Tag: করোনা ভাইরাস

  • করোনায় ইরানি রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু

    করোনায় ইরানি রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু

    প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইরানের সাবেক এক রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হাদি খোসরো শাহী (৮১)। তিনি ভ্যাটিকান নগরীতে ইরানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    বৃহস্পতিবার ইরানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু নিউজ এজেন্সি।

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, খোসরা শাহীকে বুধবার তেহরানের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং পরীক্ষার পর তার করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এর একদিন পর শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিতায় তার মৃত্যু হলো।

    এদিকে, দেশটিতে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৫।

    অপরদিকে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৬ জন।
    এর আগে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইরানের নারী ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসৌমেহ এবতেকার আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া দেশটির উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরছির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি ধরা পড়েছে।

  • করোনা ঠেকাতে ওমরাহ হজ সাময়িক বন্ধ

    করোনা ঠেকাতে ওমরাহ হজ সাময়িক বন্ধ

    ভয়াবহ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের জন্য আপাতত ওমরাহ হজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এছাড়াও করোনা সংক্রমিত দেশের মানুষকে সৌদিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কৃর্তপক্ষ।

    বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জনগণের নিরপত্তার কথা চিন্তা করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়টি পুরোপুরি তাদের নজরদারিতে রায়েছে।

    এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত যেসব দেশের মানুষ সৌদি আরবের পর্যটক ভিসা পেয়েছেন, উচ্চমাত্রার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে।

    সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে দেশ ইরান, বাহরাইন, ইরাক, সংযুক্ত আবর আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

    গত বছরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এখন পুরো চীন থেকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে উহান।

    এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনেই প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৭৪৭ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার। চীনের বাইরে ইরান, ইটালি, সাউথ কোরিয়া, জাপানসহ কয়েকটি দেশে প্রাণ হারিয়েছে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ।

  • করোনাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৬৪

    করোনাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭৬৪

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৬৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৯৯৭ জন। আর মহামারী এই ভাইরাসটি থেকে প্রাণে বেঁচেছেন ৩০ হাজার ৫৭ জন।

    শুধু উৎপত্তিস্থল চীনেই আজ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭১৫ জন। এর মধ্যে শুধু নতুন করে মারা যান ৫২ জন। তবে এই ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে দেশটিতে।

    নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬৪ জন। আর সব মিলিয়ে আরোগ্য লাভ করে ২৯ হাজার ৭৫৫ জন। আর সঙ্কটাপূর্ণ রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৫ জন।

    আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে নতুন করে মহামারী এই ভাইরাসটিতে কেউ আক্রান্ত হয়নি। মোট মৃতের সংখ্যা ১২ জন। এর মধ্যে শুধু আজকেই মারা গেছে ১ জন।

    তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রমোদতরী ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’। জাহাজটিতে আজকে আর কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ জন। সেখানে আজ আর নতুন করে কেউ আক্রান্তও হয়নি। আজকে দক্ষিণ কোরিয়ার বাইরে নতুন করে কোথাও আক্রান্ত হয়নি।

    তাছাড়া, নতুন এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, জাপান ও ইরানে। তবে উৎপত্তিস্থল চীনে এর প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসছে।

  • করোনা ভাইরাস: বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ২৬১৯, চীনে ২৫৯২

    করোনা ভাইরাস: বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ২৬১৯, চীনে ২৫৯২

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) রবিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১৯ জনে। এর মধ্যে চীনেই মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৫৯২ জন। করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৫৬১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ হাজারের বেশি লোকের অবস্থা সংকটাপন্ন। শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ হাজার ২৩ জন। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই চীনের। তবে চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

    চীনের বাইরে করোনায় নিহত হয়েছেন- দক্ষিণ কোরিয়ায় সাত জন, জাপানের ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীতে তিন জন, ইতালিতে তিন জন, হংকংয়ে দুই জন, ইরানে আট জন, তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন। এ খবর দিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটারস।

    চীনে ধীরে ধীরে করোনায় আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যা কমে আসছে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তবে চীনে এই সংখ্যা নিম্নমুখী হলেও বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে।

    চীনের সকল প্রদেশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। নিহতদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের। প্রদেশটির উহান শহর থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতাল নির্মাণ, করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কারে সরকারি অনুমোদনসহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আতঙ্কে জনমানবশূন্য ভৌতিক এলাকায় পরিণত হয়েছে চীনের একেকটি গ্রাম ও শহর।

    রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উহান শহরে স্টেডিয়াম, কনফারেন্স সেন্টারসহ কয়েকটি ভেন্যুকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় শুরু থেকে তাদের অবহেলা ও দুর্বলতার কথা স্বীকার করেছে চীন। হুবেই প্রদেশের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলিতে ওষুধ ছিটাচ্ছে প্রশাসন। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন মেডিকেল স্টাফরা। যাদেরকে সন্দেহ হচ্ছে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।

    চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ৩৩টি দেশ ও অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে।

    করোনায় চীনের পরই সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস, ইতালি ও ইরানে। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭৬৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জাপানের প্রমোদতরীতে ৬৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    এরই মধ্যে ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি জরুরি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

    বেশকিছুদিন আগেই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। তবে চীনের বাইরে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আবারও সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

  • ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইতে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতা সেমিনার অনুষ্ঠিত

    ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইতে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতা সেমিনার অনুষ্ঠিত

    কামরুল ইসলাম দুলু : বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজজ (বিআইটিআইডি) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর এ্যাডভান্সমেন্ট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (বিএএটিএম) এর যৌথ উদ্যাগে করোনা ভাইরাস সন্মন্ধে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার বেলা ১১টায় সীতাকুণ্ডের ফৌজদারস্থ বিআইটিআইডি’র ৪র্থ তলায় অডিটোরিয়ামে উক্ত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

    বিআটিআইডির পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এম,এ হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে চিকিৎসকদের সক্রিয় অংশ গ্রহণে উক্ত কনফারেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল খান।

    সেমিনারের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিএসএমএমইউ সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ফজলে রাব্বী চৌধুরী এবং বিআইটিআইডি’র সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মামুনুর রশিদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রিদউয়ানুর রহমান, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধক্ষ্য অধ্যাপক ডাঃ মো আমির হোসেন।

    করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন অধ্যাপক ডাঃ সুজাত পাল, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রোবেদ আমিন, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ এবং ডাঃ হাসিনা নাসরীন।

    বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আরো উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত না হলেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে। ভাইরাসটি যাতে বাংলাদেশের ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য জনচেতনা সৃষ্টির পাশাপাশি ভাইরাসটি মোকাবিলায় কী কী করণীয় রয়েছে তা দ্রুততার সঙ্গে নির্ধারণ করতে হবে। ভাইরাসটি মোকাবিলা করতে হলে ভাইরাসটির আচরণ থেকে শুরু করে সবকিছুই জানতে হবে।

    সেমিনারে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত নয়, সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে।

    করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনা কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডাঃ ফজলে রাব্বী চৌধুরী এবং অধ্যাপক ডাঃ মামুনুর রশিদ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বনের বিভিন্ন কৌশল আলোক চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

  • করোনা ভাইরাস একটি গজব : আল্লামা তৌছিফ রযা খান

    করোনা ভাইরাস একটি গজব : আল্লামা তৌছিফ রযা খান

    রাউজান প্রতিনিধি : ভারতের বেরেলভী থেকে আগত আওলাদে আলা হযরত খতিবে আজম হিন্দ আলহাজ্জ আল্লামা তৌছিফ রযা খান কাদেরী(মা.জি.আ) বলেছেন চীনের করোনা ভাইরাস একটি মাত্র ছোট গজব।

    আল্লাহ চাইলে মুহুর্তের মধ্য আরো বড় গজব দিয়ে নিশ্চিন্ন করে দিতে পারে সারা দুনিয়া।কিন্তু আল্লাহ বারে ইলাহি সেটি করেননা বান্দাকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য।

    তিনি বলেন, মুসলমানকে যারা মারবে কাটবে সে দেশে আল্লাহর পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের মত গজবতোই আসবে। এখনো পর্যন্ত কোন মুসলমান আক্রান্ত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন মুসলমানের ধর্ম হচ্ছে ইসলাম,আর ইসলাম হচ্ছে শান্তি ও সম্পৃতির ধর্ম, এতে রয়েছে আল্লাহর রাসুলের আদর্শ, ছিদ্দীকে আকবর, ফারুকে আজম, ওসমান গনী জুন নূরাইন, শেরে খোদা আলী(রঃ), ছাহাবায়ে কেরাম, ইমামে হোসাইন, হযরত আবদুল কাদের জিলানী, খাজা গরিবে নেওয়াজ, ইমামে আলা হযরতের মত জাতে পাকের অনুসরন ও অনূকরন।

    তিনি বলেন, সারা বিশ্বে মুসলমানকে প্রতিনিয়ত হত্যা নির্যাতন করা হচ্ছে। আর ইরাকের মুসলমান কাশ্মিরের মুসলমান, বর্মার মুসলমান, চীনের মুসলমান, ফিলিস্তিনের মুসলমান সহ বিশ্ব মুসলমান প্রতিনিয়ত নির্যাতন ও হত্যার শিকার হলেও জাতীসংঘ নিশ্চুপ।তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সামান্যতম গজব দিয়ে জানান দেয় আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি,আমি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, আমি তোমাদের প্রতিপালক আমার কথা তোমরা স্মরন করনা ভুলে গেছ।

    আল্লামা তৌছিফ রযা খান বলেন, আল্লাহ ও রাসুলের পথ ভুলে গেলে সেখানে অবশ্য গজব নাযিল হয়।তিনি সকলকে হযরতে ছিদ্দিকে আকবরের আদর্শে জীবন পরিচালনা করার আহবান জানান।

    তিনি বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় চট্টগ্রামের রাউজান আমিরহাট হযরত এয়াছিনশাহ কলেজ ময়দানে বিশাল সুন্নী সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখছিলেন। খলিফাতুর রাসুল হযরত আবু বকর ছিদ্দিক(রঃ),ইমামে আলা হযরত(রঃ)ওরশ এবং সংগঠনের কর্মকর্তা লেখক প্রভাষক আল্লামা নুর মুহাম্মদ রযভী,অধ্যক্ষ আল্লামা জসিম উদ্দিন রযভীর স্মরণে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ত করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আল্লামা আজিজুল হক রযভী।আঞ্জুমানে রযভীয়া তৌছিফিয়া রাউজান উপজেলা শাখার আয়োজনে ও আলহাজ্ব মাওলানা মনসুর আলম রযভীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার তকরির করেন ঢাকা মুহাম্মদপুর কাদেরীয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিফাল আলহাজ্জ মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক,উত্তরসর্তা গাউছিয়া হাফেজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আলহাজ্ব সৈয়দ হাসান মোরাদ কাদেরী,আল্লামা আবুল বশর ভান্ডারী প্রমুখ।পরে বায়াত,মিলাদ কিয়াম ও আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

  • করোনার ভয়ে প্লাস্টিক মুড়িয়ে বিমান ভ্রমণ

    করোনার ভয়ে প্লাস্টিক মুড়িয়ে বিমান ভ্রমণ

    বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের নাম এখন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। করোনায় মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চীনের কেন্দ্রস্থল হুবাই প্রদেশে আরও ১০৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১১২ জনে। বিশ্বব্যাপী এ সংখ্যা অন্তত ২১২০ জন। চীনের বাইরে অন্তত আটজন মারা গেছেন। এর মধ্যে হংকং ও ইরানে দুইজন করে এবং তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন।

    এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সবাই অনেক সচতেন। করোনা আকান্ত হবার ভয়ে যে যা পারছেন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি সে রকমই এক অদ্ভুদ ঘটনা ঘটে গেছে। আতঙ্ক ও সংক্রামক থেকে রক্ষা পেতে পুরো শরীরে প্লাস্টিক জড়িয়ে প্লেন ভ্রমণ করেছেন দুই যাত্রী। ওই দুই যাত্রীর সামনের আসনে থাকা এক সহযাত্রী এ সংক্রান্ত ছবি টুইটারে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়। যা খবরের শিরোনাম হয়েছে।

    পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, সিডনি থেকে অস্ট্রেলিয়া উপকূলে হ্যামিলটন দ্বীপে যাওয়ার একটি ফ্লাইটে দুই যাত্রী মুখোশ, গ্লাভস এবং পুরো শরীর প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে নিজেদের আবৃত করে রেখেছেন।

    ছবি ও এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করে ওই দুই যাত্রীর সহযাত্রী লিখেছেন, করোনা ভাইরাসকে খুব ভয় পান, এমন দুইজন বর্তমানে বিমানে আমার পেছনের আসনে রয়েছেন।

    এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসে ১৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। এর সবকটিই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চীনের উহান শহরের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংযুক্ত।

    করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া গত ১৪ দিনে চীন থেকে আগত দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। তবে নিজেদের নাগরিকদের চীন থেকে আসার পর দেশে ফেরার অনুমতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণ শেষে।

    করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। পুরো দেশজুড়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৩৫৭ জন। এছাড়া বিশ্বের প্রায় ২৮টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর তথ্য জানা গেছে।

  • করোনা ভাইরাস : দুই ইরানি নাগরিকের মৃত্যু

    করোনা ভাইরাস : দুই ইরানি নাগরিকের মৃত্যু

    প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে এবার ইরানের দুই বৃদ্ধ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলিরেজা ভাহাবজাদেহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

    ভিকটিমদের বাড়ি তেহরান থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের কোম এলাকায় বলে জানা গেলেও তাদের প্রকৃত বয়স বা তারা নারী না পুরুষ, তা জানা যায়নি।

    ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাসেম জান-বাবেই স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারা দেশে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় ইমার্জেন্সি ইউনিট খুলেছে।

    এছাড়া তিনি সবাইকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং চুমু ও করমর্দন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। পরে করোনা অন্তত ২৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত চীনে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সংক্রমিত হয়েছেন বিশ্বের প্রায় ৭৫ হাজার লোক।

  • করোনা ভাইরাস: হংকংয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু

    করোনা ভাইরাস: হংকংয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আক্রান্তদের মধ্যে হংকংয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার হংকংয়ের প্রিন্সেস মার্গারেট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

    হাসপাতালটির মুখপাত্র জানান, ৭০ বছর বয়সী ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর বুধবার সকাল ৭টায় (স্থানীয় সময়) তিনি মারা যান।

    ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় ভোগা এ রোগীর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নির্ধারিত হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসা কর্মীরা।
    স্থানীয় সময় বিকালে হংকংয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে বলে জানিয়েছে মর্নিং পোস্ট।

    আগে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ওই ব্যক্তি হংকংয়ের কাওয়াই চুং এলাকার একটি বাড়িতে একাই বাস করতেন। ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হওয়ার ১০ দিন পর তাকে প্রিন্সেস মার্গারেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়, তখনই তার অবস্থা সংকটজনক ছিল। ২২ জানুয়ারি তিনি এক দিনের সফরে চীনের মূলভূখণ্ডে গিয়েছিলেন।

    হংকংয়ে নতুন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর প্রথম ঘটনা ঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান, তিনিও ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন।

    চীন শাসিত হংকংয়ে এ পর্যন্ত ৬২ জন নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হলো।

    বুধবার প্রকাশিত হওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪ জন মারা গেছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণে। চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ১৮৫ জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি দেশে আরও ৭০০ জনের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এই ভাইরাস।

  • করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮৩

    করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮৩

    চীনে করোনা ভাইরাসের বিস্তার কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। রহস্যময় এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১৪৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    চীনের হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) চীনে ১১৬ জন মারা গেছেন।

    এছাড়া নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও চার হাজার ৮২৩ জন। সব মিলিয়ে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

    চীনের সীমা ছাড়িয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। চীনের বাইরে হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে একজন করে ব্যক্তি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

    গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই চীনে মহামারি আকার ধারণ করে এই ভাইরাস। ভাইরাসটি চীনের ৩১টি প্রাদেশিক পর্যায়ের অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে।

    পরিস্থিতি বিবেচনায় এর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে অধিকাংশ দেশ।

  • সীতাকুণ্ডে জাহাজে ৫ দিন আটকে থেকে অবশেষে নিজ দেশে ফিরে গেলো ১৭ চীনা নাবিক

    সীতাকুণ্ডে জাহাজে ৫ দিন আটকে থেকে অবশেষে নিজ দেশে ফিরে গেলো ১৭ চীনা নাবিক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের স্ক্রাপ জাহাজে ৫ দিন ধরে আটকে থাকার পর অবশেষে নিজ দেশের ফিরে গেলো ১৭ চীনা নাবিক।

    আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার সময় বিচিং করা উক্ত জাহাজ থেকে ১৭ নাবিক নিচে নেমে তিন মাইক্রো যোগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রওয়ানা হয়। সেখান থেকে বিমান যোগে তারা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হয়ে বাই রোডে নিজ দেশ চীনে চলে যাবেন।

    এ ব্যাপারে লালবাগ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম আবদুল্লাহ বলেন, চীনের ১৭ নাবিক ৫ ধরে আমাদের জাহাজে ছিল, করোনাভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিকদের নিচে নামতে দেওয়া হয়নি। ডাক্তারী পরিক্ষায় তাদের শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।সীতাকুণ্ডে স্ক্রাপ জাহাজে আটকে থাকা ১৭ নাবিক ফিরছে দেশে

    তিনি বলেন, সরকারী নির্দেশনায় ১৭ চীনা নাবিককে তাদের এজেন্সীর মাধ্যমে বিমানের টিকেট দিলে আজ সকালে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়। আরো খবর : সীতাকুণ্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজে আটকে আছে ১৭ চীনা নাবিক

    উল্লেখ্য যে, গত ২০ জানুয়ারি চীনের উইফং বন্দর থেকে রওনা দিয়ে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আবুল কাসেম মোঃ আবদুল্লাহ ও হাজ্বি লিয়াকত আলীর মালিকানাধীন লালবাগ শিপ ইয়ার্ডে জাহাজটি কাটার জন্য রাখা হলেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিকদের নিচে নামতে দেওয়া হয়নি।

  • করোনা ভাইরাস : সীতাকুণ্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজে আটকে আছে ১৭ চীনা নাবিক

    করোনা ভাইরাস : সীতাকুণ্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজে আটকে আছে ১৭ চীনা নাবিক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে সাগর উপকূলে একটি স্ক্র্যাপ জাহাজের ভিতর আটকে থেকে ৩ দিন ধরে সেখানে অবস্থান করছেন ১৭ জন চীনা নাবিক।

    গত ২০ জানুয়ারি চীনের উইফং বন্দর থেকে রওনা দিয়ে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূলের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মো. আবদুল্লাহ ও হাজ্বি লিয়াকত আলীর মালিকানাধীন লালবেগ শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কাটার জন্য রাখা হলেও প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এসব নাবিকদের নিচে নামতে দেওয়া হয়নি।

    তবে এই ১৭ নাবিকের শরীরে কোনও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেছেন জাহাজ আমদানিকারক এজেন্সি মালিক।

    এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, জাহাজের নাবিকদের তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ সেটি কাউকে অবহিত করেনি।

    জানা যায় জাপানের পতাকাবাহী ইউনি হারভেস্ট কার্গো জাহাজটির ওজন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিকটন। শনিবার বিকালে চীন থেকে জাহাজটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ির লালবেগ এলাকায় শিপ ইয়ার্ডে কাটার জন্য আনা হয়।

    যথানিয়মে জাহাজটি ইয়ার্ডে সৈকতায়নও করা হয়। সৈকতায়নের পর জাহাজ চীন ছাড়া অন্য দেশের নাবিকরা নেমে গেলেও ১৭ চীনা নাবিক এখনও জাহাজে রয়ে গেছেন। বিমানের টিকেট নিশ্চিত হলে তাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।