Tag: করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি

  • নিউজিল্যান্ডের শেষ করোনা রোগীর হাসপাতাল ত্যাগ

    নিউজিল্যান্ডের শেষ করোনা রোগীর হাসপাতাল ত্যাগ

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বুধবারের দিনটি নিউজিল্যান্ডের জন্য মাইলফলক। কেননা প্রাদুর্ভাব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন জারির পর এই প্রথম দেশটির কোনো হাসপাতালে একজনও কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন নেই।

    সরকারের তরফে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সুসংবাদ জানানো হয়েছে।

    স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. অ্যাশলে ব্লুমফির্ড সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের কোনো হাসপাতালে আর একজন রোগীও নেই যিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবশেষ সুস্থ হয়ে মিডলমোর হাসপাতাল থেকে একজন রোগী ছাড়া পাওয়ার পর এই সংখ্যাটা এখন শূন্য।’

    তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন কিন্তু সেই সংখ্যাটা কখনোই খুব বেশি ছিল না। অবশেষে কয়েক মাস পর আমাদের হাসপাতালগুলোতে এমন কোনো রোগী নেই যিনি করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১, তারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

    গত একদিনে নতুন করে কোনো কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়নি। এছাড়া টানা পঞ্চম দিন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে কেউ শনাক্ত হয়নি বলে জানান তিনি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫০৪। মারা গেছে ২১ জন; সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন।

    করোনা মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ড সফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ দেশটিতে যখন মাত্র ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল তখনই অর্থাৎ ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ড আর্ডার্ন ঘোষণা দেন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে যারা আসবেন তাদেরকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।

    ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অন্য দেশের কোনো পর্যটকের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ জন। এরপর ২৩ মার্চ দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেন। অথচ তখনো দেশটিতে করোনায় কেউ মারা যায়নি; আক্রান্ত ছিল মাত্র ১০২ জন।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগাম সতর্কতামূলক কঠোর পদক্ষেপ দেশটির করোনা প্রতিরোধ সাফল্যের অন্যতম হাতিয়ার। এরপর টানা প্রায় দুই মাস দেশ লকডাউন থাকার পর গত ১৪ মে থেকে ধীরে কিছু ব্যবসা কেন্দ্র ও জনসমাগমস্থল খুলে দিতে শুরু করে সরকার। অনেকটা শিথিল হয়েছে লকডাউন।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে, মানুষ বারে কিংবা পার্কে যেতে পারছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সতর্ক করে দিয়েছেন যেন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা হয়। নিউজিল্যান্ড এখন ‌‌‘এলার্ট-২’ স্তরে রয়েছে; যা দিয়ে বোঝায়, রোগটি প্রতিরোধে করা গেছে তবে এখনো গোষ্ঠী সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খাগড়াছড়ির প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ: সিভিল সার্জন

    খাগড়াছড়ির প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ: সিভিল সার্জন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:::খাগড়াছড়ি জেলার প্রথম ও একমাত্র করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

    শুক্রবার (৮ মে) রাত ১০ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ।

    আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে দীঘিনালা উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা এই ব্যক্তিকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।

    জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, খাগড়াছড়ি জেলায় প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ২২ এপ্রিল দীঘিনালা উপজেলার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়। নারায়ণগঞ্জ ফেরত ওই ব্যক্তির কোন উপসর্গ না থাকার পরও গত ২৯ এপ্রিল করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরপর ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় পজেটিভ ব্যক্তিসহ তার সংস্পর্শে থাকা ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ২ মে আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসলে ৩ মে তৃতীয় দফায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার ফলাফল আসে ৮ মে শুক্রবার রাতে। দুই দফায় ফলাফল নেগেটিভ হওয়ায় দীঘিনালার আক্রান্ত ব্যক্তি এখন পুরোপুরি সুস্থ বলে ধরে নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

    খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, খাগড়াছড়ি জেলায় ৮ মে পর্যন্ত একজন ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ছিল। যেহেতু তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় নমুনার ফলাফল নেগেটিভ তাহলে সে এখন পুরোপুরি সুস্থ।

    পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলায় এখন পর্যন্ত আর কোন করোনা পজেটিভ নেই।

    প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে শুক্রবার পর্যন্ত ২৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারমধ্যে ১৬০ জনের নেগেটিভ। বাকী নমুনার ফলাফল এখনও হাতে আসেনি।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/প্রদীপ