Tag: করোনা ভাইরাস

  • করোনার কারণে এপ্রিল পর্যন্ত আ’লীগের বৈঠক-সভা-জনসভা স্থগিত

    করোনার কারণে এপ্রিল পর্যন্ত আ’লীগের বৈঠক-সভা-জনসভা স্থগিত

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সব ধরনের বৈঠক, জনসভা ও আলোচনা সভা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

    বুধবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরে এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের বৈঠক, জনসভা ও আলোচনা সভা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।’

    তবে অভ্যন্তরীণভাবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এছাড়াও জুন মাসের মধ্যে আওয়ামী মহিলা লীগ এবং যুব মহিলা লীগকে তাদের কাউন্সিল সমাপ্ত করার নির্দেশনা দেন তিনি।

    এ সময় বিএনপির প্রতি করোনা ভাইরাসের মতো কোনো সংবেদনশীল ও মানবিক ইস্যু নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তিনি।

    উল্লেখ্য, রবিবার বাংলাদেশে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে বিদেশ ফেরত আটজনকে আইসোলেশেন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

  • বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ২জন সুস্থ

    বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ২জন সুস্থ

    দেশে নতুন করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া আগের যেই তিনজন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন মঙ্গলবার (১০ মার্চ) তাদের পুনঃপরীক্ষা করে দু’জনের ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে। তারা এখন সুস্থ। শিগগিরই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে।

    বুধবার (১১ মার্চ) করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    তিনি জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনার জন্য চালু করা নম্বরে ৩ হাজার ২৩২টি কল এসেছে, যার মধ্যে ৩ হাজার ১৪৫টিই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত। এখন পর্যন্ত ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন করে কারও শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

    তিনি আরও জানান, বর্তমানে ওই তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং আটজন আইসোলেশনে রয়েছেন।

    সেব্রিনা বলেন, আগে যে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল তাদের পুনঃপরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের দু’জনের ফলাফল নেগেটিভ আছে।

  • করোনা ভাইরাস : টেকনাফ সীমান্তে রেড এলার্ট জারী

    করোনা ভাইরাস : টেকনাফ সীমান্তে রেড এলার্ট জারী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস জীবাণু প্রতিরোধে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর, করিডোর ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে (রেড এলার্ট) সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    বাংলাদেশের পক্ষে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্ত হয়ে মিয়ানমারে চীনা পণ্য ও নাগরিকদের মিয়ানমারে আসতে খুব একটা বাঁধা নেই। নেই কোন করোনা ভাইরাস জীবাণু প্রতিরোধে ব্যবস্থা। আবার মিয়ানমারের পণ্যও চীনে যাচ্ছে অবাধে।

    আর চীন থেকে আসা এসব পণ্য মিয়ানমার হয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে স্থলবন্দর, করিডোর ও সীমান্ত হয়ে। বিশেষ করে চীনের এসব পণ্য ট্রলারে করে আনছে মিয়ানমারের মাঝি মাল্লা ও সেখানকার নাগরিকরা।

    এ কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর ও শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে আসা পণ্য ও পশু বোঝাই জাহাজ, ট্রলারের মাঝি মাল্লা, মিয়ানমারের নাগরিকদের যাতায়াতে (রেড এলার্ট) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পত্র প্রেরণের পর এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    তবে কর্তৃপক্ষ জানান, স্থলবন্দর ও শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে আসা মিয়ানমার নাগরিকদের আগে থেকেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল। পরীক্ষায় মেডিকেল টিম গত ১০ মার্চ পর্যন্ত সেখানে করোনা ভাইরাস জীবাণু বহনকারী কোন রোগী সনাক্ত করা হয়নি।

    টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, করোনা ভাইরাস জীবাণু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র পাঠানো হয়। তবে এ নিয়ে আগে থেকেই জরুরি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে এবং তার কার্যক্রম স্থলবন্দর ও করিডোরে কার্যকর রয়েছে।

    আবার করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্তে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকের কাছেও পত্র পাঠানো হয়েছে। গঠিত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমকে সার্বক্ষণিক কার্যকর রাখা হয়েছে। এই টিমে মেডিকেল অফিসার, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার, নার্স, ব্রাদার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে।

    এছাড়া পত্রে স্থলবন্দর ও করিডোরে কারো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালকে অবগত করতে বলা হয়েছে।

    টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট কতৃপক্ষ জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বন্দরে (রেড এলার্ট) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্দরে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা রয়েছে।

    বর্তমানে স্থল বন্দরে ২৫টির মতো মিয়ানমারের ট্রলার নোঙরে রয়েছে। এসব ট্রলারে ৭০/৮০ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে আসা নাগরিকদের ট্রলার থেকে বাইরে যাওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। এসব নাগরিকরা যেন দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও কড়া নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

  • পুলিশকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ

    পুলিশকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ

    গতকাল দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ঘোষণার পর পুলিশের সকল ইউনিটে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি স্বাস্থ্য বার্তা পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো বার্তায় করোনাভাইরাস সম্পর্কে আতঙ্কিত না হয়ে এ ভাইরাসের যাতে বিস্তার না ঘটে, সে বিষয়ে সচেতন হতে সকল পুলিশ ইউনিটে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুতি রয়েছে।

    পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, সম্প্রতি পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তার নির্দেশে সকল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালকে কোয়ারেন্টাইন সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।

    জরুরি স্বাস্থ্য বার্তায় বলা হয়েছে, কোনো পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি পুলিশের রয়েছে।

    কোনো পুলিশ সদস্য জ্বর, কাশিসহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে স্থানীয় পুলিশ হাসপাতাল বা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

    এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এ ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজনের পরিবারের ৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।

  • করোনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু

    করোনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু

    যুক্তরাজ্যে প্রাণঘাতী করোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় গত রোববার ম্যানচেস্টারের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

    বিবিসি বাংলা’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ৬০ বছরের ওই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ইতালি সফর করে ফিরেছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়।

    তার ছেলে জানান, নানা ধরনের অসুস্থতা ছিল তার বাবার, যা নিয়ে তিনি বেশ ভুগছিলেন। কোলেস্টরেল, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট।তবে এসবের পরও তিনি মোটামুটি ভালো ছিলেন। তিনি শতভাগ সুস্থ ছিলেন না। কিন্তু মোটামুটি ভালো ছিলেন।

    তার ছেলে আরও জানান, ইতালি থেকে ফেরার পর গত ৩ মার্চ মাস্ক পরে কাছের হেলথ সেন্টারে গিয়েছিলেন তার বাবা। চিকিৎসক তাকে মাস্ক পরে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি ইতালি থেকে আসার কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আলাদা করে নিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ার পর কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় তাকে।

    তিনি আরও জানান, ‘হাসপাতালে প্রথম দিকে বাবার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। আমাদের সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়।কিন্তু তারপর ডাক্তাররা জানান, তার রক্তে যথেষ্ট অক্সিজেন যাচ্ছে না। তার হৃদস্পন্দন অনিয়মিত। এভাবেই চলছিল কয়েকদিন। তারপর রোববার তিনি মারা যান।

  • করোনার কারণে ভিড় এড়িয়ে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    করোনার কারণে ভিড় এড়িয়ে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ভিড় এড়িয়ে চলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশে তিনজন করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ায় তিনি এই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করেন।

    সোমবার (৯ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি সকলের প্রতি এই আহ্বান জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনাদের (দেশবাসীর) আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন। যেহেতু, এটি একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস, তাই তিনি আপনাদেরকে যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলতে বলেছেন।’

    মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিদের ব্রিফিংকালে আসাদুল বলেন, একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মারাত্মক এই ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ারও আহ্বান জানান।

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রস্তুতি সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুসরণ করে চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহন শুরু করেছিলাম।’ তিনি বলেন, যে তিন স্তরের ব্যবস্থা নিয়েছি সেগুলো হলো-এই ভাইরাসের আগমন নিয়ন্ত্রণ, একজনের থেকে অপর জনের মধ্যে সংক্রমণ আটকানো এবং কোন কারণে যদি ভাইরাস এসেই পরে, তবে, দেশে তার বিস্তার ঠেকানো।

    আসাদুল বলেন, তারা মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে এই পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপরগুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত হওয়া তিন ব্যক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতি এমন নয় যে হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত।

    স্বাস্থ্য সচিব বলেন, জনগণ শুধু জানে যে, বিশ্বজুড়ে কতজন করোনভাইরাসে আক্রান্ত বা মারা গেছে, তবে, তারা জানে না যে ভাইরাসে আক্রান্ত কতজন ইতোমধ্যেই সুস্থ্য হয়ে উঠেছে, সেটাও জানা দরকার। সুতরাং, আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

  • করোনা’ ভাইরাস নিয়ে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের ব্যাতিক্রম উদ্দ্যেগ : মাস্ক বিতরণ

    করোনা’ ভাইরাস নিয়ে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের ব্যাতিক্রম উদ্দ্যেগ : মাস্ক বিতরণ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ : নিজস্ব প্রতিনিধি : আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে অন্যান্য কাউন্সিলররা যখন নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই ‘করোনা’ ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ২১নং জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।

    ব্যাক্তি উদ্দ্যোগে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা’ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে তিনি লিপলেট বিতরণ করেছে। নিজ অর্থায়নে তৈরি মাস্ক নিয়ে ছুটছেন জামালখান ওয়ার্ড বাসিন্দাদের দ্বারে দ্বারে। স্কুলশিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের বিতরণ করছেন এই মাস্ক। পরাতে ভুল করেননি নগরবাসীর অভিভাবক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকেও।

    গত বুধবার (৪মার্চ) সকাল ১০টা থেকে জামালখান ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে এ মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছেন ২১নং জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।

    এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারী মাস্ক পরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ছাড়াও শৈবাল দাশ সুমন প্রশংসিত হয়েছেন জামালখান ওয়ার্ডকে নান্দনিক ও হেলদি ওয়ার্ড হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য।

    ব্যতিক্রমী এমন উদ্যেগের বিষয়ে জানতে চাইলে শৈবাল দাশ সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় সকলকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। যেহেতু ভাইরাসটি ছোঁয়াছে তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

    জামালখান ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহী করার জন্য এ উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে গত ৪ফেব্রুয়ারিতে একমাস ব্যাপী এই কার্যক্রম চলছে।

    সচেতনতার অংশ হিসেবে আগামী ১০ দিনএর মধ্যে জামালখান ওয়ার্ডে প্রতিটি ঘরে ঘরে ৫টি করে এবং বিভিন্ন স্কুলসহ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

  • করোনা সংক্রান্ত হটলাইন নাম্বার

    করোনা সংক্রান্ত হটলাইন নাম্বার

    দেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আইইডিসিআর।

    রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

    করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে তাদের সঙ্গে দেশ কিংবা বিদেশ থেকে যোগাযোগের জন্য হটলাইন নন্বরও চালু রয়েছে।

    আইইডিসিআর সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেক্ষেত্রে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে ফোন করলে বিদেশে কিংবা দেশের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে তারা।

    এ বিষয়ে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যারা আক্রান্ত দেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন এবং যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ জ্বর. কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ রয়েছে, তারা আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করবেন। অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন। হটলাইন নম্বরগুলো হলো- ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যদি কোনো গণপরিবহনে আসেন, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। এ কথাটা এজন্য বলছি, সন্দেহজনক তালিকায় যারা থাকেন, তাদের মধ্যে লক্ষণ ও উপসর্গগুলো রয়েছে। প্রথমে ধরে নিতে হয়, তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস থাকতে পারে।’

    আইইডিসিআর মহাপরিচালক বলেন, ‘সেজন্য আমরা আক্রান্তদের অনুরোধ করব, আপনারা গণপরিবহন ব্যবহার না করে, আপনারা যদি মৃদু অসুস্থ থাকেন, তাহলে বাড়িতেই থাকুন। আমাদের সঙ্গে হটলাইনে যোগাযোগ করুন। আমাদের টিম আপনাদের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে পরীক্ষা করবে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত কোনো বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ করলে আমাদের হটলাইনে তা ফোন করে বললে আমরা সেখানেও নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করব।’

    ৪৩টি দেশে স্থানীয় সংক্রমণের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছে জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘বাইরের দেশ থেকে আক্রান্ত রোগী আসার পর ওই রোগীর সংস্পর্শে এসে সেই দেশে যারা আক্রান্ত হয়, তাকে স্থানীয় সংক্রমণ বলা হয়। তিনি বিদেশে যাননি কিন্তু বিদেশ থেকে আসা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকেন, এরকম স্থানীয় সংক্রমণের ইতিহাস রয়েছে ৪৩টি দেশে। এই ৪৩টি দেশের মধ্যে ৩৩টি দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি নতুন রোগী রয়েছে। দশটি দেশে বেশ কিছুদিন ধরে নতুন করে আক্রান্ত হয়নি।’

    ইতালির মতো দেশেও বাড়িতে বসে চিকিৎসা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে বসে চিকিৎসা করা সম্ভব। বাড়িতে যদি আইসোলেশন নিশ্চিত করতে পারে বাড়িতে চিকিৎসা করা সম্ভব। সুতরাং আমরা সাবধান হবো। আতঙ্কিত হবো না।’

  • বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত

    বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত

    চীনের উহান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ার আড়াই মাস পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

    রবিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এতথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’

    সেব্রিনা বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী একই পরিবারের।’

    আইইডিসিআর পরিচালক জানান, সম্প্রতি দুজন ইতালি প্রবাসী দেশে আসেন। তাদের একজনের মাধ্যমে পরিবারের নারী সদস্য আক্রান্ত হন।

    তিনি বলেন, আক্রান্ত তিনজন রোগীর অবস্থায়ই স্থিতিশীল। তারা ভালো আছেন। তবে আইসোলেশনে থাকবেন।

    তিনি বলেন, ‘এই প্রবাসীরা কোথায় কোথায় গিয়েছেন, কাদের কাদের সঙ্গে মিশেছেন খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।’

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম নিউমোনিয়াসদৃশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর একে একে ১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগী সন্ধান মিলেছে।

  • আমিরাতে করোনাভাইরাসে নতুন ১৫জন আক্রান্ত

    আমিরাতে করোনাভাইরাসে নতুন ১৫জন আক্রান্ত

    আরব আমিরাত প্রতিনিধি : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে নতুন করে আরও ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    নতুন করে আরও ১৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরব আমিরাতে করোনায় আক্রান্ত দুই চীনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    ওই রোগীদের মধ্যে একজনের বয়স ৩৮ বছর এবং অপরজনের বয়স ১০ বছর। আমিরাতে ওই পরিবারের সদস্যদের শরীরেই প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। ওই পরিবারে চারজন সদস্য রয়েছে। তারা সবাই চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই চারজনই এখন করোনামুক্ত।

    আমিরাতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে একজন করে থাইল্যান্ড, মরক্কো, চীন ও ভারতের নাগরিক। অপরদিকে দু’জন করে সৌদি আরব, ইথিওপিয়া এবং ইরানের নাগরিক। অপরদিকে, আমিরাতের তিন নাগরিকও এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক জেলা কমিটির সভা

    ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক জেলা কমিটির সভা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “করোনা ভাইরাস” প্রতিরোধে জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বুধবার (৪ মার্চ) জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভায় জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলমের উপস্থাপনায় “করোনা ভাইরাস” প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, জেলা কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার,ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক,জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মোঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রমুখ।

    “করোনা ভাইরাস”প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের মতে সচেতনতা মুলক বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা কমিটির সদস্য বৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন,নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখতে হবে ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট অসুস্থ রোগীর সংস্পর্শে থাকা যাবে না।কাঁচাবাজারে গেলে পশু-পাখির মাংস ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাংস ধরলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। মাংস ধরে হাত না ধুয়ে মুখমণ্ডল স্পর্শ করা যাবে না। মাংস ও ডিম ভালো করে সেদ্ধ ও রান্না করে খেতে হবে। পোষ্য প্রাণীদের সঙ্গে থাকার ক্ষেত্রে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

     

  • করোনা আতঙ্ক : ইতালিতে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

    করোনা আতঙ্ক : ইতালিতে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতালিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সব স্কুল ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। এ ছাড়া আগামী এক মাস ইতালিয়ান ফুটবল লিগসহ সব ধরনের খেলা দর্শক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইতালিতে এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইটালিতে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে।

    করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে ইতালির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে কার্যত কোনো ক্রেতা নেই। ইতালির পর্যটন শিল্পে ৬৫০ কোটি ইউরো ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দেশটির মিলান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। পুরো দেশ থেকে এ শহরকে কার্যত বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।

    ইতালির শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষার্থীরা দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে পারবে। দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের কাছে যাতে সব সুবিধা পৌঁছে দেয়া যায় সে চেষ্টা করা হবে।

    ইতালির গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে।

    সংক্রমণ ঠেকাতে ইতালির সরকার সিনেমা হল, থিয়েটার এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেবার কথা ভাবছে। এ ছাড়া পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা এবং করমর্দন করা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    বিশ্বজুড়ে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে ৩ হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তে সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি, যাদের বেশিরভাগই চীনে।

    এ পর্যন্ত বিশ্বের ৮১টি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে চীন, ইকালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়।