Tag: এস আলম গ্রুপ

  • প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। অনেকেই সমালোচনা করেন ঘরে বসে টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে, তারা ঘর থেকেও বের হয়না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবারই সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় মহামারি দূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন, সেই আহবানে যারা সাড়া দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জেকেজি ও রিজেন্ট গ্রুপের অনিয়ম গুলো সরকারই উদ্ঘাটন করেছে। কোন পত্রিকার রিপোর্ট দেখে বা বিরোধী দল বলেছে এরকম অনিয়ম হচ্ছে সেকারণে এটি উদ্ঘাটন হয়নি। এখানে যাতে কোন ধরণের অনিয়ম দূর্নীতি নাথাকে সেজন্য সরকারই উদঘাটন করেছে। অবশ্য আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এব্যাপারে আরেকটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।

    শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আরম গ্রুপের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১’শটি হাইফ্লো নজুল ক্যানুলা প্রদান চট্টগ্রাম মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালকে কোভিড-১৯ হসপিটালে রূপান্তরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এর উদ্বোধন ও কক্সবাজার জেলায় দুটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম বিএমএ’র সভাপতি ডা. মুজিবুল হক, সাধারন সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, এসআলম গ্রুপের প্রতিনিধি আকিজ উদ্দিন প্রমূখ।

    চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রান্তরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শিলালিপিতে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন হাসপাতালে সহায়তা কর্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, এদেশে মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ শহর গুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম শহর অন্যতম। নানা প্রতিকুলতা ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর চেয়ে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে কয়টি হাতেগোনা দেশের মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম তৎমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অনেকে বলতে পারেন ইউরোপে বেশি এই অঞ্চলে কম। এই অঞ্চলেও বাংলাদেশে মৃত্যুর হার আমাদের উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও কম। এটি সম্ভব হয়েছে নিশ্চয়ই নেতৃত্বে গতিশীলতার কারণে।

    তিনি বলেন, শুরুতে চট্টগ্রামে অনেক সঙ্কট ছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্তমানে চট্টগ্রামে সেই সঙ্কট নেই। আইসিইউ নিয়ে হাহাকার ছিল। কিন্তু এখন আইসিইউ বেড খালি পড়ে আছে। হাইফ্লো নজুল ক্যানুলা স্বল্পতা ছিল, সেটিও সরকারি বেসরকারি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমরা গুছাতে সক্ষম হয়েছি। ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন।

    সিটি মেয়রও একটি আইসোলেশন সেন্টার খুলেছেন। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ভাই ডাক্তার বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ চট্টগ্রামের অনেক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ও সংগঠক এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য শুরুতে কোন কিছুই ছিলনা। করোনা ভাইরাস যে আসছে সেটিকে অস্বীকার করার চেষ্ঠা করেছিল চায়না। চায়নাতে যখন প্রথম শনাক্ত হয়, যে ডাক্তার করানো ভাইরাসের সংবাদ দিয়েছিল তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অন্যদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে সেই ডাক্তার নিজেই মৃত্যুবরণ করেন।

    তিনি বলেন, আজকে আমরা বিভিন্ন উন্নত দেশ গুলোতে দেখতে পাচ্ছি, তারা করোনা ভাইরাসের কাছে কত অসহায়। তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক সামর্থ কোন কিছুই কাজ করছেনা। আজকে বিশ্বব্যাপী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আমরা কি সমর সজ্জার জন্য বেশি ব্যয় করবো নাকি এধরণের আরো ভাইরাস ভবিষ্যতে আসতে পারে সেজন্য আমাদের সামর্থ রিসার্চ গুলো আরো বাড়াবো।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এই ভাইরাসই শেষ ভাইরাস নয়, পৃথিবীর সমসাময়িক ইতিহাস যদি দেখি বহু ভাইরাস এসেছে অতীতে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো করোনা ভাইরাসের কারণে একভাগ মিলিয়নের একটু বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। পৃথিবীতে যখন এক’শ কোটি জনসংখ্যা তখন পৃথিবীর পাঁচ ভাগ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে ভাইরাসের কারণে। ভবিষ্যতেও এরকম ভাইরাস আরো আসতে পারে।

    তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুরু থেকেই অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চীনের উহানে যখন করোনা ভাইরাস দেখা দেয় তখন সেখান থেকে বাঙ্গালীদের চাটার্ড বিমানে ভাড়া দিয়ে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। বিদেশ তেকে যারা এসেছিল তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরও করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে এসেছে। পৃথিবীর অনেক দেশই মোটামুটি ব্যবস্থা নিয়েছিল তারপরও কোন দেশ নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারেনি।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানে স্ত্রী স্বামীর লাশ ধরছেননা, বাবার সৎকারে ছেলে এগিয়ে আসছেনা তখন চট্টগ্রামে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাশ দাফন ও সৎকারে এগিয়ে এসেছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারা শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের লাশ নয় তারা হিন্দু বৌদ্ধসহ সকলের লাশ তারা সৎকার করছে। যেসব স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে সঙ্কট মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।

    এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ একজন প্রচার বিমূখ মানুষ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবসময় মানুসকে সহায়তা করেন, কিন্তু প্রচার করেননা তিনি। তার এই উদ্যোগ নিয়ে আমার সাথে ফোনে কথা হয়। আমি তাকে বরং পরামর্শ দিয়েছিলাম এসব কাজ প্রচার করতে যাতে অন্যরা উৎসাহিত হয় ও এগিয়ে আসেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর অনেকেই এগিয়ে এসেছে, আরো অনেকেই এগিয়ে আসার কথা ছিল, আশাকরি তারাও এগিয়ে আসবেন, যারা এখনো হাত প্রসারিত করেনি, তারাও হাত প্রসারিত করবেন। তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে পারবো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান পরিবারের সাত সদস্য করোনামুক্ত

    শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান পরিবারের সাত সদস্য করোনামুক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের সাত সদস্য সম্পূর্ণভাবে করোনামুক্ত হয়েছেন।

    গতকাল বুধবার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    পরিবারের আক্রান্ত ৮ সদস্যের মধ্যে ৭ সদস্য করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পরিবারের জ্যৈষ্ঠ সদস্য এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম।

    গত ২২ মে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। তার মৃত্যুর পর একই পরিবারের করোনায় আক্রান্ত সাত সদস্যই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে যায়। গত ২৩ মে শনিবার ও ২৪ মে রবিবার তারা সবাই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যান।

    এর মধ্যে ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন এবং এক সদস্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হয়েছেন।

    বুধবার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসের ২৪ তারিখে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সাইফুল আলমের পরিবারের সাতজন সদস্য।

    পরে বুধবার করোনার পরীক্ষা করা হলে তাদের সবারই করোনা নেগেটিভ আসে। আজ বৃহস্পতিবার তারা সকলেই হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

    করোনা আক্রান্ত সাত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা ৮৫ বছর বয়সী চেমন আরা বেগম, ২৬ বছর বয়সী ছেলে আহসানুল আলম মারুফ, এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি ও তার ৩৬ বয়সী স্ত্রী।

    জানা যায়, গত ১৭ মে সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের ৬ সদস্য করোনা পজিটিভ রোগী হিসেবে শনাক্ত হন। এর মধ্যে শুক্রবার (২২ মে) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এস আলম পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই মোরশেদুল আলম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে মারা গেছেন।

    একই দিন রাতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা ও বড় ছেলের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরদিন শনিবার (২৩ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মা ও বড় ছেলেকে সুগন্ধার বাসা থেকে সরিয়ে ঢাকায় নেওয়া হয়।

    এর পরদিন রোববার (২৪ মে) সকাল আটটায় চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের করোনায় শয্যাশায়ী অপর চার ভাই ও এক ভাইয়ের স্ত্রীকে আইসিইউযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জনকে ভর্তি করা হলেও আইসিইউ সিটের সংকটের কারণে অপর এক সদস্য আবদুস সামাদ লাবুকে ভর্তি করা হয়েছিল ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • এবার এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যানের মা ও ছেলে করোনায় আক্রান্ত

    এবার এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যানের মা ও ছেলে করোনায় আক্রান্ত

    বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী পরিবার এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই মারা যাওয়ার পরের দিনই আরেক দুঃসংবাদ পেল এই শিল্প পরিবার। এবাব করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাইফুল আলম মাসুদের মা চেমন আরা বেগম (৮৫) ও ছেলে আহসানুল আলম মারুফ(২৬)।

    শনিবার (২৩ মে) ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) প্রকাশিত রেজাল্ট থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    সাইফুল আলম মাসুদের মা চেমন আরা প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান বাবুর বোন ও ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের আপন ফুফু। আর আহসানুল আলম ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    এর আগে শুক্রবার (২২ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম।

    গত ১৭ মে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তারা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। ১৬ মে মোরশেদসহ তার পরিবারের ৬ সদস্য চমেক ল্যাবে নমুনা দেন।

    ওই দিন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পাঁচ ভাইসহ ও তার এক ভাইয়ের বউসহ মোট ৬ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    করোনায় মারা যাওয়া মোরশেদুল আলম ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছিলেন, এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি। তাদের এক ভাইয়ের স্ত্রী ৩৬ বছর বয়সী ফারজানা পারভীন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • করোনায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের বড় ভাই মোরশেদুল আলম’র মৃত্যু

    করোনায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের বড় ভাই মোরশেদুল আলম’র মৃত্যু

    দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার এবং শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম (৬২) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহত মোরশেদুল এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।

    শুক্রবার (২২ মে) রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে হাসপাতালটির আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব বলেন, মোরশেদুল আলম রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‍মারা যান। গত পরশু থেকে করোনা পজিটিভ হয়ে তিনি জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন।

    করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মোরশেদুল আলম তার অন্য চার ভাইয়ের সঙ্গে নগরীর সুগন্ধার বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে মোরশেদুল আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউ ওয়ার্ডে আগে থেকেই এস আলম পরিবারের আরেক সদস্য রাশেদুল আলম চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডের দশটি শয্যার সবকটিই পূর্ণ থাকায় সেখানে গুরুতর অসুস্থ মোরশেদুল আলমকে ভর্তি করা যাচ্ছিল না। তবে অপর ভাই রাশেদুল আলমের শারীরিক অবস্থার তুলনামূলক উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে সেখানে প্রায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের বড় ভাই মোরশেদুল আলমকে ভর্তি করা হয়।

    এর আগে রোববার (১৭ মে) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবের পরীক্ষায় সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের ৬ সদস্য করোনা পজিটিভ রোগী হিসেবে শনাক্ত হন।

    চমেক ল্যাবের পরীক্ষায় দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদের যে পাঁচ ভাই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন তারা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক ৬২ বছর বয়সী মোরশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওই পরিবারের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীও।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ পরিবারে করোনার হানা/ ভাইসহ গ্রুপের ৬ সদস্য আক্রান্ত

    শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ পরিবারে করোনার হানা/ ভাইসহ গ্রুপের ৬ সদস্য আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান পরিবারের ৬ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এর মধ্যে এস আলম চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ৫ ভাই ও তার এক ভাইয়ের স্ত্রীও রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই নগরীর চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশস্থ সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের বাসিন্দা।

    গতকাল ১৭ মে রবিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৩০টি নমুনা পরীক্ষা করে নগরীতে নতুন যে ৩১ জনের শরীরে করোনার অস্থিত্ব মিলেছে তাদের মধ্যে এ ৬ জনের নাম রয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

    জানা যায়, গতকাল তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরেই পাঁচলাইশস্থ সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ওই ভবনটি লকডাউন করে দিয়েছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত এস আলম পরিবারের সকল সদস্য ওই বাড়িতেই অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

    করোনা আক্রান্ত এস আলম গ্রুপ পরিবারের সদস্যরা হলেন, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের এক ভাইয়ের স্ত্রী ফারজানা পারভীন (৩৬), গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের ভাই ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ (লাবু), এস আলম গ্রুপের পরিচালক ও চেয়ারম্যানের ভাই রাশেদুল আলম (৬০)।

    তাছাড়া একই গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম, গ্রুপের পরিচালক ওসমান গণি (৪৫) এবং গ্রুপের মালিকানাধীন অপর ব্যাংক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলম (৬২) শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • দুর হবে পটিয়াবাসীর দুঃখ! দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬ রুটে চলবে এসআলমের ১শ বাস

    দুর হবে পটিয়াবাসীর দুঃখ! দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬ রুটে চলবে এসআলমের ১শ বাস

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স,চট্টগ্রাম : দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া রুটে বাসে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী ভোগান্তি দূরীকরণে চট্টগ্রাম সিনেমা প্যালেস থেকে পটিয়া স্টেশন পর্যন্ত নতুন বাস সার্ভিস চালু করেছে দেশের বৃহত্তর শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ।এস আলম বাস

    এছাড়াও আগামী দু একদিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস থেকে বাঁশখালী ও পেকুয়া রুটে এস আলমের নতুন বাস সার্ভিসটি চালু হচ্ছে।

    বুধবার দুপুরে এই সার্ভিসের উদ্ধোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এ সময় এস আলম গ্রুপের পরিচালক (টেকনিক্যাল) শহীদুল আলম ও ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) মো. শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানয়ারি চট্টগ্রাম সিনেমা প্যালেস থেকে শুরু হওয়া বাস সার্ভিসের ৩২ আসনের বাসগুলোতে প্রতি সিটের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। নগরীর সিনেমা প্যালেস থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে আধ ঘণ্টা পরপর ৩০টি বাস আসা যাওয়া করবে। পরবর্তীতে বাসের সংখ্যা আরও বাড়নো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এস আলম বাস ভাড়া

    তবে ভাড়াটা একটু বেশি হয়েছে মন্তব্য করে ভাড়াটা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানটির উদ্দ্যেক্তা ও গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন পটিয়াবাসীরা। তাছাড়া নগরীর কোতোয়ালি ও শাহ আমানত ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় আলাদা যাত্রী কাউন্টার রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

    পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা ও ব্যাংকার সৌরভ দে নতুন বাস সার্ভিসটি চালু করায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়াবাসীদের দীর্ঘদিনের দুঃখ এবার লাঘব হবে।

    শহর থেকে বাড়ি আবার বাড়ি থেকে শহর মুখী হতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বরে এবং পটিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে গণপরিবহনের জন্য যাত্রীদের আর যুদ্ধ করতে হবে না।

    তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই পরিবহণ মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকা যাত্রীরা এবার কিছুটা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। চালক ও হেলপারদের নৈরাজ্য সীমা নিয়ন্ত্রণে আসবে। অপ্রীতিকর ঘটনা ও যাত্রী হয়রানী হ্রাস পাবে বলে মনে করেন পটিয়ার এ বাসিন্দা।

    একই এলাকার রুবেল দে নামে এক শিক্ষকও পটিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের আশা পূরণ করে নতুন এ বাস সার্ভিস চালু করায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। তবে ভাড়াটা একটু বেশি হয়েছে জানিয়ে তা ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে যাত্রীদের সুবিধার্থ এ নগরীর কোতোয়ালি ও নতুন ব্রিজে আলাদা বাস কাউন্টার রাখার জন্য কতৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ জানান।

    এস আলম গ্রুপ কর্মকর্তারা জানায়, চট্টগ্রাম নগরী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে গণপরিবহণ সংকট ও যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে দেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। শীঘ্রই এসি ও নন এসি মিলে ২০০ বাস নামাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

    যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম নগরীর সিনেমা প্যালেস থেকে ইতিমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া রুটে এ বাস সার্ভিস শুরু হয়েছে। আগামী দুএকদিনের মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আরো কয়েকটি রুটে এ সার্ভিসটি চালু হবে।এস আলম বাস ভাড়া কাউন্টারে

    জানা যায়, নগরীর প্রধান ব্যস্ততম রুট কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা, লালদীঘি থেকে ভাটিয়ারী এবং নিউমার্কেট থেকে ফতেয়াবাদ রুটগুলোতে চলাচলের জন্য অন্তত ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩২ আসনের ১শ এসি বাস নামানোর কথা ভাবছে শিল্প প্রতিষ্ঠানটি। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে নতুন বছরের শুরু থেকে মহানগর রুটে বাস চলাচল শুরু হবে।

    অন্যদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ আরো ৬টি রুটে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১শ নন এসি বাস সার্ভিসটি চালু এবং এসব সার্ভিস তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আরো ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ।

    ভারতের গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি অশোক লেল্যান্ড থেকে এসব বাস সরবরাহ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি বাসগুলোর চেসিস সরবরাহ করবে। আর বডি প্রস্তুত হবে দেশেই। এস আলম গ্রুপ বাসগুলো সরবরাহ করতে কার্যাদেশ দিয়েছে এবং বিআরটিএ’র রোড পারমিট ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অনুমোদন পেলে আগামী মাস থেকে মহানগর রুটে বাসগুলো চলাচল শুরু করবে।

    এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ৩০টি বাস দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের দুটি রুটে নতুন সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে।

    সিনেমা প্যালেস-পেকুয়া-মগনামা-মহেশখালী ও সিনেমা প্যালেস-পটিয়া ছাড়াও শীঘ্রই দক্ষিণ চট্টগ্রামে আরো ৪টি রুটে বাস সার্ভিসটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

    রুটগুলোর মধ্যে থাকছে চট্টগ্রাম-বাঁশখালী, চট্টগ্রাম-সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম-লোহাগাড়া ও চট্টগ্রাম-চকরিয়া। নগরী ও দক্ষিণ জেলার ৯টি রুটে বাস সার্ভিসটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে অন্তত ৫শ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছেন এসআলম গ্রুপের কর্মকর্তারা।

    শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্দ্যেগে সার্ভিসটি পুরোপুরি চালু হলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল। তিনি বলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুরোধ রক্ষা করেছেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ।

    বাসে অনিয়ম, যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, যেখানে-সেখানে বাস থামানো বন্ধ করতে এবং যাত্রীদের স্বস্তির জন্য সিটি মেয়র এসআলম গ্রুপকে অনুরোধ করেছেন নগরীতে তাদের প্রতিষ্ঠানের বাস নামাতে।

    এ ব্যাপারে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও স্বীকার করেছেন নগরীকে আরো সুন্দর করতে এবং গণপরিবহণের নৈরাজ্য ও হয়রানী থেকে নগরবাসীকে স্বস্থি দেওয়ার উদ্দ্যেশে আমি এস আলম গ্রুপকে নগরীতে বাস নামানোর জন্য আমি অনুরোধ করেছিলাম, তারা রাজি হয়েছে।

    এস আলম গ্রুপ বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। পরিবহন, হোটেল, ঢেউটিন, সয়াবিন তেল, সিমেন্ট, চিনি, সিআর কয়েলসহ বেশ কয়েকটি শিল্প-কারখানা গড়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পায় এস আলম গ্রুপ।

    এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ
    শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ

    গ্রুপটি কয়েক বছর আগেও তেল, গম, চিনি আমদানিতে শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা থেকে কিছুটা সরে এসে জ্বালানি, সিমেন্ট, ইস্পাত, ঢেউটিন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে।

    ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এসব ব্যাংক ছাড়াও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ক্যাপিট্যাল ও ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রিলায়েন্স ব্রোকারেজ সার্ভিসেস, নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মালিকানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

  • শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    শীঘ্রই দেশে পৌছাবে পেঁয়াজের বড় চালান। থাকবে না আর সংকট। কমবে দাম, খুচড়া মূল্য হবে ক্রেতাদের নাগালে। আর এটি সম্ভব হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের কল্যাণে।

    সম্প্রতি মিসর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের বড় চালান আমদানির ঋণপত্র খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও ২০১৬ সালে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সচেষ্ট ছিল এস আলম গ্রুপ।

    এদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও গত দেড়মাস ধরে পেঁযাজের বাজার নিয়ে চলমান অস্তিরতার স্থিতিশীল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেঁয়াজের বড় চালানটি শিগগির পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন।

    আজারবাইজানের বাকুতে ন্যাম সম্মেলনে যোগদান শেষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই সমস্যা সাময়িক। আরও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে।

    জানা যায়, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেই জন্য এস আলম শিল্প গ্রুপটি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ তুরস্ক ও চীন থেকে আড়াই হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। এসব পেঁয়াজ দেশে এলে দামের ঊর্ধ্বগতি কমে আসবে মনে করছে সাধারণ মানুষ।

    এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক মো. আখতার হাসান বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর এ পণ্যটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেড় মাস ধরে বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। পেঁয়াজ সংকটের শুরুতে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালায় এস আলম গ্রুপ। তবে বড় চালান না পেয়ে গ্রুপটি মিসরের দ্বারস্থ হয়।

    তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি জন্য ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হয়। ইতিমধ্যে সব কিছু চূড়ান্তও হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী মাসের (নভেম্বর) প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের চালানটি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত জাহাজগুলো।

    ব্যাবসায়িক লাভের উদ্দ্যেশে এসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না জানিয়ে গ্রুপটির বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে, সে জন্য ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনে আমদানির উপর ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই এসব পেয়াঁজ বিক্রি করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের চালানটি বন্দরে আসার সাথে সাথে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বৃহৎ পাইকারী বাজারগুলোতে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

    সামাজিক দায়বদ্দতা থেকে এমন মহৎ উদ্দ্যেগ নেওয়ার জন্য এস আলম গ্রুপ ছাড়াও দেশের যেকয়টি বড় শিল্প গ্রুপ মিসর,তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে সবাইকে স্বাগত জানিয়েছে চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়িরা।

    তারা মনে করেন এস আলম গ্রুপ ছাড়াও শিল্প গ্রুপ টি কে গ্রুপপ, পিএইচপি গ্রুপসহ চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপগুলো এ ধরনের উদ্দ্যেগ নিয়ে দেশের পেঁয়াজের বাজার সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী মাসের মাঝামাঝি পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি থামবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর।

    একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।