Tag: ওজনে কারচুপি

  • অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি ও ওজনে কারচুপিঃ পনেরো ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

    অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি ও ওজনে কারচুপিঃ পনেরো ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

    চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়ী কাঁচা বাজারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

    বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত উক্ত অভিযান পরিচালানা করা হয়।

    অভিযানকালে দেখা যায় সবজি বাজারে ব্যবসায়ীরা সবজির দাম রাখছেন বেশি, মুল্য তালিকা ঝুলিয়ে প্রদর্শন করার কথা থাকলেও তারা তা মানছেন না অনেকেই এমনকি ওজনে কারচুপি করার মতো বিষয়ও নজরে আসে। যার প্রেক্ষিতে ১৫ জন সবজি ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

    ব্যবসায়ীদের মধ্যে অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:  মিজান মিয়া, রিমন আহমেদ, আবু জাফর, আজিজ মিয়া, হারাধন দত্ত, মোঃ জাহিদ, মোঃ আলমগীর, আব্দুস সবুর, আজম আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, নাসির মিয়া, মানিক মিয়া, মিল্টন মিয়া, শরীফ, মিন্টু।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় সবজি ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে সবজি বিক্রি করছেন। একই সবজি ভিন্ন দোকানে ভিন্ন দাম। মুল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক হলেও তারা তা পালন করেননি- এমনকি আড়ত থেকে আনা সবজির ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। যার ফলে এসব অনিয়মের কারণে তাদের অর্থদণ্ডের আওতায় আনা হয়।

    তিনি আরও বলেন, দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজনে কারচুপির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। ডিজিটাল নিক্তির মাধ্যমে ওজন মাপা হলেও সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় ওজেন কম দেয়া হয়।অনেকের ডিজিটাল নিক্তি বিএসটিআই কর্তৃক সার্টিফাইড নয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, অভিযানকালে কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন বাজার ভেদে সবজির দাম ভিন্ন, দামের ব্যবধানও অনেক বেশি যেমন ১ কেজি মরিচের দাম এক দোকানে ১৫০ টাকা অন্য দোকানে ২০০ টাকা, ১ কেজি টমেটোর দাম ১০০ টাকা অন্য দোকানে ১৪০ টাকা যার ফলে তারা ঠকছে ও সবজির বাজার এখন তাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।ব্যবসায়ীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করে।

    অভিযানে কাজির দেউড়ী কাঁচা বাজারের মাছ, মাংস, শুটকি ও ফলের দোকানের ডিজিটাল নিক্তির যথার্থতা পরীক্ষা করা হয়।

    বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক।

    অভিযানে আরও ছিলেন বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক মোঃ মুকুল মৃধা ও ফিল্ড অফিসার আব্দুল মান্নান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • পটিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে ওজনে কারচুপির সময় বিস্ফোরণ : দগ্ধ ৫, একজনের অবস্থা আশংকাজনক

    পটিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারে ওজনে কারচুপির সময় বিস্ফোরণ : দগ্ধ ৫, একজনের অবস্থা আশংকাজনক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়াতে গ্যাস সিলিন্ডারের ওজনে কারচুপির সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টার সময় উপজেলার বৈলতলী সড়কের কচুয়াই বাইপাস মোড় এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    এ ঘটনায় ৫ জন দগ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া হাসপাতালে এবং সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে চন্দনাইশ রসুনহাট সৈয়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে আবু ছালেক (২৬) এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

    আগুনে দগ্ধ অন্যরা হলেন, পটিয়া উপজেলার কচুয়াই গ্রামের মো. আব্দুল মোনাফের ছেলে আবু সৈয়দ (৪০), চন্দনাইশের এনায়েত হোসেনের ছেলে মো. রহিম (৩৩), একই উপজেলার মীর আহাম্মদের ছেলে মো. আলী (৩২) ও আব্দুল মাহবুবের ছেলে সাজ্জাদ (২০)।

    পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছে। ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    তিনি দাবী করছেন শ্রমিকদের দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি কয়েকশ গ্যাস সিলিন্ডার এখানে মজুদ রেখে সেগুলোতে ওজনে কারসাজি করছিলো। অসাবধানতা বশত হঠাৎ দুটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে পুরো ঘরটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    অবৈধ গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানায় আগুনে দগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডা: তিমির বরণ চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানায় তালা লাগিয়ে দেন।অবৈধ গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানা

    পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানাটি অবৈধ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ১বার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এই অবৈধ কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং কারখানা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেন।

    কিন্তু প্রসাশন কে আবারো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারো কারখানাটি চালু করলে মঙ্গলবার দুঘর্টনা ঘটে। পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ গ্যাস রিফুয়েলিং কারখানায় দ্বিতীয় বারের মত তালা লাগিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।