২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ : অদ্ভুত আকৃতির মৃত এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের মামুন হোসেনের স্ত্রী লাফিদা খাতুন (২০)।
শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহরের মনোয়ারা সনো সেন্টার এ্যান্ড নার্সিং হোমে এ অদ্ভুত শিশুর জন্ম দেন এ প্রসূতি মা। জন্মের সময় মৃত শিশুটির লিভার, হার্ট, কিডনি ও নাড়িভুঁড়ি সব কিছুই পেটের বাইরে বের হয়ে যায়।
প্রসূতির পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘটনার দু’দিন আগে থেকেই পেটের যন্ত্রণায় বিভিন্ন ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করেন লাফিদা খাতুন (২০)। কিন্তু কোনো কিছুতেই তিনি প্রশান্তি না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর শহরের মনোয়ারা সনো সেন্টার এন্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করেন।
সে সময়ও প্রসুতি লাফিদা খাতুন পেটের ব্যথায় ছটফট করছিলে এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পেটের বাচ্চাও নড়াচড়া করছিলো না। এ অবস্থায় ক্লিনিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর পেটের বাচ্চা মারা গেছে বলে সন্দেহ করেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রসূতির পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লিনিকের চিকিৎসক দম্পতি ডা. রফিকুল ইসলাম ও ডা. জুলিয়েট পারউইন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই প্রসূতি মাকে অস্ত্রোপচার করলে অদ্ভুত কন্যা শিশুটির জন্ম হয়।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুলিয়েট পারউইন বলেন, অন্তঃসত্বা লাফিদা খাতুনকে অপারেশনের পর একটি মৃত কন্যা শিশু বাচ্চার জন্ম হয় এবং সদ্যজাত শিশুটির হার্ট, কিডনি, লিভারসহ পেটের ভিতরের সব কিছুই ছিলো পেটের বাইরে।
এমন শিশুর জন্ম হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে অদ্ভুত শিশুর জন্মের কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্লিনিকে ভিড় করতে থাকে উৎসুক মানুষ।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা মাঝিপাড়া গ্রামের শ্রীদাম হালদারের মেয়ে অঞ্জনা রানী (২২) একইসঙ্গেঁ ৪টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতকদের দু’জন পুত্র ও দু’জন কন্যা। একটি সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। বর্তমানে মাসহ তিনটি সন্তান সুস্থ আছেন বলে ওই নারীর পরিবার জানায়।
জানা গেছে, তিন বছর আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আঁটিগ্রাম ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের সুনিরাম হালদারের ছেলে সঞ্জয় হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় অঞ্জনার। সম্প্রতি অঞ্জনা সন্তান সম্ভবা হলে গত ৫ মাস আগে পিতার বাড়িতে আনা হয়। এ সময় অঞ্জনার স্বামী চাকরি নিয়ে কাতার চলে যান।
গত ৬ জুন প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে সাভারস্থ প্রাইম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ৪টি সন্তান প্রসব করেন তিনি।
ডাক্তারী রিপোর্টে তিনটি সন্তানের কথা উল্লেখ করা হলেও প্রসবের সময় একটি মৃতসহ ৪ সন্তান প্রসব করে বলে ওই পরিবার থেকে জানানো হয়। অঞ্জনার মা তার মেয়ের কোলজুড়ে ৩টি সন্তান আসায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের আশীর্বাদ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অঞ্জনা রানী বলেন, বাড়িতে আসার পর সন্তানদের খাবার যোগাতে পারছি না। মহামারী করোনার সময় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান, যেন আমার তিনটি সন্তানের চিকিৎসাসহ দু-মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি।
২৪ ঘণ্টা/আর এস পি