Tag: করোনাভাইরাস

  • চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ৩২, মৃত্যু ১

    চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ৩২, মৃত্যু ১

    চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ জন। এ সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩২ জন।

    আজ ২৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ১ হাজার ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। এতে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার প্রায় ২ দশমিক ১ শতাংশ। আবার শনাক্তদের মধ্যে নগরের ২২ জন এবং উপজেলার ১০ জন।

    সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ১০ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৪ জন ও শেভরন হাসপাতাল ল্যাবে ১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    একই সময়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২ জন, ইপিক হেলথকেয়ার ল্যাবে ২ জন ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    এন-কে

  • করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১,২৩৩ : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

    করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১,২৩৩ : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৩৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও এক হাজার ২৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৪১৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ নয় হাজার ২০২ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

    আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১৫টি ল্যাবে ২৭ হাজার ১৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৭ হাজার ৫৫৭টি। করোনা শনাক্তের হার চার দশমিক ৫৪ শতাংশ। এই পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩১ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ১৮ জন ও নারী ১৩ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ৫৮৪ জন ও নারী নয় হাজার ৭৮৪ জন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন।

    ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে আটজন, রাজশাহী বিভাগে দুজন, খুলনা বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ২৬ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছে।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ২৬

    চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ২৬

    চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৬ জন।

    ২৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামের ১০ টি ল্যাবে ১ হাজার ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ২২ জন। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার।

    সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ৯ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪ জন ও শেভরণ হাসপাতাল ল্যাবে ৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    একই সময়ে জেনারেল হাসপাতাল আরটিআরএল ল্যাবে ১ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৫১৬ জনের। শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৫৪০ জন। বাকি ২৭ হাজার ৯৭৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় মৃত ৩ জনই নগরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭১১ জন চট্টগ্রাম নগরের, আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫৭৮ জনের।
    চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ২, নতুন শনাক্ত ৫৪

    চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ২, নতুন শনাক্ত ৫৪

    চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৪ জন। গত বুধবার করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪৮ জনের। এদিন মারা যান ১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, চট্টগ্রামের ১২টি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ১ হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ৩৩ জন। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার।

    সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ৯ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি ল্যাবে ৯ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২ জন ও শেভরণ হাসপাতাল ল্যাবে ৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    একই সময়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩ জন, জেনারেল হাসপাতাল আরটিআরএল ল্যাবে ৩ জন, ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৪ জন ও অ্যান্টিজেন টেস্টে ৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
    চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৪৯০ জন। শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৫১৮ জন। বাকি ২৭ হাজার ৯৭২ জন বিভিন্ন উপজেলার।

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় মৃত ২ জনই নগরীর বাইরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭০৮ জন চট্টগ্রাম নগরের, আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫৭৮ জনের।

    চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।

    এন-কে

  • করোনায় বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত

    করোনায় বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৩১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও এক হাজার ৩৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৪২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ছয় হাজার ১৩৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

    আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১০টি ল্যাবে ২৮ হাজার ৭৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৮ হাজার ৯৮৬টি। করোনা শনাক্তের হার চার দশমিক ৭৯ শতাংশ। এই পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৬ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ১৭ জন ও নারী ১৯ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ৫৫৬ জন ও নারী নয় হাজার ৭৫৭ জন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের নিচে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন।

    ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, সিলেট বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ৩০ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছে। হাসপাতালে মৃতাবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ।

    এন-কে

  • করোনায় ২৬ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৫-এর নিচে

    করোনায় ২৬ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৫-এর নিচে

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ২৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও এক হাজার ৫৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৬০৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ চার হাজার ৭০৯ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১০টি ল্যাবে ৩৩ হাজার ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৩ হাজার ৩৭৫টি। করোনা শনাক্তের হার চার দশমিক ৬৯ শতাংশ। এই পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৬ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও নারী ১০ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ৫৩৯ জন ও নারী নয় হাজার ৭৩৮ জন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আটজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন।

    ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, সিলেট বিভাগে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ২১ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে চারজন মৃত্যুবরণ করেছে। হাসপাতালে মৃতাবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ।

    এন-কে

  • করোনায় মৃত্যু ৩৮, বেড়েছে শনাক্তের হার

    করোনায় মৃত্যু ৩৮, বেড়েছে শনাক্তের হার

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ১৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও এক হাজার ৯০৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৯১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৪ লাখ ৯৭ হাজার নয়জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

    আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০৮টি ল্যাবে ২৯ হাজার ৭৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩০ হাজার ১৬৯টি। করোনা শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৪১ শতাংশ। এই পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৮ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও নারী ২৫ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ৪৭৪ জন ও নারী নয় হাজার ৬৭৩ জন।

    মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের নিচে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন ও ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন।

    ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, খুলনা বিভাগে আটজন, রংপুর বিভাগে দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ।

    এন-কে

  • চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ১১২, মৃত্যু ২

    চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত ১১২, মৃত্যু ২

    চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১২ জন। এর মধ্য দিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ এক হাজার ১৩১ জনে।

    এ সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২৭৯ জনে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১২ জন।

    ১৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ১ হাজার ৭৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১২ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে নগরের ৭৬ জন ও উপজেলার ৩৬ জন।

    সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭ জন,

    ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৫ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৭ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি ল্যাবে ১৯ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১ জন ও শেভরন হাসপাতাল ল্যাবে ১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    একই সময়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১ জন, ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৯ জন ও অ্যান্টিজেন টেস্টে ১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

    চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ১৩১ জন। মোট শনাক্তের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা ৭৩ হাজার ২৯৪ জন। বাকি ২৭ হাজার ৮৩৭ জন বিভিন্ন উপজেলার।

    গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জনের মধ্যে ২ জনই চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা।
    উল্লেখ, চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তি মারা যান।

    এন-কে

  • করোনায় প্রাণ গেল আরও ৫১ জন

    করোনায় প্রাণ গেল আরও ৫১ জন

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও এক হাজার ৯০১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে তিন হাজার ৮৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৪১ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

    আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০৮টি ল্যাবে ৩১ হাজার ৭২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৮ হাজার ৬১৫টি। করোনা শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৬৪ শতাংশ। এই পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫১ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও নারী ১৯ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ হাজার ৪৩৬ জন ও নারী নয় হাজার ৬২২ জন।

    মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের নিচে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের নিচে দুজন।

    ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ৪৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে সাতজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ।

    এন-কে

  • ‘১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে’

    ‘১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে’

    ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ছাত্রছাত্রীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

    জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ পরিকল্পনার কথা জানান।

    প্রধানমন্ত্রী সংসদে টিকা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রার কথা তুলে ধরে বলেন, ক্রমান্বয়ে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব সব ছাত্রছাত্রীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা, মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবন্ধীদের সুবর্ণকার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিকে শ্রমিকদের টিকা প্রদান করা হবে।

    প্রতি মাসে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সংসদে টিকার মজুত নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ক্রয় চুক্তি ও উপহার হিসেবে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপাক্ষিক ক্রয় চুক্তির আওতায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি এবং চীনের সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে সাত কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

    অপরদিকে রাশিয়া থেকে এক কোটি ডোজ স্পুটনিক-ভি টিকা ক্রয়ের চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া কোভ্যাক্সের মাধ্যমে তিন কোটি ডোজ সিনোফার্ম ও সাত কোটি ৫০ লাখ ডোজ সিনোভ্যাক টিকা ক্রয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চীনের সিনোফার্ম হতে দেওয়া শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি করে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে। চলমান টিকা কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সব বিভাগীয় সদর, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে অবস্থিত ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, দেশে ৬৭৩টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে টিকা দেওয়া হচ্ছে আর টিকা কেন্দ্র বিস্তৃত করা হয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে। টিকা প্রদানে প্রয়োজনীয় জনবলকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা করি পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা প্রদান সম্ভব হবে।

    সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বলেন, আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট অ্যান্ড ভ্যাকসিনেশন প্ল্যান (এনডিভিপি) প্রস্তুত করেছে যা কোভ্যাক্স অনুমোদিত।

    গতকালও প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আবারো এই করোনাকালীনে সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলার কথা স্মরণ করে দিয়েছেন। এমন কি যারা টিকা নিয়েছেন তাদেরকেও তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

    এন-কে

  • রাজশাহীতে চলতি বছরের সর্বোনিম্ন শনাক্ত

    রাজশাহীতে চলতি বছরের সর্বোনিম্ন শনাক্ত

    রাজশাহীতে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার একের ঘরে নেমে এসেছে। মঙ্গলবার ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় মাত্র ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশে। যা চলতি বছরে সর্বোনিম্ন। এদিকে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

    তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর একজন। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। যাদের মধ্যে দুজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং দুজনের ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

    শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগি ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২২ জন। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি আছেন ১২১ জন। যাদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১১ জন।

    করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগিদের মধ্যে ৪০ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ৪৮ জন; যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন ৩৩ জন।

    রামেক পরিচালক জানান, মঙ্গলবার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশে। যা আগের দিন সোমবার ছিল ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর আগে গত রোববার শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

    এন-কে

  • করোনার ভিন্ন রূপ: যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ১০ দেশের ফ্লাইট বাতিল

    করোনার ভিন্ন রূপ: যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ১০ দেশের ফ্লাইট বাতিল

    ব্রিটেনে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের এক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করেছে।

    এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম বিভিন্ন মেয়াদে ফ্লাইট বাতিল করেছে।

    এছাড়া অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্ক ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভা রয়েছে। এতে এ বিষয়ে সম্মিলিত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এ নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগের পটভূমিতে শনিবার হঠাৎ করেই লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বিরাট অংশ জুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।

    এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই নেদারল্যান্ডস ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নদীপথের যাত্রীদেরও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে পণ্যবাহী পরিবহণ বা বিমান চলাচল করতে পারবে।

    ফ্রান্স অবশ্য ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থল ও আকাশ পথের সব ধরনের পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লরি চলাচল করে দেশ দুটির মধ্যে।

    আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে ইতালি। দেশটিতে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।

    আয়ারল্যান্ডে বছরের এই সময়টাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করে। তবে আয়ার‌ল্যান্ড সরকার ঘোষণা করেছে, ইংল্যান্ড, ওয়ালেস এবং স্কটল্যান্ড থেকে আসা ফ্লাইটগুলোকে মধ্যরাত থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।

    তারা বলেছে, ‘জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে, ব্রিটেনের জনগণ আকাশ বা সমুদ্রপথে আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণ করা উচিত নয়’।

    যুক্তরাজ্য থেকে বিভিন্ন ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে অস্ট্রিয়া। বুলগেরিয়া মধ্যরাত থেকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যাওয়া ও আসার সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে অন্যান্য দেশের স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থার বিপরীতে, তাদের নিষেধাজ্ঞানটি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী করা হয়েছে।

    সুইজারল্যান্ডের মতো তুরস্কও সাময়িকভাবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে।