Tag: এশিয়া কাপ

  • এশিয়া কাপ আর্চারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়

    এশিয়া কাপ আর্চারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়

    চাইনিজ তাইপেতে এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং আরচারি টুর্নামেন্ট স্টেজ-১ এ স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ।

    রবিবার (১৯ মার্চ) রিকার্ভ মিশ্র দৈতের ফাইনালে দিয়া সিদ্দিকী ও হাকিম আহমেদ রুবেলের সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ ৫-৩ সেট পয়েন্টে হারিয়েছে কাজাখস্তানকে।

    হাকিম আহমেদ রুবেলের সঙ্গে দেশসেরা নারী আরচার দিয়া সিদ্দিকীর জুটি সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫-১ সেট পয়েন্টে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। এর আগে কোয়ার্টারফাইনালে বাংলাদেশ ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়েছিলো মালয়েশিয়াকে।

    এ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৯ সদস্যের দল। ১০ ইভেন্টের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে রিকার্ভ পুরুষ একক, রিকার্ভ মহিলা একক, রিকার্ভ পুরুষ দলগত, রিকার্ভ মিশ্র দলগত, কম্পাউন্ড পুরুষ একক, কম্পাউন্ড মহিলা একক এবং কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে।

     

  • এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

    এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

    ফাইনালের আগে বেশ আলোচনা হচ্ছিল টস নিয়ে। ইতিহাস বলছিল, টস জিতলেই যে আরব আমিরাতের মাটিতে ম্যাচ জেতা হয়ে যায় অনেকটাই! সেই টসে আজ জিতেছিল পাকিস্তান, নিয়েছিল ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত। টুর্নামেন্টে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া, এরপর রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার যে ধারা চলে আসছিল, তাতে পাকিস্তানের জয়টাকেই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য নিয়তি।

    বিশেষ করে ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারের পর তো বটেই! তবে সব পাশার দান উল্টে দিয়ে অবশেষে শ্রীলঙ্কাই জিতেছে আজ, তাতে পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে এশিয়া কাপটাও ষষ্ঠবারের মতো উঠে গেছে লঙ্কারদের ট্রফি কেসে।

    কথায় বলে, উঠন্তি মুলো নাকি পত্তনেই চেনা যায়। তবে আজকের ম্যাচে সেটা চেনা যায়নি মোটেও। শুরুর ওভারে নাসিম শাহর কুশল মেন্ডিসের ওভাবে স্টাম্প উপড়ে ফেলা, এরপর পাওয়ারপ্লেতে হারিস রউফের গতির কাছে লঙ্কান টপ অর্ডারের মুখ থুবড়ে পড়া দেখে কে ভেবেছিল শেষ হাসিটা হাসবে শ্রীলঙ্কা?

    একজন অন্তত ভেবেছিলেন; শুধু ভাবেনইনি, স্রোতের বিপরীতে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েও গিয়েছিলেন। তথৈবচ এক পাওয়ারপ্লের পর ১০ ওভারের আগেই ৫ উইকেট খোয়ানো শ্রীলঙ্কাকে ভানুকা রাজাপাকশেই কক্ষপথে ফিরিয়েছেন দারুণ প্রতি আক্রমণের কৌশলে।

    শুরুতে ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গার সঙ্গ পেয়েছিলেন, ২১ বলে তার ৩৫ রানের ইনিংস বলছে, প্রতি আক্রমণের গোড়াপত্তনে তার ভূমিকাটাও কম নয়। তবে দলীয় ১১৬ রানে তিনি যখন ফিরলেন, এরপর লঙ্কানদের ইনিংসটা প্রায় একাই টেনেছেন ভানুকা। শাদাব খানের কল্যাণে দুবার ‘জীবন’ পেয়েছেন বটে, তবে এরপর তিনি দেখিয়েছেন কী করে ফেরত পাওয়া জীবন কাজে লাগাতে হয়। ৪৫ বল খেলে তিনি করেছেন ৭১ রান, তাতেই পাকিস্তানের সামনে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় লঙ্কানরা।

    লঙ্কানদের শিরোপাজয়ের উঠন্তি মুলোটা চেনা যায়নি পাক ইনিংসের শুরুতেও। দিলশান মাদুশাঙ্কার করা প্রথম ওভারে যে কোনো বৈধ বল মাঠে গড়ানোর আগেই যে পাক স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে গিয়েছিল ৯ রান!

    ফাইনালের মতো মঞ্চে এমন শুরু যে কোনো দলকেই ভড়কে দিতে যথেষ্ট। তবে লঙ্কানদের পারেনি। তাদের যে একজন প্রমোদ মাদুশান ছিলেন! তার কল্যাণেই পঞ্চম ওভারে বাবর আজমকে তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা, এক বল পর ফখর জামানকেও।

    সেই জোড়া ধাক্কা সামলাতে ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান আর চারে নামা ইফতিখার আহমেদ রীতিমতো খোলসেই ঢুকে পড়েছিলেন। পাকিস্তান উইকেট খোয়াচ্ছিল না বটে, কিন্তু আস্কিং রেটটা তখন বেড়ে যাচ্ছিল চড়চড় করে। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে যখন ইফতিখার ফিরছেন ওয়ানডে মেজাজে ৩১ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে, তখন পাকিস্তানের রান তিন অঙ্কই ছোঁয়নি।

    ৪০ বলে তখন দলের দরকার ছিল ৭৮ রান। এমন পরিস্থিতি থেকে পাকিস্তান ভারতের বিপক্ষেই ম্যাচ বের করেছে সুপার ফোরে। ধারণা করা হচ্ছিল, আজও বুঝি ওভাবেই উতরে যাবে বাবরের দল। তবে আজ আর সম্ভব হয়নি, পাকিস্তানের মিডল অর্ডার চাপের মুখে ভেঙে পড়েছে রীতিমতো তাসের ঘরের মতো। ৩২ রানের ব্যবধানে খুইয়েছে সাত উইকেট; আগের সব ম্যাচের নায়ক আসিফ আলী, শাদাব খান, খুশদিল শাহরা রিক্ত হাতে ফিরেছেন আজ, পাকিস্তানের হারটা অবধারিত হয়ে গেছে তখনই। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার, শেষ বলে হারিস রউফকে বোল্ড করে সেটাও সেরেছেন চামিকা করুণারত্নে, ১৪৭ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ২৩ রানের জয় নিয়ে শ্রীলঙ্কা মাতে শিরোপার উৎসবে। আর পাকিস্তানের এশিয়া কাপ শিরোপার অপেক্ষাটা বাড়ে আরও।

  • শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে পাকিস্তান

    শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে পাকিস্তান

    শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১১ রান, হাতে ছিল ১ উইকেট। বোলার ছিলেন ফজলহক ফারুকি, যিনি কিনা শুরুর ওভারে বাবর আজমকে ফিরিয়েছিলেন দারুণ এক বলে, রানের খাতা খোলার আগেই!

    এ অবস্থায় পরিষ্কার ফেভারিট ছিল আফগানিস্তানই। সেই অবস্থা থেকে পাকিস্তান হাসল শেষ হাসিটা। কারণ বাবরদের দলে যে একজন নাসিম শাহ ছিলেন!

    শেষ ওভারের শুরুতে তার টানা দুই ছক্কাতেই সব রোমাঞ্চের ইতি ঘটল, এশিয়া কাপে ইতিহাসের অন্যতম শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষে ১ উইকেটের জয় পেল পাকিস্তান, নিশ্চিত করে ফেলল ফাইনাল। সঙ্গে সঙ্গে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতেরও।

    বাবরদের সামনে আফগানরা লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ১৩০ রানের। শেষ ম্যাচেই যারা ১৮১ রান তাড়া করে জিতেছে, তার আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে, তাদের জন্য এ আর এমন কী লক্ষ্য ছিল এই রান!

    তার ওপর পাকিস্তানের সঙ্গী ছিল আরও একটা ফ্যাক্টও, এবারের এশিয়া কাপে যে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলই যে শেষে ব্যাট করে হারেনি একটা ম্যাচও!

    পরে ব্যাট করা পাকিস্তানের কাজটা কঠিন করে তোলার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। সেটা তার দল করেছে একেবারে শুরু থেকেই। রানের খাতা খোলার আগেই বাবর আজমকে ফেরান ফারুকি।

    এরপর ফখর জামানও ফেরেন দলীয় ১৮ রানে। এবারের এশিয়া কাপে দারুণ পারফর্ম করা মোহাম্মদ রিজওয়ানও যখন ফিরলেন ব্যক্তিগত ২০ রানে, পাকিস্তান তখনো জয় থেকে ৮৫ রান দূরে! খানিকটা অস্বস্তি তখন বাবরের দলকে জেঁকে ধরেছিল বৈকি!

  • রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ভারতকে ‌হারিয়ে ফাইনালে এক পা শ্রীলঙ্কার

    রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ভারতকে ‌হারিয়ে ফাইনালে এক পা শ্রীলঙ্কার

    বিনা উইকেটে ৯৭ রান। সেখান থেকে ১১০ তুলতেই নেই ৪ উইকেট। দারুণ শুরুর পরও হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় বোলাররা বেশ চেপে ধরেছিলেন শেষদিকে এসে।

    তবে ভারতের শেষ রক্ষা হয়নি। এক বল হাতে রেখে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ৬ উইকেটের এই জয়ে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে ফেলেছে দাসুন শানাকার দল।

    ভারতেরও প্রায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। যদিও কাগজে কলমে এখনও সম্ভাবনা বেঁচে রয়েছে রোহিত শর্মার দলের। সেজন্য তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর দিকে। পাকিস্তান আর আফগানিস্তান একটি করে ম্যাচ জিতলে রানরেটে তাদের পেছনে ফেলার সুযোগ থাকবে ভারতের।

    শেষ ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৬৪। টানা দুই ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে লড়াই বাঁচিয়ে রাখেন ভানুকা রাজাপাকসে। তিন ওভারে ৩৩ যখন দরকার, শানাকা হাঁকান একটি ছক্কা।

    ফলে শেষ ১২ বলে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য লাগে ২১ রান। ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে তৃতীয় আর চতুর্থ বলে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা। শেষ ওভারে থাকে ৭ রান।

    অর্শদীপ সিং চাপের মুখে দারুণ বোলিং করেন। প্রথম চার বলে দেন মাত্র ৫। এমন মুহূর্তে পঞ্চম বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি শানাকা, তবে রানের জন্য দৌড় ঠিকই দেন। উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্ত বল হাতে নিয়ে ননস্ট্রাইকে থ্রো করেন। সেখান থেকে আরও এক রান বাই। বাই ২ রান নিয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটিতে জয়ের উল্লাসে মাতে লঙ্কানরা।

    লক্ষ্য ছিল ১৭৪ রানের। প্রথম দুই ওভারে দেখেশুনে শুরু করেন লঙ্কান দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস আর পাথুম নিশাঙ্কা। তোলেন মাত্র ৮ রান। তবে কিছুটা সেট হয়েই তাণ্ডব শুরু করেন তারা।

    পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে শ্রীলঙ্কা বিনা উইকেটে তোলে ৫৭ রান। জুটিটা টিকেছে ১১ ওভার পর্যন্ত। ১২তম ওভারে ভারতীয় সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। জোড়া উইকেট তুলে নেন ৪ বলের মধ্যে।

    মেন্ডিস-নিশাঙ্কার ৬৭ বলে ৯৭ রানের ঝোড়ো জুটিটি ভাঙে ওভারের প্রথম বলেই। ফিফটি হাঁকানোর পরই রিভার্স সুইপ করতে যান নিশাঙ্কা, ধরা পড়েন রোহিতের হাতে। ৩৭ বলে ৪ চার আর ২ ছক্কায় নিশাঙ্কা করেন ৫২।

    এর দুই বল পর সুইপ করতে গিয়ে টপএজ হন নতুন ব্যাটার চারিথা আসালাঙ্কা (০)। বিনা উইকেট থেকে ৯৭ রানে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর দানুশকা গুনাথিলাকাও সুবিধা করতে পারেননি। ৬ বল খেলে মাত্র ১ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হন তিনি।

    পরের ওভারে চাহাল ফেরান সেট ব্যাটার কুশল মেন্ডিসকে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তিনি এলবিডব্লিউ করেন কুশলকে। ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫৭ রানে সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার।

    শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার যেভাবে শুরু করেন, তাতে ভারত পাত্তাই পাচ্ছিল না। ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা। কিন্তু সেখান থেকে ১৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলঙ্কা।

    তবে ভানুকা রাজাপাকসে আর দাসুন শানাকা পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। শানাকা ১৮ বলে ৩৩ আর রাজাপাকসে ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

    এর আগে শুরুতে ভারতের ১২ রানে ছিল না ২ উইকেট। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলে দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পরই ফের ভারতকে চেপে ধরেন লঙ্কান বোলাররা।

    ১৩তম ওভারে ২ উইকেটে ছিল ১১০ রান। সেখান থেকে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানের পুঁজি পেলো ভারত। রোহিতের ঝড়ো ফিফটির পরও প্রত্যাশিত সংগ্রহ পাওয়া হয়নি দলটির।

    দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি ভারতের। টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।

    শানাকার এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরেন লঙ্কান বোলাররা। ১২ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে রোহিত শর্মার দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে থিকশানার ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন লোকেশ রাহুল (৬)। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি।

    পরের ওভারেই বিরাট কোহলি ফেরেন শূন্য রানে। দিলশান মধুশঙ্কাকে ক্রস খেলতে গিয়ে পুরো লাইন মিস করে বোল্ড হন তিনি। বিপদে পড়ে ভারত।

    সেই বিপদ দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেন রোহিত শর্মা। সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক, ৩২ বলেই করেন ফিফটি।

    নবম ওভারেই অবশ্য ফিরতে পারতেন রোহিত। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এক্সট্রা কভারে হাঁকাতে গেলে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিতে যান শানাকা। কিন্তু এক হাতে বল পেলেও লঙ্কান অধিনায়ক কঠিন সে ক্যাচ রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪১ রানে বেঁচে যান রোহিত।

    সেই রোহিত ফিফটি করার পরও অনেকটা সময় চালিয়ে খেলেছেন। অবশেষে ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাকে সাজঘরের পথ দেখান পেসার চামিকা করুনারত্নে। ৪১ বলে গড়া রোহিতের ৭২ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার আর ৪ ছক্কার মার।

    রোহিত ফেরার পর দ্রুত আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। ১৫তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই মারকুটে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তার বাউন্সি ডেলিভারি শর্ট থার্ডম্যান দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন সূর্য।

    কিন্তু টাইমিং না হওয়ায় ক্যাচ উঠে যায়। ২৯ বলে ৩৪ করে ফেরেন এই হার্ডহিটার। ৯ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে ভারত।

    হার্দিক পান্ডিয়া শুরুটা করেছিলেন ভালো। ১৮তম ওভারে শানাকাকে বড় এক ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ওভারে তাকে তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। ডিপ মিডউইকেটে হার্দিক ধরা পড়েন ১৩ বলে ১৭ করে।

    ওই ওভারে আরও একটি উইকেট পড়তে পারতো। শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন নতুন ব্যাটার দীপক হুদা। কিন্তু রিপ্লে দেখে বাউন্সি ডেলিভারিটি ‌‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। ওই জীবন পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি দীপক।

    পরের ওভারে লেগস্টাম্প উম্মুক্ত করে মধুশঙ্কাকে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি এই ব্যাটার (৪ বলে ৩)। এক বল পর পান্তও বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়ে যান পুল খেলতে গিয়ে (১৩ বলে ১৭)। ১৯তম ওভারটিতে সবমিলিয়ে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মধুশঙ্কা।

    চামিকা করুনারত্নের করা ইনিংসের শেষ ওভারে এক উইকেট হারালেও অশ্বিনের ছক্কায় ১২ রান তুলে নেয় ভারত। অশ্বিন ৭ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

    মধুশঙ্কাই লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার।

  • ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের পথে পাকিস্তান

    ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের পথে পাকিস্তান

    এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের কাছে পরাজয় বরণ করলেও শেষ চারের ম্যাচে এসে জয় তুলে নিয়েছে বাবর আজমের দল। দুবাইয়ের মাটিতে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার পথে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

    ম্যাচের শুরুতে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবরকে হারায় পাকিস্তান। তবে সাময়িক বিপর্যয় সামলে নেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ফখর ১৫ রান করে ফিরে গেলে রিজওয়ানকে সাথে নিয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ দ্রতু টর্নেডো এক ইনিংস খেলেন। ২০ বলে ৪২ রান করে নেওয়াজ ফিরে গেলে দায়িত্ব পড়ে রিজওয়ানের কাঁধে।

    তবে ব্যক্তিগত ৭১ রান করে রিজওয়ান ফিরে গেলে জয়ের আশা ক্ষীণ হয় খানিকটা পাকিস্তানের জন্য। তবে সব শঙ্কাকে উড়িয়ে আসিফ আলি ও খুশদিল শাহর ছোট ক্যামিওতে ১ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।

    এর আগে দিনের শুরুতে ভারত যেভাবে শুরু করেছিল তাদের ইনিংস, তাতে ২০০ রান তো বটেই, ২২০-২২৫ কেও মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। তবে এরপরই পাকিস্তান লাগাম টেনে ধরে। বিরাট কোহলি অবশ্য একপাশ আগলে রেখেছিলেন, তাতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারণের দ্বিতীয় কিস্তিতে ১৮১ রানের লড়াকু এক পুঁজি পেয়ে গেছে ভারত।

    আজ টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ব্যাট করতে পাঠান ভারতকে। ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুটা ভালোই করেছিল। ৫ ওভার শেষেই তুলে ফেলে ৫৪ রান। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে রোহিত শর্মাকে হারায় দলটি। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন কোহলি। এসেই ফিরতে দেখলেন রাহুলকে। দুই ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে যায় ভারত।

    এরপর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়ে সে চাপটা খানিকটা সামাল দেন কোহলি। তার বিদায়ের পর ঋষভ পান্তের সঙ্গে ৩৫ রানের আরেকটা ছোট্ট জুটি গড়েন কোহলি। দলীয় ১২৬ রানে ফেরেন পান্ত। এর একটু পরে হার্দিক পান্ডিয়াকেও ফিরে যেতে দেখেছেন কোহলি।

    তবে এক পাশ আগলে রেখে তিনিই ভারতকে দেখিয়েছেন লড়াকু রানের দিশা। এরপর ১৮তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ হাসনাইনকে কাউ কর্নার দিয়ে ছক্কা মেরে পূরণ করেন ফিফটি।

    ওপাশে অবশ্য উইকেট যাচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতেই। দীপক হুডাও ফেরেন ১৬ রান করে। শেষ ওভারে কোহলির ইনিংস শেষ হয় রানআউটের কাটায়। ফেরার আগে ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে রবি বিষ্ণোইয়ের দুই বলে দুই চারে করা ৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৮১ রানের পুঁজি পেয়ে যায় ভারত।

  • সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার শুভসূচনা

    সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার শুভসূচনা

    গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। হেরেছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এবার যেন সেই হারের ‘প্রতিশোধ’ নিলো লঙ্কানরা।

    শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে শুভসূচনা করলো দাসুন শানাকার দল। আফগানিস্তানকে হারালো ৪ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে।

    ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন লঙ্কান দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস আর পাথুম নিশাঙ্কা। ৩৯ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৯ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৩৬ রানের ঝড় তুলে মেন্ডিস হন নাভিন উল হকের শিকার।

    এরপর নিশাঙ্কাকে (২৮ বলে ৩৫) উইকেটরক্ষকের দারুণ ক্যাচ বানান আফগান অফস্পিনার মুজিব ‍উর রহমান। উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি চারিথ আসালাঙ্কা। ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন নাবি।

    কপাল বোধ হয় একেই বলে! বাংলাদেশের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিস একাই পেয়েছিলেন ৫টি জীবন। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই বলে বেঁচে যান লঙ্কান দুই ব্যাটার।

    ইনিংসের ১২তম ওভারে মোহাম্মদ নাবি চারিথ আসালাঙ্কাকে (১৪ বলে ৮) বোল্ড করলে ৯৪ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারালে বেশ বিপদেই পড়ে যেতো লঙ্কানরা।

    নাবির ওই ওভারেই শেষ বলে উঠেছিল ক্যাচ। কিন্তু গুনাথিলাকার সেই ক্যাচ ফাইন লেগে ফেলে দেন করিম জানাত। তার পরের ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আম্পায়ারও আবেদনে আঙুল তুলে দেন।

    কিন্তু রিভিউ নিয়ে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। গুনাথিলাকা ১৩ আর শানাকা জীবন পান ব্যক্তিগত ১ রানে। যদিও শানাকা সেই জীবন কাজে লাগাতে পারেননি। মুজিবের দ্বিতীয় শিকার হন ৯ বলে ১০ করেই।

    ১৬তম ওভারে নাভিন উল হকের ওপর চড়াও হন ভানুকা রাজাপাকসে। প্রথম তিন বলে দুটি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটার। ওভারের শেষ বলেই আউট হতে পারতেন রাজাপাকসে। এবার ডিপকভারে ড্রপ হয় সহজ ক্যাচ।

    পরের ওভারে রশিদ খান বোল্ড করেন ভয়ংকর গুনাথিলাকাকে। ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৩ রান আসে গুনাথিলকার ব্যাট থেকে। ১৫১ রানে ৫ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তবে ততক্ষণে জয়ের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। ২০ বলে দরকার ছিল ২৫ রান।

    ভানুকা রাজাপাকসে আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দলকে প্রায় জয়ের বন্দরে নিয়ে আসেন। রাজাপাকসে (১৪ বলে ৩১) অবশ্য শেষ সময়ে এসে বোল্ড হন নাভিনের বলে। তবে তখন ৯ বলে মাত্র ২ রান দরকার লঙ্কানদের। হাসারাঙ্গা ৯ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

    আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মুজিব উর রহমান। ৪ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন এই অফস্পিনার।

    এর আগে রহমানুল্লাহ গুরবাজ যে ইনিংসটা খেলে দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে দারুণ বোলিং করে আফগানদের বিশাল পুঁজি গড়তে দেয়নি শ্রীলঙ্কা।

    শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৩৭ রান। সবমিলিয়ে ২০ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫ রান।

    শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আফগানিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানরা।

    প্রথম ২ ওভারে মাত্র ১১ রান আসার পর তৃতীয় ওভারেই চড়াও হন গুরবাজ। লঙ্কান অফস্পিনার মাহিশ থিকশানাকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্ডোকে হাঁকান আরও একটি ছক্কা ও চার।

    ইনিংসের তৃতীয় আর চতুর্থ ওভার মিলিয়ে ২৯ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। তবে পরের ওভারে মধুশঙ্কা বোল্ড করে ফেরান ওপেনিংয়ে গুরবাজের সঙ্গী হজরতউল্লাহ জাজাইকে (১৬ বলে ১৩)। ভাঙে ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান তোলে আফগানরা।

    এরপর ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ, যা কিনা আফগানিস্তানের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম। দেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবির (২১ বলে)।

    শ্রীলঙ্কাকে পেলেই যেন জ্বলে উঠেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। গ্রুপপর্বে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৮ বলে খেলেছিলেন ৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ২০ বছর বয়সী এই আফগান ওপেনার সুপার ফোরপর্বেও শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন।

    মাঠে রীতিমত চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন গুরবাজ। অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে তাকে ফেরান আসিথা ফার্নান্ডো। এবারও ছক্কাই হাঁকাতে গিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু বল অনেক ওপরে উঠে যায়, মিডউইকেটে কঠিন ক্যাচ তালুবন্দী করেন হাসারাঙ্গা।

    সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় গুরবাজকে। ৪৫ বলে গড়া তার ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৪টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার।

    ১৭ ওভারে দেড়শ ছোঁয় আফগানিস্তান। ১৮তম ওভারে ৩৮ বলে ৪০ করে মধুশঙ্কার শিকার হয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে নাজিবুল্লাহ জাদরানের

    একটি করে চার-ছক্কায় ওভারে ঠিকই ১৩ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান।

    কিন্তু শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত রান পায়নি আফগানরা। ১৯তম ওভারে থিকসানা আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবিকে (১) ফিরতি ক্যাচ বানান, রানআউট হন নাজিবুল্লাহ (১০ বলে ১৭)। ওই ওভারে মাত্র ৩ নিতে পারে আফগানিস্তান।

    ২০তম ওভারেও প্রথম তিন বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি রশিদ খান। আসিথা ফার্নান্ডোর পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে শেষ বলে দুই নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান (৭ বলে ৯)।

    লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দিলশান মধুশঙ্কা। তবে ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান।

  • ১৫৫ রানের বিশাল জয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

    ১৫৫ রানের বিশাল জয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

    হংকংকের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে হংকংয়ের ব্যাটিং লাইনআপ আর অলআউট হয় মাত্র ৩৮ রানে। এতেই পাকিস্তান ১৫৫ রানের বিশাল জয়ে নিশ্চিত করে সুপার ফোর।

    এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিতের লড়াইয়ে হংকংকের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হার না মানা ৭৮ রানের সঙ্গে ফখর জামানের ৫৩ আর শেষ দিকে খুশদিলের ১৫ বলে ৩৫ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ১৯৩ রানের পুঁজি দাঁড় করায়।

    পাকিস্তানের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শাদাব খান এবং মোহাম্মদ নেওয়াজের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হংকং। শাদাব খান ২.৪ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট অন্যদিকে মোহাম্মদ নেওয়ার ২ ওভারে ৫ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট।

    শুরুটা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাসিম শাহর হাত ধরে। হংকং অধিনায়ক নিজাকাত খানকে আসিফ আলীর তালুবন্দি করান নাসিম। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে হংকংয়ের ব্যাটিং অর্ডার। ১৬ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর বাকি ৯ উইকেটে হংকং তোলে মাত্র ২২ রান। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮ রান আসে নিজাকাতের কাছ থেকে। কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তিন ব্যাটার ফিরেছেন শূন্য রানে।

    শেষ পর্যন্ত ১০.৪ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে অলআউট হয় হংকং আর পাকিস্তান পেয়ে যায় ১৫৫ রানের বিশাল জয়।

    টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি ৯ম সর্বনিম্ন দলগত স্কোর। তবে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে এটিই কোনো দেশের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের দিক থেকেও এটি বিশ্বরেকর্ডে ৯ম। তবে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে রানের হিসাবে জয়ের দিক দিয়ে পাকিস্তানের এই জয় আছে দুই নম্বরে। কেনিয়ার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলংকার ১৭২ রানের জয় আছে শীর্ষে।

  • হংকংকে হারিয়ে ভারতের সুপার ফোর নিশ্চিত

    হংকংকে হারিয়ে ভারতের সুপার ফোর নিশ্চিত

    হংকংকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিল ভারত। ভারতের রানপাহাড়ে চাপা পড়ল হংকং। পাকিস্তানের পর হংকংয়ের বিপক্ষে সহজ জয়ে আরও একবার এশিয়া কাপ জয়ের এক পা এগিয়ে গেল গত দুইবারের শিরোপাজয়ীরা।

    বুধবার দুবাইয়ে কোহলি-সূর্যকুমারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানপাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংস শেষেই স্বস্তিতে ছিল রোহিত শর্মার দল। বাকি ছিল হংকংকে দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে ম্যাচ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

    যদিও ম্যাচে পুরোপুরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি হংকং। তবে নতুন এই দলটির মধ্যে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে দলটি। তবে ২০ ওভার ব্যাটিং করে ১৫২ রান সংগ্রহ করে হংকং। ৪০ রানের জয় নিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে রোহিতের ভারত।

    হংকংয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ হায়াত ৪১ রান করেন। এছাড়া কেডি শাহ ৩০ ও জিসান আলী করেন ২৬ রান। ভারতের হয়ে জাদেজা, আবেশ, ভুবেনেশ্বর ও আশদ্বীপ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

    এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ধীরগতিতেই শুরু করে ভারত। পাওয়ারপ্লে তথা প্রথম ছয় ওভার থেকে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তোলে তারা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আয়ুশ শুক্লার বলে মিড অফে এজাজ খানের দারুণ এক ডাইভিং ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা (১৩ বলে ২১)।

    অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল খেলেছেন কচ্ছপগতির এক ইনিংস। ৩৯ বলে ২ চারে ৩৬ রান করে মোহাম্মদ ঘাজানফারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঝড় তোলেন কোহলি ও সূর্যকুমার। দীর্ঘদিন ব্যাট হাতে বাজে ফর্মের সঙ্গে লড়তে থাকা কোহলি এদিন ফিফটিকেই যেন পাখির চোখ করেছিলেন। সেজন্য কিছুটা রয়ে সয়ে খেলে ৪০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের ৩১তম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।

    ততক্ষণে অন্যপ্রান্তে রুদ্ররূপ ধারণ করেছেন সূর্যকুমার। হংকংয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে মাত্র ২২ বলে অর্ধশতকের মাইলফলক পার করেন তিনি। শেষ ওভারে তার ব্যাট যেন হয়ে ওঠে খাপখোলা তলোয়ার। পেসার আরশাদের করা সেই ওভারের প্রথম ৩ বলে টানা ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপরের বলটি ডট দিয়ে পঞ্চম বলে আবার শূন্যে ভাসিয়ে বল সীমানাছাড়া করেন তিনি। ওভারের শেষ বল থেকে নেন ২ রান। সমান ৬ চারে এবং ৬ ছক্কায় ২৬ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যদিকে ৪৪ বলে ১ চার এবং ৩ ছয় হাঁকিয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি।

  • হার্দিক-জাদেজার ব্যাটে ভারতের সহজ জয়

    হার্দিক-জাদেজার ব্যাটে ভারতের সহজ জয়

    এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ‘এ’ গ্রুপের খেলায় পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। হাই ভোল্টেজ ম্যাচে দুই দলই লড়াই করেছে পাল্লা দিয়ে। ১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারত জয় অর্জন করে ম্যাচের শেষ ওভারে।

    দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলীয় ১৫ রানেই অধিনায়ক বাবর আজমকে (৯ বলে ১০ রান) হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এর আগে প্রথম ওভারে রিভিউ নিয়ে জীবন পান আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান।

    সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে রিজওয়ান সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যান। সততার নজির গড়ে ফখর জামানও (৬ বলে ১০ রান) ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। এরপর ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান রিজওয়ান।

    তবে দুজনের কেউই দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেননি। দুজনের ৪৫ রানের জুটি ভাঙে ২২ বলে ২৮ রান করে ইফতিখার (২টি চার ও ১টি ছক্কা) বিদায় নিলে। দলীয় রান তিন অঙ্কে পোঁছানোর আগে রিজওয়ান ও খুশদিল শাহও বিদায় নেন। বিদায়ের আগে ৪৩ রান করতে রিজওয়ান মোকাবেলা করেন ৪২ বল, হাঁকান ৪টি চার ও ১টি ছক্কা।

    দলীয় রান ১০০ ছাড়ালেও পাকিস্তান খেই হারিয়ে ফেলে। তবে ৯ম উইকেট জুটিতে দুই টেল এন্ডার হারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ দহানি পাকিস্তানকে এনে দেন লড়াই করার মতো পুঁজি। শেষ উইকেটে দুজনে গড়েন ১৯ রানের পার্টনারশিপ। ১৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে বাবর আজমের দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৭ রান। দহানি ৬ বলে ১৬ রান করেন দুটি ছক্কায়। ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন দুটি চার হাঁকানো রউফ।

    ভারতের হয়ে সবগুলো উইকেটই বাগিয়ে নেন পেসাররা। ভুবনেশ্বর কুমার চারটি, হার্দিক পান্ডিয়া তিনটি, আরহদীপ সিং দুটি ও আবেশ খান একটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে ফেলে ভারত, যিনি গোল্ডেন ডাকের তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হন। ওয়ান ডাউনে নেমে শুরুতেই স্লিপে জীবন পান বিরাট কোহলি। এরপর রোহিত শর্মাকে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তিনি। কোহলি শুরুতে চড়াও হলেও একসময় পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হন। অপর প্রান্তে রোহিত ব্যাট করেছেন কচ্ছপের গতিতে।

    ৮ম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫০ রানে রোহিত সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে করেন মাত্র ১২ রান। দশম ওভারে সাজঘরে ফিরতে হয় কোহলিকেও। বিদায়ের আগে ৩৪ বলে করেন ৩৫ রান, হাঁকান তিনটি চার ও একটি ছক্কা। সূর্যকুমার যাদবও চাপের মুখে ছিলেন মলিন, ১৮ বলে করেন সাকুল্যে ১৮ রান। ৮৯ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।

    এরপর দলের হাল ধরেন চার নম্বরে নামা রবীন্দ্র জাদেজা ও ছয় নম্বরে নামা হার্দিক পান্ডিয়া। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৫২ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে পথ দেখায়। শেষদিকে পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চড়াও হন দুজনই, তবে বেশি সাবলীল ছিলেন হার্দিক। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। মোহাম্মদ নওয়াজের করা প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান ২টি করে চার-ছক্কায় ২৯ বলে ৩৫ রান করা জাদেজা। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে হার্দিককে স্ট্রাইক এনে দেন দীনেশ কার্তিক। তৃতীয় ডেলিভারি ডট বল হলেও চতুর্থ বলে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে হার্দিক দলের জয় নিশ্চিত করেন ৫ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে। ১৭ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত হার্দিক হাঁকান ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ নওয়াজ তিনটি ও অভিষিক্ত নাসিম শাহ দুটি উইকেট শিকার করেন।

  • শ্রীলংকাকে বিধ্বস্ত করে আফগানিস্তানের শুভ সূচনা

    শ্রীলংকাকে বিধ্বস্ত করে আফগানিস্তানের শুভ সূচনা

    লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল শ্রীলংকা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। তাদের আগ্রাসী ব্যাটে খেলতে থাকা আফগানরা তা ছুঁয়ে ফেলে পানি পানের বিরতির পরই।

    ৫৯ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।

    টস ভাগ্য জিতে আয়োজক দেশ শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানরা। শুরুতেই ফজল হক ফারুকী ও নাভিনউল হকের পেস বলে দিশাহারা হয়ে যান আসালাঙ্কারা। প্রথম দুই ওভারেই আউট হয়ে যান লংকানদের তিন টপ অর্ডার। রাজাপাকশে ও গুনাথিলাকার জুটি সেই চাপ সামাল দেন। তবে শেষ মুহূর্তে একশ রানের আগেই অল-আউটের শঙ্কা জেগেছিল। কারুনারত্নের ৩১ রানের ইনিংসে কোনো রকমে ১০০ পাড় করে তারা।

    মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন জাজাই ও গুরবাজ। দুজনের ব্যাটে তান্ডব ছুটে যেন।

    তাদের দানবীয় ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই আসে ৮৩ রান। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে শ্রীলংকাকে দিশাহারা করে ফেলে আফগানরা। তারা যেন তখন মরিয়া হয়ে উঠেছিল একটি উইকেটের জন্য।

    তখনই দলকে ব্রেক থ্রো এনে দেন শ্রীলংকার লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। তার গুগলিতে গুরবাজের লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে। ফিরে যান ৪০ রান করে। ১৮ বলে তিন চার ও চার ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

    গুরবাজ ফিরে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাজাই। তবে তাকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিতে পারেননি তিনে নামা ইব্রাহিম জাদরান। থিকশানার বল সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়েছিলে জাজাই। দাগের বাইরে চলে এসেছিলেন ইব্রাহিম। বোলারের হাতে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। ফিরে যেতে হয় ১৫ রান করেই। ১৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল দুটি চারে।

    ইব্রাহিম যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। সেটা পেতে শেষ পর্যন্ত বেগ পেতে হয়নি। ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জয় নিয়ে ফেরেন জাজাই। ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

    শ্রীলংকার হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন রাজাপাকশে। দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিধ্বস্ত করা ফজল হক ফারুকী হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

  • এশিয়া কাপ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে

    এশিয়া কাপ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে

    আরব আমিরাত প্রতিনিধি : এশিয়া কাপ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বি-বার্ষিক টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান উভয়ই অংশ নেবে, শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এ কথা জানিয়েছেন।

    শুক্রবার ইডেন গার্ডেনে সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, “দুবাইতে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই খেলবে।”

    অনুষ্ঠানটি এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে।

    এ বছর পাকিস্তান এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়ার কথা ছিল তবে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ও পাকিস্তানের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের মধ্যে বিসিসিআই বলেছে যে ভারতীয় দল সেখানে ভ্রমণ করবে না।

    ভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১২ খেলেছিল যেখানে মেন ইন ব্লু ৯৯ রানে জয়ী হয়েছিল।

    বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন রানের জয়ে আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম দল হওয়ার জন্য ভারতীয় দলকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি।

    গাঙ্গুলি বলেছিলেন, “তারা কিছু দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে এবং যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশ্ব টুর্নামেন্টে কেউই পছন্দ করে না।