Tag: কমিউনিটি পুলিশিং ডে

  • সীতাকুণ্ডে হাইওয়ে থানার উদ্যেগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

    সীতাকুণ্ডে হাইওয়ে থানার উদ্যেগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র-কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ সীতাকুণ্ডে হাইওয়ে থানার উদ্যেগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (৩১অক্টোবর) দুপুরে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা উক্ত মতবিনিময সভার আয়োজন করে।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা জেলায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারী নির্যাতনসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

    হাইওয়ে থানার এসআই আবুল হাসনাতের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন, সলিমপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, সোনাইছড়ি ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন, জহুরুল আলম, কুমিরা ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ, শ্রমিক নেতা মোঃ সেলিমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/দুলু

  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবার সহযোগিতা চাইলেন সিএমপি কমিশনার

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবার সহযোগিতা চাইলেন সিএমপি কমিশনার

    কিশোর গ্যাং কেন্দ্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দমন, প্রতিরোধসহ সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সবার সহযোগিতা চাইলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমশিনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

    শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মাল্টিপারপাস শেডে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ সহযোগিতা চান।

    সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অন্য সবার মতো বাবা মাকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মেলামেশা করছে সেসবের খোঁজখবর রাখতে হবে। সর্বোপরি সন্তানদের বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

    ১৬ থানার কমিউনিটি পুলিশদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কমিশনার আরও বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে জনসমর্থন পেতে হলে কমিউনিটি পুলিশিং পুরোপুরিভাবে কার্যকর করতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকটাও নজরে রাখতে হবে।

    শীতে করোনা ভাইরাস বাড়তে পারে উল্লেখ করে সিএমপি কমিশনার বলেন, আশা করি পূর্বের মতো ভবিষ্যতেও করোনা নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশ এগিয়ে আসবে এবং কাজ করবে—বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    বক্তব্যের শেষে মাদক, জঙ্গিবাদ ও যৌন হয়রানি নির্মুলের বিষয়ে কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের শপথ পাঠ করান সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

    এর আগে বিগত ১ বছরের সফলতার জন্য ১৬ থানার কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। তারও আগে সিএমপির পক্ষ থেকে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরকে কমিউনিটি পুলিশং ডে এর সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএম মোস্তাক আহমদ খান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-কমিশনার (সদর) আমির জাফর, উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান রাষ্ট্রপতির

    পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান রাষ্ট্রপতির

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, পুলিশ ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

    আগামীকাল ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এই নীতির আলোকে কমিউনিটি পুলিশিং পরিচালিত হচ্ছে। মানুষের মন থেকে পুলিশভীতি দূর করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে সামাজিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

    বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ এর প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।’

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, গণতন্ত্র রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। বিশেষভাবে করোনাক্রান্তিকালে মানবসেবার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যগণ দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও মানবিকতার যে অনুপম নিদর্শন স্থাপন করেছে, তা সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বহুলাংশে উজ্জ্বল করেছে।

    মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যথাযথ প্রসার ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে সকলের মধ্যে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি ও বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগের ক্ষমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশ ও জনগণকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

    তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার যে যাত্রা আমরা শুরু করেছি, ইতোমধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সে যাত্রায় সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশও একান্ত সারথী হিসেবে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ সদস্যদের সদা সচেষ্ট থাকতে হবে। একটি জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।

    তিনি ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • পটিয়া থানায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠিত

    পটিয়া থানায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামের পটিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন।

    পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার( সিপি ও) এস আই খালেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান,পটিয়া পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন ফরিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জব্বারুল ইসলাম।

    এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন পটিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল খালেক, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোফরান রানা, কেলিশহর ইউপি চেয়ারম্যান সরোজ সেন নান্টু,আশিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম. হাসেম, কচুয়াই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম, কাশিয়াইশ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম. খোরশেদ গণি,৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলম,৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দীন বেলাল,৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম.এ. মন্নান, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সৈয়দ, মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন আক্তার চৌধুরী, বুলবুল আক্তার, শওগত আকবর মেম্বার, মহিলা মেম্বার শাহিন আক্তার, কোহিনুর আক্তার, আজিমুল হক, ফৌজুল কবির কুমার প্রমুখ।

    পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম বলেন, ‘পটিয়াকে মাদক-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে পুলিশ ও জনতার সম্পর্ক আরো বেশি জোরদার করার দরকার।

  • পুলিশ ও জনতার সমন্বয়েই মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব

    পুলিশ ও জনতার সমন্বয়েই মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব

    পুলিশ ও জনতার সমন্বয়েই দেশ থেকে মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড দূর করে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এজন্যই মূলত সারা বিশ্বে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম অত্যন্ত সফলজনক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

    সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করা হয়। যা বর্তমানে একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌছেছে। আগামীতে সাধারণ জনগণ যদি স্বতস্ফুর্তভাবে পুলিশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা নির্মূলে সহযোগিতা করে তাহলে অচিরেই এদেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশের মাধ্যমে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

    উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশ রেলওয়ে হেডকোয়ার্টার্স এর ডিআইজি মোঃ শামসুদ্দিন এনডিসি।

    তিনি ২৬ অক্টোবর সকালে নীলফামারী সৈয়দপুরে রেলওয়ে জেলা পুলিশের আয়োজনে রেলওয়ে পুলিশ ক্লাবে অনুষ্ঠিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেছেন।

    সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ রাজিব উদ্দিন, প্রথম আলো সৈয়দপুর প্রতিনিধি এম আর আলম ঝন্টু, সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী প্রমুখ।

    এতে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং একটি সুনাগরিকত্বের পরিচায়ক। আগামীতে এ কনসেপ্টটি অত্যন্ত গুরুত্ববহণ করবে। এখন যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ঠিক তেমনি আগামীদিনে কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাভরে সম্মান করবেন। কেননা এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ থেকে মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার অপরাধ কর্ম নির্মূলে সাফল্য অর্জন হচ্ছে। এর ফলে পুলিশ ও জনতার মাঝে যে সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে সেই বন্ধনের মাধ্যমে সমাজ থেকে সকল অন্যায়-অবিচার দূরীভূত করা সম্ভব হলে আমাদের সোনার বাংলা একটি রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। তাই কমিউনিটি পুলিশিং এর সাথে সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    আলোচনা সভার পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা থেকে বের হয়ে রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম হয়ে রেলওয়ে জেলা পুলিশের এসপি অফিস চক্কর দিয়ে প্রেসক্লাব হয়ে পুলিশ ক্লাবে এসে পৌছে।

    এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ মমতাজুল ইসলাম, আরআই শাহ আলম, ওসি ওয়াচ এসআই হাবিবুল আলমসহ রেলওয়ে জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যবৃন্দ ও সাংবাদিক শাহজাহান আলী ও দুলাল সরকার এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।

    দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে রেলওয়ে পুলিশ ক্লাবে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও রেলওয়ে মাঠে রেলওয়ে পুলিশ বনাম রেলওয়ে বিভাগ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শহরের প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ যাদু প্রদর্শণী পরিবেশন করেন সৈয়দপুরের খ্যাতনামা যাদু শিল্পী মনোয়ার হোসেন। পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বিশেষ পুরস্কার ও অংশগ্রহণকারীদের শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।

    এছাড়া সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

  • কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে র‍্যালি ও সভা অনুষ্ঠিত

    কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে র‍্যালি ও সভা অনুষ্ঠিত

    কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম গতিশীল করা, জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার পালন করা হয় ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ ।

    তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটে একযোগে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উদযাপিত হয়। তারই অংশ হিসেবে “পুলিশের সংগে কাজ করি, মাদক-জংঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি” এই স্লোগানে সীতাকুুুুণ্ডে পালিত হয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে। এ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

    সকালে মডেল থানা পুলিশের আয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‍্যালি বের হয়। এছাড়া থানা প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের চিত্রংকর প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

    একইদিন সকালে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের আয়োজনে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে গাড়ির মালিক, চালক শ্রমিক, ইউপি সদস্য, সাংবাদিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সর্বস্ততরের জনসাধারণ অংশ নেন।

    আলোচনা সভায় বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আওয়াল চালকদেরকে ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলে গাড়ি চালানো, যত্রতত্র লং পার্কিং না করা এবং জনসাধারণকে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানান।

  • রাউজানে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র র‌্যালী-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    রাউজানে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র র‌্যালী-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ “পুলিশের সঙ্গে কাজ করি মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাউজানে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাউজান থানা থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি বের হয়ে উপজেলা সদর প্রদক্ষিণ শেষে একে এম ফজলুল কবির চৌধুরী অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।

    রাউজান কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি, নোয়াজিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম সরোয়ার্দী সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।

    রাউজান থানা কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার, উপ পরিদর্শক (এস আই) সাইমুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, জে,কে গ্রুপের চেয়ারম্যান জাহাঈীর আলম খান, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ্, ওসি তদন্ত মীর হোসেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া খানম মিনা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সি. সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সহ সভাপতি কাজী ইকবাল, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন, থানার সেকেন্ড অফিসার নুর নবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা য্বুলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান চৌধুরী, আলহাজ্ব দিদারুল আলম, বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, লায়ন সাহাবুউদ্দিন আরিফ, রোকন উদ্দিন, সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল, নুরুল আবছার বাঁশি, উপজেলা য্বুলীগের সহ সভাপতি সারজু মোহাম্মদ নাসের, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী, মুছা আলম খাঁন চৌধুরী, তপন দে, পৌর য্বুলীগের সভাপতি হাসান মো, রাসেল, সাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক রোকন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পিবলু, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আসিফ প্রমুখ।

    পরে চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী কৃতি শিক্ষার্থী”র মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।

  • জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা প্রতিদিন কোন না কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যাচ্ছি। আপনাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। মিথ্যা কথা, গুজব বা ভুল তথ্যে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কমিউনিটি পুলিশ এর সদস্যগণ কাজ করবেন।

    আজ (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম রাজারবাগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে- ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    যেকোন তথ্য জানলে তা যাচাই করে দেখার আহবান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে। আমরা খারাপ দিক দেখেছি রামু, নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি ভোলায়। এসমস্ত গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশকে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশ বিশ্বব্যাপী বিস্তিৃত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা আমরা সাজিয়েছি। পুলিশের সকলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে। এজন্য দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমরা এখন বীরদর্পে বলতে পারি আমরা পেরেছি। এই রাজারবাগ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা। আমি সব জায়গায় এখন বলি একযুগ আগে যে পুলিশ আপনারা দেখেছেন বর্তমান পুলিশ এক নয়। দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ দেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

    পুলিশকে কমিউনিটি বা জনগণের সাথে মিশে গিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার টেকসই নিরাপত্তা। কমিউনিটি পুলিশিংয়ে জনসাধারণ দায়িত্ব পালন করছেন বলে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হচ্ছে। ঢাকা শহরের জনগণের তথ্য সংগ্রহ করে একত্রে রাখাটা অনেক কঠিন। এই কঠিন কাজটা অনেক দক্ষতার সাথে যে যার অবস্থান থেকে করেছেন। এজন্য তাদের মূল্যায়ন করাটা জরুরী। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে বিট অফিসার পাড়া মহল্লায় জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে সরকার কি চায়, পুলিশ কি চায়। আমাদের দেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেভাবে কাজ করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা যাতে জোড় গলায় বলতে পারি বাংলাদেশে জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত করতে পেরেছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। আপনাদের সহযোগিতায় মাদককে নিয়ন্ত্রণে আনবো ইনশাআল্লাহ।

    পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (এ এন্ড ও) ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী বিপিএম (বার) বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং একটি গ্লোবাল কনসেপ্ট। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম রয়েছে। তাবে বাংলাদেশের কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমটা একটু ভিন্ন। জনগণ ও পুলিশের একাত্মতায় সোনার বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের ২ লক্ষ ১২ হাজার সদস্য কর্মরত রয়েছে। জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী একটি দেশের ৪০০ জন জনগণের সেবাই একজন পুলিশ। সেখানে আমাদের দেশে প্রতি ৮০০ জনের সেবায় একজন পুলিশ কাজ করছে। এজন্য পুলিশি সেবায় জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষে আগতদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষকে যদি আমরা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে খেলাধুলায় অন্তর্ভূক্ত না করতে পারি, আমাদের সন্তানদের মাঠে নিতে না পারি, তাদের সুকুমার বৃত্তিগুলো গড়ে উঠার সুযোগ করে না দিই, তাহলে আমাদের সন্তানদের সঠিক পথে রাখতে পারবো না। আপনি যদি নিজের নিরাপত্তা ও সন্তানের নিরাপত্তা চান এবং একটি বাসযোগ্য সমাজ তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি এককভাবে কখনও করতে পারবেন না। পুলিশও এককভাবে কখনও করতে পারবে না। নিজের সন্তানের নিরাপত্তার জন্য ও সন্তান যাতে একটি সুন্দর সমাজ ও পরিবেশে বসবাস করতে পারে সেটির জন্য পুলিশের সাথে মিলে কাজ করুন। সমাজের যে বিষয়গুলো আমরা ঘৃণা করি, সমাজের সবাই মিলে আসুন তাদের বিরুদ্ধে সচেষ্ট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমার সন্তান আপনার সন্তান কেউই মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ সমাজের নানাবিধ অপরাধজনক কাজের প্রভাব থেকে এককভাবে মুক্ত থাকতে পারবে না। যদি না আমরা সবাই মিলে এমন একটি সমাজ তৈরি করি যেখানে তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। আমরা যদি মনে করি এটি শুধু মাত্র পুলিশের কাজ তাহলে এটা কখনও সম্ভব হবে না।

    যাঁরা আমাদের সাথে কাজ করতে চান তারা এক পা এগিয়ে আসুন আমরা সবাই মিলে আপনার দিকে দশ কদম এগিয়ে যাবো বলে জানিয়ে কমিশনার আরো বলেন, আমি বাদশা আপনি আমার প্রজা এই মনোভাব নিয়ে ডিএমপিতে কেউ চাকরি করতে পারবে না। এই মহানগরের প্রতিটি মানুষের যে সম্মান, শ্রদ্ধা ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার কথা সেই আচরণটি যদি কোন পর্যায় থেকে না পান তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা অনুরোধ করবো আমাদের সমস্ত ভালো কাজের সাথে থাকেন, ভালো উদ্যোগকে সমর্থন করেন এবং পুলিশের কোন বিচ্যুতি চোখে পড়লে আমাদের জানাবেন আমরা সংশোধনের চেষ্টা করবো এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। এই শহর ও দেশটা আমাদের। আমরা দায়িত্ববোধ ও মানুষের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে এসেছি।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায় ,গোলাম আশরাফ তালুকদার সভাপতি শাহজাহানপুর থানা কমিউনিটি পুলিশ ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী গোষ্ঠির সভাপতি ড. এনামুল হক। এসময় কমিউনিটি পুলিশিংয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ঢাকা মহানগরীর জনগণের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশ সদস্য, পুলিশ সদস্যদের মধ্য হতে শ্রেষ্ঠ সিপিও এবং বিট পুলিশিং অফিসারদের পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত দেশে গড়ি এই শ্লোগানে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে রাজারাবাগ এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। এসময় র‌্যালীতে ডিএমপি কমিশনারসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিনিধিসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত দেশে গড়ি এই মূল প্রতিপাদ্য বিষয় দিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯।

  • কমিউনিটি পুলিশিং ডে, বোয়ালখালীতে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ

    কমিউনিটি পুলিশিং ডে, বোয়ালখালীতে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ

    সমাজে অপরাধমূলক কর্মকান্ড রুখে দিতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মাদক, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসসহ সকল সামাজিক অপরাধ দমনে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে।

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বোয়ালখালীতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি বোয়ালখালী থানা চট্টগ্রাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, জাসদ সভাপতি মনির উদ্দীন আহমদ খান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোনাফ, কাজল দে, পৌর কাউন্সিলর সুনীল চন্দ্র ঘোষ, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম ও প্রলয় চৌধুরী মুক্তি।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

  • দেশে থাকলে ভালভাবে থাকুন নতুবা যেভাবে পারেন দেশত্যাগ করুন-সিএমপি কমিশনার

    দেশে থাকলে ভালভাবে থাকুন নতুবা যেভাবে পারেন দেশত্যাগ করুন-সিএমপি কমিশনার

    চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের পরিবেশ আরো সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করে তুলতে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে। যারা রাজনৈতিক পরিচয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি তাদের বিরুদ্ধে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হযে দুর্ণীতিবাজদের সাথে যোগযোগ রক্ষাকারীর বিরুদ্ধে এ শুদ্ধি অভিযান।

    তিনি বলেন, যারা মনে করেছেন সন্ত্রাস করে বড় বড় নেতা হবেন, অনেক টাকার মালিক হবেন তবে ভুল করবেন। আইনশঙ্খলা বাহিনীর কেউ যদি মনে করেন এসব মাদক ব্যবস্যায়ি ও অপরাধীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে অনেক উচু স্থরে যাবেন তারা দয়া করে সে আশা পরিত্যাগ করুন। আগে নিজে কিভাবে বেঁচে থাকবেন সে চিন্তা করুন।

    কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে উপলক্ষে শনিবার (২৬ অক্টোবর) নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান থেকে কেউই মুক্ত নন মন্তব্য করে সিএমপি কমিশনার আরো বলেন, যারা সমাজকে দুষিত করছে তারা কেউই শুদ্ধি অভিযান থেকে মুক্ত নন। ব্যবসায়ি, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি এমনকি আমি মুক্ত নয়। সুতরাং সময় থাকতে সবাই পরিশুদ্ধ হয়ে যান। দেশে থাকলে ভাল করে থাকতে হবে নাহলে দযা করে যেভাবে পারেন দেশ ছাড়েন। আমাদের কলঙ্খিত মুখ এদেশবাসী দেখতে চাই না। এ সরকার দেখতে চাই না।

    বক্তব্যের শুরুতে মাহবুবর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ যেমন সারা বাংলাদেশকে সুশৃঙ্খল করতে পারে না তেমনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট নয়। এখানে সমাজের সর্বস্থরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগীতা দরকার। এ লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যে সমাজের বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমে এবং বিভিন্ন সোসাইটিতে উপস্তিত হযে সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

    পুলিশের আমুল পরিবর্তনের যাদুকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা :

    বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ১০ বছরের আগের পুলিশি কার্যক্রমে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে মানুষ ভয়ে হোক, সংকোচে হোক বা লজ্জ্বায় থানামূখী হতো না। এখন আমরা এমন ভাবে পরিচালনা করছি।

    সাধারণ মানুষকে থানায় আসতে হয়না। হ্যালো ওসি কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশই নগরীর প্রতিটি অলিতে গলিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে কেউ ওসির চেহারা দেখতো না সেখানেও পুলিশ ছুটে যায়। অপরাধ প্রবণ এলাকায় বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তাৎক্ষরিক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি। অথবা সমস্যা সমাধানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছেন। ১০ বছর আগের পুলিশ এবং বর্তমান পুলিশের আমুল পরিবর্তনের যাদুকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি থানার ওসিদের বাধ্য করা হচ্ছে প্রতি সপ্তাহের অন্তত একটি দিন শুক্রবার জুম্মার নামাযের পর জঙ্গি বিরোধী, মাদক বিরোধী আলোচনা জনগণের সাতে শেয়ার করতে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। প্রতি মাসের অন্তত একটি দিন সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার অপরাধ প্রবণ এলাকায় নিজে উপস্তিত থেকে ওই এলাকার সমস্যা নিয়ে জনগণের সাথে কথা বলছে। আমি চাই পুলিশ জনগণের দৌড়গোরায় যাবে।

    সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়িকে জনপ্রতিনিধি বানাবেন না :

    মন্দ পুলিশের সাথে নয়, ভাল পুলিশের সাথে থাকার আহবান জানিয়ে সাধারণ জনগণের উদ্দ্যেশে সিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ যদি ভাল কাজ করে তবে আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন। আর খারাপ কাজ করলে আমাদের বর্জন করবেন।

    আমাদের মধ্যে যদি দুষ্ট পুলিশ থাকে খারাপ পুলিশ থাকে এবং রাজনৈতিক কিংবা জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যদি দুস্কৃতিকারী, দুর্ণীতিবাজ বা অপরাধী থাকে তবে তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সহযোগীতা করুন এবং তাদেরকে বর্জন করুন।

    দয়া করে কোন সন্ত্রাসীকে, চাঁদাবাজকে এবং কোন মাদকব্যবসায়িকে জনপ্রতিনিধি বানাবেন না। তাদেরকে কোন অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বানাবেন না। আমি যদি মন্দ হই তবে আমাকেও বর্জন করুন।

    কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত আইজি মো. ইকবাল বাহার।

    অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চসিকের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নেতা এস এম আবু তৈয়ব, চসিক কাউন্সিলর আনজুমান আরা আনজু, কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম নগর শাখার সদস্য সচিব অহীদ সিরাজ স্বপন বক্তব্য দেন।

    কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জিইসি মোড় থেকে ওয়াসা মোড় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। রং-বেরঙের ব্যানার, পোস্টার, বেলুন এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে র‍্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।