Tag: করোনায়

  • করোনায় এবার প্রাণ গেল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তার

    করোনায় এবার প্রাণ গেল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এক রাজস্ব কর্মকর্তা।

    গতকাল ২ জুন মঙ্গলবার রাত ২টার সময় ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    করোনায় মারা যাওয়া কর্মকর্তার নাম জসীম উদ্দিন মজুমদার। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট ছিলেন। তাছাড়া অফডকে (এছাহাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড) অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায় বলে জানা গেছে।

    গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া। তিনি বলেন, মৃত্যুবরণ করা রাজস্ব কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মজুমদারের করোনা পজেটিভ ছিলো।

    সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক হাসপাতালের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মরদেহ ফেনীর গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটির তিন কর্মচারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া ৩০ মে পর্যন্ত কাস্টম হাউজ ও চট্টগ্রাম বন্দরের ৩৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    এদের মধ্যে ২১ জন বন্দরের এবং ১৪ জন কাস্টমসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ ছাড়া কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে করোনায় হটস্পট এখন পটিয়া। গত ১২ এপ্রিল ৬ বছরের এক শিশুর আক্রান্তের পর ১৩ এপ্রিল তার মৃত্যুর খবর দিয়ে উপজেলায় করোনার সংখ্যা গোনা শুরু হয়।

    চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যায় মাঝে বেশ কিছুদিন স্বস্থিতে থাকলেও ফের আতঙ্কের উপজেলায় রুপ নিয়েছে পটিয়া।

    পৌরসভা সদর-গ্রাম সবখানেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী এ করোনা সংক্রমণ। উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের হার। ছোট শিশু থেকে বয়স্করাও বাদ পড়ছেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে।

    চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, মঙ্গলবার (২ জুন) চারটি ল্যাবে মোট ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার মোট ২০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে ১১৯ জন মহানগরের এবং ৮৭ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যেই একদিনে পটিয়া উপজেলায় নতুন করে ৪৯ জন আক্রান্তের ভয়ানক তথ্য জানায় জেলা সিভিল সার্জন। এর আগে গত ১ জুন একই উপজেলায় একদিনে সর্বাধিক ৫২ জন আক্রান্তের তথ্যও জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।

    গত ১ জুন ও ২ জুনের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায় এ দুদিনে আক্রান্তের সেঞ্চুরি করেছে পটিয়া উজেলা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পটিয়ার চার লাখ বাসিন্দা।

    জানা যায়, গত দুইদিনে উপজেলার মোট ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এর মধ্যে গত ১ জুন সোমবার একদিনে ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জন এবং ২ জুন মঙ্গলবার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন সম্প্রতি ঈদের সময় দেশের বিভিন্নস্থানে কর্মরতরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পটিয়াতে ঈদ করতে আসে। তাদের মাধ্যমেই করোনার বিস্তার ঘটতে পারে।

    পটিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহের চাপও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনোলজিষ্ট রবিউল হোসেন। তিনি বলেন তারা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ল্যাবগুলোতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

    দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলার সকল বাসিন্দাদের আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা।

    তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্রগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়া। চট্টগ্রাম শহর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব সহজতর হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন আসা যাওয়া করে। অন্যান্য উপজেলার লোকজনেরও যাতায়াত রয়েছে এ উপজেলায়। সব মিলিয়ে রোগী বাড়ছে। একটাই উপায় আমাদের আরো অনেক সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে।

    এনিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুইশ ছুঁতে চলেছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা এখন ১৯০ জন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের তালিকায় ১৪৪ জন শনাক্তের তথ্য মিলেছে। উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছে এ পর্যন্ত ৩ জন।

    উপজেলায় নতুন একজনের মৃত্যু : গতকাল ২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার এক বীমা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    করোনায় মৃত্যু হওয়া বীমা কর্মকর্তার নাম গাজী সারোয়ার আলম টুকু (৫৫)। তিনি পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গাজীর বাড়ির বাসিন্দা মরহুম মাহমুদুল হকের পুত্র। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন মারা যাওয়া টুকু।

    তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোফরান রানা। তিনি বলেন, চট্টগ্রামমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার এলাকায় পাইনিয়র ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সাবেক জিএম টুকু। মৃত্যুর আগে তার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    জানা গেছে, বিকাল ৪টায় প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক পটিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়। দাফন-কাপন ও জানাজায় নিয়োজিত ছিলেন আল মানাহিল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

    এর আগে একই ওয়ার্ডে করোনায় মারা গেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই ও ওই গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম। তিনি গত ২২ মে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

    গত ১৩ মে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম চাফড়া গ্রামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। ওইদিন ফিল্ড হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৫৮ বছর বয়েসী ওই ব্যক্তি মারা যান। এর আগে গত ১১ মে নমুনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।

    এর একমাস আগে ১৩ এপ্রিল রাত আড়াইটার সময় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু দিয়ে পটিয়া উপজেলায় শুরু হয় মৃত্যুর খাতা। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দশ বছরের নিচে কোন শিশুর প্রথম মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামের এ পটিয়ায়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী

    চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এক দুটি মৃত্যুর খবর প্রকাশ হচ্ছে গণমাধ্যমে। উপসর্গ নিয়েও মৃত্যু হচ্ছে কয়েকজনের।

    এরই ধারাবাহিকতায় করোনায় মৃত্যুর মিছিলে এবার যোগ হয়েছে আরো একটি নাম। আজ ২ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টে ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, অ্যডভোকেট কবির চৌধুরী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহের পর গতকাল রাতে করোনা পজেটিভ আসে। আজ ২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় তার মৃত্যু হয়।

    করোনায় মৃত্যুবরণকারী মো. নুরুল কবির বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতাকালিন সদস্য। তাছাড়া চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে।

    তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের আইনজীবী সমাজ একজন বটবৃক্ষ ও একজন অভিভাবককে হারাল।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে একদিনে পৃথকভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১জুন) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃৃথকভাবে এসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬জন।

    মৃত্যু হওয়া রোগীরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলী ইছুলুর ঘোনা এলাকার মো: এছারুল করিম (৩৫), শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার মোহাম্মদ করিম (৩০) ও টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫)।

    কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (১জুন) ভোর ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান মো: এছারুল করিম (৩৫), সে কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলি ইছুলুরঘোনার বাসিন্দা। সেখানে ব্যবসা করতেন।

    তাদের পরিবারে ৩ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যে এক সদস্য সুস্থ হয়ে গেছেন। মো. এছারুল করিমের করোনা লক্ষণ দেখা দিলে তিনি স্যাম্পল জমা দেন। রবিবার (৩১ মে) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয় এবং সেখানেই তিনি আজ সোমবার আনুমানিক ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যুবরণ করেন।

    কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মধ্যম নুনিয়ারছড়ার তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম (৩০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তবে এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। মোহাম্মদ করিম মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মাঝির ছেলে।

    একইভাবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছে। সে টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী। একই দিন বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এর তিনদিন আগে তার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে রবিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

    কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘কক্সবাজার জেলায় গত ৬১টি দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৩জন মারা গেছে। আজকের তিনজন সহ মোট ১৬জন নারী পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৭জন। মারা যাওয়া ১৬জনই করোনায় আক্রান্ত।

    মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১জন, রামু ১জন, টেকনাফে ২জন, উখিয়া ১জন ও চকরিয়া ১জন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে ১৭ জনসহ সারাদেশে ১৯১ পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    চট্টগ্রামে ১৭ জনসহ সারাদেশে ১৯১ পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : চট্টগ্রামে ১৪টি পোশাক কারখানার ১৭ জন শ্রমিকসহ সারাদেশের ৯০টি কারখানায় এখন পর্যন্ত ১৯১ জন পোষাক শ্রমিকের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

    এর মধ্যে বিজিএমইএর ১০৫ জন, বিকেএমইএ’র ৫৭ জন, ইপিজেডগুলোতে ১৪ জন ও অন্যান্য পোশাক কারখানায় ১৩ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বিটিএমএ সদস্য একটি টেক্সটাইল মিলসে দু’জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন।

    শিল্প পুলিশ ও পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    এদিকে পোশাক মালিকদের বড় সংগঠন বিজিএমইএ’র উদ্যোগে পোশাক কারখানাগুলোয় করোনা আক্রন্তের তথ্য সংগ্রহ ও শ্রমিকদের চিকিৎসা দিতে কাজ কর‌ছে কয়েকটি টিম। তাদের সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী গত ২৮শে এপ্রিল দেশের পোশাক কারখানায় প্রথম একজনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়।

    সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। বাকি ৮৪ জনের এখনো কোভিড-১৯ পজেটিভ রয়েছেন।

    শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, দেশের ৯০টি কারখানার ১৯১ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যা ৪৬টি।

    এসব কারখানার ১০৫ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত। অন্যদিকে বিকেএমইএ’র সদস্য ২১টি কারখানায় ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর বাইরে ইপিজেডগুলোতে অবস্থিত ১০টি কারখানার ১৪ জন ও অন্যান্য ১২টি পোশাক কারখানার ১৩ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বিটিএমএ সদস্য একটি টেক্সটাইল মিলসে দু’জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন।

    শিল্প পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সারাদেশের পোশাক কারখানার মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। আশুলিয়ার ২৬টি কারখানার ৬১ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন।

    এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২৩টি কারখানার ৬০ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামে ১৪টি পোশাক কারখানার ১৭ জন শ্রমিক, ময়মনসিংহে তিনটি কারখানার চার জন শ্রমিক এবং খুলনায় একটি কারখানার একজন শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা আক্রান্ত ভাইকে দেখতে গিয়ে করোনায় বোনের মৃত্যু/বোনের স্বামী-সন্তানরাও আক্রান্ত

    করোনা আক্রান্ত ভাইকে দেখতে গিয়ে করোনায় বোনের মৃত্যু/বোনের স্বামী-সন্তানরাও আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ভাইকে দেখতে গিয়ে সে প্রাণঘাতী অদৃশ্য ভাইরাস কেড়ে নিল বোনের জীবন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বোনের স্বামী ও দুই সন্তান।

    বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। করোনায় মারা যাওয়া বোনের নাম নাজমুন নাহার। তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।

    নাজমুন নাহারের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা। তিনি বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ছুটিতে থাকাবস্থায় ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

    তিনি ২০১০ সালে হোমনায় চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রতিদিনই ঢাকা-হোমনায় আসা-যাওয়া করতেন। হোমনায় অফিস করে প্রায়দিনই ঢাকায় তার করোনা আক্রান্ত ভাইকে দেখতে যেতেন।

    সেখানে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তার সংসারে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই করোনায় আক্রান্ত। তবে নাজমুন নাহার বেশ কিছুদিন ছুটিতে ছিলেন।

    ওই কর্মকর্তার মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা মজিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার রীনাসতহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

    এদিকে, কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৮১ জনে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

    সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন এবং জেলার আদর্শ সদরে ছয়জন, হোমনায় দুইজন, বুড়িচংয়ে ২০ জন, লাকসামে ছয়জন, চান্দিনায় ১৭ জন, লালমাইয়ে দুইজন এবং মুরাদনগরে ১৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন মোট ১০০ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সীতাকুণ্ডে করোনায় নারীর মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে চমেকে মারা গেছে তরুণ চিকিৎসক

    সীতাকুণ্ডে করোনায় নারীর মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে চমেকে মারা গেছে তরুণ চিকিৎসক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : দিন যতই যাচ্ছে করোনার থাবায় দিশেহারা হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক নগর চট্টগ্রাম। আক্রান্তের তালিকায় ইতিমধ্যে দেশের রাজধানী ঢাকার পরেই এখন চট্টগ্রামের অবস্থান। রীতিমতো করোনা মহামারির হটস্পটে পরিণত হয়েছে।

    সোমবার (২৫ মে) সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭১০ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ১ হাজার ৩০৬ ও উপজেলায় ৩০৪ জন।

    গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে মৃত্যুবরণকারীর তালিকায় যোগ হলো আরো একজনের নাম। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯ এ) আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায়।

    গতকাল ২৪ মে রবিবার সকালে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। সীতাকুণ্ডে করোনা সংক্রমণ শুরুর দেড় মাস পর প্রথমবারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ওই নারীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় গত শনিবার দুপুরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোববার সকালে তিনি মারা যান। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

    ২৪ মে রবিবার রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এছাড়া একই দিনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এ মৃত্যুটিসহ চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত সরকারি তালিকায় ৫৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু : আজ সোমবার (২৫ মে) ভোর ৬টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৩৪ বছর বয়সী তরুণ চিকিৎসক ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    মৃত্যুবরণকারী তরুণ চিকিৎসক ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের ৩য় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।

    আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৬ মে শনিবার তরুণ এ চিকিৎসকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি আমাদের হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নেন। শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে গেলে ওইদিন দুপুরেই তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে নেওয়া হয়।

    গত ১৯ মে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের উদ্দ্যেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা হলেও করোনা উপসর্গ জানতে পেরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি তাকে না নিয়ে ফিরে যায়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোর ৬ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এর আগেও চিকিৎসক জাফর হোসাইনের করোনা পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম বার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছিল। পরে পরীক্ষার জন্য আবারও নমুনা নেওয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে মারা গেল এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা, করোনায় মৃত্যু বেড়ে ৫৩/আক্রান্ত ১৬৪৫

    চট্টগ্রামে মারা গেল এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা, করোনায় মৃত্যু বেড়ে ৫৩/আক্রান্ত ১৬৪৫

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে আরো একজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। গতকাল ২৩ মে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু হওয়া ৫৩ তম ব্যাক্তিটির নাম মো. নাছির উদ্দীন (৫৮)। সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া ইউনিয়নে তার গ্রামের বাড়ি হলেও তিনি নগরীর খুলশী থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে তিনি জানান, মো. নাছির উদ্দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ মে দুপুর ১২টার দিকে ভর্তি হন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। শনিবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ১১টার সময় চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    এদিকে সন্দ্বীপ উপজেলার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, নিহত মো. নাছির উদ্দিন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় নতুন করে ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকেছে ১ হাজার ৬৪৫ জনে। তাছাড়া জেলা সিভিল সার্জনের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৩ জন এবং সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন দেড়শ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আরো এক পুলিশ সদস্য জীবন দিল করোনায়/জয় করে ১৮১ পুলিশ বাড়ি ফিরল শুক্রবার

    আরো এক পুলিশ সদস্য জীবন দিল করোনায়/জয় করে ১৮১ পুলিশ বাড়ি ফিরল শুক্রবার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : মহামারি করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। করোনা প্রতিরোধের ১২তম সম্মুখযোদ্ধা হলেন রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) সুবেদার পদমর্যাদার, অফিশিয়াল পদবী এসআই সশস্ত্র। বয়স ৫৭ বছর।

    শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহী জেলার মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ড. সাইফুল ফেরদৌস জানান, ওই পুলিশ সদস্যে নওগাঁ থাকতে গত ১৭ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই দিন তিনি ছুটিতে রাজশাহী চলে আসেন। বৃহস্পতিবার তার নমুনা পরীক্ষার পর ফলাফল পজেটিভ আসে।

    তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে তিনি পুলিশ লাইন হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাকে আইসোলেশন ইউনিট মিশনারি খ্রিস্টান হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে ভর্তি করে মিশনা হাসপাতালে রাখা হয়। রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। প্রয়াত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি পাবনায় বলে জানা গেছে।

    এদিকে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। সুস্থ হয়ে উঠছেন করোনাক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা। ঈদের আগে করোনামুক্ত হয়েছেন আরও ১৮১ জন পুলিশ সদস্য। শুক্রবার (২২ মে) কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ছেড়েছেন তারা।

    ১৮১ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম সানতু। তিনি বলেন, এর আগে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তারা বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হন।

    সরকারের আইইডিসিআর এর চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ী, ১৮১ পুলিশ সদস্যদের পরপর দুই বার কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। টেস্টে দ্বিতীয় কোভিড-১৯ নেগেটিভ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দেন।

    হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় বরাবরের মতোই করোনা প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং ফুল দিয়ে করোনা জয়ী এ সকল পুলিশ সদস্যদের বিদায় জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত সাতশরও বেশি পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন। আর করোনা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২ জন গর্বিত দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • আগস্ট পর্যন্ত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কর্মজীবীদের বেতনের দায়িত্ব নিল কানাডা সরকার

    আগস্ট পর্যন্ত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কর্মজীবীদের বেতনের দায়িত্ব নিল কানাডা সরকার

    ২৪ ঘণ্টা ডট আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডায় করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কর্মজীবীদের আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত বেতনের দায়িত্ব নিল দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

    করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সহায়তায় জরুরি বেতন ভর্তুকি প্রকল্পের আওতায় ৭৫ শতাংশ মজুরির দায়িত্ব নিয়েছে কানাডার সরকার। প্রতিজনকে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৮৪৭ ডলার সহায়তার এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল জুন মাসে।

    তবে সঙ্কট পুরোপুরি না কাটায় আগস্ট পর্যন্ত তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এছাড়া করোনার কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন সেসব কর্মজীবীদের আবারও চাকরি দিতে কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কানাডার সরকার।

    শুক্রবারের ঘোষণায় ট্রুডো বলেন, করোনার কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তিন ট্রিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিল কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হয়েছে।

    সিনেটে পাস হলেই রাজ্য ও স্থানীয় সরকারে কর্মরত কর্মীরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহায়তা পাবেন। এই বিলের আওতায় সহায়তা পাবেন বেকার ও ভাড়াটিয়ারাও।

    একজনকে কমপক্ষে ১২০০ ডলার (প্রায় এক লাখ টাকা) করে দেয়া হবে। বিবাহিত হলে দ্বিগুণ পাবেন। এ ছাড়া তাদের ওপর নির্ভরশীল কেউ থাকলে তাদের জন্য একই পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে। কমপক্ষে একজন মানুষ তিনজন নির্ভরশীলের জন্য অর্থ পাবেন। সিটিভি নিউজ ও সিএনএন।

    কানাডায় যেসব প্রতিষ্ঠানের আয় মার্চে ১৫ শতাংশ এবং এপ্রিল-মে মাসে অন্তত ৩০ শতাংশ কমে গেছে তারাই বেতন প্রকল্পের আওতায় সহায়তার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে প্রয়োজনে এ নীতিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় কাবু পুরো বিশ্ব। মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসটির বয়স চার মাস পার হলেও বিশ্বের কোথাও এখনে নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ মিলছে না।

    ভাইরাসের ছোবলে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে আর মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ছুঁই ছুঁই।

    যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ওঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শতাধিক গবেষক দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ।

    কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করে বেকায়দায় আছে। সেখানে নতুন করে আবার আক্রমণ শুরু করেছে করোনা।

    বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জনের শরীরে।

    আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৯ জন। এদের মধ্যে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৫ হাজার ৯২০ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮ জন, সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৫৯ এবং মারা গেছে ৮৫ হাজার ৯১৭ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

    মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫ জন।

    মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ১০৪ জন।

    স্পেনে আক্রান্ত দুই লাখ ৭১ হাজার ৯৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ২২৭ এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ১০৪ জন।

    এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাশিয়ায়। আক্রান্তের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ২৭১ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১২ জনের।

    ইংল্যান্ডে আক্রান্ত দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৬৩, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি এবং মারা গেছে ৩৩ হাজার ১৮৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত এক লাখ ৭৮ হাজার ৬০, সুস্থ হয়েছে ৫৮ হাজার এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ৭৪ জন।

    এছাড়া জার্মানিতে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮৬১ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ২৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩০২ জনের।

    ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯২৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

    এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৭২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৩ জনের।

    পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ২৯৮, সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৮৯৯ এবং মারা গেছে ৭৬১ জন। ভারতে আক্রান্ত ৭৮ হাজার ৫৫ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ৫৫১ জন।

    বাংলাদেশে আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮২২, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ২৬৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ফটিকছড়িতে করোনায় অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রলীগ নেতা মুন্না

    ফটিকছড়িতে করোনায় অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রলীগ নেতা মুন্না

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনায় পুরো দেশই এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন দিনমজুর মানুষেরা।

    দিন আনে দিনে খাওয়া এই অসহায় মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফটিকছড়ি পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা আলিউল আজাদ মুন্না। নিজের অর্থায়নে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

    ২৭ এপ্রিল রবিবার রাতের আঁধারে ঘরে ঘরে গিয়ে একশজন কর্মজীবী অসহায় মানুষদের মধ্যে এ খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন। এসময় জে,এম,রাইজিং ষ্টার নামের একটি সামাজিক সংগঠনের সদস্য নয়ন, আকিব, জুয়েল, সারুফ, মামুন, ইশা, মাহি, জয়নাল, বাপ্পু, মারুফ ও করিম উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ কাজে সহায়তা করেন।

    জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা মুন্না বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় নিজ সামর্থ অনুযায়ী অসচ্ছল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    প্রথম দিকে অসহায় ১০০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছি। আগামীতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

    ২৪ ঘণ্টা/এম জুনায়েদ/আর এস পি