Tag: ওয়েস্ট ইন্ডিজ

  • বাংলাদেশের ১৭১ রানের লিড

    বাংলাদেশের ১৭১ রানের লিড

    ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার পরে বল হাতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। বাংলাদেশের লিডের পরিমাণ ১৭১ রান। মিরাজ শিকার করেছেন চারটি উইকেট।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জার্মেইন ব্ল্যাকউড মিরাজের শিকার হলে চা বিরতিতে যায় দুই দল। চা বিরতির পরে ফিরেই তৃতীয় বলেই কেমার রোচকে শিকার করেন মিরাজ। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই রাহকীম কর্নওয়ালকে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।

    তাইজুল ইসলাম এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। শেষ ৬ রানে ৫টি উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ পক্ষে মিরাজ শিকার করেছেন মোট ৪টি উইকেট। তার আগে ব্যাট হাতে করেছিলেন ১০৩ রান। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

    তার আগে দ্বিতীয় সেশনে তারা দুইজন দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়ে এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এগিয়ে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। চার বিরতির ঠিক আগে জসুয়াকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন নাঈম।

    উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন জসুয়া। তার আগে ব্ল্যাকউডের সাথে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। জসুয়ার ব্যাট থেকে আসে ১৪১ বলে ৪২ রান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফেরার পরে উইকেটে এসেছেন রাহকীম কর্নওয়াল।

    আরেকপ্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে লড়াই করেন ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ব্ল্যাকউড। অর্ধশতক হাঁকান তিনি। জসুয়া ফেরার পরের ওভারেই মিরাজের বলে আবার লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ রানে ৮৬ রান।

    তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই এনক্রুমাহ বনারকে শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী হয়ে ফেরেন তিনি। ওই ওভারেই কাইল মেয়ার্সের ক্যাচ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। মেয়ার্স ও কাইল ব্রাথওয়েট সকালে বেশ দ্রুত রান তুলতে থাকেন।

    অল্প সময়ের মধ্যেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল মেয়ার্স ও ব্রাথওয়েটের মধ্যকার জুটি। ৬৮ বলে ৫৫ রানের এই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। দুর্দান্ত টার্ন করা এক ডেলিভারিতে ব্রাথওয়েটকে বোল্ড করেন এই ডানহাতি স্পিনার। ১১১ বলে ৭৬ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। তার ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চার।

    তাইজুল-নাঈমদের ওপর ছুরি ঘুরিয়ে মাঠের চারদিকে বাউন্ডারি তুলে নিচ্ছিলেন মেয়ার্স। ব্রাথওয়েটের বিদায়ের পরে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সাথে জুটি গড়েন তিনি। তৃতীয় দিনে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই মেয়ার্সকে শিকার করেন মিরাজ। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন ৪০ রান করে। তার ৬৫ বলের ইনিংসটি ছিল ৭টি চারে সাজানো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেট হারিয়েছিল ১৫৪ রানে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ১৭১ রানে এগিয়ে।

  • দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৫৫ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

    দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৫৫ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৪৩০ রান। স্বাগতিকদের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনশেষে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৩৫৯ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৫ রান

    ২৪২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম দিন মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান লিটন। প্রথম সেশনে সাকিব ও মিরাজ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন। রাহকীম কর্নওয়াল সাকিবকে শিকার করলে ভেঙে যায় এই দুই অলরাউন্ডারের জুটি। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। ১৫০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার।

    তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আরও ১১৫ রান যোগ করেন মিরাজ। তিনি হাঁকান সেঞ্চুরি। মিরাজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। তার আগে করেন ১০৩ রান। তার ১৬৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩টি চারের সুবাদে।

    প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৪৩০ রান। প্রথম দিনে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম, ৫৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান ৪টি ও ডানহাতি স্পিনার কর্নওয়াল ২টি উইকেট শিকার করেন।

    বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং করতে নামলেই একেরপর এক আঘাত হানতে থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানরা। ফলস্বরূপ ২৪ রানের মধ্যেই সফরকারীদের দুইটি উইকেট পেয়ে যান মুস্তাফিজ। জন ক্যাম্পবেল (৩) ও শেইন মোসলেকে (২) এলবিডব্লিউ করেন এই বাঁহাতি পেসার।

    শুরুর ধাক্কা বেশ সাবলীলভাবেই সামাল দেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও এনক্রুমাহ বনার। ব্রাথওয়েট বেশ দ্রুত রান তুলতে থাকেন, সঙ্গ দেন বনার। দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ব্রাথওয়েট ৪৯ ও বনার ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। তাদের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ১৭তম ওভারের পরে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ব্যাটিং ও বোলিং করার সময়ে তাকে পুরোনো চোট নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়। একই সময়ে সিলি পয়েন্টে পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাদমানও।

    টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে নামা শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতকে বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দিতে দেখা যায়।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৫/২ (২৯ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৪৯*, বনার ১৭*;
    মুস্তাফিজ ২/১৪

    বাংলাদেশ ৩৫৫ রানে এগিয়ে।

  • মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

    মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

    মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রান। মিরাজ করেছেন ১০৩ রান।

    মধ্যাহ্ন বিরতির পরে মাঠে ফিরেই অর্ধশতক হাঁকান মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ছিল তার তৃতীয় ফিফটি। অর্ধশতক পূরণ করার পরেই রাহকীম কর্নওয়ালের ওপর চড়াও হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে চার মারার পরের বলেই আবার শট নিয়ে লং অনে তালুবন্দী হয়েছিলেন তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ফিল্ডার ভারসাম্য হারিয়ে বলটি ধরে রাখতে না পারায়।

    সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যাওয়ার পরে মিরাজকে ভালো সমর্থন দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বেশ ধৈর্যের সাথে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। তার ৭২ বলের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে উইকেটরক্ষক জসুয়া ডা সিলভার তালুবন্দী হয়ে। তাইজুলের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। মিরাজের সাথে গড়েছিলেন ১১৭ বলে ৪৪ রানের জুটি।

    তাইজুলের বিদায়ের পরে মিরাজের সাথে যোগ দেন নাঈম হাসান। মিরাজ ও নাঈমের মধ্যকার জুটিতে বেশ দ্রুত রান উঠতে থাকে। কর্নওয়ালের বলে নাঈমকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় বলটি স্ট্যাম্পে আঘাত হানেনি ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যান নাঈম। তার এই ঘটনা প্রথম দিনে সাদমানের উইকেটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল।

    দ্রুত রান তুলতে থাকা নাঈম পার্ট টাইম বোলার এনক্রুমাহ বনারের কাছে পরাস্ত হন। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। নাঈম ফেরেন ২৪ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চারের মার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে মিরাজ ঠিকই এগিয়ে নিতে যেতে থাকেন বাংলাদেশকে।

    তৃতীয় ফিফটিকে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করে ফেলেন মিরাজ। অপরপ্রান্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পরে বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং লং অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার।

    শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে কর্নওয়ালের শিকার হন মিরাজ। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩০ রানের। মুস্তাফিজ অপরাজিত থাকেন ৩ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জোমেল ওয়ারিকান ৪টি কর্নওয়াল ২টি উইকেট নেন।

    দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন লিটন দাস। তিনি করেন ৬৭ বলে ৩৮ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে সাকিবও আউট হয়ে যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। সাকিবের ১৫০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার।

    প্রথম দিনে বাংলাদেশের ৫ জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছিলেন। দিনের শুরুতেই ৯ রান করে কেমার রোচের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। রান আউটে কাটা পড়ে শান্ত ফিরেছিলেন ২৫ রানে। মুমিনুল, সাদমান ও মুশফিক দুইজনেই ওয়ারিকানের শিকার হয়েছিলেন। যদিও সাদমানের আউটটি পরে দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে আউট হতো না। সাদমান ৫৯, মুশফিক ৩৮ ও মুমিনুল করেছিলেন ২৬ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/১০ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ৬৯,।

  • সাকিব-লিটনের ব্যাটে শেষ সেশনে স্বস্তি

    সাকিব-লিটনের ব্যাটে শেষ সেশনে স্বস্তি

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৩৯ রান এবং লিটন কুমার দাসের ৩৪ রানে প্রথম দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের হয়ে বল হাতে একাই তিন উইকেট নেন জোমেল ওয়ারিক্যান।

    ১৪০ রানে চার উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক এবং সাকিব। দীর্ঘদিন পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরে নিজেদের ধৈর্য শক্তির পরীক্ষা দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। দীর্ঘদিন পর সাকিব এবং মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং যেন স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বড় কিছুর।

    মুশফিক, সাকিব- দুজনেই খেলেছেন নিজেদের স্বাভাবিক গতিতে। এই দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের রানও উঠছিল বেশ ভালোভাবেই। তবে তাদের এই জুটি ভাঙেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার ওয়ারিক্যান। দলীয় ১৯৩ রানে ওয়ারিক্যানের করা বলে দারুণ এক ক্যাচ নেন কর্ণওয়েল। সাকিবের সঙ্গে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক।

    মুশফিকের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন। ইনিংসের শুরু থেকেই রান তুলতে খুব বেশি একটা সময় নেননি লিটন। ওয়ারিক্যান, গ্যাব্রিয়েল, কর্ণওয়েলকে বেশ ভালোভাবেই সামাল দেন এই ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্ত থেকে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত দিনশেষে ৩৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাকিব এবং ৫৮ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন লিটন।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে ২৪ ওভার বোলিং করে ৫৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন ওয়ারিক্যান এবং একটি উইকেট লাভ করেন কেমার রোচ।

    এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেটি শুরুতেই প্রমাণ দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সাদমান। তবে সেই জুটি বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেনি। দলীয় ২৩ রানে রোচের করা বলটি তামিমের ব্যাটের ফাঁক দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙে। তিনি করেন মাত্র ৯ রান। তামিম আউট হলেও ইনিংসের শুরু থেকেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

    রোচ, গ্যাব্রিয়েলদের বিপক্ষে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেন নাজমুল। তবে তাকে থামতে হয় দলীয় ৬৬ রানে। সাদমানের সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝিতে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে রান আউটের শিকার হন নাজমুল। চট্টগ্রামে বড় স্কোরের দেখা পাননি অধিনায়ক মুমিনুল। ৫৮ বলে তিন চারে ২৫ করে আউট হন তিনি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ২৪২-৫ (সাদমান ৫৯, সাকিব ৩৯*, মুশফিক ৩৮, লিটন ৩৪*: ওয়ারিক্যান ৩-৫৮)

  • টাইগারদের কাছে ‘হোয়াইটওয়াশ’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    টাইগারদের কাছে ‘হোয়াইটওয়াশ’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২০ রানে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। একদিনের ক্রিকেটে এ নিয়ে ১৪তম বার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা, যা বাংলাদেশের ২৬তম সিরিজ জয়।

    জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- তিনজনই ৬৪ রান করে করেন। তামিম ৮০ বলে ৬৪ রান করে বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরেন সাকিব ও মুশফিক। ৮১ বলে ৫১ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। শেষদিকে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন মুশফিক ও রিয়াদ।

    মুশফিক ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৬৪ এবং রিয়াদ ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৪ রান করেন। রিয়াদ অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেও লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের ব্যর্থতার দিনে দলীয় সংগ্রহ ৩০০ স্পর্শ করতে পারেনি।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ ও রেয়মন রেইফার।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপে এদিনও প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এনক্রুমাহ বোনার ও রভম্যান পাওয়েল প্রতিরোধ গড়ে তুললেও দলের বাকিরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ায়। পাওয়েলের ৪৯ বলে ৪৭ ও বোনারের ৬৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংকে একটু দীর্ঘায়িতই করেছে শুধু। ৪৪.২ ওভারে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। শেষদিকে ২৭ রান আসে রেয়মন রেইফারের ব্যাট থেকে।

    বাংলাদেশের পক্ষে একাদশে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শিকার করেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন। চোটের কারণে ৪.৫ ওভার বল করেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় সাকিব আল হাসানকে, যিনি বর্তমানে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    বাংলাদেশ : ২৯৭/৬ (৫০ ওভার)
    রিয়াদ ৬৪*, মুশফিক ৬৪, তামিম ৬৪, সাকিব ৫১
    আলজারি ৪৮/২, রেইফার ৬১/২

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৭৭/১০ (৪৪.২ ওভার)
    পাওয়েল ৪৭, বোনার ৩১
    সাইফউদ্দিন ৪৯/৩, মুস্তাফিজ ২৪/২, মিরাজ ১৮/২

    ফল : বাংলাদেশ ১২০ রানে জয়ী
    সিরিজ : বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : মুশফিকুর রহিম।
    সিরিজ সেরা: সাকিব আল হাসান।

     

     

  • এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলদেশের সিরিজ জয়

    এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলদেশের সিরিজ জয়

    মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মিরাজের ৪ উইকেট শিকারের দিনে ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৭ উইকেটের বড় জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল।

    মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। শুরুতেই সফরকারীদের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। মুস্তাফিজুর রহমানের হাত ধরে আসে প্রথম উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দী হয়ে ফিরে যান সুনীল অ্যামব্রিস। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেট হারিয়ে কেবল ২২ রান সংগ্রহ করে।

    জসুয়া ডি সিলভাকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিওর্ন অটলি, কিন্তু দাঁড়াতে পারেননি। তাদের ২৬ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। একই ওভারে দুইজনকেই সাজঘরের পথ দেখান। অটলি (২৪) ফেরেন তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে এবং বোল্ড হন জসুয়া (৫)। অপরপ্রান্তে সাকিব আল হাসান এসেই বোল্ড করেন অ্যান্দ্রে ম্যাকার্থিকে। ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    ২ রান তুলতেই আবার রান আউটের ফাঁদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের ম্যাচে সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কাইল মেয়ার্স ০ রানে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউটে কাটা পড়ে। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    ষষ্ঠ উইকেটে এনক্রুমাহ বোনার ও জেসন মোহাম্মদের মধ্যে ২৬ রানের জুটি গড়ে ওঠে। জেসনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন সাকিব। পরের ওভারেই এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোনারকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। ৭১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে শতরানের নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কার পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    সেই শঙ্কা থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাঁচান রোভমান পাওয়েল ও আলজারি জোসেফ। ৩২ রানের জুটি গড়েন তারা। জোসেফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। জোসেফের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। শেষ উইকেটে আকিল হোসেনকে নিয়ে ২৮ রানের জুটি গড়েন পাওয়েল। পাওয়েলকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করেন মিরাজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তিনি।

    ১৪৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজ ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২৫ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন। মুস্তাফিজ ২টি ও সাকিব নেন ২টি উইকেট। হাসান একটি উইকেট পান।

    ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবলীল ব্যাটিংয়ে শুরু করেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। লিটনের দারুণ শুরুর ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটে আকিলের এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে, এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। দৃষ্টিনন্দন ৪টি চারের সাহায্যে ২৪ বলে ২২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নাজমুল হোসেন শান্ত ২৬ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন জেসন মোহাম্মদের শিকার করে।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সপ্তম ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম অর্ধশতক পূরণ করে পরের বলেই রেইমন রেইফারের শিকার হন তামিম। ৭৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। জয় থেকে ৪০ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। ভেঙে যায় সাকিব-তামিমের ৩২ রানের জুটি।

    চতুর্থ উইকেটে সাকিব ও মুশফিকুর রহিম রানের জুটি গড়েন। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৪৩ রান। তার ইনিংসে ছিল.৪টি চারের মার। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। তারা গড়েন ৪০ রানের জুটি। বাংলাদেশ পায় ৭ উইকেটের বড় জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে গেল বাংলাদেশ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৮/১০ (৪৩.৪ ওভার)
    পাওয়েল ৩১, অটলি ২৪, বোনার ২০;
    মিরাজ ৪/২৫, মুস্তাফিজ ২/১৫, সাকিব ২/৩০, হাসান ১/৫৪।

    বাংলাদেশ ১৪৯/৩ ( ৩৩.২ ওভার)
    তামিম ৫০, সাকিব ৪৩*, লিটন ২২, শান্ত ১৭,
    রেইফার ১/১৮, জেসন ১/২৯, আকিল ১/৪৪।

    বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।

  • সাকিব নৈপুণ্যে বাংলদেশের সহজ জয়

    সাকিব নৈপুণ্যে বাংলদেশের সহজ জয়

    মিরপুরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল।

    স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে তামিমের প্রথম ম্যাচের মাধ্যমে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরেছেন সাকিব আল হাসানও। তাই ম্যাচ শুরুর আগেই ছিল বাড়তি উন্মাদনা।

    সেই উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে তোলেন সাকিব, রেকর্ডগড়া বোলিং ফিগারে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব ছাড়াও অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে পড়ে সফরকারীরা। শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রত্যাবর্তনে আলো ছড়ানো সাকিবের চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ের দিনে পেস অ্যাটাককে স্বস্তি দিয়েছেন হাসান। মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতি বোঝা যায়নি হাসান-মুস্তাফিজদের কারণেই।

    টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩২.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা, সংগ্রহ করে মাত্র ১২২ রান। কাইল মায়ার্সের ৫৬ বলে ৪০ ও রভম্যান পাওয়েলের ৩১ বলে ২৮ রানের দুই ইনিংস ছাড়া বলার মত স্কোর নেই আর কারও। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব একাই শিকার করেন চারটি উইকেট; ৭.২ ওভার বল করে ৮ রান খরচের দিনে দুটি ওভারই ছিল মেডেন। এছাড়া হাসান মাহমুদ তিনটি, মুস্তাফিজুর রহমান দুটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ একটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশকে সাবধানী শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ৮০ বলে ৪৭ রান করার পর থামে উদ্বোধনী জুটি। ৩৮ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ঝুঁকিহীন ব্যাটিং চালিয়ে যান তামিম। তবে তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান। সাকিব ক্রিজে এসে উপভোগ করেন তামিমের সঙ্গ।

    তামিম জয়ের ভিত গড়ে দিলেও অর্ধশতকের দেখা পাননি। ৬৯ বলে ৭টি চার হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন স্ট্যাম্পিং হয়ে। তামিমের মত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে ব্যর্থ হন সাকিবও। দেখেশুনে খেললেও ৪৩ বলে ১৯ রান করে আকিলের তৃতীয় শিকার হিসেবে বোল্ড হন তিনি।

    তবে দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। মুশফিকের ৩১ বলে ১৯ ও রিয়াদের ১৬ বলে ৯ রানের অপরাজিত দুই ইনিংসে বাংলাদেশ জয় পায় ৯৭ বল বাকি রেখেই। এই জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগেও শুভসূচনা হল টাইগারদের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২২/১০ (৩২.২ ওভার)
    মায়ার্স ৪০, পাওয়েল ২৮, জেসন ১৭, ম্যাককার্থি ১২
    সাকিব ৭.২-২-৮-৪, হাসান ৬-১-২৮-৩, মুস্তাফিজ ৬-০-২০-২, মিরাজ ৭-১-২৯-১

    বাংলাদেশ : ১২৫/৪ ( ওভার)
    তামিম ৪৪, মুশফিক ১৯*, সাকিব ১৯, লিটন ১৪, রিয়াদ ৯*, শান্ত ১
    আকিল ১০-১-২৬-৩, জেসন ৮-০-১৯-১

    ফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ওয়ানডে দলে ‘৩’ নতুন মুখ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ওয়ানডে দলে ‘৩’ নতুন মুখ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে নতুন মুখ হিসেবে ডাক পেয়েছেন ৩ জন ক্রিকেটার।

    প্রথমবারের মত ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পাওয়া তিন ক্রিকেটার হলেন- পেসার হাসান মাহমুদ, তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ও অনুরধ-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার শরিফুল ইসলাম।

    শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ওয়ানডে সিরিজের জন্য স্কোয়াড চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই সিরিজ দিয়ে স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করবেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন সাকিব আল হাসান।

    আগামী ২০ জানুয়ারি ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২২ জানুয়ারি। ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় ম্যাচের ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।

    একনজরে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড :

    তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম।

    বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি

    ২০ জানুয়ারি, ২০২১: প্রথম ওয়ানডে, ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
    ২২ জানুয়ারি, ২০২১: দ্বিতীয় ওয়ানডে, ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
    ২৫ জানুয়ারি, ২০২১: তৃতীয় ওয়ানডে, ভেন্যু: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
    ৩-৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১: প্রথম টেস্ট, ভেন্যু: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
    ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১- দ্বিতীয় টেস্ট, ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা

  • ঢাকায় পৌঁছেছে উইন্ডিজ ক্রিকেট দল

    ঢাকায় পৌঁছেছে উইন্ডিজ ক্রিকেট দল

    ২টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

    রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ক্যারিবিয়ানরা।

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    করোভাইরাস মহামারীকালে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় সিরিজ হলেও বাংলাদেশের প্রথম। ফলে এ সিরিজ দিয়ে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা।

    কোয়ারেন্টিনের প্রথম তিনদিন হোটেল রুমে থাকার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের। এর পর কোভিড টেস্টের ফল নিয়ে নিজেদের মধ্য অনুশীলনের সুযোগ পাবেন তারা।

    টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডসহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দলের নিয়মিত ১০ ক্রিকেটার আসেননি বাংলাদেশে। ব্যক্তিগত কারণে নেই আরও দুজন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছিটক গেছেন ওয়ানডে দলে থাকা রোমারিও শেফার্ড।

    কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে ১৮ জানুয়ারি বিকেএসপিতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০ ও ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে। ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

    এরপর ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারী দল। ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দল: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জার্মেইন ব্ল্যাকউড, এনক্রুমা বোনের, জন ক্যাম্পবেল, রাকিম কর্নওয়াল, জশুয়া ডি সিলভা, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, ক্যাভেম হজ, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্স, শেন মোজলি, ভিরাসামি পেরমল, কেমার রোচ, রেমন রিফার, জোমেল ওয়ারিক্যান।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দল: জেসন মোহাম্মেদ (অধিনায়ক), সুনিল আমব্রিস, এনক্রুমা বোনের, জশুয়া ডি সিলভা, জামার হ্যামিল্টন, শেমার হোল্ডার, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্স, আন্দ্রে ম্যাকার্থি, কেজর্ন ওটলি, রভম্যান পাওয়েল, রেমন রিফার, কিয়ন হার্ডিং, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।

  • রোহিত-রাহুল ঝড়ে ভারতের রানের পাহাড়

    রোহিত-রাহুল ঝড়ে ভারতের রানের পাহাড়

    তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে আছে ভারত। সিরিজে ফেরার ম্যাচে রোহিত শর্মা- লোকেশ রাহুলের শতক এবং রিশাভ পান্ট ও শ্রেয়াস আইয়ারের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৭ রান।

    বিশাখাপত্নমে টস জিতে স্বাগতিক ভারতকে আগে ব্যাটিং করার জন্য আমন্ত্রণ জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতে বেশি সময় নেননি ভারতের দুই ওপেনার। শুরু থেকেই স্বভাবসুলভ দ্রুত রান তুলতে থাকেন রোহিত ও রাহুল। ১০ ওভারের আগেই ৫০ রান পূর্ণ করেন তারা। ১২১ বলে দলীয় ১০০ রান পূরণ হয় ভারতের।

    দুই ভারতীয় ওপেনারের ব্যাট থেকেই আসে শত রানের ইনিংস। তাদের ২২৭ রানের জুটি ভাঙেন আলজারি জোসেফ। রাহুলকে রস্টন চেজের তালুবন্দী করান তিনি। ফেরার আগে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেন ১০২ রান। তার ১০৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছয়।

    ভারতের রানবন্যার দিনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বিরাট কোহলি। রাহুলের সাথেই সাথেই প্যাভিলিয়নে পথ ধরেন ভারতীয় অধিনায়ক। রানের খাতা খোলারই সুযোগ পাননি তিনি। প্রথম বলেই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের শিকার হন কোহলি।

    তারপরে শ্রেয়াশ আইয়ারকে নিয়ে এগোতে থাকেন রোহিত। তরুণ এই ব্যাটসম্যানের সাথে ৬০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন ভারতীয় ওপেনার। শেলডন কটরেলের শিকার হওয়ার আগে করেন ১৫৯ রান। তার ১৩৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৭টি চার ও ৫টি ছয়ে।

    শেষের দিকে টর্নেডো চালান রিশাব পান্ট ও শ্রেয়াশ। ২৫ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই তরুণ ব্যাটসম্যান। কেমো পল পান্টকে ফেরালে ভেঙে যায় তাদের জুটি। পান্টের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ৩৯ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। শ্রেয়াশ করেন ৩২ বলে ৫৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছয়।

    তাদের বিদায়ের পরে ১০ বলে ১৬ রানের ছোট্ট ঝড় তোলেন কেদার যাদব। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৭ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:
    ভারত ৩৮৭/৫ ( ৫০ ওভার)
    রোহিত ১৫৯, রাহুল ১০২, শ্রেয়াশ ৫৩, পান্ট ৩৯, কেদার ১৬*;
    পোলার্ড ১/২০।