Tag: ওসি মোহসীন

  • করোনা : সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াবে সিএমপি

    করোনা : সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াবে সিএমপি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে পৃথিবীর অনেক দেশই এখন পুরোপুরি লকডাউনে। তেমনি আমাদের দেশেও অঘোষিত লকডাউনে গত ২৬ মার্চ থেকে, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দেশের প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

    মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশের এমন ক্রান্তি লগ্নে গরীব দিনমজুর খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষদের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছে সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সংস্থা। শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট ছোট একাধিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনেকে ব্যক্তি উদ্দ্যেগেও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে নিম্নবিত্তদের।

    এদিকে লকডাউনের দিন যতই বাড়ানো হচ্ছে সবচেয়ে ততই বেশি বিপাকে পড়ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। দীর্ঘদিন সরকারি বেসরকারি অফিস কারখানা বন্ধ থাকায় মধ্যবিত্ত অনেকের ঘরে যা জমাছিল তা ফুরিয়ে এসেছে।

    লোকলজ্জ্বার ভয়ে থাকা গৃহবন্দি এসব মধ্যবিত্ত পরিবারে কথা চিন্তা করে তাদের সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি।

    সিএমপির ডিসি (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান বলেন, যারা সরকারী বেসকারী চাকুরি করেন তারাই বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত। অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (আয়ের উৎস) সব বন্ধ থাকায় অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়েছে অধিকাংশই পরিবার। না পারছে সহ্য করতে আবার লোকলজ্জ্বার ভয়ে বলতেও পারছেনা কাউকে।

    তাই তাদের কথা চিন্তা করে এসব মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএমপি। এক্ষেত্রে যারা ত্রাণ নিচ্ছে বা নিবে তাদের আমরা ক্যামেরা বা মিডিয়ার সামনে ফোকাস করতে চাই না। মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় সিএমপি দক্ষিণ বিভাগ।

    সিএমপির কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন মধ্যবিত্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সামর্থ্য ফুরিয়ে এসেছে, কিন্তু লোকলজ্জায় বলতে পারছেন না। আপনারও সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু সামাজিক মর্যাদারক্ষায় চাইতে পারছেন না। আমরা আপনার পাশে দাঁড়াতে চাই।

    নিম্নোক্ত নাম্বারে এসএমএস করুন অথবা ফোনে বলুন।

    ডিসি দক্ষিণ ০১৭৬৯০৫৮১২১, এডিসি দক্ষিণ ০১৭৬৯০৫৮১২৫, এসি কোতোয়ালী ০১৭১৩৩৭৩২৫৪, এসি চকবাজার ০১৭৬৯৬৯৪২২৩, ওসি কোতোয়ালী ০১৭১৩৩৭৩২৫৬, ওসি বাকলিয়া ০১৭১৩৩৭৩২৬১, ওসি চকবাজার ০১৭৬৯৬৯০০৬৪, ওসি সদরঘাট ০১৭৬৯৬৯০০৬৫।

    কথা দিচ্ছি, আপনার সামাজিক মর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। এই সহযোগিতার কথা কেউই জানবেনা। মানুষ সন্দেহ করবে এমন বিশেষ কোন ব্যাগও ব্যবহার করা হবে না।
    ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন। আস্থা রাখুন পুলিশে।

    ২৪ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    আয়া নার্স ও ডায়গনস্টিক কর্মী হলেও এরা শিশু চোর,৫ মাস পর ধরা

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা রেয়াজউদ্দিন বাজারের আমতল এলাকা থেকে গত ৫ মাস আগে চুরি হওয়া এক ভিক্ষুকের সাত মাস বয়সি শিশুপুত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    শনিবার দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ এ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য মতে রোববার ভোর রাতে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডের এক দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। দুই মাস বয়স থাকতে শিশুটি চুরি করেছে চোরের দল।

    গ্রেফতার হওয়া শিশু চোর চক্রের তিন সদস্যদের মধ্যে মো. আফসার প্রকাশ জাফর সাদেক (৩৫) এ চোর চক্রের মূল হোতা। পারভীন আক্তার (৩৫) এবং নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সিগমা ল্যাবে কর্মরত রেডিওলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট সুজিত কুমার নাথ (৪৫) আফসারের সহযোগী। বিভিন্ন হাসপাতালের আয়া,নার্স এবং ডায়াগনস্টিক কর্মী সেজে এরা হতদরিদ্র পরিবারের শিশু পুত্র চুরি করায় এদের মূল পেশা।

    রবিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

    তিনি বলেন, ওরা সংঘবদ্ধভাবে নবজাতক শিশু চুরি করে নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে আসছে। এই চোর চক্রের সাথে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আয়া, নার্স, দারোয়ান ও বিভিন্ন কর্মচারীরা সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা সাধারণত হতদরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে শিশু নবজাতক সন্তান চুরি করে। পরবর্তীতে তাদের কোন স্বজনের সন্তান দাবী করে সমাজের নিঃসন্তান পরিবারের হাতে বেশি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন।

    তিনি বলেন, গত ২৬ মে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে ভিক্ষুক শেফালীর ২ মাস বয়সী শিশু সন্তান চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এধরনের একটি চক্রের সন্ধান পায়। শনিবার রাতে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    মেহেদী হাসান জানান, শেফালির শিশুপুত্রকে চুরি করে নিঃসন্তান পবন কান্তির কাছে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। পুলিশ এ ধরনের চুক্তিপত্রের কপি ও ভুয়া মৃত্যু সনদও জব্দ করেছে বলে জানান তিনি।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ৫ মাস আগে গত ২৭ মে শেফালি বেগম নামে এক ভিক্ষুক তার শিশুপুত্র চুরির কথা উল্লেখ করে ২৮ মে কোতোয়ালি থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।

    অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চোর সিন্ডিকেটটি নগরীর কাজির দেউরি এলাকায় গিয়ে তার শিশুকে ভাল জামা কাপড় কিনে দেওয়ার নাম করে রেয়াজউদ্দিন বাজারে তাকে ও তার শিশুকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কৌশলে শিশুটি চুরি করে তারা পালিয়ে যায়। আরো খবর : নবজাতক শিশু চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

    ওই চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে শেফালি বেগমের শনাক্ত করা মার্কেটটিতে যায়। সেখানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরচক্রকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ ইপিজেড থানা এলাকা থেকে শিশু চুরির অভিযোগে ইকবাল নামে একজনকে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে গ্রেফতার করার পর তাকে ফুটেজ দেখালে সে শেফালির বাচ্চা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। এ সম্পর্কে সে আদালতে জবানবন্দিও দেন।

    তার কাছ থেকে নবজাতক শিশু চোরের মূলহোতা আফসারের তথ্য পাওয়া যায়। শনিবার আফসারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কক্সবাজারের কলাতলি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে থেকে সুজিত এবং নগরীর অক্সিজেন এলাকার সৈয়দপাড়ায় এক বাসা থেকে পারভীনকে গ্রেফতার করা হয়।

    তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নগরীর দামপাড়ায় পল্টন রোডে জনৈক পবন কান্তি নাথের বাসা থেকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

    উদ্ধার করা শিশুকে আদালতের মাধ্যমে মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

  • ভোলার সহিংস ঘটনায় সিএমপি কমিশনারকে নিয়ে গুজব! জাপা নেতা আটক

    ভোলার সহিংস ঘটনায় সিএমপি কমিশনারকে নিয়ে গুজব! জাপা নেতা আটক

    ভোলায় ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের ছবি জড়িয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এক জাপা নেতাকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর লালদীঘি এলাকার আবাসিক হোটেল ফৌজিয়ার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আটক এমএইচ রবিউল আলম (২৮) বাঁশখালী থানার পূঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পূঁইছড়ি গ্রামের আফলাতুন সিকদার বাড়ির আহমদ হোসেনের ছেলে। কোরানে হাফেজ রবিউল সীতাকুণ্ড জোড়াআমতল (বারআউলিয়া) এলাকায় অবস্থিত ফোরস্টার শিপিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং সে নিজেকে জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় সাইবার পার্টির প্রধান সমন্বয়ক বলে দাবী করেছেন এমন তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিনে সহিংস ঘটনা নিয়ে সিএমপি কমিশনারকে জড়িয়ে ফেইসবুকে ‘উস্কানিমূলক পোস্ট’ দেওয়ায় রবিউলকে আটক করা হয়েছে।

    তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, সম্প্রতি ইসকনের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের একটি ছবি ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করে ছবিটিতে কমিশনার স্যারকে মার্ক করে দিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছে রবিউল আলম। সঙ্গে ভোলার এসপির একটি ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়।

    এছাড়াও একই পোস্টে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর ছবি ব্যবহার করে হাটহাজারী মাদ্রাসা পুলিশ ঘিরে রেখেছে ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও একটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে জিহাদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান রবিউল।

    ওসি মোহসীন বলেন, মিথ্যে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য লিখে ফেসবুকে টাইমলাইনে ছড়িয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে রবিউল ও তার সহযোগীরা। এ চক্রে রবিউলের সাতে আর কে কে আছে তা সনাক্ত করতে রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    আটক রবিউল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি মো. মোহসীন।