Tag: করোনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

  • মারা যাওয়া কনস্টেবল মামুন করোনা পজিটিভ ছিলেন

    মারা যাওয়া কনস্টেবল মামুন করোনা পজিটিভ ছিলেন

    করোনা উপসর্গ নিয়ে গত সোমবার (১ জুন) মারা যাওয়া কনস্টেবল মামুন উদ্দিন এর নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন মর্মে পরীক্ষায় জানা যায়। এ নিয়ে সিএমপি’র ৩ জন সহ বাংলাদেশ পুলিশের মোট ১৭ জন পুলিশ সদস্য করোনা যুদ্ধে শহীদ হলেন।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে(পিওএম) কর্মরত থাকা অবস্থায় কনস্টেবল/৭৫৫ মামুন উদ্দিন (২৮) গত সোমবার সকাল এগারো ঘটিকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হবার জন্য মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল।

    ঐদিন যোহরবাদ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

    পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমানসহ সিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁর মরদেহের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

    জানাজা শেষে দাফনের জন্য সিএমপি’র ব্যবস্থাপনায় তাঁর মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে প্রেরণ করা হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম থানাধীন নিজকালিকাপুর গ্রামে। তিনি ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৮ বছর।

    তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান বিপিএম, পিপিএম গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা যুদ্ধে প্রাণ দিলেন ১৬তম পুলিশ সদস্য নিরোদ চন্দ্র

    করোনা যুদ্ধে প্রাণ দিলেন ১৬তম পুলিশ সদস্য নিরোদ চন্দ্র

    চলমান করোনা যুদ্ধে জীবন দিলেন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত একজন সদস্য।

    জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী বাংলাদেশ পুলিশের এ সহযোদ্ধা হলেন শ্রী নিরোদ চন্দ্র মন্ডল (৫২)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগে পল্লবী জোনে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    মঙ্গলবার (২ জুন) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    করোনা পজেটিভ হওয়ায় তিনি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল দুপুরে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

    উল্লেখ্য, বর্তমান করোনাকালে জনগণের সুরক্ষা নি‌শ্চিত কর‌তে গি‌য়ে এ যাবত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ১৬ জন বীর সদস্য আ‌ত্মোৎসর্গ কর‌লেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • এবার করোনায় প্রাণ গেল স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসআই রাসেল বিশ্বাসের

    এবার করোনায় প্রাণ গেল স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসআই রাসেল বিশ্বাসের

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে গিয়ে এবার প্রাণ দিলেন পুলিশের বিশেষ শাখা এসবিতে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল বিশ্বাস (৩৫)।

    বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা ১২টার দিকে পুলিশের জন্য ভাড়া করা বেসরকারি ইমপালস্ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পুলিশে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫জনে।

    গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মীর সোহেল রানা।

    তিনি জানান, গত ২৪ মে নমুনা পরীক্ষায় রাসেল বিশ্বাসের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। সেই থেকে তিনি ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    জানা গেছে, রাসেলের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে। শিক্ষা জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবি শেষ করেছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে ৩৪তম আউটসাইড ক্যাডেট হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।

    সবশেষ তিনি ঢাকায় এসবিতে এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী এবং একমাত্র শিশু ছেলে রেখে গেছেন।

    এদিকে রাসেলের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তার দাফন হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় চট্টগ্রামে তৃতীয় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    করোনায় চট্টগ্রামে তৃতীয় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ দিলেন আরো এক পুলিশ সদস্য। তিনি চট্টগ্রামের হালিশহর থানার কনস্টেবল নেকবার হোসেন (৪৫)।

    শনিবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় তিন পুলিশ সদস্য মারা গেলেন।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট আব্দুর রব বলেন, কনস্টেবল নেকবার তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতালে আনার পর আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সকালে মারা যান।

    জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১০ মে থেকে নেকবার বাসায় ছিলেন। ১৪ মে তাকে দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৮ মে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। শুক্রবার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৭৯ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় ১১তম পুলিশ সদস্য রশিদ’র মৃত্যু

    করোনায় ১১তম পুলিশ সদস্য রশিদ’র মৃত্যু

    মহামারি করোনাভাইরাস আরও এক পুলিশ সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই নিয়ে করোনা যুদ্ধে ১১তম পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া এ পুলিশ সদস্য হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নায়েক মোহাম্মদ আল মামুন-রশিদ।

    বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানী রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নায়েক মামুনকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হলেও তাকে ধরে রাখা যায়নি।

    সোহেল রানা বলেন, দেশ ও মানুষের সেবা একটি বিরল সুযোগ। এই সুযোগটি বাংলাদেশ পুলিশের দুই লাখ দেশপ্রেমী সদস্য মনে-প্রাণে সর্বান্তকরণে কাজে লাগাচ্ছে। দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জীবন বাজি রেখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ (৩ হাজার ২৩৫) সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১১ জন গর্বিত দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন।

    তিনি বলেন, এই তালিকায় ১১তম অর্থাৎ সর্বশেষ আত্মদানকারী পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের নায়েক মো. আল মামুনুর রশিদ। তিনি ডিএমপির পরিবহন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

    তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায়। তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় নবম পুলিশ সদস্য মজিবুরের মৃত্যু

    করোনায় নবম পুলিশ সদস্য মজিবুরের মৃত্যু

    করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে মো. মজিবুর রহমান তালুকদার (৫৬) নামে পুলিশের আরেক সদস্য জীবন উৎসর্গ করলেন। করোনাযুদ্ধে এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৯ সদস্যের মৃত্যু হলো।

    তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার পুলিশের এ সদস্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের (সিটি এসবি) পল্টন জোন-১ এ কর্মরত ছিলেন।

    সোমবার (১৮ মে) সকাল ৮টা ৫১মিনিটে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, করোনা ভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় গত ১১ মে এসআই মজিবুরকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি সোমবার সকাল ৮টা ৫১মিনিটে ইন্তেকাল করেন।

    এসআই মজিবুরের স্থায়ী ঠিকানা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার তারাকান্দি গ্রামে। বর্তমানে তিনি বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার সাখ পাড়া গ্রামে বসবাস করেন। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ বগুড়া পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মরদেহ দাফন করা হবে। করোনাযুদ্ধে এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৯ সদস্য আত্মোৎসর্গ করলেন।

    বাকি ৮ জন হলেন- ডিএমপির কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকা (৪৭), এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায় (৪৮), কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০), এএসআই মো. আব্দুল খালেক (৩৬), কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ (৪৩), এসআই সুলতানুল আরেফিন (৪৪), এসবির এসআই নাজির উদ্দীন (৫৫) এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল মো. নঈমুল হক (৩৮)।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় প্রাণ গেল অষ্টম পুলিশ সদস্য নঈমুলের

    করোনায় প্রাণ গেল অষ্টম পুলিশ সদস্য নঈমুলের

    করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) পুলিশের আরেক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম নঈমুল হক। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বন্দর বিভাগে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    শনিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

    করোনায় এই নিয়ে পুলিশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো আটজনে।

    সদরদপ্তর জানায়, মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ফতেয়াবাদে। তিনি দুই কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের পিতা ছিলেন। নঈমুল হক ২০০২ পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকরি শুরু করেন।

    করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ায় নিয়ম মেনে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সিএমপি কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় সপ্তম পুলিশ সদস্য খোকার মৃত্যু

    করোনায় সপ্তম পুলিশ সদস্য খোকার মৃত্যু

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনকালে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আরও এক পুলিশ সদস্য।

    তিনি হলেন কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকা (৪৭)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

    পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া মো. সোহেল রানা জানান, শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তার করোনা পরীক্ষা করা হয় ২৬ এপ্রিল। পরীক্ষায় তার করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) পজিটিভ আসে। তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

    জালাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার উড়াহাট গ্রামে। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    পুলিশের ব্যবস্থাপনায় লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

    উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৭ সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় ষষ্ঠ পুলিশ সদস্য রঘুনাথের মৃত্যু

    করোনায় ষষ্ঠ পুলিশ সদস্য রঘুনাথের মৃত্যু

    করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালনকালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন পুলিশের আরেক সদস্য রঘুনাথ রায় (৪৮)।

    তিনি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ছিলেন। রঘুনাথ ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগের আলফা কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

    বুধবার (৬ মে) ডিএমপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদটি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনাযুদ্ধে রঘুনাথ রায়ের মৃত্যুতে পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। একই সঙ্গে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যেয়ে সহকর্মীর এমন আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গর্বিত।

    রঘুনাথ রায়ের করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

    বুধবার (৬ মে ) সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
    জীবন উৎসর্গকারী পুলিশযোদ্ধা রঘুনাথ রায়ের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    পুলিশের ব্যবস্থাপনায় পুলিশযোদ্ধা রঘুনাথ রায়ের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তার মৃত্যু পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে।

    এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৬ সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই সুলতানুল আরেফিন, কনস্টেবল আশেক মাহমুদ, এএসআই আবদুল খালেক, কনস্টেবল জসিম উদ্দিন এবং পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজির উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় পঞ্চম পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    করোনায় পঞ্চম পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

    রাজধানীতে দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

    আজ শনিবার (২ মে) ভোরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে করোনায় মোট পাঁচজন পুলিশের মৃত্যু হলো।

    মারা যাওয়া ওই পুলিশ সদস্যের নাম সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪)।

    তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

    পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, সুলতান আরেফিনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আজ ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সুলতান আরেফিনের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র।

    এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এক উপপরিদর্শক (এসআই) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মারা যাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম নাজির উদ্দিন (৫৫)।

    তার আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আরও দুই সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডিএমপির মারা যাওয়া দুজন হলেন-পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আ. খালেক ও ট্রাফিক কনস্টেবল আশেক মাহমুদ।

    আ. খালেক গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজধানীর আরামবাগে পুলিশ হাসপাতালে করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে।

    অন্যদিকে, আশেক মাহমুদ (৪২) বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মারা যান। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে।

    এ ছাড়া গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জসিম উদ্দিন (৪০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা যান। পরের দিন বুধবার সকালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে জানানো হয়, মারা যাওয়া ওই কনস্টেবল করোনা পজিটিভ ছিলেন। দেশে তিনিই প্রথম কোনো পুলিশ সদস্য, যার করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু,মোট ৪

    করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু,মোট ৪

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ;নিজস্ব প্রতিবেদক:::করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও এক পুলিশ সদস্য (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার নাম নাজির উদ্দীন। তিনি পুলিশের এসআই ছিলেন। কাজ করতেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রতিরক্ষা শাখায়।

    শুক্রবার (১ মে) সকালে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে পুলিশ সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

    পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, নাজির উদ্দীনের দেহে কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হয় গত ২৫ এপ্রিল। পরে তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

    পুলিশ সদস্য নাজিরের গ্রামের বাড়ি পাবনার ভাংগুরা থানার কাজিটোলা গ্রামে। শুক্রবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তার নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহ দাফন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আরও দুই পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগে বুধবার মারা যান একজন। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে চার পুলিশ সদস্য মারা গেলেন।

    পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখন ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশে ৫৩৭ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর