Tag: ওয়ার্ড কাউন্সিলর

  • কাউন্সিলর প‌দে আ’লী‌গের ম‌নোনয়ন পে‌লেন যারা

    কাউন্সিলর প‌দে আ’লী‌গের ম‌নোনয়ন পে‌লেন যারা

    আসন্ন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দ‌লের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

    রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দরীয় মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর কাউন্সিলর‌দের তালিকা ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৪টি ওয়ার্ডে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৭৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তালিকা ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের তালিকা ঘোষণা করেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর তালিকা রোববার রাতে অথবা সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। এর আগে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বস‌বে আওয়ামী লীগ।

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নিম্নোক্ত প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ-
    ওয়ার্ড নং- ০১ : মো. আফছার উদ্দিন খান / সাবেক সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০২ : আলহাজ্ব কদম আলী মাদবর / যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, পল্লবী থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৩ : মো. জিন্নাত আলী মাদবর / সহ-সভাপতি, পল্লবী থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৪ : মো. জামাল মোস্তফা / সভাপতি, কাফরুল থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৫ : মো. আব্দুর রউফ নান্নু / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ০৬ : সালাউদ্দিন রবিন / সাধারণ সম্পাদক, রূপনগর থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৭ : মো. তফাজ্জল হোসেন/ সভাপতি, ৭নং ওয়ার্ড থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৮ : মো. আবুল কাশেম মোল্লা / সাধারণ সম্পাদক, শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৯ : মুজিব সারোয়ার মাসুম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ১০ : আবু তাহের / যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১১ : দেওয়ান আবদুল মান্নান / সদস্য, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১২ : মুরাদ হোসেন / সভাপতি, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৩ : মো. হারুন-অর-রশিদ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ১৪ : মো. মইজউদ্দিন / সভাপতি, ৯৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৫ : সালেক মোল্লা / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ১৬ : মো. মতিউর রহমান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ১৭ : মো. ইসহাক মিয়া / সভাপতি, ভাটারা থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৮ : মো. জাকির হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ১৯ : মো. মফিজুর রহমান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২০ : মো. জাহিদুর রহমান / সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২১ : মাসুম গনি / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২২ : মো. লিয়াকত আলী / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৩ : মো. শাখাওয়াত হোসেন / সাধারণ সম্পাদক, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২৪ : মো. সফিউল্লা / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৫ : আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর / সহ-সভাপতি, তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২৬ : শামীম হাসান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৭ : ফরিদুর রহমান খান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৮ : মো. ফোরকান হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৯ : মো. নুরুল ইসলাম রতন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩০ : আবুল হাসেম হাসু / সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩১ : আলেয়া সারোয়ার ডেইজী / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩২ : সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম / সাধারণ সম্পাদক, ৩২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩৩ : আসিফ আহমেদ / সদস্য, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩৪ : শেখ মোহাম্মদ হোসেন / সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩৫ : মোক্তার সরদার / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৬ : তৈমুর রেজা খোকন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৭ : মো. জাহাঙ্গীর আলম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৮ : শেখ সেলিম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৯ : মো. শফিকুল ইসলাম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪০ : মো. নজরুল ইসলাম ঢালী / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪১ : আব্দুল মতিন / সভাপতি, সাতারুকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৪২ : মো. জাহাঙ্গীর আলম / সাধারণ সম্পাদক, বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৪৩ : শরিফুল ইসলাম ভূঞা / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৪ : মো. শফিকুল (শফিক) / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৫ : জয়নাল আবেদীন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৬ : মো. সাইদুর রহমান সরকার / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৭ : মোতালেব মিয়া / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৮ : এ.কে.এম. মাসুদুজ্জামান / সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ খান থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৪৯ : মো. সফিউদ্দিন মোল্লা / সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ খান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৫০ : ডি.এম. শামীম / সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগ
    ওয়ার্ড নং- ৫১ : মোহাম্মদ শরীফুর রহমান / যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, উত্তরা উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৫২ : মো. ফরিদ আহমেদ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৩ : মো. নাসির উদ্দিন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৪ : জাহাঙ্গীর হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিম্নোক্ত কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ –
    ওয়ার্ড নং- ০১ : মো. মাহবুবুল আলম / সাধারণ সম্পাদক, খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০২ : মো. আনিসুর রহমান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ০৩ : মো. মাকছুদ হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ০৪ : মো. জাহাঙ্গীর হোসেন / সাধারণ সম্পাদক, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৫ : মো. আশ্রাফুজ্জামান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ০৬ : মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ০৭ : আব্দুল বাসিত খান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ০৮ : মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ / সহ-সম্পাদক, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ০৯ : মো. মোজাম্মেল হক / সভাপতি, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১০ : মারুফ আহমেদ মনসুর / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ১১ : মো. হামিদুল হক শামীম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ১২ : ম. ম. মামুন রশিদ শুভ্র / সাবেক উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৩ : মো. এনামুল হক / সভাপতি, পল্টন থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৪ : ইলিয়াছুর রহমান / সভাপতি, হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং-১৫ : রফিকুল ইসলাম বাবলা / সাধারণ সম্পাদক, ধানমণ্ডি থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৬ : মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম / সাধারণ সম্পাদক, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৭ : মো. মাহবুবুর রহমান / সাধারণ সম্পাদক, ১৭নং আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৮ : আ. স. ম. ফেরদৌস আলম / সহ-সভাপতি, নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ১৯ : মোহা. আবুল বাশার / সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২০ : ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২১ : মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান / সাবেক সদস্য, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২২ : জিন্নাত আলী / যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২৩ : মো. মকবুল হোসেন / সহ-সভাপতি, লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২৪ : মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৫ : মো. আনোয়ার ইকবাল / সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগ
    ওয়ার্ড নং- ২৬ : হাসিবুর রহমান মানিক / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৭ : ওমর বিন আব্দুল আজিজ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ২৮ : মো. সালেহিন / সহ-সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ২৯ : জাহাঙ্গীর আলম বাবুল / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩০ : মো. হাসান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩১ : শেখ মোহাম্মদ আলমগীর / সাবেক সদস্য, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩২ : মো. আ. মান্নান / সাবেক দপ্তর সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩৩ : মো. ইলিয়াস রশীদ / সভাপতি, ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩৪ : মীর সমীর / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৫ : মো. আবু সাঈদ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৬ : রঞ্জন বিশ্বাস / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৭ : মো. আব্দুর রহমান মিয়াজী / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৩৮ : আহমদ ইমতিয়াজ মন্নাফী / সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সরকারি কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ
    ওয়ার্ড নং- ৩৯ : রোকন উদ্দিন আহমেদ / সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৪০ : আবুল কালাম আজাদ / বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৪১ : সারোয়ার হাসান (আলো) / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪২ : মোহাম্মদ সেলিম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৩ : মো. আরিফ হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৪ : মো. নিজাম উদ্দিন / সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৪৫ : হেলেন আক্তার / সংরক্ষিত কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৬ : মো. শহিদ উল্লাহ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৭ : নাসির আহম্মেদ ভূঁইয়া / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৮ : মো. আবুল কালাম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৪৯ : আবুল কালাম আজাদ / সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ৪৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৫০ : মাসুম মোল্লা / সাবেক সদস্য, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৫১ : কাজী হাবিবুর রহমান (হাবু) : বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫২ : মোহাম্মদ নাছিম মিয়া / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৩ : মোহাম্মদ নূর হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৪ : মো. মাসুদ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৫ : মো. নুরে আলম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৬ : মোহাম্মদ হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৭ : মো. সাইদুল ইসলাম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৮ : মো. শফিকুর রহমান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৫৯ : আকাশ কুমার ভৌমিক / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৬০ : মোহাম্মদ লুৎফর রহমান রতন / যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৬১ : মো. শাহ আলম / যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ (প্রস্তাবিত)
    ওয়ার্ড নং- ৬২ : মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৬৩ : মো. শফিকুল ইসলাম খান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৬৪ : মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা / সভাপতি, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, মাতুয়াইল ইউনিয়ন
    ওয়ার্ড নং- ৬৫ : মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৬৬ : মো. হানিফ তালুকদার/ সাংগঠনিক সম্পাদক, ৬৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৬৭ : মো. ফিরোজ আলম / সভাপতি, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, সারুলিয়া ইউনিয়ন
    ওয়ার্ড নং- ৬৮ : মাহমুদুল হাসান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৬৯ : মো. হাবিবুর রহমান হাসু / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৭০ : মোহাম্মদ আতিকুর রহমান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৭১ : মো. খাইরুজ্জামান / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৭২ : শফিকুল ইসলাম শামীম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৭৩ : মো. শফিকুল ইসলাম / বর্তমান কাউন্সিলর
    ওয়ার্ড নং- ৭৪ : মো. ফজর আলী / সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ
    ওয়ার্ড নং- ৭৫ : সৈয়দ মো. তোফাজ্জল হোসেন / বর্তমান কাউন্সিলর।

  • কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুললেন হাজী সেলিম

    কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুললেন হাজী সেলিম

    পুরান ঢাকার লালবাগে খেলার মাঠ উদ্বোধনের নামফলকে নিজের নাম না থাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে মারধর করেছেন সংসদ সদস্য হাজি সেলিম।

    সেই নামফলক

    শনিবার শহীদ হাজি আব্দুল আলিম খেলার মাঠ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। এই অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের উপস্থিত ছিলেন।

    হাজী সেলিম

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জানান, শহীদ হাজি আব্দুল আলিম খেলার মাঠ উদ্বোধনের ফলকে স্থানীয় সংসদ হিসেবে হাজি সেলিম তার নাম দাবি করেন। কিন্তু নাম না থাকায় হাজি সেলিমের সমর্থক ও কাউন্সিলর মানিকের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাজি সেলিম মানিকের গায়ে হাত তোলেন।

    সেলিমের হাতে মার খেয়ে কাউন্সিলর মানিককে অনুষ্ঠানস্থলে কাঁদতে দেখা যায়।

  • দশ দিনের রিমান্ডে কাউন্সিলর মঞ্জু

    দশ দিনের রিমান্ডে কাউন্সিলর মঞ্জু

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া তার গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনকে মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুর অস্ত্র ও মাদক মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। মাদক মামলায় মঞ্জুর পাশাপাশি তার গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই হারুন অর রশিদ রিমান্ড আবেদন করেন।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর টিকাটুলিতে নিজ কার্যালয় থেকে কাউন্সিলর মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব । তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে কাউন্সিলর মঞ্জুর গাড়িচালক সাজ্জাদকেও গ্রেফতার করা হয়।

    মঞ্জুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক-ক্যাসিনো ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ আছে। বৃহস্পতিবার রাতে ময়নুল হক মঞ্জুর বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করেন র‌্যাব-৩ এর ডিএডি ইব্রাহিম হোসেন।

  • কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার

    কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে অবৈধ দখলদারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

    বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    ওয়ারী থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলার সূত্র ধরে কাউন্সিলর মঞ্জুর নিজ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুর বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারি, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও জুয়ার আসর পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারের সময় তার কার্যালয় থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়।

  • ডিএসসিসি’র ২১ কাউন্সিলরকে শোকজ

    ডিএসসিসি’র ২১ কাউন্সিলরকে শোকজ

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এর ১৯ সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও দুইজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর টানা তিনটি বোর্ডসভায় উপস্থিত না থাকায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে

    গত ২৩ অক্টোবর ডিএসসিসি সচিব স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

  • কাউন্সিলর রাজীব ১৪ দিনের রিমান্ডে

    কাউন্সিলর রাজীব ১৪ দিনের রিমান্ডে

    মোহাম্মদপুরের ‘সুলতানখ্যাত’ ঢাকা উত্তর সিটি ককর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে ১৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

    রোববার মধ্যরাতে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজীবকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তার ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত অস্ত্র মামলায় সাতদিন ও মাদক মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে রোববার রাতেই অস্ত্র ও মাদক আইনে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা দু’টি দায়ের করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

    র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা কাউন্সিলর রাজীবকে শনিবার রাতে গ্রেফতারের সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রোববার রাতে ভাটারা থানায় তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের ‘কথিত’ ছেলে রাজীব। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রাজত্ব গড়ে তুলেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, খুন, কিশোর গ্যাং, মাদক ও ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে।

    এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুন্ধরা এলাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে ৮ নম্বর সড়কের ৪০৪ নং বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব-১। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়। সেটি ছিল তার বন্ধুর বাসা। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি।

    ওই বাড়িতেই রাজীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাইজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডে ৩৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব-২। তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। সবশেষ তার কাউন্সিলর কার্যালয়ে তল্লাশি চালান র‌্যাব সদস্যরা। অবশেষে তাকে র‌্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, গেল ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলছে। এ সময়ে গডফাদারসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাসিনোয় অভিযান চালিয়ে ২০১ জনকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

  • রাজীবের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা

    রাজীবের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা

    সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্ব এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ডিএনসিসি ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করবে র‍্যাব।

    বোরবার (২০ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১ এর সিও লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।

    গ্রেফতারকৃত কাউন্সিলর রাজীব

    এর আগে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে বসুন্ধরায় রাজীবের বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রাজীবকে নিয়ে তার নিজ বাসা এবং কাউন্সিলর কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখানে অবশ্য ৫ কোটি টাকার একটি চেক ছাড়া কিছুই পায়নি সংস্থাটি।

    তবে বসুন্ধরায় তার বন্ধুর বাসা থেকে ৭টি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব। এসবের ওপর ভিত্তি করেই ডিএমপির ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুইটি মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

  • দিনমজুর থেকে ‘মোহাম্মদপুরের সুলতান’

    দিনমজুর থেকে ‘মোহাম্মদপুরের সুলতান’

    ছিলেন দিনমজুর। বহু কষ্টে জমানো টাকায় খুলে বসেছিলেন একটা টং দোকানও। তারপর খুব দ্রুত বদলে গেল সবকিছু।

    দিনমজুর সেই লোকটিই রাতারাতি হয়ে গেল বিলাসবহুল বাড়ি আর গাড়ির মালিক।

    ছয় বছর আগে একমাত্র বাহন অল্প দামি একটি মোটরসাইকেল থাকলেও ছয় বছর শেষে হয়েছে কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল গাড়ি। কিছুদিন পরপরই তিনি পরিবর্তন করেন গাড়ির ব্র্যান্ড। যেখানেই যান, তার গাড়িবহরের সামনে-পেছনে থাকে শতাধিক সহযোগীর একটি দল। নিজের সংগ্রহে রয়েছে মার্সিডিস, বিএমডব্লিউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, বিএমডব্লিউ স্পোর্টসসহ নামিদামি সব ব্র্যান্ডের গাড়ি।

    এই হলো কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীবের গল্প। রাজীবের গল্পটা শুনে মনে হতেই পারে যে, সে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ পেয়েই ধনী হয়ে গেছে। কিন্তু গল্প আর বাস্তব এক নয়। তবে গল্পের সাথে বাস্তবের কিছু মিল থেকেই যায়।

    রাজীবের আলাদীনের প্রদীপ না থাকলেও ছিল প্রদীপের দৈত্যের মতো বিশাল রাজনৈতিক গডফাদার। মূলত এই গডফাদারদের জোরেই টং দোকানদার থেকে মোহাম্মদপুরের `সুলতান’ হতে পেরেছিল রাজীব।

    দামি ব্র্যন্ডের গাড়িতে চড়তেন রাজীব

    জানা গেছে, মোহাম্মদপুরে যুবলীগ দিয়েই শুরু রাজীবের রাজনৈতিক জীবন। মাত্র এক বছরের রাজনীতি করেই বাগিয়ে নেয় মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ। এ পদ পেয়েই থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করে। সে সময় যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। শোনা যায়, রাজীব মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে উল্টো ঢাকা মহানগরী উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বনে যায়। এই পদ কিনতে সে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছিল বলে জানা যায়।

    ২০১৪ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পর মাত্র কয়েক বছরেই রাজীব কয়েক শ কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। শোনা যায়, কাউন্সিলর নির্বাচন করার আগে রাজনীতির পাশাপাশি এক চাচাকে কাজকর্মে সহযোগিতা করতো সে। ওই চাচা ঠিকাদারি করতেন। নির্বাচনের সময় তার ওই চাচা একটি জমি বিক্রি করে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে রাজীবকে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে সহযোগিতা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ওই চাচার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে রাজীব।

    মাত্র ছয় বছর আগেও মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির একটি বাড়ির নিচতলার গ্যারেজের পাশেই ছোট্ট এক বাড়িতে ৬ হাজার টাকায় সস্ত্রীক ভাড়া থাকত রাজীব।

    মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর প্লটে রয়েছে রাজীবের ডুপ্লেক্স বাড়ি। জানা গেছে, ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়িটি করতে খরচ হয়েছে ৬ কোটি টাকা। এর বাইরে রহিম ব্যাপারী ঘাট মসজিদের সামনে আবদুুল হক নামে এক ব্যক্তির ৩৫ কাঠার একটি প্লট যুবলীগের কার্যালয়ের নামে দখল, ওই জমির পাশেই জাকির হোসেনের ৭-৮ কাঠার ১টি প্লট দখল করেছিলেন। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে ময়ূর ভিলার মালিক রফিক মিয়ার কয়েক কোটি টাকা দামের জমি দখল করেন রাজীব। পাবলিক টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে জমিটি দখল করলেও সেখানে ৫টি দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছেন। ঢাকা রিয়েল এস্টেটের ৩ নম্বর সড়কের ৫৬ নম্বর প্লট, চাঁদ উদ্যানের ৩ নম্বর সড়কের রহিমা আক্তার রাহি, বাবুল ও জসিমের ৩টি প্লটসহ অন্তত ১০টি প্লট দখল করেছেন তিনি। বিদেশেও আছে অঢেল সম্পত্তি।

    জানা গেছে, রাজীবের আয়ের মূল উৎস হলো সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া, জমি দখল, তদ্বির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি এবং ক্যাসিনো ব্যবসা।

    রাজীবের সব অপকর্মের সঙ্গী যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবন, সিএনজি কামাল, আশিকুজ্জামান রনি, ফারুক, রাজীবের স্ত্রীর বড় ভাই ইমতিহান হোসেন ইমতিসহ অর্ধশত ক্যাডার। অভিযোগ রয়েছে, রাজীবের নির্দেশেই যুবলীগ কর্মী তছিরকে হত্যা করে রাজীবের ঘনিষ্ঠরা।

    ২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে রাজীব ছিল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিভিন্ন কারসাজি করে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারায় সে।

    অভিযোগ রয়েছে, এর পর থেকেই এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নানাভাবে অপমান অপদস্থ করে আসছিল সে।

    মোহাম্মদপুরের পুরো নিয়ন্ত্রণই চলে গিয়েছিল তার হাতে। মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, বসিলার পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং অটোরিকশা, লেগুনা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাস থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তোলে তার লোকজন। পাঁচ বছর ধরে এলাকার কোরবানির পশুর হাটের ইজারাও নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল রাজীব।

    সেপ্টেম্বরে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর সে অন্তত ২০০ কোটি টাকা খরচ করে তার গ্রেপ্তার আটকাতে চেয়েছিল বলে দাবি করেছে একটি সূত্র।

    কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত চেষ্টাই বিফলে গেল।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদপুর-বসিলা-ঢাকা উদ্যানসহ আশপাশ এলাকার অঘোষিত সম্রাট রাজীবের সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। দিনমজুর থেকে চাঁদাবাজি ও দখলের টাকায় ধনকুবের হয়ে ওঠা রাজীব গতকাল ভাটারা থেকে আটক হয়েছেন র‌্যাবের হাতে। ওই বাড়িতে রাজীব ১৩ অক্টোবর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। বাড়িটি তার আমেরিকাপ্রবাসী বন্ধুর।

  • কাউন্সিলর রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

    কাউন্সিলর রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

    রাতে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    আওয়ামী যুবলীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    শনিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে ৮ নম্বর সড়কের ৪০৪ নং বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। সেখানে রাজীবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১। এরপরই তাকে বহিষ্কার করে সংগঠনটি। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের ‘কথিত’ ছেলে রাজীব। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রাজত্ব গড়ে তুলেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, খুন, কিশোর গ্যাং, মাদক ও ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে।

    এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বসুন্ধরার ওই বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। সেটি তার বন্ধুর বাড়ি ছিল।

    গ্রেফতারের পর ওই বাসাতেই রাজীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি কী বলেছেন-তা জানা যায়নি।

    গেল ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলছে। এসময়ে গডফাদারসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

    একের পর এক নেতা গ্রেফতারের পর যুবলীগে ঘোষণা করে, চলমান অভিযানে সংগঠনের কেউ দুর্নীতি কিংবা অন্য কোনও কারণে গ্রেফতার হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।