Tag: করোনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

  • করোনায় সিএমপি’র কনস্টেবল সাহেব আলীর মৃত্যু

    করোনায় সিএমপি’র কনস্টেবল সাহেব আলীর মৃত্যু

    করোনায় জীবন উৎসর্গ করলেন বাংলাদেশ পুলিশের আরও এক সম্মুখযোদ্ধা কনস্টেবল মোহাম্মদ সাহেব আলী (৫৭)। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৮৩ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি চাঁদপুর জেলার পুরান আদালত পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম রঞ্জন আলী পাটোয়ারী।

    বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    আইজিপির শোকঃ
    ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) কনস্টেবল মোহাম্মদ সাহেব আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

    আইজিপি এক শোক বার্তায় বলেন, করোনাযুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ একজন গর্বিত সদস্যকে হারালো।

    তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • চট্টগ্রামে করোনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    চট্টগ্রামে করোনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে কর্মরত কনেস্টেবল মো. জহিরুল ইসলাম (৪৪) করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

    শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর কনস্টেবল জহিরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    জহিরুল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন।

    নগর পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে জানা যায়, জহিরুল ১৯৯৬ সালে পুলিশবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সাহাপুরে। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

    আজ বেলা ১১টার দিকে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে জহিরুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। দাফনের জন্য জহিরুলের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।

    পুলিশ কমিশনার জানান, সরকারি দায়িত্ব পালনকালে গত ৬ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন জহিরুল ইসলাম। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    এছাড়া তিনি কনস্টেবল জহিরুলের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

  • করোনায় পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

    করোনায় পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী জেলার এক পুলিশ কনস্টেবল মারা গেছেন। তার নাম খন্দকার তৌফিক আলম (৫৮)।

    গতকাল সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

    রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট করোনা পজিটিভ হন তৌফিক। তিনি রাজশাহী জেলা পুলিশের ট্রাফিক শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় হলেও তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলে আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই কনস্টেবলের নাম সাধন চন্দ্র বর্মন (৪২)। তিনি গোপালপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।

    রোববার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ পর্যন্ত করোনায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য মারা গেলেন।

    সাধন চন্দ্র বর্মনের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায়। তবে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বাড়ি করে সেখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি। ঘাটাইলেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

    তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সাধনের ১২ আগস্ট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই দিনই তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেডেট ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে ১৪ আগস্ট তাকে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সাধনের মরদেহ ঢাকা থেকে গোপালপুর আনা হচ্ছে।

    জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলায় ৫১ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাধন চন্দ্র বর্মন মারা গেলেন।

    প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭৭৮ জন এবং চিকিৎসাধীন ৭০২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় দৌলতপুর থানার ওসির মৃত্যু

    করোনায় দৌলতপুর থানার ওসির মৃত্যু

    মহামারী করোনাভাইরাসের সঙ্গে দুই সপ্তাহ ধরে লড়াই করার পর না ফেরার দেশে চলে গেছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ওসি এসএম আরিফুর রহমান (৪২)।

    বুধবার রাত ১০.৩৭টায় তিনি ঢাকার রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশের সেন্ট্রাল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্নানিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন।

    এসএম আরিফুর রহমান প্রায় ২ সপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্ত হন। প্রথমে তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বুধবার রাতে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

    কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত তার এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আরিফুরের মরদেহ খুলনায় তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।

    আরিফুরের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার সামন্তসেনা গ্রাম। তার এক বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় পুলিশের এসআই হিসেবে চাকরি করে মানুষের প্রশংসা কুড়ান তিনি। পরে পদোন্নতি পেয়ে ওসি হয়ে দৌলতপুর থানায় যোগ দেন। জেলার সব মহলে একজন সৎ ও সজ্জন পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন আরিফুরের।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনার কাছে হেরে গেলেন সিএমপির ডিসি মিজানুর

    করোনার কাছে হেরে গেলেন সিএমপির ডিসি মিজানুর

    মহামারী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মিজানুর রহমান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    সোমবার (১৩ জুলাই) ভোররাতে ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান বলে সিএমপির মুখপাত্র ও গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান।

    পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, এ পর্যন্ত করোনায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হলো। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে করোনায় এই প্রথম কোনো পুলিশ সদস্য মারা গেলেন।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৮ জুন থেকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

    সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোররাত ৩টা ৪১ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা করোনা প্রতিরোধের এই সম্মুখযোদ্ধা ২২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। এ ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ন ছিলেন তিনি। চট্টগ্রামের আগে তিনি ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত নির্ভীক এই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের সন্তান পুলিশ সদস্য জাহেদ মারা গেছেন

    করোনায় আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের সন্তান পুলিশ সদস্য জাহেদ মারা গেছেন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : করোনায় আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার সন্তান পুলিশ সদস্য আ.ফ.ম জাহেদ (৪২) মারা গেছেন।

    আজ বুধবার (১জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    জাহেদ উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নডালিয়া গ্রামের ফয়েজুর রহমান সেরাং বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের বড় ছেলে ও সীতাকুণ্ড সমিতি-চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস.এম তবরেজ এর বড়ভাই।

    জাহেদ চট্টগ্রাম সদর থানার উত্তর ট্রাফিক বিভাগে কর্মমরত ছিলেন।

    তার ছোট ভাই এস.এম তবরেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তার আর কোন উপসর্গ ছিলনা। গতকাল হঠাৎ করে শ্বাস কষ্ট শুরু হলে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ দুপুরে মারা জান।

    পুলিশ সদস্য জাহেদ এর প্রথম জানাজা তার কর্মস্থলে এবং দ্বিতীয় জানাজা নিজ গ্রাম বাড়বকুণ্ডে অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • করোনায় পুলিশের আরও দুই সদস্যের মৃত্যু

    করোনায় পুলিশের আরও দুই সদস্যের মৃত্যু

    চলমান করোনাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করলেন বাংলাদেশ পুলিশের আরও দুই গর্বিত সদস্য। তাদের একজন হলেন, সাব ইন্সপেক্টর এস. এম. মুকুল মিয়া (৫৫)। অপরজন কনস্টেবল মোঃ আবুল হোসেন আজাদ (৫১)।

    সাব ইন্সপেক্টর এস. এম. মুকুল মিয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের খিলগাঁও থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের ভাড়া করা রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার চরকুলী গ্রামে।

    কনস্টেবল মোঃ আবুল হোসেন আজাদ করোনাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোর ০৪.১২ মিনিটে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের আজমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

    তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন জয়পাশা গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।

    ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মফিজুর রহমান পলাশ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে উভয় পুলিশ সদস্যের মরদেহ তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত একজন সি‌ভিল সদস্য ও একজন র‍্যাব সদস্যসহ মোট ২৭ জন সদস্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে গিয়ে প্রাণ দিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২১তম সদস্য এনামুল

    করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২১তম সদস্য এনামুল

    করোনায় জীবন দিলেন আরও এক বীর পুলিশ সদস্য। তিনি দিনাজপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোঃ এনামুল হক (৪৩)।

    বুধবার (১০ জুন) উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় আনার পথে তার মৃত্যু হয়।

    পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ডিআইজি, রংপুর রেঞ্চ ও এসপি, দিনাজপুরের উদ্দোগে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা জন্য এ্যাম্বুলেন্স যোগে প্রেরন করা হলে চান্দুরা নামক স্থানে মৃত্যু বরণ করেন।

    তিনি পঞ্চগড় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে,এক মেয়ে সহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

    পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় মরহুমের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো, যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন সহ অন্যান্য কার্যক্রম চলমান।

    করোনা যুদ্ধে এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন গর্বিত সদস্য জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২০তম সদস্য ইন্সপেক্টর জলিল

    করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২০তম সদস্য ইন্সপেক্টর জলিল

    করোনায় জীবন দিলেন আরো এক পুলিশ সদস্য। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল জলিল (৫৫)।

    মঙ্গলবার (৯ জুন) দুপুরে করোনাক্রান্ত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

    বুধবার (১০ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতর।

    পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মৃত পুলিশ সদস্যের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    তিনি নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার দীপ চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

    করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের ২০ জন সদস্য জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় জীবন দিলেন ১৯তম পুলিশ সদস্য আলমগীর

    করোনায় জীবন দিলেন ১৯তম পুলিশ সদস্য আলমগীর

    বাংলাদেশ পুলিশের আরও এক গর্বিত সদস্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করলেন। শহীদ এ পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল মোঃ আলমগীর হোসেন (৫৫)।

    সোমবার (৮ জুন) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অধীন হাজারীবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

    করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) পজেটিভ হওয়ায় তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার মাজারদিয়া গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও পুত্র সন্তানসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    বর্তমান করোনাকালে এ যাবত বাংলাদেশ পুলিশের ১৯ জন বীর সদস্য শহীদ হয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সীতাকুণ্ড থানার এসআই একরাম করোনা আক্রান্ত ছিলেন

    সীতাকুণ্ড থানার এসআই একরাম করোনা আক্রান্ত ছিলেন

    কামরুল ইসলাম দুলু:করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া সীতাকুণ্ড মডেল থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) একরামুল ইসলামের করোনা শনাক্তের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

    করোনা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা সীতাকুণ্ড থানার এসআই টিবলু কুমার মজুমদার বলেন, গতকাল রাতে পাওয়া নমুনা প্রতিবেদনে মৃত এসআই করোনা পজেটিভ ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া গতকাল শনিবার রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    এদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া মডেল থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) সুমন বণিক চট্টগ্রাম নগরের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

    উল্লেখ্য যে, গতকাল শনিবার (৬জুন) সকালে ভাড়া বাসায় তিনি মারা যান এসআই একরামুল ইসলাম। তিনি চার দিন ধরে তিনি সর্দি ও জ্বরে ভুগছিলেন।
    চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খাচ্ছিলেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে একই ফ্ল্যাটের অন্য দুজন তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গেলে অচেতন অবস্থায় মুখে ফেনা দেখতে পান।

    থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।করোনা পরীক্ষার জন্য লাশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রির্পোটে একরামুল ইসলামের শরীরে করোনা পজেটিভ আসে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর