নিজস্ব প্রতিবেদক : মহান অলীদের স্মৃতিধন্য বদর পুকুর। প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক স্থানও এটি। আর ঐতিহাসিক ‘বদর পুকুর’ সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনে এগিয়ে এলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।
তার আন্তরিক উদ্যোগে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে বদরপাতি এলাকাবাসীর সাথে এক সমন্বয় সভায় তিনি মিলিত হন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সভাটি।
সভার প্রারম্ভে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ‘বদর পুকুর সংস্কার প্রকল্প’র বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
এসময় তিনি বলেন, মহান অলীদের স্মৃতিধন্য বদর পুকুর। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক স্থান। এটিকে রক্ষা করা সকলেরই দায়িত্ব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ প্রকল্পের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হলে ‘বদর পুকুর’ শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও একটি আধ্যাত্মিক ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে সার্বজনীনতা পাবে। তিনি এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাকী কাজটুকু শেষ করার তাগিদ দেন।
এসময় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদুল আলম, ভূমি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।
বদরপাতি এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও ছাত্রনেতা মুহাম্মদ নোমান লিটন, নগর বিএনপির সহ সভাপতি হারুন জামান, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন শাহ্, বদর পুকুর পাড়স্থ ‘যুবকণ্ঠে’র সভাপতি নুরুল হুদা, বদর আউলিয়া মাজার শরীফের মোতোয়ালি সৈয়দ আবুল হাশেম, আখতার আজিম খান, দিদার আজিম খান, মাহমুদ উল্যাহ্, হাবিব উল্যাহ্, জসিমউদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, নগর স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা জানে আলম, যুবকণ্ঠে’র সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস জ্যাকী, সুমন, মোরশেদ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী বদর পুকুর সংস্কার প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় বক্তারা চলমান প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্ণীতি, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের তৎকালিন কাউন্সিলরের অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং প্রকল্পের কাজে দূর্ণীতির ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দেন।
তিনি এসময় আবারো প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সকলের সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে দৃঢ সংকল্প ব্যক্ত করেন।
২৪ ঘণ্টা/কামরুল/রাজীব