Tag: এসএসসি পরীক্ষা

  • এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল, রুটিন প্রকাশ

    এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল, রুটিন প্রকাশ

    আগামী বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে তা চলবে ৮ মে পর্যন্ত। এরপর ১০ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

    আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষাবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে।

    রুটিন অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ১৫ ও ১৭ এপ্রিল ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে। গণিত পরীক্ষা হবে ২০ এপ্রিল। ২২ এপ্রিল ধর্ম, ২৩ এপ্রিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২৪ এপ্রিল কৃষি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, সঙ্গীত, আরবী, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) এবং চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    ২৭ এপ্রিল পদার্থ বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এবং ২৯ এপ্রিল রসায়ন, পৌরনীতি ও ব্যবসায় উদ্যোগ পরীক্ষা হবে। ৩০ এপ্রিল ভূগোল ও পরিবেশ, ৪ মে উচ্চতর গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান, ৬ মে জীববিজ্ঞান ও অর্থনীতি, ৭ মে হিসাববিজ্ঞান এবং ৮ মে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা হবে।

    এর আগে গত বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে ওয়েবসাইটে কেন্দ্র ও কেন্দ্রওয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফি পরিশোধ করা যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে চলছে ১ ডিসেম্বর থেকে।

  • এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮০.৩৯

    এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮০.৩৯

    চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮০.৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ৭.০৫ শতাংশ। সেবছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

    শুক্রবার (২৮ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় এ ফল প্রকাশিত হয়। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে এ ফল প্রকাশ হয়।

    ইতোমধ্যে পরীক্ষার ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ছাড়াও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন। ছাত্রী সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।

    এদিকে অতীতে কখনো ছুটির দিনে (শুক্রবার) পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। এবারই প্রথম ছুটির দিনে ফল প্রকাশ হচ্ছে।

    এর আগে গত বছর দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে এবার গড় পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সেবছর পৃথকভাবে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮.১০ শতাংশ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২.২২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪.০৭ শতাংশ ছিল।

    এছাড়া সাধারণ শিক্ষা শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকায় পাসের হার ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৬.০৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯১.২৮ শতাংশ, যশোরে ৯৫.০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯.৬১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮১.১৪ শতাংশ, সিলেটে ৭৮.৮২ শতাংশ।

    যেভাবে জানা যাবে ফল

    এসএসসি ও সমমানের ফল তিনভাবে জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী সেখান থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে educationboardresults.gov.bd প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।

    এর বাইরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর আবারও স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে (উদাহরণ-SSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

    গত ৩০ এপ্রিল শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শেষ হয় ২৮ মে। সে হিসেবে ৩০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। সাধারণত দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটছে না।

    এবার এসএসসি পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা কারিগরি বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

  • ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী

    ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী

    চলতি বছর থেকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। সে হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

    সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

    গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর বা ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিক একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর নানান দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের ইঙ্গিত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিক্ষাকে সার্বিক শিক্ষায় পরিণত করা। সেটা যে স্ট্রিমেই হোক না কেন। মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও যেন জীবন সম্পর্কিত সব দক্ষতা পায়, সে যেন ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীর থেকে পিছিয়ে না থাকে। সব শিক্ষার্থী যেন সব স্কিল ও নলেজ পায়, সেটা আমাদের স্মার্ট এডুকেশনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে আমাদের ২০১০ সালের যে শিক্ষানীতি ছিল তা আরও পরিবর্তন বা রূপান্তরের আলোচনা আনা উচিত, সে আলোচনা আসছে।

    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

    তিন দিনব্যাপী এই ফেস্টিভ্যালে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টল দিয়ে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করছে।

  • স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ মে

    স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ মে

    ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী (২৭ মে) শনিবার ও (২৮ মে) রোববার অনুষ্ঠিত হবে।

    মঙ্গলবার (১৬ মে) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার স্থগিতকৃত বিষয়সমূহের পরীক্ষা নিম্নোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ প্রয়োজনে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থগিত হওয়া পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা আগামী ২৭ মে (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় অংশ নেবে কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা।

    অপরদিকে আগামী (২৮ মে) রোববার অনুষ্ঠিত হবে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়), সঙ্গীত (তত্ত্বীয়), আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) এবং চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ বোর্ডের শিক্ষার্থীরা।

    এছাড়া সঙ্গীতসহ সকল বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী (২৯ মে) সোমবার থেকে (৪ জুন) রোববারের মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী (১১ জুন) রোববারের মধ্যে প্রিন্ট কপি এবং ব্যবহারিক উত্তরপত্র, স্বাক্ষরলিপি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্রাদি রোল নম্বরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে মাধ্যমিক শাখায় জমা দিতে বলা হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো স্ব স্ব পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

    এর আগে গতকাল সোমবার (১৫ মে) রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে স্থগিত হওয়া সব বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ শিগগিরই জানানো হবে। স্থগিত এই পরীক্ষার দিন তারিখ ও সময়সূচি কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে। বিষয়টি আন্তঃবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনুষ্ঠিত হবে।

    প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে রোববার ও সোমবারের চলমান (১৩ ও ১৪ মে) সব শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

  • সোমবারের ৬ বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত

    সোমবারের ৬ বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত

    ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় ছয় শিক্ষাবোর্ডে আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। এবার আগামী সোমবারের (১৫ মে) পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

    শনিবার (১৩ মে) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, যশোর শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগামী রোববার ও সোমবার অনুষ্ঠেয় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অন্যান্য বোর্ডে ওই দিনের পরীক্ষা যথারীতি হবে।

    স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

  • পাঁচ বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত

    পাঁচ বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত

    পাঁচটি শিক্ষা বোর্ডের রবিবারের (১৪ মে) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (১২ মে) এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এতে সই করেছেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

    আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ড, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের রবিবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এই শিক্ষাবোর্ড ছাড়া বাকি বোর্ডের পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।

    আদেশে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এই শিক্ষাবোর্ড ছাড়া বাকি বোর্ডের পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।

  • সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু

    সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু

    পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

    এ বছর সব শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী। এ বছর মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি।

    মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭ টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০ টি।

    এ বছর পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় সকাল ১০টা এবং শেষ হওয়ার সময় দুপুর ১টা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।

    ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গ্রুপভিত্তিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন, মানবিকে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।

  • এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

    এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

    ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    সময়সূচি অনুযায়ী- প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর দিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল বাংলা প্রথমপত্র, ২ মে বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ৩ মে ইংরেজি প্রথমপত্র, ৭ মে ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, ৯ মে গণিত, ১০ মে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ১১ মে ধর্মশিক্ষা পরীক্ষা হবে।

    ১৪ মে পদার্থ বিজ্ঞান, ১৫ মে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ১৬ মে রসায়ন, ১৭ মে ভূগোল ও পরিবেশ, ১৮ মে জীববিজ্ঞান, ২১ মে বিজ্ঞান, ২২ মে হিসাববিজ্ঞান ও ২৩ মে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের পরীক্ষা হবে।

    আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়েই নেওয়া হবে। প্রতি বিষয়ের জন্য স্বাভাবিক সময় (তিন ঘণ্টা) পরীক্ষা হবে। আগের মতোই সৃজনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে।

    পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ স্কুলে হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করতে হবে।

    এর আগে গত প্রায় এক দশক ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি এবং এইচএসসি এপ্রিল মাসে নেওয়া হচ্ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর এ সূচি এলোমেলো হয়ে যায়। পাশাপাশি সিলেবাসও কাটছাঁট করা হয়েছে।

  • এসএসসি-সমমানের পরীক্ষা শুরু ৩০ এপ্রিল

    এসএসসি-সমমানের পরীক্ষা শুরু ৩০ এপ্রিল

    চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল শুরু হবে। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠালে সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর দুই মাস পরে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা।

    এসএসসি পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় এপ্রিলে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এই পরীক্ষাগুলো নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি। গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়।

    গত বছরের মতো এ বছরও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

    দেশের স্কুলগুলোতে ২০২৩ সালের এসএসসির পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয় আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে। কোনো জরিমানা ছাড়া তা চলে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।

    এদিকে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

  • এসএসসির ফল প্রকাশ

    এসএসসির ফল প্রকাশ

    এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ফল ঘোষণা করেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলী হলে শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেল।

    শিক্ষা মন্ত্রীর পর বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    একটি সূত্রে জানা গেছে, এবার এসএসসিতে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত বছরও এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছিল।

    বেলা একটার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপরই শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা এসএমএস করে বা অনলাইনে ফল জানতে পারবে।

    এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯টি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বসেছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ পরীক্ষার্থী।

    এছাড়া দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে।

    যেভাবে জানা যাবে ফল
    অন্যান্য বছরের মতোই শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, সাল ও শিক্ষা বোর্ড নাম নির্বাচন করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

    এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে। এজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে (যেমন ঢাকা বোর্ড হলে DHA) স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাশের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।

    মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাশের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।

  • আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দু’একমাস পেছাতে পারে

    আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দু’একমাস পেছাতে পারে

    কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

    বুধবার (২৫ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর যাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা রয়েছে, তাদের জন্য ‘তিন মাসে শেষ করা যায়’- এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে, তার আলোকে তিন মাস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে।

    সিলেবাস শেষ করতে পরীক্ষা দু’এক মাস পেছানো হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা তাদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়তো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দু’এক মাস পিছিয়ে যাবে।

    বেশ কয়েক বছর ধরেই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। ওই দিনগুলো সরকারি ছুটি থাকলে পরের দিন থেকে এসব পরীক্ষা শুরু হয়।

    এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া গেলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

    পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। অষ্টমের সমাপনী ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নির্ধারণের কথা জানানো হয়।

    মহামারী পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও এবার হচ্ছে না। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা সবাই পরের ক্লাসে উঠে যাবে।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যু হয়। ১৭ মার্চ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ছুটি ঘোষণা করা আছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ছয় দিন ক্লাসে আনা হবে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুয়েক দিন স্কুলে এসে ক্লাস করবে, পাশাপাশি তাদের অনলাইন ক্লাসও চলবে।

  • রাউজানে এসএসসিতে পাশের হার ৯০.২৩,জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮১ শিক্ষার্থী

    রাউজানে এসএসসিতে পাশের হার ৯০.২৩,জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮১ শিক্ষার্থী

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় এসএসসিতে পাশের হার ৯০.২৩ ।

    চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে রাউজানে ৫৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ৮ শত শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে পাশ করেছে ৪ হাজার ৩ শত ৩১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৪৬৯ জন।

    এ প্লাস (A+) পেয়েছে ১৮১ জন শিক্ষার্থী। ৫৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝে ৩৩ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এ প্লাস পায়।

    উপজেলার চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের ৭২জন শিক্ষার্থী এ প্লাস পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।

    শত ভাগ পাশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে রাউজানে ৩ টি বিদ্যালয়। সেগুলো হলো, নোয়াজিষপুর ফতেহনগর অদুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, নন্দীপাড়া এস.এম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কোয়েপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

    রাউজান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদ তালুকদার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল এসেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় পাশের হার বেড়েছে। এবার পাশ করেছে ৯০.২৩ ছাত্র-ছাত্রী। এ প্লাসের সংখ্যাও ভালো। মোট এ প্লাস প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী ১৮১ জন।

    উপজেলার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। প্রত্যাশিত ভালো ফলাফলের জন্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম