রাতেও অনেক মোটরবাইক এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়াভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে।

  • যেসব সুফল মিলবে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে

    যেসব সুফল মিলবে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে

    চট্টগ্রামে প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়েতে আসা-যাওয়া করেছেন সাধারণ মানুষজন।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অবশিষ্ট কাজ শেষ হলে নগরবাসীর জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে লালখানবাজারে পৌঁছাতে বর্তমানে দুই-তিন ঘণ্টা লাগছে। তখন সময় লাগবে ২০ মিনিট। এ উড়াল সড়কের কারণে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে অনেক জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। মাতারবাড়ীতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে, সেটাও এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে উপকৃত হবে।

    চউক সূত্র জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল ফ্লাইওভারের প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। নগরীর পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ৫৪ ফুট প্রসস্ত ও চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে ১৫টি র‌্যাম্প।

    এরমধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় দুটি র‌্যাম্প থাকবে। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

    এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে আটটি ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে নগরবাসী।

    সিডিএ কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে শহরের নতুন রোড নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে অবস্থিত সিইপিজেড, কেইপিজেডের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় শহরের ভেতরে যানজট কমবে।

    চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ২০ মিনিটে যাত্রীরা বিমানবন্দরে যেতে পারবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে।

    দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানজট সমস্যা কমবে। মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতের সময় সাশ্রয় হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন।

  • চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আজ

    চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আজ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পর চট্টগ্রামে উদ্বোধন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে এই প্রকল্পসহ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রকল্প চারটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৬ হাজার কোটি টাকা। অন্য দুটি প্রকল্প হলো– বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক প্রকল্প।

    সিডিএর প্রকল্প তিনটির নামকরণ হয়েছে– ‘মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ ফ্লাইওভার’, ‘জানে আলম দোভাষ সড়ক’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সড়ক’। এসব প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে নগরীর পতেঙ্গায় সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছে সিডিএ।

    প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের ফলে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে যানজট দূর হবে। নগরীর মূল কেন্দ্র থেকে ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছা যাবে, এখন সেখানে যেতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি।

    নগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। নির্মাণ হয়নি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার র‍্যাম্প। তাই উদ্বোধন হলেও এতে যান চলাচল শুরু হবে না। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন হয়। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

    এই প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর চট্টগ্রামের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এটি শুধু চট্টগ্রাম নয়, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের বিমানবন্দরগামী লোকজনের যাতায়াত সহজ করবে।’

    যাতায়াত সহজ করবে বায়েজিদ সংযোগ সড়ক

    প্রায় এক দশক আগে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড থেকে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেয় সিডিএ। ২০১৩ সালের অক্টোবরে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭২ কোটি টাকা এবং মেয়াদ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর পর কয়েক দফা সময় ও ব্যয় বাড়ে। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে ঢাকা থেকে আসা যানবাহন চট্টগ্রাম নগরে না ঢুকে সরাসরি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তর চট্টগ্রামে যেতে পারে।

    বাকলিয়া সংযোগ সড়ক

    ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাকলিয়া সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় চউক। ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একনেকে প্রকল্পটি পাস হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ২২০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সড়কটি নগরের সিরাজউদ্দৌলা সড়কের চন্দনপুরার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশ থেকে শুরু হয়ে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কে গিয়ে শেষ হয়েছে।

    চালু হবে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

    চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নকশা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করে দেশি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এর কাজ শেষ হয়। বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ড্রাইডক ও বোটক্লাবের মাঝে ২৬ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল। এটি চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (পানির নিচে জাহাজের গভীরতা) জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জন করবে। একই সঙ্গে জাহাজ চলাচলের দূরত্ব কমবে।

  • চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

    চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

    আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে উদ্বোধন হবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়ক।

    কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল উদ্বোধনের পর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। যাতায়াত ব্যবস্থায় দুই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের পরই আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের আরেক মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আপাতত এই অংশ খুলে দেওয়া হবে। তবে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাকি সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

    প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। নির্বাচনের আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া চট্টগ্রামবাসীর জন্য সরকারের উপহার। এটি চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে। তবে দিতে হবে নির্ধারিত হারে টোল। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় টানেলমুখী যানবাহনের চাপ সামলাতে এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা।

    সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি।

    নগরীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেক সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া এই অবকাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্র জানায়, যৌথভাবে নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র‌্যাঙ্কিন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মোট নির্মাণ ব্যয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।

    উল্লেখ্য, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মূলত শাহ আমানত সেতু থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতায় চলে আসবে। শাহ আমানত সেতু থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগ ছয় লেনের একটি রোড নির্মাণ করেছে। এতে সড়কে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারে। আর সেই রোড দিয়ে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে যুক্ত রয়েছে। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যাবে পতেঙ্গা সৈকত হয়ে টানেল দিয়ে নদীর ওপারে কিংবা ঢাকামুখী আউটার রিং রোডে যুক্ত হওয়া যাবে।

  • সেপ্টেম্বরে চালু হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ওবায়দুল কাদের

    সেপ্টেম্বরে চালু হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ওবায়দুল কাদের

    হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।

    আজ (শনিবার) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিৰ্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।

    প্রথম ধাপে কাওলা থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭.৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫.৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকিটা।

    তিনি বলেন, প্রকল্পের ভৌত কাজের প্রথম ধাপে ১৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৯৭.২৮ শতাংশ।

    প্রকল্পের ভৌত কাজের দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৬৩৩টি পাইল, ৩৩৫টি পাইল ক্যাপ, ৩২৩টি কলাম, ৩২০টি ক্রস বিম, ২ হাজার ৩০৫টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৪৪টি আই গার্ডার এবং ২৩৩টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৫৪.২২ শতাংশ।

    এছাড়া প্রকল্পের ভৌত কাজের তৃতীয় ধাপে অগ্রগতি ৫.৬৭ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩.২০ শতাংশ।

  • এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতিতে মন্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ

    এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতিতে মন্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ

    চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ দুপুরে সিমেন্ট ক্রসিংয়ে নিমাণাধীন ইলেভেট এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করেন। এসময় প্রশাসক সুজন মন্ত্রীকে চলমান কাজের বিভিন্ন দিক অবহিত করেন।

    পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে নগরী থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পরিবহন যাতায়াত সহজ হবে। তাছাড়া যানজটের ভোগান্তি থেকে বিমানের যাত্রীরা মুক্তি পাবেন।

    তিনি চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এতে চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরো নতুন নতুন প্রকল্প প্রাপ্তির পথ সুগম হবে। এসময় চসিকের কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম