Tag: ওষুধ

  • চেতনানাশক ওষুধে পুরো পরিবারকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি

    চেতনানাশক ওষুধে পুরো পরিবারকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : পটিয়ায় খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণলংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়েছে চোরের দল। সোমবার রাতে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ঊনাইনপুরা গ্রামের বড়ুয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

    অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন কল্পনা চৌধুরী (৪৫), বিরল চৌধুরী (৫০), প্রিয়া চৌধুরী (২৫), অরুন চৌধুরী (৬০), সাধনা বড়ুয়া (৪০), শুভজোতি বড়ুয়া (১৮) ও সুদীপ চৌধুরী (১৪) কে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এদের মধ্যে তিনজন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অসুস্থ আরো ৪ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার ঊনাইনপুরা গ্রামের বড়ুয়া গ্রামে প্রতিদিনের মত রাতে বিরল চৌধুরীর পরিবার ও পার্শ্ববর্তী অরুন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়ে।

    ভোরে ওই দুই পরিবারের সদস্যদের ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় বিরল ও অরুণ চৌধুরীর ঘরের আলমিরার তালা ভেঙে স্বর্ণলংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ।

    পটিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার পাপিয়া চৌধুরী জানান, ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করা হয়েছে।

    অসুস্থ কল্পনা চৌধুরী জানান, রাত ১০টার দিকে তারা প্রতিদিনের মত খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রান্না করা ভাতগুলোতে কিছু একটা মিশিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, মেয়ের বিয়ের জন্য ঘরে রাখা দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণলংকার আলমিরা ভেঙে লুট করে নেওয়া হয়েছে।

    পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণলংকার ও মালামাল নেওয়া সংক্রান্তে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    ২৪ ঘন্টা/সঞ্জয়/রাজীব

  • ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে ২০১৮ সালের ওষুধ, মালিককে দন্ড

    ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে ২০১৮ সালের ওষুধ, মালিককে দন্ড

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় ‘চন্দ্রিকা ফার্মেসি’ নামে এক ওষুধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে বিক্রির জন্য মজুদ ছিলো ২০১৮ সালের ওষুধ। বিগত এক বছর আগের মেয়াদোর্ত্তীন্ন ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

    বৃৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানটি পরিচালিত হয়। এসময় চন্দ্রিকা ফার্মেসীতে মেয়াদোর্ত্তীন্ন ওষুধ বিক্রি ও নিষিদ্ধ ওষুধ রাখার বিষয়টি ধরা পড়লে ম্যাজিস্ট্রেট ফার্মেসী মালিক বিমল চন্দ্র দাশকে এ দন্ড দেন।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, চন্দ্রিকা ফার্মেসী থেকে নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া যায়। এছাড়া এখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২০১৮ সালের মেয়াদোর্ত্তীন্ন অনেক ওষুধ। এসব ওষুধ ধ্বংস করার পাশাপাশি ফার্মেসী মালিক বিমলকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    অভিযানের সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।