Tag: করোনাভাইরাস

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে

    চীনে শুক্রবার করোনাভাইরাসে আরো ১৪৩ জন মারা গেছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সরকারিভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আরো ২ হাজার ৬৪১জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের। গত ডিসেম্বর মাসে এই প্রদেশ থেকেই করোনাভাইরাস পুরো চীনে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে বর্তমানে ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত।

    নতুন করে আরো ১৪৩ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা ১,৫২৩ জনে পৌঁছেছে । এদের মধ্যে চারজন হুবেই প্রদেশের।

    চীনা কর্তৃপক্ষ হুবেই প্রদেশের ৫৬ লাখ মানুষকে বিচ্ছিন্ন রেখেছে। ভাইরাস না ছড়ানোর প্রচেষ্টায় দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে প্রদেশটির যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
    হুবেই প্রদেশে শুক্রবার ৪,৮০০-এর বেশি আক্রান্তের কথা জানা গেছে এবং শনিবার ২,৪২০ জন নতুন আক্রান্তের কথা জানা যায়।

    হুবেই প্রদেশের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার হুবেই প্রদেশের বাইরে ২২১ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে।

    কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে ১,৭১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।

    আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের। সেখানে বিপূল সংখ্যক রোগীর তুলনায় মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরোধ উপকরণের অভাব রয়েছে।

    গত ডিসেম্বরে ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্ককারী চিকিৎসক যিনি সতর্ক করার কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন সেই চিকিৎসকের মৃত্যুর পর গণবিক্ষোভ দেখা দিলে তার এক সপ্তাহ পর এসব পরিসংখ্যান প্রকাশ শুরু হয় ।

  • করোনা ভাইরাস: একদিনে ২৪৪ জনসহ ১৩৫৭ জনের মৃত্যু

    করোনা ভাইরাস: একদিনে ২৪৪ জনসহ ১৩৫৭ জনের মৃত্যু

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু। শুধু হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ২৪২ জন। এদিন মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪৪ জন। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫৭ জনে।

    বৃহস্পতিবার হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩১০ জনে। চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ১৩৫৫ জন। এছাড়া মধ্যে চীন ছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে দুজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

    বুধবার হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আরও ১৪ হাজার ৮৪০টি ভাইরাস সংক্রমণের বিষয় নিশ্চিত করেছে, যা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থলে মোট সংখ্যা ৪৮ হাজার ২০৬ জন।

    হুবেইতে ৩৩ হাজার ৬৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৩৩৭ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। ৩৩ হাজার ৪৪১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন এবং তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

    চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামক প্রমোদতরীতে। বিলাসবহুল ওই নৌযান তিন হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে এখন কোয়ারেন্টাইনে। বুধবার পর্যন্ত সেখানে থাকা ১৭৫ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

    গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। এরপর থেকে চীনে মহামারি আকার ধারণ করে এই ভাইরাস। ভাইরাসটি চীনের ৩১ প্রাদেশিক পর্যায়ের অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয় অধিকাংশ দেশ।

    আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সার্স ভাইরাসকে ছাড়িয়েছে করোনা। ২০০২-২০০৩ সালে আট মাসের মধ্যে ২৫টি দেশে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন আট হাজার ৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন।

    বিশ্বের অনেক দেশই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো চীনগামী ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন।

    এদিকে শুধু উহান শহরেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা বলে করছে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন। এই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা বলছেন, নতুন এই করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র উহানের অনেক বাসিন্দা সংক্রমিত হলেও তারা জানেন না। ফলে আগামী দিনগুলোতে উহানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের আক্রান্তের অনেক ঘটনাই হয়তো সামনে আসছে না। এ কারণে এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত শুক্রবার এক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী যে সংখ্যা জানানো হচ্ছে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসজনিত এই রোগের নামকরণ করেছে কোভিড-১৯। করোনার প্রথম দুই অক্ষর (CO), ভাইরাসের প্রথম দুই অক্ষর (VI), ডিজিজের (রোগ) প্রথম অক্ষর ডি (D) এবং ২০১৯ সালে ভাইরাসটির উৎপত্তি হওয়ায় তাতে ১৯ যোগ করেই কোভিড-১৯ নামকরণ করা হয়।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

    সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১১৫

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১১৫

    চীন প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১৫ জনে।

    চীনের বাইরে ফিলিপিন্স ও হংকংয়ে দুই চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে কিছুটা কমেছে।

    হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নতুন ধরনের এ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর আসার পর সোমবার একদিনেই সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ১০৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে হুবেই প্রদেশে।

    চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ১৩৮ জন। বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে দিন দিন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় আতঙ্কে আছেন স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের নতুন নাম দিয়েছে কভিড-নাইনটিন।

    সিঙ্গাপুরে আরও দু’জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যার একজন বাংলাদেশি। এর আগে দেশটিতে করোনা ভাইরাসের মোট ৪৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। তার মধ্যেও একজন বাংলাদেশি ছিলেন।

    বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যাও বেড়ে দুই জন হলো।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ৩০টি দেশে কমবেশি করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর-জাপান আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।

    চীনের বাইরে ৩০টি দেশে একজনের মৃত্যুসহ ৩২০ জনের দেহে মিলেছে করোনাভাইরাস। মার্চের শেষ পর্যন্ত চীনের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।

    জাপানের ইয়োকোহামায় মাঝ সমুদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সের ক্রুজ শিপে কোয়ারেনটাইনে থাকা ৩৭০০ জন ক্রু ও যাত্রীর মধ্যে আরও ৬৫ জনের দেহে মিলেছে এই ভাইরাস। ফলে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৩৫।

  • করোনার নতুন নাম “কোভিড-১৯”

    করোনার নতুন নাম “কোভিড-১৯”

    চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক প্রাণ। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ১১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার এই ঘাতক ভাইরাসের নতুন নামকরণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

    গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদরোস আদহানম বলেন, ‘আমরা রোগটির (করোনাভাইরাসের) নতুন নাম পেয়েছি, এটি কোভিড-১৯।’

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন নামটি ‘করোনা’র co, `ভাইরাস’র vi, ‘ডিজিজ’র d এবং ২০১৯ সালে রোগটি দেখা দিয়েছে বলে ‘2019′ এর ‘19′ থেকে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, ‘আমরা এমন একটি নাম খুঁজে পেয়েছি যা কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে, প্রাণীকে বা কোনো ব্যক্তিকে বোঝায় না। এটি সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং রোগটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।’

    গত ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে চীনের বাসিন্দারা এর উৎপত্তিস্থল উহানের নামে এর নামকরণ করেছিলেন। অনেক দেশ একে চায়না ভাইরাস বলেও ডাকে।

    বিষয়টি উহান শহরবাসী ও চীনের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর হওয়ায় এ ভাইরাসটিকে ‘নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া’ সংক্ষেপে এনসিপি নাম ডাকার ঘোষণা দেয় চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

    তবে নামটি সাময়িক জানিয়ে শিগগিরই নতুন নাম দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে দেশটি। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির নতুন নামকরণ করলো।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০১১

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০১১

    চীনে মারাত্মক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মঙ্গলবার ভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরো কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    সোমবার বেইজিংয়ের একটি প্রথম সারির হাসপাতাল পরিদর্শনের পর তিনি এ আহ্বান জানান।

    চীনের প্রেসিডেন্ট শি ওই দিন বেইজিংয়ের দিতান হাসপাতাল পরিদর্শনে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তাদেরকে একটি করে মাস্ক ও গাউন দেন এবং তার নিজের শরীরের তাপমাত্রাও মেপে দেখেন।

    ভয়াবহ এই করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১,০১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে মঙ্গলবার নতুন করে আরো ১০৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিতের পর মৃতের এই সংখ্যা নিরূপিত হয়েছে। ভাইরাসে এ পযর্ন্ত মৃতের এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ।

    রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, বেইজিংয়ের হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সোমবার প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ‘এখনো ভয়াবহ প্রাণঘাতি’। তিনি এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরো কার্যকরের আহ্বান জানান।

    দেশব্যাপী এ ভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে শি জনসমক্ষে আসেননি। উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে এখন ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত।

    তিনি প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াংকে এই মহামারীর মোকাবিলায় গঠিত দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন। লী কেকিয়াং গত মাসে উৎপত্তিস্থল উহানের ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

    উহানে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, সোমবার শি বেইজিং দিতান হাসপাতাল পরিদর্শনকালে চিকিৎসকদেরকে নীল মাস্ক এবং সাদা সার্জিকাল গাউন দেন। তিনি রোগীদের চিকিৎসা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন এবং উহানে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

    ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আধুনিক দ্রুত তাপমাপনযন্ত্র ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে শি তার শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখছেন পরে তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ওয়েভে কথা বলছেন এবং এপার্টমেন্টের জানালার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর প্রতি হাত নাড়ছেন।

    এই রোগ ছড়িয়ে পড়লে দেশটির সরকার হুবেই প্রদেশের সমস্ত নগরী বন্ধ ঘোষণা করে। প্রদেশটির সঙ্গে সারাদেশের যাতায়াত বিচ্ছিন্ন, পর্যটক আগমণ বন্ধের পাশাপাশি লাখো লাখো লোককে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়।

  • করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১০

    করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১০

    চীনে প্রাণঘাতি নভেল করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১০-এ। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪০ হাজার ১৭১ জন।

    আজ সোমাবর (১০ ফেব্রুয়ারি) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    খবরে বলা হয়, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। এরমধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।

    হুবেই স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রদেশটিতে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৮ জন।

    দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার একদিনেই এ ভাইরাসে মারা গেছেন ৯৭ জন; নতুন ৩০৬২ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৭১ জনে।

    ২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীনের বাইরেও ২৫টির বেশি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০৩,আক্রান্ত ৩৭০০০

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০৩,আক্রান্ত ৩৭০০০

    সরকারি খবর অনুসারে, রবিবার পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৩-এ। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার।

    নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এক মাস আগে এক ডাক্তার এই মরণ ভাইরাসের হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশকে সতর্ক করলেও শাসক দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, এই অভিযোগে ক্ষোভ বাড়ছে চীনে।

    শনিবার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭২২। সরকারি তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও ৩,৩৯৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪,৫৪৬ জন। রবিবার তা গিয়ে দাঁড়ায় ৮০৩-এ।

    শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। করোনাভাইরাসের কারণে কিছু দেশ চীনা পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা সৃষ্টিতে বাড়াবাড়ি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    এখন পর্যন্ত ১৬টি শহরে কোয়ারেন্টাইন জারি হয়েছে) থেকে রাতারাতি বিশাল হাসপাতাল বানিয়ে ফেলা, করোনাভাইরাস সংক্রমিত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া— সব দিকেই কড়া নজর রয়েছে সরকারের। শহরের বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা পথচারীদের থামিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।

    স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, বেজিংয়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মোবাইল ফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল এবং বিশ্বের বৃহত্তম কফি চেন স্টারবাকস, দু’জনেই বেজিংয়-সহ গোটা চিনে তাদের প্রায় সব দোকানই বন্ধ রেখেছে।

    বেজিংয়ের প্রসিদ্ধ সানলিটুন এলাকার রেস্তরাঁ, পাব ও কফির দোকানে কিছু দুঃসাহসী ক্রেতা ছাড়া আর কারও দেখা পাওয়া ভার। সরকারি বাস এবং মেট্রো চলছে, চীনের উবার ‘দিদি’ও সক্রিয়।

    তবে শহরে ঢোকা-বেরোনোর উপরে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। চীনা নববর্ষের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অসংখ্য প্রবাসী চীনে ফিরে যেতে পারছেন না।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২২,আক্রান্ত ৩৪৫০০

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২২,আক্রান্ত ৩৪৫০০

    চীনে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে শনিবার ৭২২-এ পৌঁছেছে। এ সংখ্যা হংকং-এর মূল ভূখন্ডে দুই দশক আগে সার্স ভাইরাস আক্রান্তে মৃতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যানুযায়ী আরো মোট ৮৬ জনের এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে, তবে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হুবেই প্রদেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। হুবেই প্রদেশে গত ডিসেম্বর মাসে এ ভাইরসের উৎপত্তি হয়।

    কমিশনের প্রতিদিনের নতুন আপডেট-এ আরো ৩ হাজার ৩৯৯ জন নতুন রোগী সনাক্তের খবর নিশ্চিত করেছে। তথ্যে বর্তমানে সাড়া দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩৪ হাজার।

    করোনা ভাইরাস গোত্রের সিভিয়ার একুইট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (সার্স) আক্রান্তে ২০০২ থেকে ২০০৩-এ চীনের মূলভূখন্ড ও হংকং-এ মোট ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়।

    সার্স ভাইরাসে সাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে মোট ১২০ জন মারা যায়।

    হুবেই প্রদেশ ও প্রাদেশিক রাজধানী উহানের ৫৬ মিলিয়ন লোককে বিচ্ছিন্ন রাখা হোলেও চীন নতুন এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।

    উৎপত্তিস্থল থেকে দূরবর্তী নগরীর লোকদেরও বাড়ির ভেতরে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সীমিতসংখ্যক লোককে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে।

    শুক্রবার উহানে গত ডিসেম্বরে এই ভাইরাসের প্রথম সতর্ককারি ৩৪ বছর বয়সি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তাকে সতর্ক করার কারণে শাস্তি পেতে হয়েছিল। ওই চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং সরকারের সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

    আরো প্রায় ২৪টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন দেশের সরকার চীন থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরে আসা বন্ধ করে দিয়েছে এবং চীন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে। আবার কোনো কোনো দেশ নাগরিকদের চীন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

    বড় এয়ারলাইন সমূহ চীন থেকে আসা ও যাওয়ার ফ্লাইটসমূহ বাতিল করেছে।

    জাপানে বিচ্ছিন্ন রাখা এক প্রমোদ তরীর ৬১জনের করনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। বিপূল সংখ্যক যাত্রী ও ক্রু নিয়ে জাহাজটি দুই সপ্তাহ ধরে বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হয়।

  • করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্তানকে ছুঁতেও পারছেন না বাবা (ভিডিও)

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্তানকে ছুঁতেও পারছেন না বাবা (ভিডিও)

    চোখের সামনে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে কলিজার টুকরা শিশুসন্তান কিন্তু তাকে একটিবার ছুঁয়ে দেখার অনুমতি নেই। চীনের এমনই এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী থাকল দুনিয়া।

    প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে চীনের একাধিক শহরের নিয়মিত কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়েছে। বিধি-নিষেধ শুধু সেখানকার বাসিন্দাদের চলাচলেই আরোপ করা হয়নি, হাসপাতালে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের বাড়ি যাওয়া এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ছোট্ট একটি শিশুকে চারদিকে কাঁচের দেয়াল দিয়ে ঘিরে ভেতরে একটি বিছানায় রাখা হয়েছে।

    শিশুটি তার বাবাকে দেখে হাত বাড়িয়ে দেয় কিন্তু নিষ্ঠুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুটিকে একটিবার ছুঁতেও পারছে না বাবা। সেই বেদনা সইতে না পেরে কাঁদছেন সেই বাবা।

    শিশুটির বাবার চোখের জল কাঁদিয়েছে কোটি মানুষকে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

     

  • করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্ক করা চিকিৎসকও বাঁচলেন না

    করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্ক করা চিকিৎসকও বাঁচলেন না

    করোনাভাইরাস সম্পর্কে সবার আগে সতর্ক করে দেওয়া সেই চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং নিজেই এবার প্রাণ হারালেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে ওই চিকিৎসক মারা যান।

    বিবিসি জানায়, ১২ জানুয়ারি থেকে লি ওয়েনলিয়াং হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তার শরীরে করোনাভাইরাসের বিষয়টি ধরা পড়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি। রোগীর দেহ থেকে লির শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়।

    ২৭ বছর বয়সী এ চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর নিয়ে চীনা গণমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পরে উহান সেন্ট্রাল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫৮ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে।

    চীনের গ্লোবাল টাইমস প্রথমে লির মৃত্যুর খবর দেয়। পরে তা প্রত্যাহার করে ওই চিকিৎসক সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানায় ওই সংবাদমাধ্যম। চীনের পিপলস ডেইলিও লির মৃত্যুর খবর জানিয়ে টুইট করেছিল।

    এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর লি এক বার্তায় তার সহকর্মীদের বলেছিলেন, নতুন এ করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। আর সেজন্য চীনা কর্তৃপক্ষ তার মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল মুচলেকা আদায় করে। সেই ডাক্তারকেই এখন ‘হিরো’র আসনে বসাচ্ছে পুরো চীন।

    বিবিসি আরও জানিয়েছে, চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর সংগ্রহ করা হচ্ছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং সহকর্মী ডাক্তারদের সতর্ক করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সে সময় তাকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি পুলিশ তাকে শাসিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।

    হাসপাতালের বিছানা থেকে চিকিৎসক লি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবোতে জানিয়েছেন সেসব কথা। ওয়েবোর পোস্টে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘আমি লি ওয়েনলিয়াং। উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন চক্ষুবিশেষজ্ঞ।’

    ভাইরাসে আক্রান্তদের তার হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ৩০ ডিসেম্বর লি তার ফেলো চিকিৎসকদের একটি চ্যাট গ্রুপে বার্তা দেন। সেখানে তিনি ফেলো চিকিৎসকদের করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেন।

    ডিসেম্বর মাসে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করার সময় চিকিৎসক লি পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর কর্মকর্তার সঙ্গে সফর করেন।

    তারা তাকে একটি চিঠিতে সই করতে বলেন। ওই চিঠিতে লির বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের কথা বলে তিনি সমাজের ক্ষতি করছেন।

    পুলিশ বলছে, গুজব ছড়ানোর কারণে যে আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল চিকিৎসক লি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে সে ঘটনাটিও দেরিতে ঘটে।

    চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ জনে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশে নতুন করে ৬৯ জন মারা গেছেন।

  • চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে বাংলাদেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর-এর কার্যালয়ে এতথ্য জানিয়েছেন তিনি।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘চীন থেকে দেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়।’

    এখন পর্যন্ত চীন থেকে আসা ৮ হাজার ৩৯৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে আগের মতো সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন আইইডিসিআর পরিচালক।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশের সব স্থলবন্দরে স্ক্রিনিং মেশিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে চীন থেকে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

  • করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৬,আক্রান্ত ৩১১৬১

    করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৬,আক্রান্ত ৩১১৬১

    করোনাভাইরাসে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৩৬।

    মৃতদের অধিকাংশই করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর হুবেই প্রদেশের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৩ জনের মধ্যে ৬৯ জনই হুবেই প্রদেশের। তার মধ্যে শুধুমাত্র উহানেই মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১,১৬১। নতুন করে ফের আক্রান্ত হয়েছেন ৩,১৪৩ জন।

    সংক্রমণ আটকাতে চীনের ১৯টি শহর বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। বিমান তো বটেই, ট্রেন-বাস-ফেরি-সহ গণপরিবহণের সমস্ত ব্যবস্থা বন্ধ। স্কুল-কলেজ-অফিস বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো ঘরবন্দি। এমনকি, বাজার করতে বেরেনোতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তার উপরে রোগীর সংখ্যা যে মাত্রায় বাড়ছে, তাঁদের চিকিৎসার সমস্ত সুবিধা দেওয়াও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে চীন সরকারের পক্ষে। ১ দিনের শিশুর দেহেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে উহানে। একদিনের ওই শিশুকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই শিশুটিই এখন সর্বকনিষ্ঠ যার দেহে এই মারাত্মক ভাইরাসের লক্ষণ মিলল।

    ভাইরাসের মোকাবিলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, রোগ নিয়ন্ত্রণের খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এখন দাঁড়িয়ে চীন। এই অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি অনুরোধ করেছেন, ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া মাত্র যেন দ্রুত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এই রোগ নিয়ে গুজব ছড়ানো বন্ধ করার উপরেও জোর দিয়েছেন শি।