Tag: এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী

  • চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী গণমানুষের নেতা ছিলেন: রেজাউল

    চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী গণমানুষের নেতা ছিলেন: রেজাউল

    নগরীর মোমিন রোডস্থ প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে সম্মিলিত বৌদ্ধ নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৩ বারের সাবেক সফল মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চট্টলবীর এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা টিংকু বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সনত কুমার বড়ুয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    সভার শুরুতে চট্টলবীরের প্রতি দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন-চিরজাগ্রত, মৃতুঞ্জয়ী মহিউদ্দিন চৌধুরী মানবসেবক ছিলেন বলেই সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের কাছে চট্টগ্রাম তথা সারা বাংলাদেশের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের চট্টগ্রাম শহরে কোন সার্বজনীন শ্মশান ছিল না। আপনাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের শবদাহ করার জন্য চান্দগাঁওয়ে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শ্মাশান নির্মাণ করেছিলেন। সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত নাগরিকদের সুখশান্তির কথা চিন্তা করে হোল্ডিং টেক্স বাড়ায়নি। আমিও আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রদাঙ্ক অনুসরণ করব। যুব সমাজকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত রাখতে নিজের জীবন বাজি রেখে হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাব।

    স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহ-সভাপতি ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডা. বিদুৎ বড়ুয়া, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন পুত্র মো. বোরহান উদ্দিন সালেহীন, জামাল খান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতি যুব’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া, বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ যুব’র সাধারণ সম্পাদক ড. সুব্রত বরণ বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি উত্তম কুমার বড়ুয়া, যুবলীগ নেতা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের সদস্য স্বরূপ বিকাশ বড়ুয়া বিতান, প্রণব রাজ বড়ুয়া, নগর যুবলীগ নেতা কাজল প্রিয় বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ: সীমান্ত বড়ুয়া, প্রকৌ: পলাশ বড়ুয়া, সীবলী সংসদ সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, নারী নেত্রী রেবা বড়ুয়া, ছাত্রলীগ নেতা ছোটন বড়ুয়া রুহিত, সম্যক শুভ বড়ুয়া প্রমুখ।

    স্মরণ সভায় বৌদ্ধ সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৌ: পরিতোষ কুমার বড়ুয়া, স্বদেশ কুসুম চৌধুরী, বিনয় ভুষণ বড়ুয়া, প্রাক্তন অধ্যক্ষ দীপক বড়ুয়া, সংগঠক প্রীতিশ রঞ্জন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শচী ভূষণ বড়ুয়া, কাতালগঞ্জ নবপণ্ডিত বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমলেন্দু বিকাশ বড়ুয়া, মোমিন রোড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অলক বড়ুয়া বিটু, প্রকৌ: বিধান চন্দ্র বড়ুয়া, বৌদ্ধ নেতা লোকপ্রিয় বড়ুয়া, রঞ্জন রশ্মী বড়ুয়া, অতীশ দীপঙ্কর সভাপতি সনত বড়ুয়া, সংগঠক সূর্যসেন বড়ুয়া শঙ্কু, তাপস কুমার বড়ুয়া, বিধান বড়ুয়া, চন্দন বড়ুয়া, বৌদ্ধ নারী নেত্রী রেখা বড়ুয়া, পূর্ণিমা বড়ুয়া, দোলা চৌধুরী, শুভ্রমনিয়াম বড়ুয়া, ত্রিরত্ন সাধারণ সম্পাদক কমল বড়ুয়া, দোলন বড়ুয়া প্রমুখ।

    সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ বলেন সর্বজনের সেবক মানবতাবাদী বলেই চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী সকল সম্প্রদায়ের কাছে চিরস্মরণীয় মৃত্যুঞ্জয়ী একটি নাম।

  • মহিউদ্দীন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করলেন চসিক প্রশাসক

    মহিউদ্দীন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করলেন চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রামসহ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণের অলোচিত ও পরিচিত মুখ গণমানুষের নেতা আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ‘চট্টলবীর’ খ্যাতি পাওয়া প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ভোরে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    প্রশাসক কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করেন। মুনাজাত পরিচালনা করেন চসিকের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী। এর আগে কোরান খতমের অয়োজন করা হয়।

    শ্রদ্ধানিবেদনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোন-৬ এর আফিয়া আখতার, স্পেশাল ম্যজিস্ট্র্যাট ও যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, উপ-সচিব আশেক রসূল চৌধুরী টিপু,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, ঝুলন কুমার দাশ, সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, আবু তৈয়ব, শাহিনুল ইসলাম ও ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

  • আজ চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

    চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নগর আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার। কর্মসূচির শুরুতে আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নগরের চশমাহিল কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত করা হবে।

    তাঁর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সকাল ১১টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি তার বাসভবন ঢাকা থেকে অংশ নেবেন।

    সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী।

    এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মী, থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

    পাঁচ দশকেরও বেশি সময় নানা রাজনৈতিক সংকটে সম্ভাবনায় চট্টগ্রামের মানুষের পাশে থেকে এই আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে উঠেছিলেন ‘চট্টল বীর’। তাঁর মৃত্যুতে প্রশংসা ঝরেছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কণ্ঠেও। দল মত নির্বিশেষে সকলের নেতা হয়ে উঠেছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ করে চট্টগ্রামের স্বার্থ ও সংকটের তাঁর অবদান চট্টলবাসী চিরদিন মনে রাখবে। প্রিয় নেতা মৃত্যুর খবর শুনে ২০১৭ সালের এইদিনে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল চট্টলার পুণ্যভূমিতে। তাঁর জানাজায় হাজির হয়ে শেষ বিদায় জানিয়েছিল লাখো জনতা। দল মত নির্বিশেষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে সেদিনের জানাজা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

    ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর রাউজানের গহিরা গ্রামের বক্স আলী চৌধুরী বাড়িতে জন্ম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। বাবা হোসেন আহমদ চৌধুরী ছিলেন রেলওয়ে কর্মকর্তা। মা বেদুরা বেগম।

    ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া মহিউদ্দিন ১৯৬২ সালে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৬৭ সালে ডিগ্রি পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং পরে আইন কলেজে ভর্তি হলেও শেষ করেননি। জড়িয়ে পড়েন ছাত্র আন্দোলনে।

    ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা মহিউদ্দিন একাত্তরে গঠন করেন ‘জয় বাংলা’ বাহিনী। গ্রেফতার হন পাকিস্তানি সেনাদের হাতে। পাগলের অভিনয় করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যান ভারতে। সম্মুখ সমরের যোদ্ধা মহিউদ্দিন স্বাধীনতার পর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে যুবলীগের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ পান। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মহিউদ্দিন চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন।

    পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে প্রতিশোধ নিতে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে ‘মুজিব বাহিনী’ গঠন করেন। ওই সময় ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা’র আসামি করা হলে তিনি কলকাতায় চলে যান। এরপর ১৯৭৮ সালে দেশে ফেরেন।

    ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর বেওয়ারিশ মরদেহ নিজ কাঁধে বহন করে দাফন ও সৎকার করে চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি পান মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবনে ছিল অনেক অর্জন। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েই মহিউদ্দিন চৌধুরী বিজয়ী হন। ২০০০ সালে দ্বিতীয় দফায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০০৫ সালে তৃতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তিন তিনবার নির্বাচিত হয়ে টানা ১৭ বছর তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ছিলেন। তাঁর আমলে নগরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা সেবা এখনো চট্টলবাসী ভুলতে পারে না।

    ২০১৫ সালে আবার মেয়র প্রার্থী হলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি মেয়র প্রার্থী থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। যে মাসে তাঁর জন্ম, সে বিজয়ের মাসে এই মহান বীরের মৃত্যু এখনো চিরস্মরণীয় হয়ে আছে চট্টলবাসীর মনে।

    ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতায় নগরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

  • সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন পুত্র সালেহীন করোনায় আক্রান্ত

    সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন পুত্র সালেহীন করোনায় আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনের (৩২) শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

    তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছোট ভাই।

    রোববার (১০ মে) ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২২টি নমুনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে একজন সালেহীন।

    সালেহীনের ভগ্নিপতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘সালেহীন কিছুদিন ঢাকায় ছিল। ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার তার জ্বর আসে।

    নমুনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠালে সেখান থেকে পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। তাকে আপাতত বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এখন জ্বর নেই। উপসর্গ বেশি দেখা না গেলে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’ তার স্ত্রী ও পুত্র বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।

    রোববার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২২টি নমুনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

    অন্যদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে শনিবার ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর ফল জানানো হয় রোববার। এতে মোট ৫৩টি নমুনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, বিআইটিআইডিতে শনাক্ত ২২ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ১৪ ও নোয়াখালী জেলার আট জন আছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১১ জন এবং মিরসরাই, চন্দনাইশ ও হাটহাজারী উপজেলায় তিন জন আছেন।

    নগরীর আগ্রাবাদ হাজী পাড়া, নাসিরাবাদ মেয়র গলি, সরাই পাড়া, একে খান এলাকা, উত্তর কাট্টলী, মুন্সীপাড়া, কর্ণেল হাট ও ফিল্ড হাসপাতালে একজন করে এবং হালিশহর এলাকায় দু’জন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত পাওয়া গেছে।

    জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী জানান, সিভাসুর ল্যাবে শনাক্ত ৫৩ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার আছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে মহানগরী এলাকার দু’জন এবং বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার। এছাড়া ফেনী জেলার সাত জন, লক্ষীপুরের তিন এবং নোয়াখালী জেলার আট জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

    সিভাসুর ল্যাবে করা পরীক্ষায় নগরীর মনসুরাবাদ ও মনসুরাবাদ এলাকার দু’জন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ১৪ জন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১০ জন, সন্দ্বীপের সাত জন এবং বাঁশখালী ও রাউজান উপজেলার একজন করে দু’জন আছেন।

    সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের এ পর্যন্ত ২৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪ জন, মারা গেছেন ১৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মেয়র হজ্ব কাফেলার খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মেয়র হজ্ব কাফেলার খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    স্বল্প খরচে উন্নতমানের হজ্ব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত মেয়র হজ্ব কাফেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মরহুমের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা অর্পন, কবর জেয়ারত ও বাদ জোহর থেকে বাদ আসর পর্যন্ত প্রেসক্লাবস্থ মেয়র হজ্ব কাফেলার কার্যালয়ে খতমে কোরআন এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ ১৫ ডিসেম্বর সারা দিনব্যাপী উক্ত কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মেয়র হজ্ব কাফেলার নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে আলহাজ্ব মুছা মিরদাদ, আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর, আলহাজ্ব সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুরুল আনোয়ারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

  • মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধা

    মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধা

    মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরই দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আজ রবিবার(১৫ ডিসেম্বর) সকালে ষোলশহরস্থ চশমা হিল মসজিদ কবরস্থানে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মোঃ আবু তাহের, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, রশীদ আহমদ চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, নুরুল কবির, শেখ মামুনুর রশীদ, মোঃ সাহেদ বশর, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ওয়াসিম, আবুল কালাম আবু, শেখ মহিউদ্দিন বাবু, মোঃ ইদ্রিস, মনিরুল হক মুন্না, মোঃ হাসনাত প্রমূখ।

    দোয়া মোনাজাত শেষে জনাব সুজন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনের সাথে তার বাসভবনে দেখা করেন এবং সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।

     

  • জনপ্রিয়তা স্বর্ত্তেও জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ ছিলোনা বাবার, চিন্তা চেতনায় শুধু চট্টগ্রাম-নওফেল

    জনপ্রিয়তা স্বর্ত্তেও জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ ছিলোনা বাবার, চিন্তা চেতনায় শুধু চট্টগ্রাম-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টলবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, চট্টগ্রাম সিটির সাবেক তিনবারের সফল মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী তার জীবদ্দশাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ধারাবাহিতা এবং দলের ভবিষ্যত নিয়ে আজীবন রাজনীতি করেছেন।

    বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ট কর্মী হিসেবে এবং তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর সম্পূর্ণ আনুগত্য রেখে তিনি সবসময় দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। দলের জন্য নিবেদিন প্রাণ হয়ে তিনি জননেতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    তৃণমুল কর্মী হিসেবে সারাদেশে জাতীয় নেতার পরিচিতি পেয়েছেন। তবে জাতীয় নেতৃত্বে মহিউদ্দিন চৌধুরী কখনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। কারণ তার চিন্তা চেতনায় ছিলো বৃহত্তর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত করার এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য আজীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন, রাজনীতি করেছেন।

    প্রয়াত এ নেতার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহিউদ্দিনপুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব কথা বলেন।

    আজ ১৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় কাজীর দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনাল সেন্টারে প্রয়াত নেতার স্মরণ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

    নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু।

    নওফেল বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োতিক এ স্মরণ সভার মাধ্যমে আমার প্রয়াত পিতার স্মতিচারণ যেমন সম্ভব হয়েছে তেমনি আগামী নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আমার পিতৃতুল্য আওয়ামী লীগের অভিভাবক নেতৃবৃদ্ধের আলোচনায় উঠে এসেছে।

    আমার বাবার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করবার দৃষ্টতা আমার নেই। তাছাড়া সে অভিজ্ঞতাও আমার হয়নি বলে মনে করছি। আজকের অনুষ্ঠানে আলোচক বৃন্দরে আলোচনাই মূখ্য। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নওফেল।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পরবর্তী ভোটাভুটির মাধ্যমে যে নেতৃত্ব ঘোষণা হয়েছে তা সারা বাংলাদেশে সমাদৃক প্রশংসীত হয়েছে উল্লেখ করে নওফেল বলেন, দলীয় নেতৃত্বে প্রতিযোগীতার চমৎকার সমাপ্তির একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের এ ভোটাভুটির নেতৃত্ব।

    তিনি বলেন, দলীয় নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা সবসময় থাকবে সে দলীয় নেতৃত্বে প্রতিযোগীতার সমাপ্তিটাও যেন সুষ্ঠ সুশৃঙ্খলভাবে হয় সে বিষয়টা যেন সকলেই সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা ধারণ করে। কারণ আমরা আমাদের পূর্বসুরিদের জীবনের দিকে যদি তাকাই তাদের জীবনেও দলীয় নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা ছিলো কিন্তু দলীয় সাংগঠনিক শক্তির প্রশ্নে দলের প্রয়োজনে তারা কখনো এমন কোন কিছু করেনি যেখানে দলের সাংগঠনিক শক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

    নওফেল বলেন, যেকোন মূল্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় রাখতে সকল পর্যায়ে সকল নির্বাচনে আমাদের সর্ব শক্তি দিয়ে সাংগঠনিক ঐক্য ধরে রাখবার চেষ্টা না করি তবে আজকে আমি আপনি আমাদের প্রতিযোগীতায় ভবিষ্যত প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে, নির্বাচনী ক্ষমতায় ঐক্যের প্রমাণ দিয়ে বিজয় না আনতে পারে, যদি প্রমাণ করতে না পারে রাজনৈতিক ঐক্যের তবে অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। আগামী যে কঠিন সময়গুলো আসছে, বাংলাদেশের অপরাজনৈতিক শক্তি গোপনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের রাজনীতিকে, শেখ হাসিনার রাজনীতিকে, শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

    তাই সকলের কাছে আহবান জানিয়ে নওফেল বলেন, আমাদের নিজেদের প্রতিযোগীতার কারণে এ অপরাজনৈতিক শক্তি যাতে কোন ভাবেই সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি করতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হয়ে রাজনীতির প্রতিযোগীতায় মেতে থাকি তবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি টেকশই হবে না।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

    নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় মঞ্চে উপস্তিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অ্যডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

    এছাড়াও চট্টগ্রাম নগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।