Tag: ওয়েস্ট ইন্ডিজ

  • ৬ বছর পর উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    ৬ বছর পর উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    টেস্ট সিরিজ ড্র করলেও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে সফরের শেষটা স্বস্তি নিয়ে শেষ করেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই জয়ে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার।

    টসে হেরে আগে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১২৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটি খুব একটা বড় নয়। স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের দরকার ছিল বল হাতে ভালো শুরুর। মাঝারি এই পুঁজি নিয়ে সেই কাজটিই দুর্দান্ত করেছে টাইগার বোলাররা। প্রথম দুই ওভারে উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জোড়া শিকার ধরেন তাসকিন। ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে ফিরিয়েছেন ব্রান্ডন কিং (৫ বলে ৮) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে (৪ বলে ০)। পরের ওভারে মারকুটে জনসন চার্লসকে (১২ বলে ১৫) এলব্ডিব্লিউর ফাঁদে পেলেন শেখ মেহেদী।

    চতুর্থ ওভারে জনসন চার্লসকে (১৪) এলবিডব্লিউতে ফেরান শেখ মাহেদি। এরপরেই স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিকোলাস পুরান (৫)। স্বস্তি নিয়েই পাওয়ারপ্লে শেষ করে সফরকারীরা। আগের ওভারেই রোভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ ছাড়েন সৌম্য সরকার। কিন্তু পরের ওভারে কোনও ভুল হয়নি মিরাজের। হাসান মাহমুদের দারুণ ডেলিভারিতে তালুবন্দি হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। শূন‍্য রানে জীবন পাওয়া পাওয়েল ৭ বলে এক চারে করেন ৬।

    ক্যারিবিয়ানদের উইকেট শিকারের মিছিলে যোগ দিয়েছেন পেসার তানজিম হাসানও। ৮.৩ ওভারে নতুন ব্যাটার রোমারিও শেফার্ডকে ক্যাচ আউটে ফিরিয়েছেন তিনি। ৫ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। ৪২ রানে স্বাগতিকদের ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পর প্রতিরোধ গড়েন রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। হাসানকে টানা দুই ছক্কা মেরে ম্যাচে ফেরে উইন্ডিজ। তবে পরের ওভারেই ডেঞ্জারম্যান চেজকে তুলে নেন রিশাদ। ৩৪ বলে ৩২ রান করে থামেন চেজ। পরের বলেই মোতিকে ফেরান রিশাদ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও তা হতে দেননি আলজারি জোসেফ। তবে জোসেফকে পরের ওভারেই ফিরিয়েছেন তানজিম সাকিব। শেষ পর্যন্ত ১০২ রানেই থমকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। সমান দুটি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন ও মেহেদি হাসান। হাসান মাহমুদের শিকার একটি।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করে ১১ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী লিটন আজও ফিরে গেছেন খালি হাতেই। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন ফিরতেই রোস্টন চেজের বলে বোল্ড হয়ে ৪ বলে মাত্র ২ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ তামিম।

    শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৩৯ রানে সৌম্য সরকার ফিরে গেলে ২৮ রানে ভেঙে যায় এই জুটি। সৌম্যের বিদায়ে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ২৬ রান করে আলজারি জোসেফের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ব্রান্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

    সৌম্য আর মিরাজের পথ ধরে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান রিশাদ হোসেনও। ৪ বলে মাত্র ৫ রান করে গুড়াকেশ মোতির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে মাত্র ৫২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোতিকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড মেহেদী। ১১ বলে ১১ রানে ফিরলেন। রান ঠিকমতো না হওয়ায় শেষ দিকে চড়াও হতে যাচ্ছিলেন জাকের আলী। কিন্তু ১৬.১ ওভারে মেরে খেলতে গিয়ে ২১ রানে তালুবন্দি হয়েছেন তিনি। ম্যাককয়ের বলে পাওয়েলের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন জাকের আলী। তার ২০ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছয়।

    এতে ৮৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ফলে শঙ্কা জাগে দলীয় ১০০ এর আগেই অলআউট হওয়ার। তবে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ১৭ বলে ৩৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থামে বাংলাদেশ।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৫ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন গুড়াকেশ মোতি। একটি করে নিয়েছেন আকিল হোসেন, রোস্টন চেজ, আলজারি জোসেফ ও ওডেব ম্যাককয়।

    এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে এক পরিবর্তন। আফিফ হোসেনের জায়গায় দলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কোনো পরিবর্তন নেই।

    বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), জাকের আলী, মেহেদী হাসান, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্রান্ডন কিং, জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান, রোস্টন চেজ, আন্দ্রে ফ্লেচার (উইকেটকিপার), রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), গুড়াকেশ মোতি, আকিল হোসেন, রোমারিও শেফার্ড, আলজারি জোসেফ ও ওবেদ ম্যাকয়।

  • ১৫ বছর পর উইন্ডিজে টেস্ট জয়, সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

    ১৫ বছর পর উইন্ডিজে টেস্ট জয়, সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হার দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশের সামনে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। আন্টিগাতে প্রথম ম্যাচে না পারলেও জ্যামাইকায় কিংস্টন টেস্টে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ক্যারিবিয়ানদের ১০১ রানে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রটাও তাতে বাংলাদেশ জয় দিয়েই শেষ করেছে। এই জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ।

    কিংসটনে ১০১ রানের জয়ের মাধ্যমে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয় পেলো টাইগাররা। সবশেষ ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ থেকে টেস্টে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজ দিয়েই অধিনায়কত্বের শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই সাকিব এখন ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন। এমন জয়ে তাই উচ্ছ্বসিত হওয়াটাই বেশ স্বাভাবিক।

    কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই মাঠে ২১২ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। এবার উইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ২৮৭ রানের। টপ-অর্ডারের শুরুটা নেহাত মন্দ ছিল না। তবে অভিজ্ঞ তাইজুলের ঘূর্ণি আরও একবার পথ দেখাল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

    জ্যামাইকায় কিংস্টন টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নাহিদ রানার ৫ উইকেট শিকারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দেশের বাইরে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই ছিল সর্বনিম্ন রানের স্কোর। ১৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।

    দলের হয়ে চতুর্থ দিনে অনেকটা একাই লড়াই করেছেন জাকের আলি। তবে ৯ রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। ৫ ছক্কা ও ৮ চারে ৯১ রান করেন জাকের। তার ব্যাটে ভর করে ২৬৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭ রানের।

    ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তাইজুল ও তাসকিন আহমেদ। মিকাইল লুইস ৬ ও কাসি কার্টি ১৪ রান করে আউট হন। তবে কেভাম হজ ও ক্রেইগ ব্রাফেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাইজুল। ব্রাফেট ৪৩ ও হজ ৫৫ রান করে আউট হন।

    তাদের বিদায়ের পর আর কেউ থিতু হতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ১৮৫ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। তাইজুল নেন ৫টি উইকেট। এ ছাড়া তাসকিন ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।

  • বিশ্বকাপ থেকে বাদ দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    বিশ্বকাপ থেকে বাদ দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট হতে ২২ গজের পিচে অজস্র কিংবদন্তির জন্ম হয়েছে। অথচ এই কিংবদন্তিদের দেশেই আজ ব্যর্থতার গ্লানি। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ক্রিকেটীয় দাপট সবারই জানা। বিশ্বকাপের মঞ্চে ক্যারিবিয়ানরা খেলেনি এমন কখনো ঘটেনি। তবে কালের বিবর্তনে ফীকে হয়ে গিয়েছে উইন্ডিজদের সোনালী অতীত। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলছে আটটি দল। বাকি দুইটি দলের জন্য জিম্বাবুয়েতে লড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর আজ স্কটল্যান্ডে কাছে ৭ উইকেটের হারে বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে শাই হোপদের। সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে স্কটিশদের বিপক্ষে হারের ফলে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেখা যাবে না বিশ্বকাপের মঞ্চে।

    কার্টলি এমব্রোস, ব্রায়ান লারা, ভিভ রিচার্ডসদের উত্তরসূরিরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছে তা মেনে নিতে পারছেন না অনেক সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। যার প্রতিফলন দেখা যায় ডাচদের বিপক্ষে ৩৭৪ রান করেও ম্যাচ হারের পর। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পরও বিশ্বকাপে খেলার কিছুটা সুযোগ ছিল জেসন হোল্ডারদের।

    বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের শুরুতেই স্কটিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ক্যারবিয় ব্যাটাররা। দলীয় ৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অল্পতেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে শাই হোপের দল।

    ২১তম ওভারে ইনফর্ম ব্যাটার নিকোলাস পুরানকে দলীয় ৮১ রানে হারিয়ে চাপে পড়ে উইন্ডিজ। সপ্তম উইকেট জুটিতে জেসন হোল্ডার ও শেফার্ডের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু স্পিনার মার্ক ওয়াটের ঘূর্ণিতে ৭৭ রানের জুটি ভাঙে। শেষ দিকে হোল্ডারও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।

    ৪৪তম ওভারে মাত্র ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার। স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন।

    ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাথিউ ক্রস ও ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেনের অর্ধশতকে মাত্র ৪৪ ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় স্কটল্যান্ড। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুই দলের লড়াই থেকে ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই হারে সুপার সিক্সে আরো দুই ম্যাচ বাকি থাকলেও পয়েন্ট শূন্য হওয়ায় বাদ পড়েছে ক্যারিবিয়ানরা।

    ৩ ম্যাচ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ শূন্য পয়েন্ট। অপরদিকে শীর্ষ দুইয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার আরো দুই ম্যাচ বাকি থাকলেও তাদের পয়েন্ট ইতিমধ্যে ৬। যা ক্যারিবিয়ানদের বাকি দুই ম্যাচে জয় পেলেও তা ধরা সম্ভব নয়।

    এই জয়ে স্কটল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ মঞ্চে কোয়ালিফাই না করা যেন তাদের ভক্তদের মনে দাগ কেটে গিয়েছে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের ফলে ইতিহাসে এই প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাড়াই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে।

  • কর্ণওয়াল-জোমেলের স্পিনে হেরেই গেল টাইগাররা

    কর্ণওয়াল-জোমেলের স্পিনে হেরেই গেল টাইগাররা

    ঢাকা টেস্টে জোমেল ওয়ারিক্যান এবং রাহকিম কর্ণওয়ালের স্পিন বিষে নীল হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারিয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিলো ক্যারিবীয়রা।

    মিরপুরের উইকেটে স্পিনাররা বেশ ভালোভাবেই ভোগাবে সেটা জানাই ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। যে কারণে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। তবে শেষ বিকালে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আফসোস করতেই পারে। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে শেষ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন রাহকিম কর্ণওয়াল।

    তখনও জয়ের জন্য ১৫৩ রানের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। এই উইকেটে ২৩১ রান তাড়া করা যে সহজ ছিল না সেটি ভালো করেই জানা। তবুও আশা জেগেছিল মুশফিক-মুমিনুল আছেন বিঁধায়। তবে সেই আশায় পানি ঢালতে বেশি দেরি করেনি ক্যারিবীয়রা।

    দলীয় ১০১ রানে ওয়ারিক্যানের বলে পা সামনে এগিয়ে আনতেই উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরতে হয় মুশফিককে। যদিও রিভিউ নিয়েও সে যাত্রায় বাঁচতে পারেননি তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর রান তাড়া যেন আরও কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের জন্য কাজটা আরও কঠিন করেন কর্ণওয়ালই। দলীয় ১১৫ রানে মিঠুনকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

    ১১৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে কাজটা যখন কঠিন হয়ে পড়ে তখনই কিছুটা আশা দেখাচ্ছিলেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। দুই ব্যাটসম্যানই কর্ণওয়াল, ওয়ারিক্যানকে বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন। সেই সাথে এই দুই ব্যাটসম্যানকে দিতে হচ্ছে ধৈর্য পরীক্ষাও। কিন্ত মুমিনুলও আশা দেখিয়ে টিকতে পারলেন না ক্রিজে। দলীয় ১৪৭ রানে ওয়ারিক্যানের বলে থামতে হয় তাকে।

    আউট হওয়ার আগে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। বাংলাদেশের জন্য জয়ের কাজটা আরও কঠিন হয় দলীয় ৬ রান যোগ করতেই। কর্ণওয়ালের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে উইকেটকিপার জশুয়া ডা সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন।

    লিটনের বিদায়ের পর একপাশ থেকে আগলে রেখে বাংলাদেশের জয়ের আশা টিকিয়ে রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের সঙ্গে তাইজুল কিছুটা সঙ্গ দিলেও দলীয় ১৬৩ রানে আউট হন তিনি। নবম উইকেট জুটিতে দলীয় স্কোরবোর্ডে মিরাজের সঙ্গে ২৫ রান যোগ করেন নাঈম। তবে সেই নাঈমও বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা হতে পারলেন না। ক্রেগ ব্র্যাফেটের বলেই এলবিডব্লুর শিকার হতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় নাঈমকে (১৪)।

    তবে তখনও আশা টিকিয়ে রাখেন মিরাজ। ৫৯তম ওভারে কর্ণওয়েলকে ছয় এবং চার মেরে লড়াই চালিয়ে যান মেহেদী হাসান। তবে নাটকের শেষটা হয় কর্ণওয়ালের হাতেই। দলের যখন ১৮ রান প্রয়োজন তখনই ওয়ারিক্যানের বলে স্লিপে থাকা কর্ণওয়ালের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। সেই সাথে শেষ হয় মিরাজের লড়াকু ৩১ রানের ইনিংস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) ৪০৯ (বনার ৯০, জশুয়া ডা সিলভা ৯২: আবু জায়েদ ৪-৯৮)

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ২৯৬ (লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪ঃ কর্ণওয়েল ৫-৭৪)

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২য় ইনিংস) ১১৭ (বনার ৩৮, জশুয়া ডা সিলভা ২০ঃ তাইজুল ৪-৩৬)

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ২১৩ (তামিম ৫০, মুমিনুল ২৬, মিরাজ ৩১ : কর্ণওয়াল ৪-১০৫)।

  • উইন্ডিজ অলআউট,বাংলাদেশের সামনে ২৩১ রানের লক্ষ্য

    উইন্ডিজ অলআউট,বাংলাদেশের সামনে ২৩১ রানের লক্ষ্য

    মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে নাঈম হাসান এবং তাইজুলের বোলিং নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১৭ রানে অল আউট করলো বাংলাদেশ। বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট লাভ করেন তাইজুল ইসলাম।

    ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। সফরকারীদের বাকি চার উইকেট তুলতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় জশুয়া ডা সিলভাকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। আগের ইনিংসে ব্যাট হাতাএ দুর্দান্ত করা আলজারি জোসেফ দ্বিতীয় ইনিংসে বড় কিছু করতে পারেনি। ৮ বলে ৯ রান করে তাইজুলের বলে ফিরেন যান এই ক্যারিবীয়।

    ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে হাল ধরেছিলেন এনক্রুমাহ বনার। ব্যক্তিগত ৩৮ রান করা বনারকে থামান নাঈম হাসান। দলীয় ১১৬ রানে নবম উইকেটের পতন হলে দলীয় মাত্র এক রান যোগ করেই নাঈমের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহকিম কর্ণওয়েল। ফলে ১১৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।

    বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট লাভ করেন তাইজুল। ২১ওভার বোলিং করে ৩৬ রান দিয়ে চার উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন নাঈম। ১৫.৫ ওভার বোলিং করে ৩৪ রান দিয়ে তিন উইকেট লাভ করেন তিনি। তাইজুল, নাঈম বাদে বল হাতে দুটি আবু জায়েদ রাহী এবং একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

    ক্যারিবীয়দের হতে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৮ রানই আসে বনারের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করে জশুয়া ডা সিলভা এই টেস্ট জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ২৩১ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) ৪০৯ (বনার ৯০, জশুয়া ডা সিলভা ৯২: আবু জায়েদ ৪-৯৮

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ২৯৬ (লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪ঃ কর্ণওয়েল ৫-৭৪

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২য় ইনিংস) ১১৭ (বনার ৩৮, জশুয়া ডা সিলভা ২০ঃ তাইজুল ৪-৩৬।

  • তৃতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    তৃতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে আছে ১৫৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

    প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশের শরীরী ভাষা। যার ফলও বাংলাদেশ দ্রুতই পায়। ১১ রানের মাথায় ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে শিকার করেন নাঈম হাসান। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ আউট আম্পায়ার প্রথমে না দিলেও রিভিউ নিয়ে উইকেটটি আদায় করেন বাংলাদেশ।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় উইকেটটি শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেইন মোসলেকে শিকারের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করেন এই ডানহাতি স্পিনার। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এই ক্লাব নাম লেখালেন তিনি। বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড নতুন করেও লিখেছেন মিরাজ। ২০ রানে ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন জন ক্যাম্পবেল। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ভাগ্য কিছুটা খারাপই বলতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯ রানে ৩টি উইকেট হারায়।

    তৃতীয় দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪১ রান। উইকেট হারিয়েছে ৩টি। সফরকারীরা এগিয়ে আছে ১৫৪ রানে।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছিল ৪০৯ রান। জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৯৬ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিটন দাস। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৭ ও মুশফিকুর রহিম ৫৪ রান করেন। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছিল ২১ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা বলার মতো রান করতে পারেননি।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি স্পিনার রাহকীম কর্নওয়াল নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট। এছাড়া শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩টি ও আলজারি জোসেফ ২টি উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯/১০ (১ম ইনিংস)

    বাংলাদেশ ২৯৬/১০ (৯৬.৫ ওভার)
    লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪, তামিম ৪৪, মুমিনুল ২১, মিঠুন ১৫, শান্ত ৪, সৌম্য ০;
    কর্নওয়াল ৫/৭৪, গ্যাব্রিয়েল ৩/৭০, জোসেফ ২/৬০।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪১/৩ (২১ ওভার)
    ক্যাম্পবেল ১৮, বনার ৮*;
    তাইজুল ১/১৩, নাঈম ১/১৪, মিরাজ ১/১৪।

  • দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

    দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

    ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারল না বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশেহারা স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন। ক্যারিবীয়দের হয়ে উইকেট লাভ করেন

    দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনও নিজেদের করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য দ্বিতীয় সেশনে বল হাতে ভালো জবাব দিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় সেশনে ক্যারিবীয়দের ৪০৯ রানে বেঁধে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তবে শেষ সেশনে ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বহীন পরিচয় দিবেন এমন কিছু হয়তো ভাবতেও পারেননি কেউ। সাদমানের বদলি একাদশে ঢুকা সৌম্য যেন সাজঘরে ফিরলেন শুরুতেই।

    তৃতীয় সেশনের প্রথম ওভারের শেষ বলে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে গালি তে ক্যাচ তুলে ‘শুন্য’ রান করেই ফিরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট যেতেও বেশিক্ষণ সময় লাগেনি বাংলাদেশের। ১৪তম বলে গ্যাব্রিয়েলের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল মারতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে এনক্রুমাহ বনারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ইনিংসেও বড় স্কোর পাননি তিনি, করেছেন কেবল চার রান।

    দলীয় ১১ রানে দল যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে তখন হাল ধরেন তামিম ইকবাল এবং মুমিনুল হক। গ্যাব্রিয়েল, জোসেফদের বিরুদ্ধে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিংই করেন তামিম। অন্যদিকে মুমিনুলও টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং করে দলকে কিছুটা চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন। এই দুজনের ব্যাটিং যখন ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিল সেটা স্বপ্নে পানি ঢেলে দেন রাকিম কর্ণওয়েল। দলীয় ৬৯ রানে কর্ণওয়েলের বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল।

    আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল। দলের অধিনায়ক আউট হওয়াতে দল যখন আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তখন বেশ তাড়াহুড়ো করেই আউট হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম। বলতে গেলে অনেকটাই আত্মহত্যাই করেন এই ওপেনার। জোসেফের বলে ব্যক্তিগত ৫২ বলে ৪৪ রান করে আউট হন তামিম।

    ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন আবারো বিপদে তখনই হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন জুটি। কোন ধরণের ঝুঁকি না নিয়েই রান বের করতে থাকেন মুশফিক। অন্যদিকে জোসেফের বলে মিঠুনকে আউট করতে আবেদন করেন উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভা তবে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান মোহাম্মদ মিঠুন। এক পাশ থেকে মুশফিক রান তুললেও অন্যপাশে রান না তুলে ক্রিজে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যান মিঠুন।

    শেষ পর্যন্ত দুই ব্যাটসম্যানের লড়াকু মানসিকতায় দ্বিতীয় দিনশেষে আর উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। চার উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৬১ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন মিঠুন সেই সঙ্গে ৬১ বলে ২৭ করে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিক।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) ৪০৯

    ডি সিলভা ৯২, বনার ৯০ঃ রাহী ৪-৯৮

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৫-৪

    তামিম ৪৪, মুশফিক ২৭*, মিঠুন ৪*: গ্যাব্রিয়েল ২-৩।

  • সমানে সমান লড়াই প্রথম দিনে

    সমানে সমান লড়াই প্রথম দিনে

    ঢাকা টেস্টে এনক্রুমাহ বনার এবং জশুয়া ডি সিলভার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিন শেষে ব্যাট হাতে ৭৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন বনার এবং ২২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন জশুয়া ডি সিলভা।

    প্রথম সেশনেও বাংলাদেশের বোলারদের ধৈর্যর পরীক্ষা নিয়েছিল ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। ওই সেশনে মাত্র একটি উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় সেশনে ঠিকই ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। চা-বিরতির সেশনে ক্যারিবীয়দের তিনটি উইকেট ফেলতে সক্ষম হয়েছিল টাইগাররা। ১৪৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনের শেষ সেশন শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    তবে আগের সেশনে ব্যাট হাতে বাজে একটা সময় কাটালেও শেষ সেশনে এসে ফের বাংলাদেশের বোলারদের ধৈর্য পরীক্ষা নিয়েছেন জার্মাইন ব্ল্যাকউড এবং এনক্রুমাহ বনার। তাইজুল-নাঈম-মিরাজদের বেশ দেখে শুনেই ধৈর্যর সঙ্গে ব্যাট করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এই দুজনের জুটি ভাঙে দলীয় ১৭৮ রানে। তাইজুলের করা বলটিতে, তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ব্ল্যাকউড। সেই সাথে শেষ হয় তার ৭৭ বলে ২৮ রানের ইনিংসও।

    দলীয় ১৭৮ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হলে সেখান থেকে বনারের সঙ্গে দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জশুয়া ডি সিলভা। মিরাজের বলে একবার বনার একবার এলবিডব্লুর শিকার হলে পরবর্তীতে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেচে যান বনার। তারপর থেকেই তাইজুল-রাহীদের বলে ধীরে ধীরে রান তোলেন ডি সিলভা এবং বনার।

    অন্যপাশে উইকেটের খোঁজে ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বারবার বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেও উইকেট যেন ধরা দিচ্ছিল না বাংলাদেশের বোলারদের কাছে। শেষ সেশনে মাত্র একটি উইকেট সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে। বনার এবং ডি সিলভা জুটি প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডে তুলেছেন ৪৫ রান। টাইগারদের হয়ে দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন আবু জায়েদ এবং তাইজুল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) ২২৩-৫ (বনার ৭৪*, ডি সিলভা ২২*, ব্র্যাফেট ৪৭, ক্যাম্পবেল ৩৬: রাহী ২-৪৬)

  • মেয়ার্সের রেকর্ড দ্বিশতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়

    মেয়ার্সের রেকর্ড দ্বিশতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়

    ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়া নিয়ে এখন নিশ্চয়ই আফসোস করছেন মুমিনুল হক। মাঠের বাইরে বসে বসেই দলের হার দেখলেন চোটাক্রান্ত সাকিব আল হাসানও। প্রথম চারদিনই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখার পরেও শেষ একদিনের খেলায় হেরে গেল বাংলাদেশ। কাইল মেয়ার্সের দ্বিশতকে ওয়েস্ট পেয়েছে ৩ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়।

    পঞ্চম দিনের প্রথম দুই সেশনই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের দখলে নিয়েছিল। দুই শতাধিক রানের জুটি গড়েন এনক্রুমাহ বনার ও কাইল মেয়ার্স। আঙুলে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মুমিনুল হক। হাতে ব্যথা পেয়ে আগের দিন মাঠ ছাড়া তামিম ইকবাল মাঠে ফেরেন অধিনায়ক করতে। অবশ্য কয়েক ওভার পরেই মাঠে ফেরেন তিনি এবং তামিমও কিছুক্ষণ পরে আবার মাঠ ছাড়েন।

    চা বিরতির সময়ে দলের সাথে আলোচনা করতে দেখা যায় সাকিবকে। চা বিরতির পরেও মেহেদী হাসান মিরাজকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। চা-বিরতির পরে মাঠে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    তাইজুল ইসলামের বলে ছয় মারার পরেই এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন বনার। ফেরার আগে তিনি করেন ২৪৫ বলে ৮৬ রান। ভেঙে যায় ২১৬ রানের জুটি। বনার ফেরার পরে মাঠে নামেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তিনিও আক্রমণাত্মক খেলার প্রবণতা দেখান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে নাঈম হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ২৯২ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    তবে মেয়ার্স ঠিকই এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন তিনি। অপরপ্রান্তে দলকে জয়ের বন্দরে রেখে আউট হন জসুয়া ডা সিলভা। তারপর ক্রিজে আসেন কেমার রোচ। দুই দলের স্কোর সমান করে মিরাজের শিকার হন তিনি।

    তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেয়ার্স। ২ ওভার ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪৩০ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছিল ২৫৯ রানে।

    দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। দ্বিতীয় দিনের পরে সাকিব আল হাসান আর মাঠে নামতে পারেননি।

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১/১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ২২৩/৮ (৬৭.৫ ওভার- ইনিংস ঘোষণা)
    মুমিনুল ১১৫, লিটন ৬৯, মুশফিক ১৮, সাদমান ৫, তামিম ০, শান্ত ০;
    ওয়ারিকান ৩/৫৭, কর্নওয়াল ৩/৮১, গ্যাব্রিয়েল ২/৩৭।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯৫/৭ (৯৭ ওভার)
    মেয়ার্স ২১০*, বনার ৮৬, ক্যাম্পবেল ২৩, ব্রাথওয়েট ২০;
    মিরাজ ৪/১১৩, তাইজুল ২/৯১।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয়ী।

  • মিরাজের ঘূর্ণি জাদুতে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ

    মিরাজের ঘূর্ণি জাদুতে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ

    পঞ্চম দিনে গড়ালো বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। জয়ের জন্য শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ৭টি উইকেট। অপরদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ২৮৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে মুমিনুল হক সেঞ্চুরি ও বল হাতে মেহেদী হাসান মিরাজ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।

    ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য সামনে নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেন ৩৯ রান। বাংলাদেশ যখন উইকেটের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছিল তখনই আক্রমণে এসে ব্রেক এসে থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৫০ বলে ২৩ রান করা ক্যাম্পবেলকে ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে।

    এরমধ্যে অধিনায়ক মুমিনুল ফিল্ডিংয়ে বেশ আকমণাত্মক হয়ে ওঠেন। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং ও পরিকল্পনামাফিক বোলিংয়ের ফলস্বরূপ মিরাজের বলে ব্রাথওয়েটকে সিলি পয়েন্টে মুঠোবন্দী করেন বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলি। ৪৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় খাতায় আরও ১১ রান যোগ হতেই আরেকটি উইকেট শিকার করেন মিরাজ। এই অফস্পিনারের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন শেইন মোসলে।

    আর কোনো বিপদ ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দিন শেষ করেন কাইল মেয়ার্স ও এনক্রুমাহ বনার। বনার ১৫ ও মেয়ার্স ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন। তাদের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানে। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন এখনো ২৮৫ রান।

    তার আগে তৃতীয় দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিক আরও ৮ রান যোগ করতেই রাহকীম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে ফেরেন। তবে একপ্রান্ত আগলে অর্ধশতকের পরে শতকও তুলে নেন মুমিনুল। ৮৩ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন মুমিনুল। ফিরে এসে দ্রুতই তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা তার দশম সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের পক্ষে যা সর্বোচ্চ।

    আরেক প্রান্ত লিটন দাসও তুলে নেন অর্ধশতক। ৬৯ রান করে জোমেল ওয়ারিকানের শিকার হন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক। কাইল মেয়ার্সের তালুবন্দী হওয়ার আগে ম্যাচের প্রথম শতরানের জুটি গড়ে ফেলেন মুমিনুলের সাথে। জুটি গড়েন ২১১ বলে ১৩৩ রানের। লিটনের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।

    লিটনের বিদায়ের পরে মাঠে নামেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরে মারমুখী হয়ে ওঠেন মুমিনুল। দ্রুত রান তোলা যে তার লক্ষ্য তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল। ফলে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানারক্ষী কেমার রোচের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে করেন ১১৫ রান।

    মিরাজ ও তাইজুলও দ্রুত রান তোলার প্রবণতা দেখান। তবে দুইজনই ওয়ারিকানের শিকার হন। মিরাজ আউট হওয়ার পরেই বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে দেয়, ৮ উইকেটে ২২৩ রানে।

    চতুর্থ দিনেও মাঠে নামতে পারেননি সাকিব আল হাসান। দিনের শেষের দিকে ফিল্ডিংয়ের সময় হাত ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবালও।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১/১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ২২৩/৮ (৬৭.৫ ওভার- ইনিংস ঘোষণা)
    মুমিনুল ১১৫, লিটন ৬৯, মুশফিক ১৮, সাদমান ৫, তামিম ০, শান্ত ০;
    ওয়ারিকান ৩/৫৭, কর্নওয়াল ৩/৮১, গ্যাব্রিয়েল ২/৩৭।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১০/৩ (.৪০ ওভার)
    মেয়ার্স ৩৭*, বনার ১৫*, ক্যাম্পবেল ২৩, ব্রাথওয়েট ২০;
    মিরাজ ৩/৫২।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩৯৫ রান।

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩৯৫ রান,বাংলাদেশের ১০ উই

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩৯৫ রান,বাংলাদেশের ১০ উই

    প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো না হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ রান। বাংলাদেশ দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৪৩০ ও রান করেছে ৮ উইকেটে ২২৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করে ২৫৯ রান।

    তৃতীয় দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিক আরও ৮ রান যোগ করতেই রাহকীম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে ফেরেন। তবে একপ্রান্ত আগলে অর্ধশতকের পরে শতকও তুলে নেন মুমিনুল। ৮৩ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন মুমিনুল। ফিরে এসে দ্রুতই তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা তার দশম সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের পক্ষে যা সর্বোচ্চ।

    আরেক প্রান্ত লিটন দাসও তুলে নেন অর্ধশতক। ৬৯ রান করে জোমেল ওয়ারিকানের শিকার হন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক। কাইল মেয়ার্সের তালুবন্দী হওয়ার আগে ম্যাচের প্রথম শতরানের জুটি গড়ে ফেলেন মুমিনুলের সাথে। জুটি গড়েন ২১১ বলে ১৩৩ রানের। লিটনের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।

    লিটনের বিদায়ের পরে মাঠে নামেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরে মারমুখী হয়ে ওঠেন মুমিনুল। দ্রুত রান তোলা যে তার লক্ষ্য তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল। ফলে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানারক্ষী কেমার রোচের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে করেন ১১৫ রান।

    মিরাজ ও তাইজুলও দ্রুত রান তোলার প্রবণতা দেখান। তবে দুইজনই ওয়ারিকানের শিকার হন। মিরাজ আউট হওয়ার পরেই বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে দেয়, ৮ উইকেটে ২২৩ রানে। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ রানের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১/১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ২২৩/৮ (৬৭.৫ ওভার- ইনিংস ঘোষণা)
    মুমিনুল ১১৫, লিটন ৬৯, মুশফিক ১৮, সাদমান ৫, তামিম ০, শান্ত ০;
    ওয়ারিকান ৩/৫৭, কর্নওয়াল ৩/৮১, গ্যাব্রিয়েল ২/৩৭।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩৯৫ রান।

  • দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়, ২১৮ রানের লিড

    দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়, ২১৮ রানের লিড

    প্রথম ইনিংসেই বেশ বড় লিড যোগ হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৭ রান, এগিয়ে আছে ২১৮ রানে।

    ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারেই তামিম ইকবাল নাজমুল হোসেন শান্তকে শিকার করেন রাহকীম কর্নওয়াল। তামিমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তামিম রিভিউ আবেদন করেছিলেন তবে লাভ হয়নি, স্পষ্ট আউট হয়েছেন ফেরেন তিনি। এক বল বাদেই শান্তকেও শিকার করেন কর্নওয়াল। স্লিপে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত।

    তামিম ও শান্ত উভয়েই শূন্য রানে আউট হন। ১ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৩তম বারের মতো শূন্য রানে আউট হলেন তামিম। একই বিব্রতকর রেকর্ড আগে থেকেই আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার।

    মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে দিন শেষ করেছেন মুমিনুল। মুশফিক ১০ রানে ও মুমিনুল ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৭ রান ও লিড ২১৮ রান। কর্নওয়াল নিয়েছেন ২টি উইকেট।

    সাদমান ইসলামকে সাথে নিয়ে এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। নিজের ২৯তম বলে প্রথম রান পান সাদমান। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ৪২ বলে কেবল ৫ রান করে। ৩৩ রানেই বাংলাদেশের ৩টি উইকেট শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    তার আগে দিনের প্রথম বলেই এনক্রমাহ বনারকে শিকার করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। দিনের প্রথম সেশনেই ক্যারিবিয়ানদের ৩টি উইকেট শিকার করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনটি নিজেদের দখলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চা বিরতির ঠিক আগে আউট হন দুই থিতু ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও জসুয়া ডা সিলভা।

    চা বিরতি থেকে ফিরেই মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেলেন্ডাররা। জোমেল ওয়ারিকানকে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেন তাইজুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ২৫৯ রান। ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ৭৬ ও ব্ল্যাকউড ৬৮ রান করেন।

    বাংলাদেশের পক্ষে ৪টি উইকেট শিকার করেন মিরাজ। ২টি করে উইকেট পান তাইজুল, নাঈম হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪৩০ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরাজ। অর্ধশতক করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও সাদমান। চোটের কারণে তৃতীয় দিনে মাঠে নামতে পারেননি সাকিব।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ৪৭/৩ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৩১, মুশফিক ১০*, সাদমান ৫, তামিম ০, শান্ত ০;
    কর্নওয়াল ২/২৮, গ্যাব্রিয়েল ১/১৩।

    বাংলাদেশ ২১৮ রানে এগিয়ে।