Tag: ওয়ানডে ক্রিকেট

  • আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর শুরু আজ

    আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর শুরু আজ

    আজ থেকে শুরু বহু অপেক্ষার‍ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। যে কোনবারের তুলনায় এবার আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে ঢের। ফরম্যাটের ভিন্নতা, ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা, ওয়ানডের ক্রিকেটের গতিপথ নির্ধারণ সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপ পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

    ৪৮ ম্যাচ, ৪৬ দিন, দশ দেশ ট্রফি মাত্র একটা। উত্তরে ধর্মশালা, দক্ষিণে চেন্নাই। পূর্বের কলকাতা থেকে পশ্চিমের আহমেদাবাদ বিশ্বকাপের মঞ্চ তৈরি। অপেক্ষায় দশ ভেন্যু। শুরুটা শেষ থেকে, শেষ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের লড়াই দিয়ে।

    ফাইনাল আর চির বৈরিতার ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের ভেন্যুও এক আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। পাকিস্তান শেষ চারে টিকে থাকলে ফিরতে হবে কলকাতায়। ভারতের ক্ষেত্রে ভেন্যু হবে মুম্বাই। আর দুই দল সেমিতে মুখোমুখি হলে দেখা হবে সিটি অব জয়ে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স সাক্ষী হবে সেই ম্যাচের।

    প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ মঞ্চে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতি। সেখান থেকে সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। রিজার্ভ ডে থাকছে শুধু নক আউট পর্বে। বিশ্বকাপের রঙ হারিয়েছে বাছাই পর্বে, দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজর বিদায়ে। নেই নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা জিম্বাবুয়েও। বাছাই পর্বের চমক নেদারল্যান্ডস।

    হট ফেভারিট ভারত ও ইংল্যান্ড, কিন্তু স্পটলাইট থাকবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর। হ্যাটট্রিক শিরোপাসহ ৫ বারের বিশ্বসেরা যে অজিরা। অবশ্য ঘরের মাঠের সুবিধা আর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে হট ফেভারিট ভারত। সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় ট্রফি দেখছেন স্বাগতিকদের ঘরে।

    ১৪২ কোটি মানুষের দেশ ভারত, সঙ্গে দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে বলেই যেকোনও বারের তুলনায় আগ্রহ, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ বাড়িয়েছে এবারের আসরে। সে তুলনায় অবশ্য বাড়েনি প্রাইজমানি। আগের আসরের সমান ১০ মিলিয়ন ডলার এবারও। টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১১০ কোটি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪০ কোটির বেশি। রানার্সআপ পাবে এর অর্ধেক।

    বিশ্বকাপ ডামাডোলে সমালোচনাও কম নয়। যেখানে আসর শুরুর এক বছর আগেই চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করে আয়োজকরা সেখানে ভারত প্রকাশ করেছে মাত্র ১০০ দিন আগে।

    একাধিকবার সূচি বদলেও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে আয়োজক বিসিসিআই। ৭ বছর পর ভারতে পা রেখেছে পাকিস্তান। সেখানেও ভিসা জটিলতা এড়াতে পারেনি। যে কারণে ম্যান ইন গ্রীনদের প্রস্তুতিতেও ছিলে ঘাটতি। অসন্তোষ ছিলে অনলাইন টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে। বিশ্বকাপ জুড়ে ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে দলগুলোর কোচিং স্টাফদের।

    সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের গতিপথ নির্ধারণ হতে পারে এবারের বিশ্বকাপে।

  • জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

    সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৫ রান করেন লিটন এবং বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন ।

    আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেটির লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় এক রানে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হন জিম্বাবুয়ে দলের ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিও বেশি বড় হয়নি। মাত্র দলীয় ২৩ রানে ফের বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাইফউদ্দিন। চাকাভাকে এলবিডব্লুতে পরাস্ত করেন সাইফ।

    দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের প্রথম উইকেট করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিবাবার উইকেট নিয়ে। দলের বিপদ বাড়ে দলীয় ৪৪ রানে ব্রেন্ডন টেইলর আউট হলে। তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। দুইজন মিলে বেশ দায়িত্ব নিয়েই ব্যাটিং করেন। তবে রাজার ধৈর্যর বাঁধ ভাঙে দলীয় ৭৯ রানে। মুস্তাফিজের বলে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন রাজা।

    নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মাধেভেরেও। মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অবশ্য ম্যাচের অর্ধেকের বেশি ততক্ষণে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। ব্যক্তিগত ১৭ রান করে শান্তর দারুণ থ্রোতে রান আউটের শিকার হন মুতুম্বাবি। দলীয় ১০৯ রানে ৮ম উইকেটের পতন হয় জিম্বাবুয়ের। শেষ পর্যন্ত রানেই শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

    এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩২১ রান তুলে বাংলাদেশ। তিনশ করার পেছনে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন লিটন। ব্যাট হাতে ১২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও ক্রিজে থাকতে পারলে ব্যক্তিগত রান আরও হলেও হতে পারত লিটনের। পায়ের মাংশ পেশিতে টান লাগায় সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন লিটন।

    পরবর্তীতে আর মাঠে নামেননি। লিটন বাদে ফিফটি করেছেন মিঠুন। ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়াও শেষদিকে ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ ৩২১-৬ (ওভার ৫০)

    লিটন ১২৬*, মিঠুন ৫০: এমপোফু ২-৬৮

    জিম্বাবুয়ে ১৫২ (ওভার ৩৯.১)

    মাধেভেরে ৩৫, রাজা ১৮: সাইফউদ্দিন ৩-২২

    ফলাফলঃ ১৬৯ রানে জয়ী বাংলাদেশ।