Tag: করোনা শনাক্তকরণ কিট

  • পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট

    পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কোভিট-১৯ সংক্রমণ নির্ণয়ক (জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট) কিটের সক্ষমতা পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন থেকে গণস্বাস্থ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

    এই কিটের নমুনা পরীক্ষা করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।

    বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন আমাদের চাহিদা মোতাবেক, অনুরোধ পত্র মোতাবেক এটা ট্রায়েলের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। সেই মোতাবেক বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) চিঠি দিয়েছে। আমার এতে একটা ধাপ এগিয়ে গেলাম।’

    ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘হয়তো শনি-রোববার বসে উনাদের (বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ) চাহিদা মোতাবেক এটা করা হবে। এটা এখন নির্ভর করবে বিএসএমএমইউ’র উপর। এই ট্রায়ালের সময় আমরা থাকব না। তারা ইনডিপেনডেন্টলি করবে।’

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • চীন থেকে আসল ১০ হাজার টেস্ট কিট

    চীন থেকে আসল ১০ হাজার টেস্ট কিট

    চীন থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারন করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের কিট, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ও থার্মোমিটার এসেছে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই সরঞ্জামাদি এসে পৌঁছায়।

    ঢাকার চীন দূতাবাস এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দূতাবাস জানায়, চীনের কুনমিং শহর থেকে বিশেষ ফ্লাইটে কিট ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম এসেছে।

    চীন বাংলাদেশকে ১০ হাজার লোকের করোনাভাইরাস পরীক্ষা সরঞ্জাম (টেস্ট কিট), ১৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ১০ হাজার ‘মেডিক্যাল প্রসেসিং ক্লোদিং’ এবং এক হাজার ‘ইনফ্রারেড থার্মোমিটার’ দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ সেদেশ থেকে দ্বিতীয় ধাপে এসেছে এসব সরঞ্জাম।

    করোনাভাইরাস পরীক্ষায় বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ‘টেস্ট কিট’ না থাকায় সম্প্রতি সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ চীনের কাছে টেস্ট কিটসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা চায়।

    চীন এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয়। দেশটি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইতালিসহ অন্যান্য দেশকেও সহায়তা করছে।

  • করোনা শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে সহায়তা দিলেন ফটিকছড়ির ইফতেখার

    করোনা শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে সহায়তা দিলেন ফটিকছড়ির ইফতেখার

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত নোভেল করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে ৫লক্ষ টাকা ও চিকিৎসকদের মেডিকেল সরাঞ্জামের জন্য ১লক্ষ টাকার অর্থ সহায়তা দিয়েছেন- ফটিকছড়ির পর্তূগাল প্রবাসী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

    তার পক্ষ থেকে ঢাকার একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা গতকাল রোববার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি ডা. জাফরউল্লাহ’র হাতে ৫লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।

    এছাড়া ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য ১লক্ষ টাকার মাস্ক,পিপিই এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ মেডিকেল সরাঞ্জাম দেওয়া হয়।

    ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী শাহীনের ছোট ভাই। তার পিতা মরহুম কামাল উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন-আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের প্রবীণ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। প্রচার বিমূখ ব্যবসায়ী ইফতেখার উদ্দিন স্বপরিবারে থাকেন পর্তূগালে।

    তিনি এর আগেও দেশের দূর্যোগপূর্ণ সময়ে বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

  • গণস্বাস্থ্যকে করোনা পরীক্ষার কিট তৈরীর অনুমতি

    গণস্বাস্থ্যকে করোনা পরীক্ষার কিট তৈরীর অনুমতি

    করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কিট উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

    বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আজ দুপুরে আমরা সরকারের অনুমোদন পেয়েছি। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে কাঁচামাল দেশে পৌঁছাবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা কিট উৎপাদনে যাব।
    তিনি আরও বলেন, কিট উৎপাদনের কাঁচামাল চীনের কাছেও আছে। তবে চীন বাণিজ্যিকভাবে কিট উৎপাদনের জন্যে কাঁচামাল বিক্রি করবে বলে না জানিয়েছে।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করলে দেশে কিট নিয়ে কোনো সঙ্কট থাকবে না বলেও দাবি করেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

  • করোনা শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র,খরচ হবে ২০০ টাকা

    করোনা শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র,খরচ হবে ২০০ টাকা

    বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বুধবার (১৮ মার্চ) একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা সত্যি ঘটনা। এটা ভিন্ন পদ্ধতি। এর নাম হলো, র‌্যাপিড ডট ব্লট।’

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আরএনএ বায়োটেক লিমিটেডের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের দাবি ২০০ টাকায় এই ভাইরাস শনাক্তকরণ সম্ভব।

    ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। “র‌্যাপিড ডট ব্লট” পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবেলা করে।’

    ‘তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন। আমাদের এখানে যখন যোগ দিলেন তখন তিনি ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছিলেন’, যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

    তিনি বলেন, ‘যখন গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করোনাভাইরাস দেখা দিলো তখন তিনি আমাদের বললেন, “এটা (নতুন করোনাভাইরাস) হলো সার্সের রূপান্তরিত রূপ। এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে।” উনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন আমরা কেউ চিন্তা করি নাই করোনাভাইরাস এমন হতে পারে। তিনি তখন বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার।’

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘উনি আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। উনি সাভারে আমাদের ক্যাম্পাসে থাকেন। উনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন। এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে।’

    ‘এটা করতে রিএজেন্ট লাগে। কেমিক্যাল রিএজেন্টগুলো সহজলভ্য না। এগুলো পাওয়া যায় সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা ও ব্রিটেনে’, যোগ করেন তিনি।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এখন এটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরাই মার্কেটিং করতে যাচ্ছি। আমরা এর অনুমোদনের জন্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। তারা এর গুরুত্বটাই বুঝতে পারছে না। সাতদিন আগেই আমাদের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। আজকে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে। তাদের সঙ্গে মিটিং করছে। আজকে যদি আমরা অনুমোদন পেয়ে যাই তাহলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্যে আগামী সপ্তাহে ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দিবো।’

    তিনি বলেন, ‘প্রচলিত কিট যেটা ব্যবহৃত হচ্ছে সেটা খুবই ব্যয়বহুল। এর জন্যে একটা দামি যন্ত্র প্রয়োজন হয়। সেই যন্ত্র সব মেডিকেল কলেজে নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনটা আছে। সারা দেশে এই যন্ত্র খুব বেশি নেই। আইইডিসিআরের কাছে একটা যন্ত্র আছে। এ কারণে তারা এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬৮ জনের করোনা পরীক্ষা করতে পেরেছে। অথচ আমাদের পরীক্ষা করা উচিত ছিল হাজার-হাজার।’

    ‘ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে শনাক্ত করা যাবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে আমরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে পারব।’

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘তবে সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপরে। ডেঙ্গু টেস্টের যেমন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল করোনা টেস্টেরও যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জনগণ স্বল্প মূল্যে সেবা পাবে। মূল্য নির্ধারণ না করে দিলে যে যার যার মতো টাকা নিবে। আমরা মাসে এক লাখ কিট সরবরাহ করতে পারব। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে প্রাথমিকভাবে এই মাসে ১০ হাজার কিট সরবরাহ করতে পারব।’

    ‘আরও একটি খুশির সংবাদ হলো: আমেরিকার একটি সংস্থা আমাদের জানিয়েছে তারাও আমাদের উদ্ভাবিত এই ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ উৎপাদন করবে। এ কথা তারা ড. বিজনকে তারা জানিয়েছে,’ যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

    গবেষণা দলের সদস্য ড. নিহাদ আদনান বলেন, ‘অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ড. বিজন কুমার শীল ও ড. মহিবুল্লাহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে গিয়েছিলেন। অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। সাধারণত এ ধরনের অনুমোদন একটু সময় সাপেক্ষ। তবে জাতীয় স্বার্থের গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাব।’