নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) :চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট শফিউল আজম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছে ৩ হাজার ১১৯ ভোট।
এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিক উল আলম চৌধুরী নাঙল প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৬৫৪ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী সোনালি আঁশ প্রতীকে ১ হাজার ১৪৯ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী স ম জাফর উল্ল্যাহ চেয়ার প্রতীকে ১ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়েছে।
ফলাফল ঘোষনার পর রাউজান উপজেলা সদরের মুন্সিরঘাটা চত্বরে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেছেন রাউজান আসনে নৌকার মাঝি ফজলে করিম চৌধুরীকে।
এ সময় তিনি রাউজানের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে অতীতের ন্যায় কাজ করে রাউজানের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে আরো সমুজ্জ্বল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনে চট্টগ্রামের রাউজানের প্রতিটি এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৮ ঘটিকায় রাউজানের গহিরা কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায় তাকে। অন্যান্য প্রার্থীগণ নিজ এলাকার ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন। নির্বাচনে কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোটগ্রহণ শুরুর নির্ধারিত সময়ের পূর্বে প্রতিটি কেন্দ্রে নারী-পুরুষের ভীড় চোখে পড়ে।
নির্বাচনে রাউজানের ১৪ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯৫টি ভোটকেন্দ্রে ছিল নারী-পুরুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবন্ধীরাও হুইল চেয়ারে করে ভোট দিতে আসেন। ভোট দিতে পেরে খুশি নতুন ভোটাররা।
স্থানীয় ভোটাররা ভোটের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার ছিল। নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করেছেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ২১৮জন। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০২ জন।