Tag: করোনাভাইরাস

  • ফাইজারের টিকা বন্ধ হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি

    ফাইজারের টিকা বন্ধ হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি

    প্রাপ্ত বয়স্কদের ফাইজারের করোনা টিকা প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ করছে সরকার। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ টিকা আর দেওয়া হবে না। তবে শিশুদের জন্য রাখা ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

    বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা শাখার পরিচালক ডা. সাইদুজ্জামান।

    জানা যায়, সরকারের কাছে মজুদ থাকা টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে নতুন টিকা আসা মাত্রই আবারও টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।

    এ বিষয়ে ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, করোনার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে, আমাদের হাতে মজুদ থাকা ফাইজারের টিকাগুলোর মেয়াদ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। এই কারণে ২৭ ফেব্রুয়ারির পর নতুন করে কাউকে টিকা দেওয়া হবে না।

    সাইদুজ্জামান বলেন, শিশুদের জন্য যেসব ফাইজারের টিকা আছে, সেগুলোর মেয়াদ আরও অনেকদিন আছে। যে কারণে শিশুদের টিকা কার্যক্রমে কোন সমস্যা হবে না।

  • চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত : সমীক্ষা

    চীনের ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত : সমীক্ষা

    চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের ৯০ কোটি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো এক সমীক্ষায় এমনটাই দেখা গেছে। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষের শরীরে এ ভাইরাস রয়েছে।

    এ ছাড়া দেশটির প্রদেশভিত্তিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে গানসু। আর ৮৪ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইউনান ও ৮০ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কিংহাই প্রদেশ। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এ খবর দিয়েছে।

    এদিকে চীনা শীর্ষ এক মহামারি বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, আসছে চীনা লুনার নিউ ইয়ারে দেশটির গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। চীনের সেন্টার ফর ডিজেস কন্ট্রোলের সাবেক প্রধান ও মহামারি বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং সতর্ক করে বলেন, চীনের এই করোনা ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্যায় দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আসছে ২৩ জানুয়ারি চীনে লুনার নিউ ইয়ার উদযাপন করা হবে। আর নিউ ইয়ার উপলক্ষে লাখ লাখ চীনারা শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। কেউ কেউ মহামারি শুরুর পর এই প্রথমবার বাড়িতে যাচ্ছেন। কারণ মহামারির কারণে গত বছরগুলোতে তারা বাড়ি যেতে পারেননি।

    সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলনের মুখে চীন শূন্য-কোভিড নীতি থেকে সরে আসে এবং করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয়। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দৈনিক করোনা সংক্রমণ পরিসংখ্যান প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আর গত ৮ জানুয়ারি থেকে বিদেশিদের দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর দেশটিতে ব্যাপকভাবে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বড় বড় শহরগুলোর হাসপাতালে কোভিড রোগীতে প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়।

    চলতি মাসের শুরুতে এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং বলেছিলেন, এখন গ্রামীণ এলাকায় মনোযোগ দেওয়ার সময়। গ্রামাঞ্চলে ইতোমধ্যেই অনেক বয়স্ক, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছেন।

  • করোনার নতুন উপধরন: দেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

    করোনার নতুন উপধরন: দেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

    চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন দেখা দিয়েছে, এ ধরন প্রতিরোধে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    রোববার সকালে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহেমদুল কবীর।

    তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব বন্দরে স্ক্রিনিংয়ে জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি সেসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সন্দেহ হলে করোনা টেস্ট করানো হবে।

    ডা. আহেমদুল কবীর বলেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও সাত থেকে আট জনের মধ্যে থাকলেও ইতোমধ্যে আইইডিসিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জিমোন সিকুয়েন্স চলমান রাখতে। কেননা করোনার নতুন ধরনটি দেশে আসলে দ্রুত শনাক্ত সম্ভব হবে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক সকলকে মাস্ক পরাসহ প্রাপ্তবয়স্কদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ডিএনসিসি হাসপাতালকে আরও বেশি সুসজ্জিত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে বেশি রোগী সেখানে ভর্তি ও সেবা নিশ্চিত করা যায়। করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে গেলেও যাতে চিকিৎসা সংকট না দেখা দেয় সে কারণে দেশের সবগুলো হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়া নতুন এ উপধরনের উপসর্গ এবং এর চিকিৎসায় করণীয় নির্ধারণের জন্য দু-একদিনের মধ্যে কারিগরি কমিটির মিটিং হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

    চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। এরপর তা মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে নতুন উদ্বেগের কথা শোনা যাচ্ছে।

    করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এ বিপর্যস্ত চীন। এরই মধ্যে ভারতসহ ৯১টি দেশে অতিসংক্রামক এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ ও নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে।

    সম্প্রতি চীনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরপরই প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি দেশবাসীকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভাইরাসটির জিন বিশ্লেষণ করারও কথা বলেছেন।

  • করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৫

    করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৫

    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে ১১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৬৯ জন। ১১৫ জনের মধ্যে রাজধানীতেই ৯০ জন শনাক্ত হয়েছেন। নতুন শনাক্ত নিয়ে সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ২০ লাখ ৩৫ হাজার ১৫২ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও চার জনের মারা গেছেন। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৩ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬১ জন এবং এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৫০৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
    আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে ৮৮২টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৪ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

    নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় ২ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী মারা গেছেন।

    দেশে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ৭৭৯ জন এবং নারী ১০ হাজার ৬৪৪ জন। নতুন শনাক্তের মধ্যে ঢাকা মহানগরের রয়েছেন ৯০ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৯২ জন রয়েছে, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে শূন্য, খুলনা বিভাগে ১ জন, বরিশাল বিভাগে শূন্য এবং সিলেট বিভাগে শূন্য রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • করোনায় আরও সাড়ে ১১শ মৃত্যু, শনাক্ত ৩ লাখের ওপরেই

    করোনায় আরও সাড়ে ১১শ মৃত্যু, শনাক্ত ৩ লাখের ওপরেই

    চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ১১শ মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা রয়েছে ৩ লাখের ওপরেই।

    এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, ইতালি, রাশিয়া ও জাপান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৪১ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার।

    বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৩৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পৌনে দুইশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৭ জনে।

    একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ৮৮ জনে।

    এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ২৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২১ লাখ ৬ হাজার ১২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৬ হাজার ৪১৪ জন মারা গেছেন।

    অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৬২ জন এবং মারা গেছেন ২৪৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯৪ হাজার ১৪৭ জন মারা গেছেন।

    ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে হাঙ্গেরিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৩ জন এবং মারা গেছেন ১৪০ জন।

    রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৫১৮ জন এবং মারা গেছেন ৮০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯০ জনের। একইসময়ে তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩১৭ জন এবং মারা গেছেন ৫২ জন।

    ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৯৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৬ জনের। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৮০৫ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন।

    লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৭৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬০ জনের।

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

     

  • ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ জনের করোনা শনাক্ত

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৯৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে করোনায় কেউ মারা যাননি। তাই মৃতের মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ৪১৬ জনেই রয়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৯ জন হয়েছে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯১৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৬ জন রোগী শনাক্ত হয়। তাতে দিনে শনাক্তের হার সামান্য কমে ৫ দশমিক ০১ শতাংশ হয়েছে। আগের দিন এই হার ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল।

    গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৮ জন করোনা রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৬ জন।

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

  • করোনা আবারও বাড়ছে, সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    করোনা আবারও বাড়ছে, সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

    সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা জানান।

    মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড কিছুটা বেড়েছে। কয়েক মাস আমরা দেখেছি দৈনিক ৩১ থেকে ৩৫ জন সংক্রমিত হতো। গতকাল (রোববার) ১০৯ জন সংক্রমিত হয়েছে, সেই তুলনায় বেশ বেড়েছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। মাস্কপরা ভুলে গেলে চলবে না, আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।’

    তিনি বলেন, ‘কোভিড এখনো নির্মূল হয়নি, আছে। আমরা একটা স্বাভাবিক অবস্থায় আছি, আমরা যদি অস্বাভাবিক অবস্থায় না যাই, সে বিষয়ে সবার প্রচেষ্টা দরকার।’

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মন্ত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সবাইকে অনুরোধ করছি মাস্ক পরবেন, হাত স‌্যানিটাইজ করবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন, টিকা না নিয়ে থাকলে টিকা নেবেন।’

  • ৪ থেকে ১০ জুন দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ সপ্তাহ

    ৪ থেকে ১০ জুন দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ সপ্তাহ

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগামী ৪ থেকে ১০ জুন দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ সপ্তাহ পালন করা হবে। এতে ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব সবাইকে বুস্টার ডোজ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব সবার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৪ মাস পার হলে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।

    ৪ থেকে ১০ জুন যেকোনো দিন আপনার নিকটবর্তী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিনের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলমান থাকবে।

    সব টিকাকেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রদান করা শুরু হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে টিকা কার্ড।

  • চট্টগ্রামে শতবর্ষী দবিরুল ইসলামের ‘মোমেন্ট অব সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালিত

    চট্টগ্রামে শতবর্ষী দবিরুল ইসলামের ‘মোমেন্ট অব সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালিত

    মহামারি করোনাভাইরাস সঙ্কটে দুর্গত মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বৃটিশ বাংলাদেশী শতবর্ষী দবিরুল ইসলামের ‘মোমেন্ট অব সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে।

    শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর দুইটা এক মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে একশো দুই সেকেন্ড নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যুবরণ করা মানুষদের স্মরণ করা হয়।

    যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, তুরস্ক,সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবের একশোর বেশি শহরে একযোগে পালন করা হয়েছে ‘ মোমেন্ট অব সাইলেন্স ‘।

    এসময় চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ রিটন, এশিয়ান টেলিভিশন চট্টগ্রামের বার্তা প্রধান ওয়াহিদ জামান, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রাজিব হাসান রাজন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুন নাইম রিকু, জিটিভির সাংবাদিক তৌহিদুল আলম, এটিএন নিউজের সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম পারভেজ, কাজী মাহফুজুল হক, পার্থ প্রতীম নন্দী, রানা নাহা, মেজবা উদ্দিন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা তাইফুল খান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি কাজী রাসেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    কবি নজরুল একাডেমির প্রাঙ্গণে একশো দুই সেকেন্ড নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শতবর্ষী দবিরুল ইসলামের মানবিক কার্যক্রমের সঙ্গী হয়েছেন একাডেমির ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সাথে মিল রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীও এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

    দবিরুল ইসলাম গ্লোবাল ক্যাম্পেইন বাংলাদেশের সমন্বয়ক সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান জানান, বয়সের বাধা অতিক্রম করে মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার কারনে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের জন্মদিনে দেওয়া অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) খেতাব পেয়েছিলেন শতবর্ষী ব্রিটিশ বাংলাদেশি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী। গত রমজানে করোনা সঙ্কটে দুর্গত মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার স্বীকৃতি হিসেবে রানি এলিজাবেথের জন্মদিনে দেওয়া অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) খেতাব পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন।

    দবিরুল ইসলামের এমন মানবিক উদ্দ্যেগের সাথে ঢাকা, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ শহরের সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছেন। এবার দেশের ২৩ টি স্থানে দবিরুল ইসলামের ‘মোমেন্ট অব সাইলেন্স ‘ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ‘

    জানা যায়, লন্ডনের বো এলাকায় দবিরুল গেল বছরের রমজানে তার বাড়ির সামনের বাগানে পুরো রমজান মাস ৯৭০ দফা হেঁটে চ্যারিটির জন্য ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা) তহবিল সংগ্রহ করেন। রামাদান ফ্যামিলি কমিটম্যান্ট নামের একটি চ্যারিটির জন্য তোলা এই অর্থ থেকে ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) দান করা হয় ১১৬ হাজার পাউন্ড। বাকি অর্থ আরও ২৬টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে বিতরণ করা হয়।

    এবছর ‘মোমেন্ট অব সাইলেন্স’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহ করবেন দবিরুল ইসলাম। দবিরুল ইসলামের আহবানে এবার বিশ্বের বিভিন্ন শহরে একযোগে ১০২ সেকেন্ড নিরবতা পালন করা হয়েছে বিভিন্ন দেশে।

    লন্ডন থেকে দবিরুল ইসলাম জানান , ব্রিটেনের আরেক শতবর্ষী ব্রিটিশ সেনা টম মুরের নিজের বাড়ির আঙিনায় হেঁটে এনএইচএস অর্থাৎ ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের জন্য ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহের খবর দেখে অনুপ্রাণিত হন। এরপর তিনি তার লন্ডনের ফ্ল্যাটের সামনের আঙিনায় হেঁটে মাত্র এক হাজার পাউন্ড তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য নিধার্রণ করেছিলেন। তবে ব্যাপক সাড়া পড়ায় তা লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে যায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিরোধী দলের নেতা লেবার পার্টির কিয়ার স্টারমার দবিরুল ইসলামের তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।

    দবিরুল ইসলাম চৌধুরী তার জন্মস্থান সিলেটের দিরাইয়ে বাংলা ফিমেল অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি চ্যারিটির সাথে যুক্ত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দরিদ্র, অসহায় ও অনাথ মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ভরণপোষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে মোট ৩২০ জন মেয়ে রয়েছে। এদের উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে বলে বলে জানা যায়।

    ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার কুলঞ্জ গ্রামে জন্ম নেওয়া দবিরুল ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছিলেন ১৯৫৭ সালে। লেখাপড়ার পর সেখানে চাকরির পাশাপাশি কমিউনিটির কাজেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার স্ত্রী খালেদা দবীর চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাজ্য শাখার একজন নেত্রী। বাঙালি কমিউনিটিতে সুপরিচিত পেনশনার দবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে অনেকেই চেনেন কবি দবিরুল হিসাবে।

  • চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ৪৪, মৃত্যু ৩

    চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ৪৪, মৃত্যু ৩

    চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২৯৯ জনে। তবে এ সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্য দিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ১ হাজার ৭২৪ জনে। নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

    ৩০ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ১ হাজার ৭৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। আবার শনাক্তদের মধ্যে নগরের ২৪ জন ও উপজেলার ২০ জন।

    সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ৪ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি ল্যাবে ২২ জন ও শেভরন হাসপাতাল ল্যাবে ২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    একই সময়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩ জন, জেনারেল হাসপাতাল আরটিআরএল ল্যাবে ১ জন, ল্যাবএইড হাসপাতাল ল্যাবে ১ জন ও অ্যান্টিজেন টেস্টে ১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ৩৩,মৃত্যু ২

    চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ৩৩,মৃত্যু ২

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এ সময় নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ জন।

    ২৮ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামের ১১টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ১ হাজার ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ২০ জন। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

    চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১ হাজার ৬৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৬৩৪ জন। বাকি ২৮ হাজার ২৯ জন বিভিন্ন উপজেলার।

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় মৃত এক জন নগরের বাসিন্দা। আর একজন নগরের বাইরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭১৫ জন চট্টগ্রাম নগরের, আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮০ জনের।

    চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৩৬

    চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৩৬

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ জন। রবিবার ৩২ জনের করোনা শনাক্ত ও ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

    সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামের ১০টি ল্যাবে ১ হাজার ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ২৫ জন। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার।

    সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, উপজেলাগুলোর মধ্যে আনোয়ারায় ২, রাউজানে ৬, ফটিকছড়িতে ২ ও সীতাকুণ্ডে ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।

    চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১ হাজার ৬৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৬১৪ জন। বাকি ২৮ হাজার ১৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় মৃত ২ জন নগরের বাসিন্দা। আর একজন নগরের বাইরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭১৪ জন চট্টগ্রাম নগরের, আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫৭৯ জনের।

    চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।

    এন-কে