Tag: করোনা চিকিৎসা

  • করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রামের আলোকিত ডাক্তার আব্দুর রব সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত

    করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রামের আলোকিত ডাক্তার আব্দুর রব সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও করোনা টিমের ফোকাল পারসন ডা. আব্দুর রব মাসুম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

    তার নিকটতম আত্মীয় এই তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত পরশু তার স্ত্রী ডা. ফিরোজা মেহের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ডা. আব্দুর রব মাসুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ডাক্তার মাসুমের বাসা পাঁচলাইশ জাতিসংঘ পার্কের পাশে। মা, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন তিনি। কিন্তু করোনার সংকট শুরু হলে তিনি পরিবারের সবাইকে পাঠিয়ে দেন নগরীর হালিশহরে নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে।

    এরপর করোনা রোগীর পাশে দাঁড়ান। সারাদেশের কোনো কোনো চিকিৎসক যখন প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভয়ে চেম্বার করা বন্ধ করে দিলেন; তখনই আক্রান্তদের সেবায় নিজেকে সমর্পণ করলেন তিনি। চোখের সামনেই মারা গেছেন ১৫ রোগী। তবুও নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে তিনি একে একে সুস্থ করেছেন ২০০ জনকে।

    তার জন্য পরিবারের সদস্যরা দোয়া কামনা করেছেন।

    সারাদিন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ফুরসত পেতেই দিয়েছেন টেলিমেডিসিন সেবা।

    চেম্বার বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে ডাঃ আব্দুর রব স্যারের নিয়মিত রোগী আছেন যারা এবং নতুন রোগী যারা স্যারকে দেখাতে চেয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাদের সবার কথা চিন্তা করে স্যার এখন নিয়মিত টেলিমেডিসিন সেবা দিবেন। আপনারা সবাই জানেন এই দূর্যোগপূর্ণ সময়েও ডাঃ আব্দুর রব স্যার “চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে” নিয়োজিত আছেন ।
    তাই নিয়মিত যারা ডাঃ আব্দুর রব স্যারের চিকিৎসাধীন আছেন এবং নতুন রোগী যারা চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন তারা টেলিমেডিসিন সেবা পেতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/এ আর

  • করোনা চিকিৎসায় রাজি না হওয়ায় চসিকের ১০ চিকিৎসক বরখাস্ত

    করোনা চিকিৎসায় রাজি না হওয়ায় চসিকের ১০ চিকিৎসক বরখাস্ত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় ১০ চিকিৎসককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে চসিক। একই অভিযোগে একজন স্টোর কিপারকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) চসিকের সচিব স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

    তারা সকলেই আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি হল কমিউনিটি সেন্টারে চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এই সেন্টারে ১৬ চিকিৎসককে চসিকের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

    তবে এরমধ্যে ১০ চিকিৎসক ও এক জন স্টোর কিপার এই আইসোলেশন সেন্টারে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় নির্ধারিত সময়েও এটি চালু করতে পারেনি চসিক। তাই বাধ্য হয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টারে অবাধ্য এসব চিকিৎসককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
    চাকরিচ্যুতরা হলেন: চসিকের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আক্তার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিৎ মিত্র। এছাড়া অব্যাহতি পেয়েছেন স্টোর কিপার মহসিন কবির।

    এ বিষয়ে চসিকের বক্তব্য ‘যারা মানব সেবা করার শপথ নিয়ে বিপদের সময় অমানবিক কাজ করছেন। সিটি করপোরেশনের চিকিৎসক হয়ে অফিস আদেশ মানেনি, তাদের চাকরি করার কোনও অধিকার নেই। তাদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা দেওয়া হবে। মেয়র মহোদয় দ্বিগুণ বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷ সকল সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপর কাজে যোগ না দেওয়া তা খুবই দুঃখজনক।’

    ‘প্রতিষ্ঠারের শৃঙ্খলা রক্ষায় ও অমানবিক কাজ করায় দশ চিকিৎসক ও একজন স্টাফকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে মোট ১৬ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে একজন অসুস্থ আর পাঁচজন আছে। এখন নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে তাদের ট্রেনিং দিয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করতে হবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহারের অনুমতি দিল ভারত

    ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহারের অনুমতি দিল ভারত

    অবশেষে করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিডিএসসিও)।

    তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। তাহলো – ‘জরুরি প্রয়োজনে’ করোনাভাইরাস উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তি এবং করোনায় পজিটিভ শনাক্ত ব্যক্তির শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে।

    সোমবার ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রধান ডা. ভি জি সোমানি বলেন, ‘১ জুন থেকে জরুরি ব্যবহারের শর্তে রোগীদের ৫ ডোজ করে রেমডেসিভির দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

    ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৃহৎ বায়োফার্মা কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্স তৈরি করেছে। করোনা রোগীদের শরীরে ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর গিলিয়াড সায়েন্স দাবি করে, করোনা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে এটি।

    মুম্বাইয়ের সংস্থা ক্লিনেরা সার্ভিসেস তাদের থেকেই ওষুধটি আমদানি করবে। ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল ওরগানাইজেশন (সিডিএসসিও) জানিয়েছে, ইনজেকশন নির্ভর এই ওষুধ সর্বাধিক ১০ দিন প্রয়োগযোগ্য।

    তবে ৫ দিনের বদলে ১০ দিন প্রয়োগে করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    তখন থেকেই এর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওষুধটি নিয়ে গবেষণাগারে পরীক্ষা চাল্লাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ।

    এর আগে ওষুধটি ইবোলায় আক্রান্ত রোগীর শরীতে প্রয়োগ করা হয়। তা এতে উল্লেখ করার মতো সফলতা আসেনি।

    তবে সম্প্রতি ওষুধটি বিভিন্ন পশুর শরীরে পরীক্ষা করা হয়ে। এতে দেখা গেছে, ওষুধটি সার্স ও মার্সসহ কভিড-১৯ , সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় বেশ কার্যকর।

    এদিকে জানা গেছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া করোনা রোগী চিকিৎসায় রেমডেভিসির ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা চিকিৎসা:১১ আইসিইউ ও ১শ শয্যা নিয়ে চালু হলো হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল

    করোনা চিকিৎসা:১১ আইসিইউ ও ১শ শয্যা নিয়ে চালু হলো হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল

    করোনা রোগীদের সরকারী ব্যবস্থাপনায় ও সিটি মেয়রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবারো নতুন আঙ্গিকে চালু করা হলো নগরীর হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল।

    আজ বৃহষ্পতিবার (২১ মে) দুপুরে সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    এই হাসপাতালের ১১টি আইসিও শয্যাসহ ১০০ শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এসডিওসহ আনুসাঙ্গীক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে। এটি জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিট-২ হিসেবে এটি পরিচালিত হবে।

    রোষ্টার করে এখানে সরকারিভাবে চিকিৎসক, নার্স ও জনবল কাজ করবে। ইতোমধ্যে এখানে ২০ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বেশ কিছু ওয়ার্ডবয়,নার্স,স্টাফ নিয়োগ দেয়া হবে। চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে তাদের কর্মস্থলে যোগদান করেছে। হাসপাতালটি একজন সহকারি পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে পরিচালিত হবে।

    এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রি.জেনারেল ডা. এস এম হুমায়ুন কবির, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. লিয়াকত আলী খান, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা.ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক অসিম কুমার নাথ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মাসুদ আহমেদ, উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা সংকট ও দূর্ভোগ লাঘবে প্রথমে প্রাইভেট ক্লিনিক এসোসিয়েশনের অর্থায়নে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালুর কথা ভেবেছিলাম। নানান অনিশ্চয়তা কাটিয়ে এখন তা সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করা হলো। ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এখন সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি নতুন আশা ও সাহসের সঞ্চার করবে বলে আশা করা যায়।

    তিনি বলেন, ঢাকার পরেই চট্টগ্রামে বেশি মানুষের বসবাস। বন্দরের অবস্থান সহ নানা সমীকরণে চট্টগ্রাম করোনার “ডেঞ্জার জোন” এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজন সমন্বিত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি ও স্ট্যান্ডবাজীর কারণে পরিস্থিতি আমাদের বাইরে চলে যায়। তাই ইতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে সম্মিলিত প্রয়াসে এই দূর্যোগকালীন সময়কে মোকাবেলা করতে হবে।

    করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে দেখা দিলে শুরুতেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। এই হাসপাতালে ১০ টি আইসিইউ সহ ১০০ শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদিকে ৫০ শয্যার বিআইটিআইডি ও ২৫ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালে কোন আইসিইউ নেই।

    এই পরিস্থিতিতে ১১ বেডের আইসিইউ সম্বলিত ১০০ বেডের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এসডিও সহ আনুসাঙ্গীক সব সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে চালু করা হলো। এখন থেকে এটি বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর হলো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা চিকিৎসায় নতুন ১৫ চিকিৎসকের যোগদান

    ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা চিকিৎসায় নতুন ১৫ চিকিৎসকের যোগদান

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ;ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:::দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পেড়িয়েছে ১৬ হাজার। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ও এর চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকার ইতিমধ্যে ২ হাজার জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে।

    নিয়োগের সেই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (১২ মে) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ১৫ জন চিকিৎসক যোগদান করেছেন।

    নতুন ১৫জন চিকিৎসক যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান সরকার।

    নতুন চিকিৎসকদের যোগদান উপলক্ষে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক পরিচিতি সভার আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

    পরিচিতি সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান সরকার এর সভাপতিত্বে যোগদানকৃত চিকিৎসকরা ছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা: সুব্রত সেনসহ সদর হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    জেলা সিভিল সার্জন জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ১৫ জন নতুন চিকিৎসকদের নিয়োগ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে আরো শক্তিশালী ও সাহসী করেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগ সম্মিলিতভাবে করোনা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ঠাকুরগাঁও জেলার সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • দেশে প্রথম ‘রেমডেসিভির’ উৎপাদন করলো এসকেএফ

    দেশে প্রথম ‘রেমডেসিভির’ উৎপাদন করলো এসকেএফ

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদন সম্পন্ন করেছে দেশের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।

    উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর শুক্রবার (৮ মে) সকাল থেকে শুরু হয়েছে বাজারজাতের প্রস্তুতি।

    এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা দেশবাসীকে এই সুখবর দিতে চাই যে বিশ্বে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ আমরা সম্পন্ন করেছি।’

    করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) গত সপ্তাহে করোনার ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভিরকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

    মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস ওষুধটি উৎপাদনের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলেও খবরে জানা গেছে।

    এ অবস্থায় এসকেএফই বিশ্বে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যারা জেনেরিক (মূল/গোত্র) রেমডেসিভির উৎপাদন করতে সক্ষম হলো।

    এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’।

    সিমিন হোসেন বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনের পরপরই আমাদের ফর্মুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। যেহেতু এটি একটি শিরায় দেওয়া ইনজেকশন, সে কারণে এর উৎপাদনে সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। দুই মাস ধরে এসকেএফ কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এত কম সময়ে এটা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের মূল উপাদান সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করে পর্যাপ্ত কাঁচামাল প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছি আমরা।’

    কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডেসিভির। গিলিয়েড-এর নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ ব্যবহারে রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

    মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে।
    রেমডেসিভির উৎপাদনের একচেটিয়া স্বত্ব রয়েছে গিলিয়েডের।

    তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন অনুযায়ী, জাতিসংঘ স্বীকৃত বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এসব পেটেন্ট বা স্বত্ব অগ্রাহ্য করতে পারে। ফলে এসব দেশ সহনীয় মূল্যে ওষুধ উৎপাদন করতে পারে। তবে এই ওষুধটি বর্তমানে খোলা বাজারে দেওয়া হবে না। এটা দে করোনা চিকিৎসার জন্য সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল বা ক্লিনিককে ওয়া হবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশেস ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি এস ফাউসি হোয়াইট হাউসে এক আলোচনায় বলেন, ‘করোনা থেকে দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের ইতিবাচক প্রভাব পরিষ্কার। আর এই ওষুধ যেহেতু কাজ করছে বলে পরিষ্কার প্রমাণ মিলেছে, তখন তা দ্রুত মানুষকে জানানো নৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা চিকিৎসায় দেশে প্রথম প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ

    করোনা চিকিৎসায় দেশে প্রথম প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ

    বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় দেশে প্রথম বারেরমতো কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা (পূর্বের অ্যাপোলো হাসপাতাল)।

    মঙ্গলবার (৬ মে) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    প্লাজমা থেরাপি একটি আশা জাগানো রিসার্চ ট্রিটমেন্ট, যা সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে সফলভাবে চালু হয়েছে।

    এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র হেমাটোলজি অ্যান্ড স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের কোঅরডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত সিরিয়াস রোগীদের আইসিইউ-তে নেয়া হচ্ছে এবং ভেন্টিলেটরসহ আরো অনেক সাপোর্ট সিস্টেমের প্রয়োজন হচ্ছে। নিয়মিত অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি কোভিড-১৯-এর সাথে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে চলছে হাজারো গবেষণা; যার মধ্যে অন্যতম কার্যকরী একটি ট্রিটমেন্ট হচ্ছে প্লাজমা কনভালসেন্ট থেরাপি।

    তিনি আরো বলেন, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ৯৭-৯৮% সুস্থ হয়ে যান। কারণ, তাদের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধক এন্টিবডি তৈরি হয়ে যায় যা রক্তের প্লাজমায় থাকে। কোভিড সুস্থ রোগীর দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে গুরুতর আক্রান্ত অন্য রোগীর দেহে সঞ্চালনের মাধ্যমে তাদের বহুলাংশকেই সারিয়ে তোলা সম্ভব।

    এই ট্রিটমেন্টের সম্ভাবনা ব্যাপক এবং ট্রিটমেন্টের পর রোগী পর্যবেক্ষণে আছেন বলে ডাঃ সালেহ জানান।

    এরিমধ্যে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে সাফল্যের দাবি করেছে ভারত। দেশটিতে ৪৯ বছর বয়সী এক রোগী, যাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল, প্লাজমা থেরাপিতে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফেরেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা চিকিৎসায় ১৫০ আইসিইউ প্রস্তত : ডা. ফ্লোরা

    করোনা চিকিৎসায় ১৫০ আইসিইউ প্রস্তত : ডা. ফ্লোরা

    দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য রাজধানীতে ১৫০টি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

    মীরজাদী বলেন, রোজ এক হাজার করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। প্রতিনিয়ত কিট আসছে দাতা সংস্থাগুলো থেকে।

    সেব্রিনা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে কল এসেছে ৪ হাজার ২০৫টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত ছিল ৪ হাজার ১৬৪টি। এ ছাড়া সর্বমোট ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। সব মিলিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ১৬ জন। ৪৩ জন আছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।

    বাংলাদেশে নতুন করে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে নতুন করে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের দুজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে, একজন ইতালিফেরত।

    এর আগে সোমবার তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি শিশু ও একজন নারী। সব মিলিয়ে এখন এই রোগে ১০ জন আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের দুজন বাড়ি চলে গেছেন।