Tag: করোনাভাইরাস

  • করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গ্র্যান্ড ইমামদের পরামর্শ

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গ্র্যান্ড ইমামদের পরামর্শ

    প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বজুড়ে ৫৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় চীনে আক্রান্তের ধারা কিছুটা কমলেও বেড়েছে অন্যান্য দেশগুলোতে। ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের অবস্থা ভয়াবহ। ইরানের গ্র্যান্ড মুজতাহিদগণ করনোভাইরাস প্রতিরোধে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দিক-নির্দেশনামূলক তথ্য তুলে ধরেছেন।

    ইরানের গ্র্যান্ড মুজতাহিদ আয়াতুল্লাহ সোবহানী, আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি, আয়াতুল্লাহ ওয়াহিদ খোরাসানী এবং আয়াতুল্লাহ শোবেইর যানজানি প্রমুখ করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য মহান আল্লাহর উপর ভরসা এবং ইমামদের শরণাপন্ন হয়ে ধৈর্য সহকারে স্বাস্থ্য টিপস মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

    ইরানের করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়ে চলছে। এ ভাইরাস সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাব ইরানের শীর্ষস্থানীয় আলেম আয়াতুল্লাহ শোবেইর যানজানি বলেন, ‘এই ভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসকরে পরামর্শ মান্য করতে হবে।’

    দেশটির শীর্ষস্থানীয় গ্র্যান্ড মুজতাহিদরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। তারা সে সবের উত্তর দিয়েছেন। প্রশ্ন ও উত্তরগুলো তুলে ধরা হলো-

    >> চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ থাকা সত্ত্বেও সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তি যদি এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ না করে জনসাধারণের মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে তার বিধান কী? শরীয়তগত ভাবে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ মান্য করা কী জরুরী? বিশেষত, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি ক্লাস, ধর্মীয় ও অ-ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ করার বিষয়টা সঠিক বলে মনে করছেন না। শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের এধরণের কাজ কী বৈধ?

    >> আয়াতুল্লাহ শোবেইর যানজানির উত্তর-
    করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসকরে পরামর্শ মান্য করতে হবে। এই রোগের বিস্তার রোধ করতে কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা আশা করি যে, আমাদের দেশের প্রিয় জনগণ সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর নির্ভর করে এবং ইমামদের শরণাপন্ন হলে এই ভয়ঙ্কর রোগ প্রতিরোধ করতে পারবে।

    >> আয়াতুল্লাহ ওয়াহিদ খোরাসানী পরামর্শ
    আয়াতুল্লাহ ওয়াহিদ খোরাসানী করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক অবস্থায় জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রতিদিন আপনাদের হৃদয়ে (বুকে) হাত রাখুন এবং সাতবার সুরা হামদ (ফাতেহা) পড়ুন।’

    তিনি আরও নসিহত করেছেন যে, ‘আপনাদের হাতকে বুকের উপর রেখে প্রতিদিন সকাল ও রাতে সাতবার আয়াতুল কুরসি وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیمُ (ওয়া হুয়াল আলিউল আযীম) পর্যন্ত পাঠ করুন।

    >> আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি নসিহত
    এক ভিডিও বার্তায় করনোভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখতে বলেছেন আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ব্যাপারে জনগণকে ভয় এবং বিচলিত হলে চলবে না। মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।’
    তিনি আরও বলেন, ‘সব বাড়িতে জিয়ারত-এ-আশুরা এবং হাদিসের দরস পাঠ করা উত্তম। কারণ এ দরসের মাধ্যমে মানুষর আত্মিক শান্তি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি স্বাস্থবিধিসমূহ গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে এবং সাধারণ সভা ও ভিড়ের মধ্যে উপস্থিতি পরিহার করতে হবে।

    মনে রাখতে হবে-
    প্রতিটি মানুষের জন্য জীবন রক্ষা করা ফরজ। আর যদি কেউ এই বিষয়টি ছোট করে দেখে তাহলে তিনি আল্লাহর কাছে দায়বদ্ধ হয়ে থাকবেন।

    আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এ বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন,
    ‘এ বিষয়ে মানুষকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। চিকিৎসকদের নির্দেশাবলী ও স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। জনসাধারণের মধ্যে কম উপস্থিত হতে হবে এবং মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ! এই রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দোয়াসমূহ, জিয়ারত-এ-আশুরা এবং হাদিসের দারস বিশেষ প্রভাব সৃষ্টি করবে। আমরাও দোয়া করবো।’

    তবে শর্ত হচ্ছে, জনগণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনাবলী দিয়েছেন তার প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং সেগুলো গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে।

    >> আয়াতুল্লাহ জাফর সোবহানীর নসিহত
    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আয়াতুল্লাহ জাফর সোবহানীর নসিহত হলো, প্রথমত চিকিৎসকদের পরামর্শ ন্যায়সঙ্গতভাবে মেনে চলতে হবে।

    ইরানের কয়েকটি শহরে করোনারি হার্ট ডিজিজের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। মহাবিশ্বে যা কিছুই ঘটুক না কেন মহান আল্লাহ সেগুলো সুসংহত রেখেছেন এবং এই বিষয়ে আমরা অবগত নই। সব সময় মহান আল্লাহর প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা সব সময় তাঁর বান্দাদের প্রতি ক্ষমাপরায়ণ ও করুণাময় থাকেন। নসিহতস্বরূপ তিনি

    কুরআনের কথা তুলে ধরেন-
    ‘অনন্তর তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে। অতপর তোমাদেরকে বলে দিবেন, যা কিছু তোমরা করছিলে। তিনিই স্বীয় বান্দাদের উপর প্রবল। তিনি প্রেরণ করেন তোমাদের কাছে রক্ষণাবেক্ষণকারী। এমন কি, যখন তোমাদের কারও মৃত্যু আসে তখন আমার প্রেরিত ফেরেশতারা তার আত্মা হস্তগত করে নেয়। আর তারা সামান্যতম অবহেলাও করে না।’ (সুরা আনআম : আয়াত ৬১)

    এ বান্দাকে রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্তির ব্যাপারটি উঠে এসেছে। এসব রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ফেরেশতারা মানুষের নানা রোগ-ব্যাধি, বালা-মুসিবত বা দুর্যোগ থেকে রক্ষার নিয়োজিত। সে কারণে আল্লাহর কাছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে আত্মরক্ষায় সাহায্য কামনা করা জরুরি। আল্লাহর সাহায্যেই এ ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। আগে ও পরে আল্লাহর সাহায্য লাভের মাধ্যমে এ রকম বহু মারাত্মক মরণব্যাধি থেকে মুক্তির বহু নজির রয়েছে।

    আয়াতুল্লাহ সোবহানী চিকিৎসকদের পরামর্শ যথাযথ মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকগণ বলেছেন, ‘জনসম্মুখে কম উপস্থিত হতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে, তাদের নির্দেশ সবারই পালন করতে হবে। নিঃসন্দেহ সর্বশক্তিমান স্রাষ্টার করুণা সকলের উপর বর্তাবে।

    এ রোগ থেকে বেঁচে থাকতে ধর্মীয় অনুশাসনের মেনে চলার পাশাপাশি বিশ্বনবির শেখানো দোয়ার মাধ্যমে এ ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষায় দোয়া করাও জরুরি। মহামারী আক্রান্ত অঞ্চলের মানুষকে এ দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবি। আর তাহলো-
    اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ
    উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি ওয়াল জুনুন ওয়াল ঝুজাম ওয়া মিন সায়্যিল আসক্বাম।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)
    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দূরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই।’

    হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ তিরমিজিতে আরও একটি দোয়া উল্লেখ করাহয়েছে। যা পড়তে বলেছেন বিশ্বনবি-
    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ
    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’
    অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি)

    উল্লেখ্য যে, হুবেই প্রদেশে দেখা দেয়া এ ব্যাধিতে শুধু চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ২৫১ জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯২২ জন। চীনা কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, ‘এখন পর্যন্ত তারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত ৩৯ হাজার ২ জনকে তারা চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলেছেন।

  • করোনাভাইরাস: সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    করোনাভাইরাস: সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ঝুঁকি নির্ণয়ে এটি সর্বোচ্চ ধাপ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এই ঘোষণা দেন।

    সংবাদ সম্মেলনে ড. টেড্রস অ্যাডহানম বলেন , ‘এই জিনিসটি (করোনাভাইরাস) এখন যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। এর যে ঝুঁকি সেটাকে আমরা দুর্বল করে দিতে পারছি না। এজন্য আজ আমরা বলছি, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক ঝুঁকি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আগে আমরা বলেছি, উচ্চ ঝুঁকি। এখন বলছি সর্বোচ্চ ঝুঁকি।’

    তিনি আরও বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস চিহ্নিত করা যাচ্ছে এখনও। তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মেলেনি।’

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সিস প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেছেন, ‌‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ও প্রভাবের দিক দিয়ে আমরা এখন সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে অবস্থান করছি।’

    প্রতিটি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‌‘এটা এখন বাস্তবতা যে, প্রতিটি রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : জেগে ওগো। তৈরি হও। হয়তো এই ভাইরাস আপনার দেশের দিকেই ধেয়ে আসছে এবং এজন্য আপনার প্রস্তুতি দরকার। এ বিষয়ে নাগরিকদের জন্য আপনাদের করণীয় রয়েছে।’

    বিশ্বব্যাপী ৫৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৫৮ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭৯ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৪৩৬ জন।

    করোনাভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৮২৪ জন, মারা গেছে ২ হাজার ৭৮৮ জন। অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২২ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

    ইরানে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইরানের নারী ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসৌমেহ এবতেকার আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    অন্যদিকে চীন সফর করে যাওয়ার পর মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খলতমা বাতুলগা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সগবাটার দামদিনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে (ভাইরাস সংক্রমণরোধে আলাদাভাবে রাখা) পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মন্তসেম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে সফর করে আসা অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও একইভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    সবমিলিয়ে যতই দিন যাচ্ছে করোনা আতঙ্ক ততই বাড়ছে। এখনও এই ভাইরাস মোকাবিলা করতে পারছে না বিশ্ববাসী। এ পরিস্থিতি ‘বৈশ্বিক মহামারীর’ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

    সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, বেলারুশ ও লিথুয়ানিয়াও নিজেদের দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া-কোনো মহাদেশ বাদ যায়নি এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে।

  • করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ১০ শহর বন্ধ ঘোষণা ইতালির

    করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ১০ শহর বন্ধ ঘোষণা ইতালির

    ইতালিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ১০টি শহর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    এ প্রানঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনার পর ওই শহরগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলো। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনসমাগমস্থলে যাওয়াও।

    দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৭তে পৌঁছেছে। ইটালির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের লম্বার্ডি এলাকায় ১৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

    এ ঘটনার পরপরই ৫০ হাজার মানুষের ওই ১০টি শহর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব শহরের জনগণকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। স্কুল, বার, চার্চ, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ জনসমাগমস্থলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    ইটালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ইটালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা এটি।

    যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তারা কেউ চীন সফর করেননি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে বলেন, অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার সাবধানতা নিয়ে কাজ করছেন তারা। এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৬২

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৬২

    চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার এ ভাইরাসে প্রদেশটিতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯৬ জনের। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন ও ওয়ালর্ড মিটারস এর প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

    চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪১ জন। মূল ভূখণ্ডের বাইরে ১৯ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৮। এর মধ্যে ইরানে ৫ জনের, জাপানে ৩ জন এবং হংকং, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় দুজন করে মৃত্যু হয়েছে।

    এছাড়া তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সে একজন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৫৭২ জনে।

    হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবমিলিয়ে হুবেই প্রদেশে করোনায় ২ হাজার ৩৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে শনিবার আরও ৬৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হুবেই কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে প্রদেশটিতে ৬৪ হাজার ৮৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

    করোনা আক্রান্ত ৪০ হাজার ১২৭ জন রোগীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৪৫ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। আর ১৫ হাজার ২৯৯ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    চীনে থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইরানে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ২৮ জন এতে আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে থাকা ৭শর বেশি নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে চার্টার ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে কুয়েত।

    শনিবার কুয়েত এয়ারওয়েজ ও কুয়েত বার্তা সংস্থা (কুনা) এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার প্রথম পাঁচটি ফ্লাইটে ১৩০ জন যাত্রী কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

    এর আগে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বুধবার মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ইরানে দুজনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত্যু হয় আরও দুজনের। পরে ইরানের মারকাজী প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর আরাকে আরও এক করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ইরানের রাজধানী তেহরান এবং কোম ও গিলান প্রদেশে প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

    চীনের পর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে যে ৪৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ২৩১ জন রোগী শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের সদস্য।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৬০

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৬০

    চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬০ জনে। এছাড়া চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

    গত বছরের শেষের দিকে সংক্রমিত হওয়া করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগকে কোভিড-১৯ নামে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়েছে বেইজিং।

    চীন: দেশটির মূল ভূখণ্ডে ৭৬ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ২ হাজার ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা, যেখানে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছিল।

    হংকং: আক্রান্ত ৬৯, মৃত্যু ২

    ম্যাকাও: আক্রান্ত ১০

    জাপান: দক্ষিণ চীন সাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে ৭৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩ জন মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙ্গর করা প্রিন্সেস ডায়মন্ড নামের জাহাজের যাত্রী।

    দক্ষিণ কোরিয়া: আক্রান্ত ৩৪৬, মৃত্যু ২

    সিঙ্গাপুর: আক্রান্ত ৮৬

    যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটিতে ৩৫ জন নাগরিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চীনে থাকা তাদের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

    থাইল্যান্ড: আক্রান্ত ৩৫

    তাইওয়ান: আক্রান্ত ২৬, মৃত্যু ১

    অস্ট্রেলিয়া: আক্রান্ত ২৩

    মালয়েশিয়া: আক্রান্ত ২২

    ইতালি: আক্রান্ত ১৯, মৃত্যু ১

    ইরান: আক্রান্ত ১৮, মৃত্যু ৪

    ভিয়েতনাম: আক্রান্ত ১৬

    জার্মানি: আক্রান্ত ১৬

    ফ্রান্স: আক্রান্ত ১২, মৃত্যু ১

    যুক্তরাজ্য: আক্রান্ত ৯

    সংযুক্ত আরব আমিরাত: আক্রান্ত ৯

    কানাডা: আক্রান্ত ৯

    ফিলিপাইন: আক্রান্ত ৩, মৃত্যু ১

    ভারত: আক্রান্ত ৩

    রাশিয়া: আক্রান্ত ২

    স্পেন: আক্রান্ত ২

    লেবানন: আক্রান্ত ১

    ইসরায়েল: আক্রান্ত ১

    বেলজিয়াম: আক্রান্ত ১

    নেপাল: আক্রান্ত ১

    শ্রীলঙ্কা: আক্রান্ত ১

    সুইডেন: আক্রান্ত ১

    কম্বোডিয়া: আক্রান্ত ১

    ফিনল্যান্ড: আক্রান্ত ১

    মিশর: আক্রান্ত ১ ।

  • আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

    সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশিসহ আরও দুই বাসিন্দা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।

    শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে গালফ নিউজ ও আল-আরাবিয়াহর খবরে এমন তথ্য জানিয়েছে।

    দুই রোগীর মধ্যে একজন ফিলিপিন্স থেকে এসেছেন। তার বয়স ৩৪। আর ৩৯ বছর বয়সী আরেকজন বাংলাদেশি।

    সম্প্রতি তারা চীনা করোনারোগীর সরাসরি সংস্পর্শে ছিলেন। তাদের দুজনের অবস্থায় স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে আরব আমিরাত।

    গত সপ্তাহে দেশটিতে তিন করোনাভাইরাস রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্বাস্থ্য রেগুলেশনসের প্রধান ডা. ফাতিমা আত্তার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান বজায় রেখেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

    আমিরাত জানায়, করোনাভাইরাস রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককেই পরীক্ষা করে দেখা হবে। এখানে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে আসবে না।

  • করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে

    করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে

    চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য মতে, বুধবার নতুন করে করোনা ভাইরাস মহামারীতে আরও ১৩৬ জনের মৃত্যুর পর মৃতের মোট সংখ্যা এখন ২ হাজার ছাড়িয়েছে।

    চীনের মূল ভূখন্ডে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ১৮৫ জন বলে জানিয়েছে তারা।
    মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার চার জনে দাঁড়িয়েছে, মৃতদের বেশিরভাগ হুবাই প্রদেশের মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দা। সেখানে ডিসেম্বরে ভাইরাসটি প্রথম সনাক্ত হয়। এরপর তা মহামারী আকারে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিদিনের আপডেট তথ্য মতে, দেশজুড়ে ১ হাজার ৭৪৯ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে, যা এই মাসে নতুন আক্রান্তের মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যা।

    নতুন সংক্রমণগুলো হুবাইয়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির কেন্দ্র স্থলের বাইরে ১৫ দিনে কেবলমাত্র ৫৬টি নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

    চীনা কর্মকর্তাদের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে সামান্য অসুস্থতার লÿণ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে এবং এর প্রাদুর্ভাব তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, চীনের গৃহিত পদক্ষেপগুলোর কারণে পরিস্থিতির ‘দৃশ্যমান অগ্রগতি’ হচ্ছে।

  • করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে বাংলাদেশ

    করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে বাংলাদেশ

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এক অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করেছেন।

    সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে দশ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ ফেসমাস্ক, দেড় লাখ ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পঞ্চাশ হাজার জুতার কভার এবং আট হাজার গাউন।

    অনুষ্ঠানে মোমেন করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহান শহর থেকে ৩ শ’ ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সরকারের পাশে দাঁড়াতে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো চীনে প্রেরণের জন্য তাঁর মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন এবং এসকল সরঞ্জাম বাংলাদেশে তৈরি করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, চীন থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরা করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি এবং এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনও করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি।

    বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

    তিনি বলেন, চীন করোনভাইরাস শনাক্ত করতে বাংলাদেশকে ৫ শ’ উন্নত মানের কিট সরবরাহ করছে।

    লি জিমিং বলেন, করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে চীনা দূতাবাস বেইজিং জেনোমিক্স ইনস্টিটিউট থেকে এই ৫ শ’ টেস্ট কিট অর্ডার করেছে।

  • করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৬৮

    করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৬৮

    চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন করে ৯৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

    মঙ্গলবার হুবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।

    নতুন করে মারা যাওয়া ৯৮ জনের ৯৩ জনই হুবেই প্রদেশের এবং ৫ জন অন্যান্য প্রদেশের।

    এদিকে আরও ১ হাজার ৮৮৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে। ফলে দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৩৬।

    মঙ্গলবার বেইজিং ভিত্তিক আর্থিক ও সংবাদমাধ্যম সংস্থা কাইক্সিন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি চীনা স্বাস্থ্যকর্মী করোনভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। যা সরকারি রিপোর্টের চাইতে দ্বিগুণ।

    সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, আক্রান্ত রোগীদের প্রায় অর্ধেক গুরুতর অবস্থায় মারা যায়।

  • করোনাভাইরাসে উহান হাসপাতালের পরিচালকও মারা গেলেন

    করোনাভাইরাসে উহান হাসপাতালের পরিচালকও মারা গেলেন

    ভয়াবহ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে নির্ঘুম রাত কাটছিল উহানের উচ্যাং হাসপাতালের পরিচালক লিউ ঝিমিংয়েরও।

    এ লড়াইয়ে নেতৃত্বে থেকে সবাইকে প্রেরণা যোগাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাণঘাতী ভাইরাস একসময় জেঁকে বসল তার শরীরেও।

    অনেক রোগী তার হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেও পারলেন না লিউ। হেরে গেলেন তিনি, করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে লিউ ঝিমিংয়ের প্রাণও। খবর ডেইলি মেইলের।

    চিকিৎসাধীন সোমবার তিনি মারা যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের কোনো হাসপাতালের প্রধান হিসেবে প্রথম প্রাণ গেছে লিউর।

    এর আগে গত শুক্রবার এই হাসপাতালেরই লিউ ফ্যান নামে ৫৯ বছর বয়সী এক নার্স মারা যান করোনাভাইরাসে।

    উচ্যাং হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম জানায়, লিউর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার সহকর্মী চিকিৎসকরা।

    একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, লিউ বেশ সুস্থ-সবল মানুষ ছিলেন। করোনাভাইরাস তাকেও কেড়ে নেবে, ভাবতে পারছেন না কেউ।

    তবে তার মৃত্যু নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি উচ্যাং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এদিকে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চীনের বাইরে হংকং, তাইওয়ান, জাপান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সে একজন করে মোট পাঁচজন মারা গেছেন।

    এ ছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে শুধু চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ৫৪৮।

  • করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৭০

    করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৭০

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৭৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ সোমবার এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

    এদিকে কোভিড-১৯ নামকরণ করা এ রোগে বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত চীনের হুবেই প্রদেশ। এ প্রদেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৯৬ জনের। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজার ১৮২। চীনের অন্যান্য প্রদেশ থেকে দক্ষ চিকিৎসাকর্মীদের আনা হচ্ছে হুবেই প্রদেশে। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে হুবেই প্রদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।

    এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৩০টি দেশের নাম। চীনের বাইরে এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এর মধ্যে চীনের বাইরে ফিলিপাইন, ফ্রান্স, হংকং ও জাপানের পর তাইওয়ানে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    তবে খুব ধীরে হলেও সুখবর হলো, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমছে। তবু উহান শহরে আরো একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ নিয়ে অস্থায়ী হাসপাতালের সংখ্যা দাঁড়াল দশে। উহানের একটি প্রদর্শনী কেন্দ্রে বানানো হয়েছে এই হাসপাতাল। মোট সাড়ে ৮০০ শয্যার এ হাসপাতালে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার আগ পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

    হাসপাতালটি সাজানো হয়েছে একটু ভিন্নভাবে। টিভি আর স্টেরিও সিস্টেমের সঙ্গে সেখানে শিশুদের আঁকা ছবি রয়েছে। যা চিকিৎসক ও নার্সসহ রোগীদের কাজে উৎসাহ দেবে।

    উহানের নয়া প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রশাসনের কর্মকর্তা ভু ইংচুন বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে প্রস্তুত আছি আমরা। যেকোনো সময়ে রোগী এলে কোনো সমস্যা নেই। সবাই যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সে কামনাই করছি।’

    এদিকে এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে চীনের ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

  • আরও এক বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত

    আরও এক বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত

    সিঙ্গাপুরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯)আরও এক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে প্রাণঘাতী রোগটিতে আক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজন।

    শনিবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবশেষ আক্রান্ত এ বাংলাদেশির বয়স ২৬ বছর। পেশাগত কারণে তিনি দেশটিতে অবস্থান করেন তিনি।

    তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত নতুন বাংলাদেশি আগে কখনও চীন ভ্রমণ করেননি। সিঙ্গাপুরে নির্মাণ সাইটে অনেক শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।

    এর আগে সিঙ্গাপুরে চার বাংলাদেশি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জনকে শনাক্ত করা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি ও ১১ ফেব্রুয়ারি। অপর দু’জনের দেহে এ ভাইরাস ধরা পড়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি।

    সম্প্রতি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়ায় জীবনঘাতি করোনা ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়ে এশিয়ার বাইরে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিন ফ্রান্সে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮০ বছর বয়সী এক চীনা নাগরিক মারা গেছেন।

    এর আগে হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর চীনে এ রোগে মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষের। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৪৯২ জন।