Tag: এসএসএফ

  • পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে নাশকতার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

    পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে নাশকতার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

    পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানসহ সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল- আমাদের কাছে তথ্য আছে, এমন একটা ঘটনা ঘটাবে যেন আমরা উদ্বোধনটা করতেই না পারি। বিভিন্ন জায়গায় আগুন, সমস্ত জিনিস রহস্যজনক। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সবার নজর দিতে হবে।

    বুধবার (১৫ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আমরা এগিয়ে যাই, তখনই কোনো কোনো মহল নানা ধরনের অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করে থাকে। সেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। যারা পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল। আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। তাদের একটা উদ্দেশ্য আছে। দেশে এমন একটা ঘটনা ঘটানো হতে পারে, যেন ২৫ জুন আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যেন না পারি। কি করবে তা জানি না। তবে ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন রেলে আগুন, লঞ্চে আগুন, ফেরিতে আগুন। এমনকি সীতাকুণ্ডে যে আগুনটা। সেখানে দেখেছি একটা জায়গায় আগুন ধরেছে। কিন্তু দেখা গেল বিক্ষিপ্ত বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটা জায়গায় আগুন লেগেছে। রেলের আগুনের আমি একটা ভিডিও পেয়েছি। রেলের চাকার কাছ থেকে আগুন জ্বলছে। সেটা কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো কিভাবে হয়। কাজেই প্রত্যেকটা দুর্ঘটনা একেকটা রহস্যজনক। এজন্যই আমি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলবো। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নজর রাখতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা নির্মাণ করে যাচ্ছি। চলচলের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল দৃশ্যমান, এক্স প্রেস ওয়ে করে দিচ্ছি, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল করে দিচ্ছি। কাজেই এসব প্রতিষ্ঠানের ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে যে কিভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দেয়া যায়।

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রযুক্তি যেমন আমাদের সুযোগ এনে দেয়। আমাদের উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে। আবার অনেকে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদেরও সুযোগ করে দেয়।

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ক্ষমতায় আসিনি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ক্ষমতায় এসেছি। দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি। কাজেই এসএসএফ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করবো অতিরিক্ত নিরাপত্তার নামে যেন মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন না হই। মানুষ যেনো আমার কাছে আসতে পারে। তারা যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় কষ্ট না পায়। সেটাই আমি চাই।

    করোনাভাইরাস মহামারির সময় নিজের বন্দিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও করোনাভাইরাসের সময় অনেকটা কারাগারে বন্দির মতোই রাখা হয়েছিল আমাকে। আগে তো ছোট জেলে ছিলাম। ১১ মাস লম্বা সময় জেলে ছিলাম। তিনজন কারারক্ষী ছিলেন। ছোট একটা হটকেজে খাবার আস্ত, তবে এখন বড় বড় মোটা মোটা দুটি হটকেজ আর অনেক খাবার। এটুকু তফাৎ।

    তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই এসএসএফকে। এটুকু নিরাপত্তা করে রাখা হয়েছিল বলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হইনি। হয়তো আক্রান্ত হলে কাজ করতে পারতাম না। করোনার সময় আমরা কাজ করে গিয়েছি। যাতে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থান টা উন্নত থাকে। এজন্য এসএসএফ সহ আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই কারণ এই নিরাপত্তা টুকু দেওয়া হয়েছিল বলেই সুস্থভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি জানি এসএসএফের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার নিরাপত্তা দিচ্ছেন। কাজেই আমি আমার ছেলেমেয়ে নাতি-নাতনির জন্য যেমন দোয়া করি, ঠিক সেইভাবে আমার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের প্রত্যেকের জন্য দোয়া করি। এসএসএপের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করি যেন আমার নিরাপত্তা দিতে গিয়ে তারা কোনো সমস্যায় না পড়ে। বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি সবসময় দেশবাসী ও আমার দলের নেতাকর্মীদের জন্যও দোয়া করি।
    এসএসএফসহ আমাদের সব বাহিনী সজাগ রয়েছে। আমাদের সেনা, নৌ, বিমান পুলিশ ও র‌্যাব বাহিনী, আনসার ভিডিপি বিজিবি সবাই নিজ নিজ জায়গায় সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছে। যার ফলে আমরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমাদের সব সময় সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

  • আস্থা রাখুন, বাংলাদেশ হার মানবে না : প্রধানমন্ত্রী

    আস্থা রাখুন, বাংলাদেশ হার মানবে না : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতি জনগণকে আস্থা ও বিশ্বাসে অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ কোন কিছুর কাছেই হার মানবে না, এমনকি করোনা ভাইরাসের কাছেও নয়।
    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই আমাদের মানুষের মধ্যে যেন একটা আস্থা থাকে, বিশ্বাস থাকে, সেই বিশ্বাস-আস্থাটা ধরে রাখতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা হার মানবো না, মৃত্যু তো হবেই, মৃত্যু যেকোনো সময় যেকোনো কারণে হতে পারে। কিন্তু তার জন্য ভীত হয়ে হার মানতে হবে? এ ধরনের একটা অদৃশ্য শক্তির কাছে, এটাতো হতে পারে না। সেজন্য আমাদেরও সেভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।

    দেশ ডিজিটাইজেশনের সুবাদে ভিডিও কনফারেন্স আয়োজনের কারণে জনসমাগমে না গিয়েও সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সুবিধার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল পদ্ধতি আছে বলে আমি মানুষের কাছে যেতে পারছি, কথা বলতে পারছি এবং বার বার যাচ্ছি।’

    দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যা যা নির্দেশনা আছে, সেগুলো মেনে চলে নিজের জীবনকে চালাতে হবে। কারণ, নিজেকে সুরক্ষিত রাখা মানেই অপরকেও সুরক্ষিত রাখা। সেটাও মাথায় রাখতে হবে, সেটা যেন সবাই করেন।’

    প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এসএসএফ সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বাহিনী আমাদের সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনী এবং আনসার ও ভিডিপি সকলের মিলিত একটি সংগঠন। যেহেতু, সকলের মিলিত একটি সংগঠন, তাই, এখানে একে অপরকে জানার ও বোঝার সুযোগ রয়েছে, কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, এটা একটা চমৎকার কম্বিনেশন।’

    তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এই বাহিনীর সদস্যদের সন্তানতুল্য আখ্যায়িত করে স্নেহমাখা কন্ঠে সরকার প্রধান তাঁদের ‘তুমি’ সম্বোধন করেন এবং বলেন, ‘তোমরা যেমন আমার নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করো আমিও ঠিক তোমাদের নিরাপত্তার জন্য সবসময় চিন্তা করি।’

    তিনি বলেন, ‘তোমরা সুরক্ষিত থাক, সেটাই আমি চাই। কারণ, তোমাদের জীবনের মূল্যটা অনেক বেশি, তোমাদেরতো ভবিষ্যত সামনে পড়ে রয়েছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমরা নিরাপদ থাক, সেজন্য সব সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি। কারণ, তোমরা যেভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করো তাতে তোমাদের কর্ম দক্ষতায় সবাই মুগ্ধ।’

    করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে যেভাবে পালন করতে সেভাবে হয়তো করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মটা মেনে যতটুকু উৎসব করা যায় তোমরা করবে। সেটাই চাই, কারণ, জীবন মৃত্যু খুব পাশাপাশি।’

    তিনি সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং সর্বশেষ সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহাম্মদ কামরানের মৃত্যুর কথা স্মরণ করে বলেন, ‘একদিকে যেমন আমরা মুত্যুর খবর পাই অন্যদিকে অন্য কাজও করতে হয়। এটাই আমাদের জীবন।’

    অতীতে দু’বার গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন কামরান-সেকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাতও কামনা করেন।

    যেকোন পরিস্থিতিতেই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মহাপরিচালক এসএসএফকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশিক্ষণটা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, নিজেকে সুরক্ষিত করতে হলে অথবা ভিআইপিদের সুরক্ষিত রাখতে হলে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখাটা সবসময় জরুরী, সেজন্য যা যা করার আমি করে দিয়েছি।’
    ‘নিজেদের শারিরীকভাবে সুস্থ রাখা, ফিট রাখা এবং এক একজন আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে তৈরী হবে, সেটাই আমি আশা রাখি,’যোগ করেন তিনি।

    এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, অনুষ্ঠানে এসএসএফ-এর মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ এবং কল্যাণ তহবিলের জন্য সকল এসএসএফ সদস্যদের পক্ষ থেকে তাঁদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ এবং এক কোটি টাকার একটি চেক প্রদান করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এই অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

    এসএসএফ সদস্যদের পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে উন্নত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জনের ও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, ক্রাইমের ধরণটাও বদলে যাচ্ছে। আগে এক ধরনের হতো (অপরাধ সংগঠন) এখন অন্যভাবে হয়। প্রতিনিয়ত আমরা এটাও দেখতে পাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, প্রযুক্তি যেমন ভালো কাজে ব্যবহার হয়, আবার মন্দ কাজেও ব্যবহার হয়।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কি ধরনের ক্রাইম হচ্ছে সেটা জেনে নিয়ে সেই ক্রাইম কিভাবে প্রতিরোধ করতে হবে, তার জন্য যেমন প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তেমনি ইক্যুইপমেন্টসও দরকার।’

    ’৯৬ সালে যখন প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান তখন ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়ার মত সেরকম অবস্থা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ছিল না উল্লেখ করে তিনি এসময় এএসএফ-এর আধুনিকায়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা যতদূর পেরেছি এসএসএফ-এর জন্য সব কিছু করেছি। সব ধরনের ব্যবস্থা, যখন যেটা আধুনিক আসে আমরা সংগ্রহ করার চেষ্টা করি।’

    যারা নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাদের জন্য নিজের চিন্তার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাঝে মাঝে চিন্তা করি, যাঁরা আমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাঁদের জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’

    তিনি বলেন, ‘এখানে শুধু যাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে শুধু তাদেরটা নয়, যারা নিরাপত্তা দেবে তাদেরটাও আমার চিন্তা করতে হয়।’

    একজন জননেত্রী এবং সরকার প্রধান হিসেবে তাঁকে সবসময় যে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আবদ্ধ থাকতে হয় সেটাও তাঁকে নিরাপত্তা প্রদানকারীদের সুরক্ষার জন্যই অনেক সময় তাঁকে মেনে নিতে হয়েছে, এমনও ইঙ্গিত করেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘সেটা যদি চিন্তা না করতাম তাহলে এগুলো কিছুই আমি মেনে নিতাম না, এটা হলো বাস্তবতা। কারণ, আমি যখন বাংলাদেশে এসেছিলাম তখন আমার বাবা, মা এবং ভাইয়ের খুনীরা ক্ষমতায়।’

    বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘খুনীরা দল করছে, ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, দূতাবাসে চাকরি করছে, তারা তখন অত্যন্ত শক্তিশালী। একদিকে যেমন ক্ষমতায় যুদ্ধাপরাধীরা আরেকদিকে তেমনি খুনীরা।’

    তিনি বলেন, ‘সেই পরিবেশে বাংলাদেশে যখন এসেছি তখন তো আমরা কিছুই ছিল না। আলাদা গাড়িও ছিল না। আমি সেটা চিন্তাও করিনি। বাস ভাড়া করে চলেছি, রিক্সা-ভ্যানে চলেছি, নৌকায় চলেছি, সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি।’
    ‘কি কারণে করেছি- একটাই কারণ এদেশের জন্য কিছু করতে হবে। আমার বাবা যে কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারেননি সেটা আমাকে সম্পূর্ণ করতে হবে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা আমাকে ভোট দিয়েছে, নির্বাচিত করেছে, সুযোগ দিয়েছে তাদের সেবা করার।’

    তাঁর সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে উন্নত অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার অনেক কম বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এই প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করা এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি এবং ব্যক্তিগতভাবে মাঠপর্যায়ে এর বাস্তবায়ন তদারকি করছি।
    ইতোমধ্যেই তাঁর সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে যার মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখাসহ নানাবিধ আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম অন্যতম, বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের পরিকল্পিত আর্থিক প্রণোদনা এবং মানবিক সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে মানুষকে বাঁচানো, আবার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা সেগুলো যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখছি।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • এসএসএফ-কে হোন্ডার দু’টি ফ্ল্যাগশিপ মোটরসাইকেল হস্তান্তর

    এসএসএফ-কে হোন্ডার দু’টি ফ্ল্যাগশিপ মোটরসাইকেল হস্তান্তর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সোমবার বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)-কে দু’টি ফ্ল্যাগশিপ ‘জিএল ১৮০০ গোল্ডউইং’ মোটরসাইকেল হস্তান্তর করেছে।

    আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমিহিকো কাৎসুকি এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের কাছে দু’টি ১৮০০সিসি মোটরসাইকেলের চাবি হস্তান্তর করেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র সাংবাদিকদের জানায়, ‘খুব শিগগিরই এই ব্র্যান্ডের আরো ছয়টি মোটরসাইকেল এসএসএফ-এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

    সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও হোন্ডার মধ্যকার সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বের অত্যাধুনিক মোটরসাইকেল দু’টি উপহার দেয়া হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, শিল্প সচিব আব্দুল হালিম, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমতুল মুনিম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরডিএ)’র চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুল আহসান।

    কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (বিএসইসি) এর সাথে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড বাংলাদেশের গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাদের মোটরসাইকেল ব্যবসা বিস্তার করছে। এটা এই শিল্পে অন্যতম দ্রুত অগ্রসরমান একটি কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে।

    হোন্ডা ও তার অংশীদার বিএসইসি (শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন) মুন্সিগঞ্জ জেলার আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৫ একর জমিতে নতুন কারখানা নির্মাণে মোট ৩৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।